বিনোদন
‘জংলি’ সিনেমায় কেন পারিশ্রমিক নেননি সিয়াম?

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। আর এই ঈদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে প্রতিবারই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় নতুন নতুন চলচ্চিত্র। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে ছয়টি চলচ্চিত্র। ছবিগুলো হলো—‘বরবাদ’, ‘দাগি’, ‘জংলি’, ‘চক্কর ৩০২’ ‘অন্তরাত্মা’ ও ‘জ্বীন-৩’। দেশের বিভিন্ন সিনেপ্লেক্স থেকে শুরু করে সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলোতে বেশ দাপটের সঙ্গেই চলছে ঈদের সিনেমাগুলো।
ঈদুল ফিতরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া সিয়াম আহমেদ অভিনীত ‘জংলি’ সিনেমার শো প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। দর্শকদের চাহিদার কারণে সিনেপ্লেক্সের বিভিন্ন শাখায় ‘জংলি’র শো বেড়েছে। প্রথম দিন থেকেই সিনেমাটির সবগুলো শো হাউজফুল যাচ্ছিল। তবুও বরবাদ ও দাগির কারণে জংলির শো-এর পরিমাণ কম ছিল। যে কারণে দর্শকরাও টিকিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছিল। এমন অবস্থায় বিষয়টি বেশ আলোচনার সৃষ্টি করলে স্টার সিনেপ্লেক্সে জংলির শো বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, এই ‘জংলি’ সিনেমায় কাজ করতে কোন পারিশ্রমিক নেননি নায়ক। বরং তার পারিশ্রমিক তিনি সিনেমায় ইনভেস্ট করেছেন। বিষয়টি সিয়াম নিজেই নিশ্চিত করেছেন। যার ফলাফল সিনেমা মুক্তির পর তিনি পাচ্ছেন। দর্শকরা সিনেমাটি দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। মুক্তির দশম দিনেও সিনেপ্লেক্সে হাউজফুল যাচ্ছে জংলির শো।
সিয়াম বলেন, আমরা যখন সিনেমাটা শুরু করছিলাম তখন আমি আমার পারিশ্রমিকের অংশটা নিয়ে নিলে বাজেট নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হতো টিমকে। সিনেমাটা যাতে ভালো হয়, সেজন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি আমার পারিশ্রমিক নেব না। পরে যদি সিনেমাটি থেকে লাভ হয় তখন আমি সেই লভ্যাংশ নেব।
‘জংলি’ সিনেমার প্রযোজনার সঙ্গে আপনি যুক্ত আছেন কি না এমন প্রশ্নে সিয়ামের উত্তর, আমি আমার পারিশ্রমিক না নিয়ে সেটা সিনেমায় ইনভেস্ট করেছি।
এম রাহিম পরিচালিত ‘জংলি’ সিনেমায় সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম এবং রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
মেঘনা আলমকে অপহরণের তথ্য সত্য নয়: ডিএমপি

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে মডেল মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে। তবে তাকে অপহরণের অভিযোগটি সঠিক নয়। মেঘনা আলমের আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্ক মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মেঘলা আলমকে সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়।
তালেবুর রহমান আরও জানান, মেঘনা আলমকে অপহরণের অভিযোগ সঠিক নয়। তার আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারার জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যক অনুভূত হওয়ায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে। পরে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, গত বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে মেঘনা আলমের লাইভ চলার মধ্যেই তার অভিযোগ অনুযায়ী বাসার ‘দরজা ভেঙে’ পুলিশ পরিচয়ধারীরা ভেতরে প্রবেশের পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা লাইভটি এরপর ডিলিটও হয়ে যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
‘স্বাধীনতা কনসার্ট’ স্থগিত

ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় নির্যাতিত জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় পূর্বনির্ধারিত ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’ সাময়িক স্থগিত করেছে ‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান আয়োজকরা।
জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা দিবস (২৬ মার্চ) সার্বজনীনভাবে উদ্যাপনের জন্য বাংলাদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণে ‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’ রাজধানী ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পাশাপাশি একইদিনে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় আলাদা আলাদা ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু ‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র সভাপতি শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল রাতে এক বিবৃতিতে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, এমন ভয়ঙ্কর বর্বরতার নিন্দা ভাষায় প্রকাশ সম্ভব নয়। ইসরাইলের বর্বরতা সত্ত্বেও বিশ্ববাসীর নির্লিপ্ত আচরণ ততোধিক অমানবিক।
এরাই পরিপ্রেক্ষিতে ‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’ গাজা ও রাফায় ইসরাইলের বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকাসহ চার বিভাগীয় শহরে পূর্বনির্ধারিত ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’ একদিন পিছিয়ে পরদিন শনিবার (১২ এপ্রিল) সার্বজনীনভাবে উদ্যাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত রাতে পরিবর্তন করে ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’ সাময়িক স্থগিত করেছে ‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’।
ইসরাইলের মানবতাবিরোধী আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশের আপামর জনগণকে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় দখলদার গণহত্যাকারী ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস হামলায় ইতোমধ্যেই হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষ শাহাদাৎ বরণ করেছেন। শিশু, নারী ও বৃদ্ধদেরও নির্মমভাবে হত্যা করছে অবৈধ দখলদার ইসরাইলের সেনারা। গাজা উপত্যকা আজ মৃত্যু উপত্যকা। দখলদার ইসরাইল পৃথিবীর মানচিত্র থেকে গাজার চিহ্ন মুছে ফেলতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। পরিতাপের বিষয় এই, আন্তর্জাতিক বিশ্ব এখনও এখানে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছে।
‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’ গাজা ও রাফায় ইসরাইলের বর্বরোচিত গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। একইসঙ্গে শহীদ এবং যুদ্ধাহত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে আজ বিশ্বব্যাপী ‘World Stops For Gaza’ কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
পরীমনির বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ

