আইন-আদালত
নাফিজ সরাফাতসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণগ্রহণ এবং ঋণের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগে পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও আব্দুল মোনেম লিমিটেডের দুই মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ রাকিব উদ্দিন মিনহাজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন- পদ্মা ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ব্যাংকটির এসইভিপি সাব্বির মোহাম্মদ সায়েম, আব্দুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.এস.এম মঈনউদ্দীন মোনেম ও মিসেস ফারহানা মোনেম।
আসামিরা পদ্মা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখা থেকে ৫ কোটি টাকার ৬ মাস মেয়াদী ঋণ গ্রহণ করে পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও শর্ত ভঙ্গ করে ঋণের অর্থ ব্যবসার চলতি মূলধনের কাজে না লাগিয়ে অন্য ঋণের দায় পরিশোধ করেছে। পরবর্তী সময়ে ঋণের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/৫১১ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে ব্যাংক দখল, ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ঋণ জালিয়াতিসহ আর্থিক অনিয়মের অনেক অভিযোগ রয়েছে।
ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাত থেকে আত্মসাৎ করা অর্থ পাচার করে তিনি কানাডায় বাড়ি করেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়েছেন। বর্তমানে তিনি পলাতক কিংবা দেশের বাইরে রয়েছেন। ২০১৭ সালে পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর নাফিজ সরাফাত প্রতারণা, জালিয়াতি করে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকের টাকা হাতিয়ে নেন। যদিও ব্যক্তিগত ও স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে তিনি ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পদত্যাগ করেন।
দুদকের গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাফিজ সরাফাত ও তার সহযোগীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও শীর্ষ ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠান গ্রাম-বাংলা ফার্টিলাইজার কোম্পানিকে ৪০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন। সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে জেসিকা ইন্টারন্যাশনালের অনুকূলে ৬০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করে ওই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ১৫০ কোটি টাকা পদ্মা ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান পদ্মা সিকিউরিটিজের মাধ্যমে নাফিজ সরাফাতের ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণাধীন স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ফ্লোরা সফটওয়্যার লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি থেকে ব্যাংকের জন্য সফটওয়্যার কেনার ক্ষেত্রে নাফিজ সরাফাত কোম্পানির কাছ থেকে ৮ কোটি টাকা ঘুষ নেন। একদিনেই কোম্পানির মালিকের চেক ভাঙিয়ে ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৫ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়। পদ্মা ব্যাংকের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পদ্মা সিকিউরিটিজকে ব্যবহার করে শেয়ারবাজার থেকে ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ রয়েছে। নাফিজ সরাফাত চেয়ারম্যান থাকাকালে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের কারণে পদ্মা ব্যাংক দ্বিতীয়বারের মতো বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। তিনি ৫০০ কোটি টাকার একটি অংশ দিয়ে সাউথইস্ট ব্যাংকের শেয়ার কিনেছেন। কৌশলে তিনি নিজের স্ত্রী, সহযোগীসহ তিনজনকে ব্যাংকের পরিচালক পদে বসান। তিনি সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ারও চেষ্টা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন-আদালত
জুলাই গণহত্যা: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেপ্তার

নরসিংদী গণহত্যা মামলায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরী এবং নরসিংদী জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) মো. সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসিকিউশন জানিয়েছে, পুলিশকে সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম। সোমবার (১৪ এপ্রিল)নরসিংদীর গণহত্যার মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাইফুলসহ একই অভিযোগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যনাল।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘গুলির নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে এরইমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা নরসিংদীতে শহিদ হন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিদ ভূইয়া। পুলিশের গুলিতে তাহমিদ নিহত হওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। পরে লাশ নিয়ে মিছিল করতে গলে আবারও গুলি ছোড়া হয়। এতে আরও একজন নিহত হন। জুলাই আন্দোলনে শুধু এই জেলাতেই শহিদ হয়েছেন প্রায় ২০ জন। পাশাপাশি হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
জুলাই গণহত্যায় এখন পর্যন্ত ২২ মামলায় ১৪১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র ৫৪ জন। যাদের অধিকাংশই পুলিশ সদস্য। ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের জানিয়েছেন, তদন্ত রিপোর্টে বিভিন্ন পেশার আসামিদের চিত্র উঠে আসবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা ভোটে ২১ প্রার্থীই জয়ী

