জাতীয়
তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতায় সাহসী উদ্যোগ টক হোপ’র

বর্তমান সময়ে তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, বিশেষ করে ডিপ্রেশন ও আত্মহত্যার প্রবণতা, একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা এবং পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার হার দিন দিন বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে, তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা ভিত্তিক সংগঠন ‘টক হোপ’।
২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারী প্রতিষ্ঠিত হয় টক হোপ। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মো. ফয়সাল কানন। তার সহযোগীরা তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তারা দেখেন যে তরুণরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, কিন্তু তাদের কাছে সাহায্যের জন্য সঠিক পথ নির্দেশনা নেই। এই সমস্যা সমাধানে তারা একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যা আজকের দিনে তরুণদের জন্য একটি আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এরই মধ্যে সংগঠনটি ‘ওয়ার্কশপ অন টক হোপ’ কর্মশালার আয়োজন করেছে। এতে অংশগ্রহণ করেছে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী।
সংগঠনটি ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে। এই সেশনে মানসিক স্বাস্থ্য, ডিপ্রেশন, উদ্বেগ এবং আত্মহত্যার প্রবণতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন, তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন এবং কিভাবে তারা নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখতে পারে সে বিষয়ে পরামর্শ দেন।
এছাড়া ‘টক ফর হোপ’ নামে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক সেশন পরিচালনা করছেন টক হোপ’র চিফ কো-অর্ডিনেটর মো. ফয়সাল কানন।
এছাড়া সংগঠনটির ফেসবুক পেজের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। যেকোনো তরুণ যিনি মানসিক চাপ বা উদ্বেগ অনুভব করছেন, তিনি বিনামূল্যে অনলাইন কাউন্সেলিং নিতে পারেন। এতে করে তারা তাদের সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং পেশাদার কাউন্সেলরের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।
সংগঠনটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব প্রভৃতি মাধ্যমে নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কনটেন্ট প্রকাশ করছে। এই কনটেন্টগুলোতে তরুণদের জন্য বিভিন্ন টিপস, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তথ্য ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ভিডিও তৈরি করা হয়। এতে করে তরুণরা সহজেই তথ্য পেতে পারেন এবং নিজেদের সমস্যা সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন।
তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করে, তাদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করাই হচ্ছে তাদের লক্ষ্য। তারা বিশ্বাস করেন যে একটি সুস্থ মনই একটি সফল জীবনের ভিত্তি। এছাড়া একটি সমাজ গঠন করা, যেখানে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে কোনো কুসংস্কার থাকবে না এবং সবাই মানসিক সুস্থতার গুরুত্ব বুঝবে। তারা চান যে সকল তরুণ যেন নিজেদের সমস্যা নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে পারে এবং প্রয়োজন হলে সাহায্য নিতে পারে।
টক হোপের এই উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। তারা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এখন অনেক তরুণ তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী হচ্ছেন এবং সাহায্য নিচ্ছেন।
সংগঠনটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে:
• বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কার্যক্রম: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন করা।
• মোবাইল অ্যাপ এবং ২৪/৭ কল সেন্টার: তরুণদের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা যেখানে তারা সহজেই তথ্য পেতে পারবেন এবং কল সেন্টারে ফ্রী তে কাউন্সেলিং সেবা নিতে পারবেন।
• সম্প্রদায় ভিত্তিক প্রোগ্রাম: বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসূচি আয়োজন।
মানসিক স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা তরুণদের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে। টক হোপের মতো সংগঠনগুলো তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করছে যেখানে তারা নিজেদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পারেন এবং সহায়তা পেতে পারেন। তাদের উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করছে এবং আশা করা যায় যে ভবিষ্যতে আরও অনেক তরুণ এই ধরনের সহায়তা পাবে।
অর্থসংবাদ/কাফি

জাতীয়
ঢাকায় নাগরিকদের সতর্ক করলো মার্কিন দূতাবাস

বাংলাদেশজুড়ে বিক্ষোভের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, মার্কিন নাগরিকদের মনে রাখা উচিত যে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সংঘাতে পরিণত হতে পারে এবং খুব কম জ্ঞাতসারেই তা ঘটতে পারে। তাই নাগরিকদের বিক্ষোভ এড়িয়ে চলা উচিত এবং যেকোনো বৃহৎ সমাবেশের আশেপাশে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
এক্ষেত্রে ৩টি পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। সেগুলো হলো-
১. ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা পর্যালোচনা করুন।
২. স্থানীয় অনুষ্ঠানসহ আপনার আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
৩. আপডেটের জন্য স্থানীয় সংবাদ চ্যানেলগুলো পর্যবেক্ষণ করুন।
জাতীয়
৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, শূন্যপদ ৩০০০

৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বিশেষ এ বিসিএসে তিন হাজার শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) দিলাওয়েজ দুরদানার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, বিশেষ এ বিসিএসে দুই হাজার ৭০০ জন সহকারী সার্জন এবং ৩০০ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন নিয়োগ দেওয়া হবে।
পিএসসির জানায়, ৪৮তম বিশেষ বিসিএসে মোট ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে এমসিকিউ (বহুনির্বাচনি) পদ্ধতিতে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তাতে যারা উত্তীর্ণ হবেন, তাদের ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে।
কোনো বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা থাকবে না। ফলে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এ বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে এবং নিয়োগের সুপারিশ করবে পিএসসি।
এদিকে, বিশেষ বিসিএসের জন্য বিধিমালা সংশোধন করে সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়েছে, বিশেষ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় থাকবে দুই ঘণ্টা। ২০০ নম্বরের মধ্যে বাংলায় ২০, ইংরেজি ২০, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ২০, মানসিক দক্ষতা ১০ ও গাণিতিক যুক্তিতে ১০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
বাকি ১০০ নম্বর থাকবে সংশ্লিষ্ট ক্যাডার ও পদের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বিষয় থেকে। চিকিৎসক নিয়োগে এক্ষেত্রে মেডিকেল সায়েন্সের বিষয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি এমসিকিউর জন্য এক নম্বর থাকবে। আর প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে।
আবেদন শুরু ১ জুন, পরীক্ষা হবে শুধু ঢাকায়
৪৮তম বিশেষ বিসিএসে অনলাইন আবেদন শুরু হবে আগামী ১ জুন। এদিন সকাল ১০টা থেকে আবেদন ও ফি জমা দেওয়া যাবে। আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ২৫ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ, ২৮ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ফি জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা।
এদিকে, সাধারণ বিসিএসের পরীক্ষাগুলো সব বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হলেও বিশেষ এ বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শুধু রাজধানী ঢাকায়। তবে প্রার্থী সংখ্যা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনীয়তা প্রতীয়মান হলে ঢাকার বাইরেও অন্যান্য কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে।
৪৮তম বিশেষ বিসিএসের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
জাতীয়
বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ শ্রমিক নেবে জাপান

জাপানি কোম্পানিগুলো হাজার হাজার দক্ষ শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এর ধারাবাহিকতায় আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ বাংলাদেশিকে চাকরি দিতে চায় দেশটি।
আজ বৃহস্পতিবার জাপানের টোকিওতে এক সেমিনারে জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভসের (এনবিসিসি) চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ সেমিনার অন হিউম্যান রিসোর্সেস, শীর্ষক এক সেমিনারে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ থেকে জাপানে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এটি আমার জীবনের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ এবং অনুপ্রেরণাদায়ক দিন। এ সুযোগ বাংলাদেশিদের জন্য শুধু কাজের দ্বার নয়, বরং জাপানকে জানারও দ্বার উন্মুক্ত করবে।
সেমিনারে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই সমাবেশ একটি দ্বার খোলার কথা বলছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৮ কোটির বেশি এবং এর অর্ধেকই ২৭ বছরের নিচে। সরকারের কাজ হলো তাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া।
জাপানের শিজুওকা ওয়ার্কপ্লেস এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট কো-অপারেটিভের প্রতিনিধি পরিচালক মিৎসুরু মাতসুশিতা বলেন, অনেক জাপানি কোম্পানি এরই মধ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং এ প্রবণতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি প্রতিভার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের দায়িত্ব হলো এ প্রতিভা লালন করা।
এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা স্মরণ করে বলেন, প্রায় ১৪ বছর আগে অধ্যাপক ইউনূস জাপানে এসেছিলেন এবং মাইক্রোক্রেডিটের মাধ্যমে নারীদের সহায়তার গল্প বলেছিলেন। প্রথম তিন দশকে আমরা মানসম্পন্ন শ্রমশক্তি গড়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের ফেডারেশন বাংলাদেশ থেকে তরুণ ও সক্ষম শ্রমিকের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা বাংলাদেশের ও জাপানের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। আগামী পাঁচ বছরে আমরা ১ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক গ্রহণের জন্য প্রস্তুত।
বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে ওয়াতামি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মিকি ওয়াতানাবে বলেন, তারা বাংলাদেশে একটি স্কুল স্থাপন করেছেন যেখানে প্রতি বছর ১৫০০ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এখন এই সংখ্যা ৩০০০-এ উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে টেকনিক্যাল শিক্ষা নিয়ে, প্রশিক্ষণ নিয়ে এলে তারা জাপানে কাজের সুযোগ পাবে।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেইনি অ্যান্ড স্কিলড ওয়ার্কার কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (জেআইটিসিও) চেয়ারম্যান হিরোআকি ইয়াগি বাংলাদেশি শ্রমিকদের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে মত বিনিময় করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনো জাপানি ভাষা শিক্ষকের সংখ্যা অপ্রতুল।
জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (এম এইচএলডব্লিউ) প্রতিমন্ত্রী নিকি হিরোবুমি বলেন, জাপান জনসংখ্যা হ্রাসের মুখোমুখি। তাই বাংলাদেশের শ্রমিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, জাপানের জন্যও আশাপ্রদ হতে পারে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানে শ্রমিকের ঘাটতি ১ কোটি ১০ লাখে পৌঁছাতে পারে। আর বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরও বেশি দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে পারে।
জাতীয়
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ, বাংলাদেশের প্রশংসা ইইউর