এক বছরের মেয়ে সন্তানকে খাবার খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, পরীমনির বাসার এক গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই আরিফুল ইসলামকে। তার সঙ্গে কথা বললে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এসআই আরিফুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার কোনো সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করেননি। শুধু অভিযোগ জানিয়েছেন।
আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
এদিকে নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে গৃহকর্মী পিংকি আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, এক মাস আগে আমি কাদের নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে চিত্রনায়িকা পরীমনির বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কাজ পাই। আমার দায়িত্ব ছিল পরীমনির এক বছর বয়সী মেয়ের দেখাশোনা করা এবং তাকে খাবার খাওয়ানো। ওনার বাচ্চাকে প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর খাওয়ানোর নিয়ম।
আমি সেটা মেনে প্রতিদিন বাচ্চাকে দুই ঘণ্টা পরপর খাবার খাওয়াই। তবে আমাকে বাচ্চার দেখাশোনার জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও, বাসার অন্যান্য কাজও করানো হতো।
গত ২ এপ্রিল আমি পরীমনির বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসায় তার বাচ্চাটিকে বসিয়ে বাজারের লিস্ট করছিলাম—কি কি লাগবে। এ সময় বাচ্চাটা কান্না শুরু করে। এরমধ্যে কান্না শুনে সৌরভ নামে এক ব্যক্তি, যিনি পরীমনির পরিচিত এবং মাঝেমধ্যেই তার বাসায় আসেন, আমাকে বললেন, “বাচ্চাটাকে একটু সলিড খাবার দাও।
তখন আমি সৌরভ ভাইকে বললাম, ভাই, বাচ্চাটা কিছুক্ষণ আগে সলিড খাবার খেয়েছে; দুই ঘণ্টা হয়নি এখনো। আমি একটু কাজ করি, তারপর তাকে দুধ খাওয়াই।
আমি এখানে এসে জেনেছি, আমার আগে যে গৃহকর্মী ছিলেন, তিনিও বাচ্চাটা কান্না করলে মাঝেমধ্যে দুধ দিতেন। এই কথা বলে আমি বাচ্চাটার জন্য দুধ রেডি করছিলাম। এরই মধ্যে চিত্রনায়িকা পরীমনি মেকআপ রুম থেকে বের হয়ে আমাকে তুই-তোকারি করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন—আমি কেন বাচ্চার জন্য দুধ নিয়েছি। আমি তখন তাকে বললাম, যেহেতু সলিড খাবার দেওয়ার সময় এখনো হয়নি, তাই আমি দুধ নিয়েছি। তখন পরীমনি আমাকে গালি দিয়ে বলেন, বাচ্চাটা কি তোর না আমার? এরপরই তিনি আমাকে ক্রমাগত থাপ্পড় দিতে থাকেন এবং মাথায় জোরে জোরে আঘাত করতে থাকেন।
ভুক্তভোগী গৃহকর্মী আরও বলেন, তিনি যখন আমাকে থাপ্পড় দিতে শুরু করেন, তখন আমি হতবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আমি ভেবেছিলাম, তিনি হয়তো দুই-একটি থাপ্পড় দিয়ে থেমে যাবেন। কিন্তু তিনি থামলেন না—উল্টো আমার মাথায় আরও জোরে আঘাত করতে থাকলেন। তার মারধরে আমি তিনবার ফ্লোরে পড়ে যাই। এরপর তিনি আমার বাম চোখে অনেক জোরে একটি থাপ্পড় মারেন। এই থাপ্পড়ের কারণে আমি এখনো বাম চোখে কিছু দেখতে পাই না।
ভয়ংকর এই মারধরের পর আমি জোরে জোরে কান্না করতে থাকি এবং তাকে বলি, আমি আর পারছি না, আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে বলেন, তুই এখান থেকে কোথাও যেতে পারবি না। তোকে এখানেই মারবো এবং এখানেই চিকিৎসা করবো। এই কথা বলে তিনি আবার আমাকে মারতে আসেন। তখন সৌরভ তাকে বাধা দেন।
সৌরভ কেন বাধা দিলেন, এই কারণে পরীমনি তাকেও গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যাই।
পিংকি আক্তার অভিযোগ করে আরও বলেন, প্রায় এক ঘণ্টা পর আমার জ্ঞান ফেরে। তখন বাসার আরেকজন গৃহকর্মী, বৃষ্টিকে আমি বলি, আমাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করো। তখন বৃষ্টি আমাকে বলেন, পরীমনি ঘুমিয়েছেন, তাকে এখন ডিস্টার্ব করা যাবে না। কোনো উপায় না দেখে আমি বাধ্য হয়ে জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করি এবং পুলিশকে জানাই যেন তারা আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে আমি আমার এক কাজিনকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাই। তিনিও ঘটনা জানতে পেরে পরীমনির বাসার সামনে আসেন। একই সময় পুলিশও আসে পরীমনির বাসার সামনে।
এসব ঘটনা পরীমনি জানার পর তিনি বাসার আরেক গৃহকর্মী বৃষ্টিকে বলেন, আমাকে বাসার নিচে নামিয়ে দিতে। পরে বৃষ্টি আমাকে বাসার নিচে নামিয়ে দেন। আমি তখন রিকশা নিয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিই। তার মারধরের কারণে আমি এখনো অসুস্থ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
ফের নতুন সংসার গোছানোর ইঙ্গিত দিলেন মাহি!

ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের নায়িকা মাহিয়া মাহি। বিচ্ছেদের পর সন্তানকে নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে আছেন এই নায়িকা। বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয়, নতুন উদ্যমে কাজে ফিরেছেন তিনি।
কাজের পাশাপাশ পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব রয়েছেন মাহি। নিজের জীবনের নানা মুহূর্তও তুলে ধরেন ভক্তদের মাঝে। কোথাও ঘুরতে যাওয়া হোক বা আচার-অনুষ্ঠান।
সম্প্রতি এ অভিনেত্রী এক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিয়েছেন। যেখানে মাহিয়া মাহি লিখেছেন, খুব সুন্দর একটা সংসার গোছাবো ঠিকাছে। কখনো লবণ কম, কখনো বেশি, কখনো ভাত গলে গিয়ে যাউ হতে হতে একদিন খুব মজার রান্না করতে শিখে যাবো তোমার জন্য।
তিনি লিখেন, কফি খেতে খেতে কিংবা গাড়িতে কোনো লং জার্নিতে আমরা অন্য সব বোরিং কাপলগুলোর মতো ফেসবুক স্ক্রলিং করবো না, বরং আমরা তুমুল গল্প করবো, হাসবো, হাসাবো খুব সুন্দর একটা সংসার গোছাবো আমরা।
সবশেষ এই অভিনেত্রী লেখেন, সিনেমার নায়ক নায়িকাদের মতো ভালোবাসা না থাকুক প্রচণ্ড মায়া যেনো থাকে সেখানে। যে মায়াতে আমার ভেজা চোখ তোমার ভেতরটা দুমড়েমুচড়ে দিবে, যে মায়া আমাদের মৃত্যু অব্দি একসাথে রাখবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালে মে মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান তিনি। পরে ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। এরপর গেল বছরের ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎই এক ভিডিও বার্তায় রকিবের নিজের বিচ্ছেদের খবর জানান মাহি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুন আর নেই

বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ ও ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সন্জীদা খাতুন আর নেই। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এক সপ্তাহ ধরে তিনি এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন। সন্জীদা খাতুনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন তাঁর পুত্রবধূ ও ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা।
দীর্ঘদিন ধরে সন্জীদা খাতুন ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া এবং কিডনির রোগে ভুগছিলেন। গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এর আগেও একই অসুস্থতায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানান লাইসা আহমদ লিসা।
ছায়ানট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রয়াত সন্জীদা খাতুনের প্রতি সর্বজনের শ্রদ্ধা নিবদেন আগামীকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সন্জীদা খাতুনের বিপুল কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবন সামগ্রিকভাবে বাঙালির মানস ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে।
সন্জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। তাঁর বাবা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক। মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী। সন্জীদা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক, ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতা দিয়েই তাঁর কর্মজীবন শুরু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করেছেন তিনি।
সন্জীদা খাতুন জীবনের শুরু থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিলেন প্রতিবাদী ভূমিকায়। দেশের যে কোনো সংকটে সোচ্চার ছিলেন এই বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। যখন তিনি কলেজের শিক্ষার্থী, তখন থেকেই পড়াশোনা, আবৃত্তি ও অভিনয়ের পাশাপাশি গানের চর্চা করেছেন। পাশাপাশি কিছু সাংগঠনিক কাজেও যুক্ত হয়েছেন।
শিল্পী কামরুল হাসানের নেতৃত্বে সন্জীদা খাতুন ব্রতচারী আন্দোলনে যোগ দেন। তাঁর প্রথম গানের গুরু ছিলেন সোহরাব হোসেন। তাঁর কাছে তিনি শিখেছিলেন নজরুলসংগীত, আধুনিক বাংলা গান ও পল্লিগীতি। পরে রবীন্দ্রসংগীত শিখেছেন হুসনে বানু খানমের কাছে। পরে আরও অনেকের কাছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শৈলজারঞ্জন মজুমদার, আবদুল আহাদ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেনসহ কয়েকজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই সন্জীদা খাতুন সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।