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে ২১ প্রার্থীই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনী কার্যক্রমে ২১ পদে ২১ জন প্রার্থী থাকায় রোববার ১৩ এপ্রিল তাদের সবাইকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
জয়ী সবাই বিএনপি জামায়াত সমর্থিত। এর মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১৪ পদে বিএনপি অনুসারী এবং একটি সহ-সভাপতি পদ ও দুটি সম্পাদকীয় পদসহ মোট ৭ পদে জামায়াত অনুসারীরা জয়ী হন।
তবে নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের মনোনয়ন ফরম কিনতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি নির্বাচনকে অস্বচ্ছ আখ্যা দিয়ে আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ আনোয়ার হোসেন পদত্যাগ করেছেন। চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির ১৩২ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সবকটি পদে নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
নির্বাচনে জয়ীরা হলেন- সভাপতি পদে আবদুস সাত্তার, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সিরাজ, সহ-সভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনূস, সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ হাসান আলী চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল বারী, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, লাইব্রেরি সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফী বিনতে মোতালেব, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মনজুর হোসাইন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে আবদুল জব্বার, নির্বাহী সদস্য পদে- আহসান উল্লাহ মানিক, আসমা খানম, বিবি ফাতেমা, হেলাল উদ্দিন, মেজবাহ উল আলম আমিন, মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী, মো. রোবায়তুল করিম, মো. শাহেদ হোসাইন, মোহাম্মদ মোরশেদ, রাহেলা গুলশান ও সাজ্জাদ কামরুল হোসাইন।
এর মধ্যে সহ-সভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনূস, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফজলুল বারী, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুল জব্বার এবং নির্বাহী কমিটির চার সদস্য হেলাল উদ্দিন, মো. শাহেদ হোসাইন, মো. রোবায়তুল করিম ও মোহাম্মদ মোরশেদ জামায়াত অনুসারী।
এদিকে ঘোষিত তফসিলে গত ১০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র কেনার শেষ দিনে মনোনয়নপত্র কিনতে গিয়ে বাধার মুখে ফরম কিনতে পারেননি আওয়ামী লীগ, এলডিপি ও বাম ঘরানার আইনজীবীরা। তারা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটি ও নির্বাচন কমিশনের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ দিলেও কোনো সমাধান হয়নি।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে চেয়েছিলেন সাবেক মহানগর পিপি আবদুর রশীদ। মনোনয়ন ফরম কিনতে দেওয়া হয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বারের ১৩২ বছরের ইতিহাসে পুরো কমিটির সবাই ভোটবিহীনভাবে জয়ী হয়নি। বারের সব সদস্যরা রাজনীতি করেন না। সাধারণ সদস্যরা রয়েছেন। তারা আজকের এই ভোটারবিহীন নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছেন। অতীতে চট্টগ্রাম বারের সব দলমতের আইনজীবীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, জয়ীও হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘এবার বারের গুটিকয়েক আইনজীবী পুরো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২১ পদের বিপরীতে ২১ জন ফরম কিনেছেন। আমরা ফরম কিনতে গিয়ে কিছু আইনজীবী ও দুর্বৃত্তদের বাধার মুখে পড়েছি। চট্টগ্রাম বারের জন্য এটি কলঙ্কের ইতিহাস হয়ে থাকলো। বিএনপি-জামায়াতের সাধারণ সমর্থকরাও ভোটারবিহীন এ নির্বাচন আশা করেননি। সুযোগ থাকলেও আমরা আইনি মোকাবিলায় যাচ্ছি না। আমরা সাধারণ সদস্যদের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। সাধারণ সদস্যরাই একদিন এটির বিচার করবেন।’
এদিকে বারের এ নির্বাচনকে অস্বচ্ছ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করেছেন অ্যাডহক কমিটির সদস্য সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। ১২ এপ্রিল অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ককে দেওয়া পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব না হওয়ায় এবং প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে মর্মপীড়ায় ভুগছি। যা চট্টগ্রামবারের ইতিহাস ঐতিহ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে মর্মে আমি মনে করি। এ পরিস্থিতিতে বিবেকের তাড়নায় দায়িত্বপালন থেকে বিরত থাকা এবং পদ থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করাকে আমি বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি সম্মান ও দায়িত্বশীলতার অংশ হিসেবে বিবেচনা করছি।’
এ বিষয়ে কথা হলে অ্যাডভোকেট সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বারের এবারের নির্বাচন নিয়ে অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। সবশেষ ঘোষিত তফসিলে আমরা চেয়েছিলাম সবার অবাধ অংশগ্রহণ। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। ২১ পদের সবাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মানে এখানে ভোটারদের কোনো সম্মান করা হয়নি। বিনাভোটের নির্বাচন হয়েছে। একজন সচেতন আইনজীবী হিসেবে আমাকে পীড়া দিচ্ছে। আমি তিনদিন আগেও অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ককে বলেছি, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হলে আমি পদত্যাগ করবো।’
