কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংকের নতুন সংযোজন আমেরিকান এক্সপ্রেস মেটাল কার্ড

বাংলাদেশের প্রথম আমেরিকান এক্সপ্রেস মেটাল কার্ড নিয়ে এলো দেশের বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংক লিমিটেড পিএলসি। এর নাম সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্ল্যাটিনাম রিজার্ভ ক্রেডিট কার্ড। আমন্ত্রণের মাধ্যমে প্রাপ্ত এ কার্ড ব্যক্তিগত সেবা, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সহায়তা, সাশ্রয় এবং আকর্ষণীয় সুবিধার সমন্বয়ে গঠিত, যা গ্রাহকের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার একটি হোটেলে সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্ল্যাটিনাম রিজার্ভ ক্রেডিট কার্ড উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক অরূপ হায়দার, হেড অব কার্ড তৌহিদুল আলমসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই কার্ডে মেম্বাররা তাদের জীবনধারার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ২০ হাজার টাকা মূল্যের এক্সক্লুসিভ ওয়েলকাম গিফট ভাউচার পাবেন। দুই বছরের জন্য বিনামূল্যে ট্যাবলেট প্লাসের মেম্বারশিপ উপভোগ করবেন। যা আন্তর্জাতিক বিলাসবহুল বুটিক হোটেল এবং ব্র্যান্ডসমূহে বিশেষ সুবিধা দেবে ব্যাংকটি।
কার্ড মেম্বাররা এই কার্ডের আওতায় বিনামূল্যে প্রায়োরিটি পাস মেম্বারশিপ পাবেন এবং দুজন অতিথিসহ বিশ্বের এক হাজার ৭০০-এরও বেশি বিমানবন্দর লাউঞ্জে অবারিত প্রবেশাধিকার উপভোগ করবেন। এছাড়াও ফাস্টট্র্যাক ভিআইপি মিট অ্যান্ড গ্রিট সার্ভিসে ১০ শতাংশ ছাড়ে তাদের বিমানবন্দরের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হবে। অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে সিক্সট রেন্ট-এ-কার লয়্যালটি প্রোগ্রামে বিনামূল্যে সদস্যপদ, যেখানে কাউন্টারে প্রাধান্য সেবা, ছাড়, ফ্রি আপগ্রেড এবং আরও অনেক সুবিধা।
এই কার্ডে প্রত্যেক কার্ড মেম্বারের জন্য থাকছে একজন নির্ধারিত রিলেশনশিপ ম্যানেজার, যিনি তাদের অ্যাকাউন্টসংক্রান্ত সব ধরনের সহায়তা দেবেন। এছাড়াও থাকছে রিয়েল-টাইম অটো-ডেবিট সুবিধা, যা নির্বিঘ্নে তাদের সব কার্ড লেনদেন নিশ্চিত করবে। আর এই কার্ডে নির্বাচিত মার্চেন্টদের কাছে কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকেরা ১০ গুণ পর্যন্ত মেম্বারশিপ রিওয়ার্ডস পয়েন্ট উপার্জন করতে পারবেন।
এই পয়েন্ট ব্যবহার করে বার্ষিক ফি, বকেয়া বিল পরিশোধ, এমনকি খ্যাতনামা আউটলেটে কেনাকাটা ও ডাইনিং করতে পারবেন। এই কার্ডে আরও রয়েছে এক্সক্লুসিভ ডাইনিং অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন দেশের রেস্টুরেন্টে কিউরেটেড ডাইনিং এবং বাংলাদেশের শীর্ষ ফাইভ-স্টার হোটেলে ‘বাই ১ গেট ২’ ব্যুফে অফার।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার বলেন, সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্ল্যাটিনাম রিজার্ভ ক্রেডিট কার্ডে আমাদের গ্রাহকদের সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে। যা বাংলাদেশে প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতার সংজ্ঞা নতুনভাবে তৈরি করেছে এবং গ্রাহকদের জন্য ভ্রমণ ও জীবনধারার বিশেষ সুবিধা নিয়ে এসেছে। এটি ক্রেডিট কার্ড সেবায় একটি নতুন স্থাপন করবে, যা সিটি ব্যাংক ও আমেরিকান এক্সপ্রেসের সম্মিলিত উৎকর্ষকে তুলে ধরে।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন বলেন, মেটাল কার্ড আমার কাছে খুব একটা বড় বিষয় নয়। যেটা সত্যিকার অর্থে এটিকে আলাদা করে তোলে তা হলো আমেরিকান এক্সপ্রেসের শতবর্ষের গ্রাহক প্রতিশ্রুতির ঐতিহ্য।
আমেরিকান এক্সপ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল ম্যানেজার, গ্লোবাল নেটওয়ার্ক সার্ভিসেস, এশিয়া এবং সাউথ প্যাসিফিক গ্রোথ মার্কেটস দিব্যা জৈন বলেন, এই উদ্বোধন আমাদের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে অংশীদারত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি বাংলাদেশের প্রথম মেটাল কার্ড। কার্ডটি শুধুমাত্র একটি পেমেন্ট সল্যুশন নয়, বরং এটা তাদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যারা প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা এবং সুবিধাকে মূল্য দেন।
সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্লাটিনাম রিজার্ভ ক্রেডিট কার্ড মেম্বারদের ক্রমবর্ধমান প্রত্যাশাকে পূরণ করে এবং শুধু আর্থিক সুবিধাই নয়, বরং একটি সত্যিকার অসাধারণ জীবনধারা উপহার দেয়।

কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকের স্ট্রেটেজিক বিজনেস কনফারেন্স

এনআরবিসি ব্যাংকের স্ট্রেটেজিক বিজনেস কনফারেন্স-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে দিনব্যাপী এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া।
অনুষ্ঠানে স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবুল বশর, মো. নুরুল হক, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
‘একসঙ্গে উৎকর্ষতার অভিমুখে’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যের উপর এবারের কনফারেন্সে ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, আঞ্চলিক প্রধানগণ, সকল শাখা ম্যানেজার এবং উপশাখার ম্যানেজারবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া বলেন, নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যাংকের সুশাসন নিশ্চিত করা এবং ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রমের সকল পর্যায়ে নিয়ম-নীতি সঠিকভাবে পরিপালন করা।
তিনি আরও বলেন, জনগণের আমানতের সুরক্ষা নিশ্চিত করে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার ঘটাতে হবে এবং ব্যাংকিং সেবা সহজ ও দ্রুততার সঙ্গে প্রদান করতে হবে।
কনফারেন্সে পরিচালকবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় ব্যাংকের সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা এবং অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, পরিচালনা পর্ষদ আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন ও যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছেন তা সবাইকে সঠিকভাবে পরিপালন করতে হবে এবং কোন কাজে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার নিয়মের ব্যতয় ঘটানোর কোন সুযোগ নেই। সারা দেশের বিপুল সংখ্যক নেটওয়ার্ক ও শাখা-প্রশাখের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক স্বচ্ছতার সঙ্গে অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশা প্রকাশ করেন।
কনফারেন্সে ব্যাংকের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে সেরা ৯ জন ম্যানেজারকে ‘পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয় এবং অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উদ্যম ও নতুন প্রত্যয়ের মাধ্যমে কনফারেন্স সমাপ্ত হয়।
এসএম
কর্পোরেট সংবাদ
দেশের প্রথম এসএমই ইনোভেশন ল্যাব তৈরি করবে ব্র্যাক ব্যাংক ও ডিইজি ইমপালস

