জাতীয়
সিএমপির ট্রাফিক মামলার ফাইন কালেকশনের উদ্বোধন

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক মামলার ফাইন কালেকশনের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। এসময় অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষে পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ এবং কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জনাব মো. আব্দুল কাইয়ুম খান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন এবং জরিমানা আদায়ের পদ্ধতিগুলি তুলে ধরার জন্য কমিউনিটি ব্যাংক আইটি কনসালটেন্টস পিএলসির (আইটিসিএল) সহযোগিতায় ২ দিনের একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ছিল কর্মশালার সমাপনী দিন এবং প্রশিক্ষণের পর যে কোনো ব্যাংক কার্ড, মোবাইল আর্থিক পরিষেবা বা বিভিন্ন ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে পস মেশিন ব্যবহার করে সুবিধাজনকভাবে ট্রাফিক জরিমানা পরিশোধ করা সহজ হবে।
প্রশিক্ষণ ও চুক্তি স্বাক্ষর শেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ ট্রাফিক মামলার ফাইন কালেকশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
বর্তমান পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম শহর এবং এর আশেপাশের এলাকায় কোনও যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলে, ট্রাফিক ফাইন সংগ্রহের কালেকশন বুথের অভাবে ভুক্তভোগীর পক্ষে সেটি জমা দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য কমিউনিটি ব্যাংক আধুনিক সফটওয়্যার আপগ্রেডের মাধ্যমে একটি উন্নতমানের পস সিস্টেম চালু করেছে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের ভিসা কার্ড, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খুব সহজেই তাৎক্ষণিক সময়ে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।
এছাড়াও, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত স্মার্ট বাংলা কিউআর কোড ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেট, এমক্যাশের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসসহ ২১টি অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপস এবং ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইফট অব বাংলাদেশের মোট ৫৬টিসহ সর্বমোট ৭৮টি পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে বর্তমানে ট্রাফিক প্রসিকিউশন জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। আর এই সকল জরিমানার টাকা কমিউনিটি ব্যাংকের পেমেন্ট চ্যানেল ব্যবহার করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে জমা হবে। এই প্রক্রিয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডকুমেন্টস আটক রাখার প্রয়োজনও পড়বে না।
অনুষ্ঠানে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন, অর্থ ও ক্রাইম্) মো. হুমায়ুন কবির; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আসফিকুজ্জামান আকতার এবং ট্রাফিক বিভাগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) সামসুল হক সুফিয়ানী, হেড অব অপারেশন্স শরফুদ্দিন মো. রেদওয়ান পাটওয়ারী, এসভিপি ও আগ্রাবাদ শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, ভিপি ও হেড অব কার্ড জহির আহমেদ, এসএভিপি ও আন্দরকিল্লা শাখা ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ-আল-মামুন এবং ব্যাংকের উর্ব্ধতন কর্মকর্তারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়
চলে গেলেন ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান

দেশের বরেণ্য ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান আর নেই। আজ রোববার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনি ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি স্ত্রী ভাস্কর আইভি জামান, দুই পুত্র এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
হামিদুজ্জামান খানের ঘনিষ্ঠ শিল্পী মনিরুজ্জামান জানান, তাঁকে গত ১৫ জুলাই ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তিন দিন আগে তাঁকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। আজ সকালে চিকিৎসকেরা তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন।
বেলা আড়াইটায় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নেওয়া হবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। দাফনের সিদ্ধান্ত প্রবাসী ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া হবে।
হামিদুজ্জামান খান ১৯৪৬ সালের ১৬ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার সহশ্রাম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটস (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭০ সালে তিনি ওই অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন এবং অধ্যাপক হিসেবে ২০১২ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
ভাস্কর্যই ছিল তাঁর প্রধান শিল্পমাধ্যম। পাশাপাশি জলরঙে তিনি নিপুণতা ও খ্যাতি অর্জন করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অধিকাংশ ভাস্কর্যের নির্মাতা তিনি। ১৯৭২ সালে ভাস্কর আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে তিনি জয়দেবপুর চৌরাস্তায় ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’ ভাস্কর্য নির্মাণে অংশ নেন, যা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম ভাস্কর্য হিসেবে বিবেচিত।
তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্যের মধ্যে রয়েছে— ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ‘জাগ্রত বাংলা’, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সংশপ্তক’, ঢাকা সেনানিবাসে ‘বিজয় কেতন’, মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে ‘ইউনিটি’, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে ‘ফ্রিডম’, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বাধীনতা চিরন্তন’, সরকারি কর্মকমিশনে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’, এবং মাদারীপুরে ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’।
তিনি ধাতু, কাঠ, সিরামিকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিরীক্ষাধর্মী কাজ করে গেছেন। ধাতব মাধ্যমে পাখির ভাস্কর্য নির্মাণেও তিনি মনোযোগী ছিলেন। টিএসসি চত্বরে ‘শান্তির পায়রা’ তাঁর নির্মিত উল্লেখযোগ্য এক ধাতব ভাস্কর্য।
জলরঙে তাঁর নিসর্গ, মুখাবয়ব এবং বিমূর্তধর্মী কাজসমূহ বিদগ্ধ মহলে প্রশংসিত হয়েছে। দেশ-বিদেশে তাঁর অর্ধশতাধিক একক ও যৌথ প্রদর্শনী হয়েছে। ২০০৬ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন এবং বাংলা একাডেমির ফেলো নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি দেশ-বিদেশে বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
জাতীয়
আগামী ৩ দিনের মধ্যে উচ্চকক্ষ নিয়ে সিদ্ধান্ত: আলী রীয়াজ

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে উচ্চকক্ষের বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে।
রোববার (২০ জুলাই) সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।
আলী রীয়াজ জানান, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সনদ প্রস্তুত করতে কাজ করছে কমিশন। অনেক বিষয়ে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে উচ্চকক্ষের বিষয়ে আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে। আজ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ও প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান নিয়ে আলোচনা হবে।
আলী রীয়াজ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে বিএনপি, জামায়াতসহ চারটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এসেছে। সেগুলোর সঙ্গে কমিশনের প্রস্তাবসহ আলোচনা করা হবে।
জাতীয়
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যেমন নিরাপত্তা প্রয়োজন, তা বর্তমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমেই নিশ্চিত করা সম্ভব।
রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জে ঘটনা যে ঘটেছে সেটি তো আমি অস্বীকার করছি না। এটাতো রাজনীতি। রাজনীতি করতে গেলে তো অনেক কিছু অনেক সময়…আগে যখন আমরাও (রাজনীতি) করেছি, তখন ইউনিভার্সিটিতে তো কত ধরনের ঘটনা হয়েছে। ঘটনার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কেনা সেটি হচ্ছে আমাদের কথা, আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি কেনা।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গোপালগঞ্জের ঘটনায় গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না, যারা দোষী তাদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। জেলায় আস্তে আস্তে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জাতীয়
সৎ, পেশাদার অফিসাররাই পদোন্নতির দাবিদার: প্রধান উপদেষ্টা

সৎ, নীতিবান, পেশাদার, নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন ও রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থাকা অফিসাররাই পদোন্নতির দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (২০ জুলাই) সকালে সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ ২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। দেশের প্রয়োজনে ত্যাগের জন্য সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে বাহিনীটির সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এর আগে, অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লেখেন।
জাতীয়
সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (২০ জুলাই) ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ ২০২৫’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এরপর উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।