তিনি বলেন, ‘অনেককে নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম কিনতে দেওয়া হয়নি। আওয়ামীপন্থিদের দেওয়া হয়নি। এমন কী এলডিপির অ্যাডভোকেট শাহাদাতকেও মনোনয়ন ফরম কিনতে দেওয়া হয়নি। আমরাতো এ ধরনের নির্বাচন চাইনি। তাই মর্মপীড়া থেকে অ্যাডহক কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছি।’
এ বিষয়ে কথা হলে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা তারিক আহমদ বলেন, ‘আমরা একুশ পদের সবাইকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছি।’
নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম কিনতে বাধা দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের অভিযোগ কেউ করেনি।’ ২১পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেউ ফরম না কিনলেতো আমার কিছু করার নেই।’
অ্যাডহক কমিটির এক সদস্যের পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি (সৈয়দ আনোয়ার হোসেন) আগে কোথায় ছিলেন। তিনি কেন পদত্যাগ করেছেন, তার ব্যক্তিগত বিষয়। কাউকেতো আমরা জোর করে নির্বাচনে আনতে পারবো না। প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আমরা সবাইকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেছি।
এ ব্যাপারে কথা বলতে সভাপতি নির্বাচিত হওয়া বিএনপিপন্থি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তারকে ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন গঠন করে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটি। এতে মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা করা হয় অ্যাডভোকেট তারিক আহমেদকে। আর আইনজীবী মো. মাসুদুল আলম, মুহাম্মদ কবির হোসাইন, মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন এবং মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন শাহীনকে নির্বাচনী কর্মকর্তা করা হয়।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচন উপলক্ষে গেলো বছরের ৩০ ডিসেম্বর প্রথম দফায় নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। পরে ওই নির্বাচন কমিশন বাতিল করে ফের চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন গঠন করে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটি।
নির্বাচনে ২১টি পদের জন্য ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। ভোটাধিকার প্রয়োগের কথা ছিল মোট ৫ হাজার ৪০৪ আইনজীবীর। এ নির্বাচন পরিচালনার জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের মাত্র চারদিন আগে পদত্যাগ করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সভা করে নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৬ ফেব্রুয়ারি ৫ সদস্যের চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
দুর্নীতির মামলায় স্ত্রীসহ সাবেক এমপি আউয়ালের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রায় ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুটি চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ওই চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে বলে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছিল। ওই মামলায় সাবেক এমপি আউয়াল দম্পতির ৪৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রথম মামলার চার্জশিটে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়ালের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৫ কোটি ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দ্বিতীয় চার্জশিটে তার স্ত্রী পারভীনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্বামীর প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় ৯০ লাখ ৬২ হাজার ৬৩৩ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের মালিকানা অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
হাসিনা পরিবারের ১৬ কোটি টাকা ফ্রিজ

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং ছোট বোন শেখ রেহানার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের একটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ওই হিসাবে ১৬ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানকালে দেখা যায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়), মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ, তার ছোট বোন রেহানা সিদ্দিক ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বর্ণিত অ্যাকাউন্টের অস্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ওই অ্যাকাউন্টটি অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
শুনানি শেষে বিচারক আবেদনটি মঞ্জুর করে ব্যাংক হিসাবটি ফ্রিজ করার আদেশ দেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ম্যাক্স ও তমা গ্রুপের চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান ভূঁইয়া, তার মেয়ে রাসনাত তারিন রহমান, ছেলে মুকিতুর রহমানের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, ম্যাক্স গ্রুপ ও তমা গ্রুপের পরিচালকদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আমদানির নামে ভুয়া এলসি খুলে বিদেশে টাকা পাচার এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অনুসন্ধানের বিষয়টি রাষ্ট্রের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। অনুসন্ধানকালে জানা যায় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
তাদের অনেকেরই বাংলাদেশ ছাড়াও অন্য দেশের নাগরিকত্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তার মধ্যে গোলাম মোহাম্মদ বিদেশ গমনকালে এয়ারপোর্ট থেকে বিদেশি পাসপোর্টসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।