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় এ বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এদিকে ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন উল্লেখ করে তাদের এই ভূমিকার প্রশংসা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক বার্তায় এ কথা জানিয়েছে ঢাকাস্থ ইইউ দূতাবাস।
বার্তায় বলা হয়, সংঘাতের অবসান ও প্রাণ রক্ষার এই প্রচেষ্টার স্বীকৃতি জানাই আমরা। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইইউ দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের এই কর্মকাণ্ড আমাদের নিরাপদ রাখে এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৩টি দেশ বা স্থানে ৬৩টি শান্তিরক্ষা মিশন বা কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। এসব মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ২ লাখ ৫৫৮ জন শান্তিরক্ষী অংশ নিয়েছেন। বর্তমানে ১০টি দেশ বা স্থানে বাংলাদেশের মোট ৫ হাজার ৮১৮ জন শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে। এদের মধ্যে ৪৪৪ জন নারী।
আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন (এএফডির) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ব শান্তিতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা (সেনা, নৌ ও বিমান) শান্তিরক্ষায় অভিযান চালাতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৪৪ জন জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের মধ্যে ১৪১ জনই সেনাবাহিনীর সদস্য।
চলতি বছরের শান্তিরক্ষী দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘শান্তিরক্ষার ভবিষ্যৎ’। এটি দ্রুত পরিবর্তনশীল জটিল বিশ্বে শান্তিরক্ষা অভিযানের বিবর্তিত চরিত্রকে প্রতিফলিত করে।
ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শান্তিরক্ষা মিশনগুলো আধুনিক ও অভিযোজিত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে জাতিসংঘ।
এবারের আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপনে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ। সকালে শান্তিরক্ষীদের স্মরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে ‘শান্তিরক্ষী দৌড়/রেলি-২০২৫’ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। পরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আহত শান্তিরক্ষীদের জন্য সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অন্যদের মধ্যে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, তিন বাহিনী প্রধানগণ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস’ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গত জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অভিজ্ঞ সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের সদস্যগণ সংঘাত প্রতিরোধ, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা, মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বাংলাদেশ শান্তির সংস্কৃতি, সহনশীলতা এবং মানবিকতার চর্চায় বিশ্বাসী। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের অব্যাহত অংশগ্রহণ বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতীক। আমি আশা করি, ভবিষ্যতেও আমাদের শান্তিরক্ষীরা তাদের পেশাগত দক্ষতা, সাহসিকতা, অনন্য সাধারণ মানবীয় গুণাবলি, আত্মত্যাগ ও নিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে সুপরিচিত করবেন।’
কাফি
জাতীয়
সচিবালয়ে এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে কর্মচারীরা

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেন সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকাল ১০টা থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন। বেলা ১১টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সচিবালয়ের কর্মচারীরা সকাল ১০টা থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লাইব্রেরির কক্ষে সমবেত হন। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়েও এক জায়গায় জমায়েত হয়ে কর্মবিরতি পালন করেন কর্মচারীরা।
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আজ থেকে প্রতিদিন এক ঘণ্টার কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জাগো নিউজকে বলেন, ঘোষণা অনুযায়ী কর্মচারীরা সকাল ১০টা থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লাইব্রেরিতে সমবেত হয়েছিলাম। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়েও গিয়েছি।
কাফি