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে প্রথমবারের মতো এসএমই ইনোভেশন ল্যাব চালু করতে জার্মানির ডিইজি ইমপালস’র সাথে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। ডিইজি ইমপালস জিজিএমবিএইচ’র সহায়তায় ব্যাংকটি এই ইনোভেশন ল্যাব প্রতিষ্ঠা করবে।
ডিইজি ইমপালস জিজিএমবিএইচ হলো জার্মান উন্নয়ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিইজি’র একটি শতভাগ মালিকানাধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, যারা ‘ডেভেলপ প্রোগ্রামের’ আওতায় এই সহায়তা দেবে। ডিজিই ইমপালস উন্নয়নশীল ও উদীয়মান বাজারের দেশগুলোর বেসরকারি খাতে সামাজিক ও পরিবেশগত পরিবর্তনকে উৎসাহিত করা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়তা করে। ডিইজি ইমপালস জার্মান সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন নীতি ও সহযোগিতাবিষয়ক সংস্থা ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিএমজেড) পক্ষে ডেভেলপ প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করে থাকে।
এই এসএমই ইনকিউবেটরটি বিশেষভাবে কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে (সিএমএসএমই) উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করতে কাজ করবে। এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের সিএমএসএমই খাতের বড় চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করতে সাহায্য করবে। এটি বিশেষ করে নারী নেতৃত্বাধীন ও ঝুঁকিতে থাকা উদ্যোগগুলোতে বিশেষ মনোযোগ দেবে। ল্যাবটি এমন সব টেকসই সল্যুশন নিয়ে আসার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হবে। যেগুলো অর্থায়নের মাধ্যমে জেন্ডার-বৈষম্য কমানো, কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পের অন্তর্ভুক্তিকরণ, স্মার্ট কৃষি ও জলবায়ু সহিষ্ণু অর্থায়নের প্রসারের মতো খাতগুলোর উন্নয়নে কাজে লাগানো যাবে।
এই উদ্যোগের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক এবং ডিইজি ইমপালস এসএমই ইনোভেশন ল্যাবের প্রাথমিক ভার্টিকাল ‘নারী-নেতৃত্বাধীন ব্যবসাগুলো’ নিয়ে কাজ করতে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই উদ্যোগটি আর্থিক স্বচ্ছলতার পথে জেন্ডার-গ্যাপ দূর করতে সাহায্য করবে, যাতে সবার জন্য অর্থায়ন সুবিধা নিশ্চিত হয়। এর ফলে দেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসার পরিবেশ গড়ে উঠবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ সম্পর্কে ব্যাংকটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, একটি এসএমই-কেন্দ্রিক ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক সবসময়ই তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন ও তাঁদের সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। এই এসএমই ইনোভেশন ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের সহায়তার লক্ষ্যে আমরা নতুন ও উদ্ভাবনী প্রোডাক্ট ও সল্যুশন নিয়ে আসতে পারবো। বাংলাদেশে এসএমই ইনোভেশন ল্যাব বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য আমরা আমাদের জার্মান পার্টনার ডিইজি ইমপালস’র প্রতি কৃতজ্ঞ।
ল্যাবটি প্রতিষ্ঠিত হলে এটি হবে এসএমই ইনোভেশন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং নারীর ক্ষমতায়নের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র। এই উদ্যোগটি ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ভিশনের প্রতিফলন, যাঁর লক্ষ্য ছিল এসএমই উদ্যোগের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও রূপান্তরমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
এসএম
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশে রেমিট্যান্স গ্রহণ করে হাইসেন্স ফ্রিজ-টিভি জিতলেন ১৪ জন

ঈদকে সামনে রেখে প্রতিদিন বিকাশ অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স গ্রহণ করে প্রথম সপ্তাহে ১৪ জন বিজয়ী জিতে নিলেন হাইসেন্স ডিপ ফ্রিজ এবং ৪৩-ইঞ্চি হাইসেন্স স্মার্ট টিভি। ৫ জুন পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স গ্রহণের ভিত্তিতে প্রথম সপ্তাহের এই পুরস্কার দেয়া হয়। পাশাপাশি, ১০ হাজার (সরকারি ২.৫% প্রণোদনা ছাড়া) বা এর বেশি টাকার রেমিট্যান্স গ্রহণ করলেই প্রবাসীর স্বজনরা পাচ্ছেন ৫০০ টাকার নিশ্চিত ডিসকাউন্ট কুপন।
সম্প্রতি, বিকাশের প্রধান কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের স্মারক তুলে দেন ফেয়ার গ্রুপের গ্রুপ হেড অফ মার্কেটিং জে এম তসলিম কবীর ও বিকাশের হেড অফ রেমিট্যান্স মোহাম্মদ জাহিদুল আহসান। এসময়, উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
একজন গ্রাহক ক্যাম্পেইন চলাকালে একবারই ফ্রিজ/টিভি ও ডিসকাউন্ট কুপন পেতে পারবেন।
প্রতিদিন ফ্রিজ ও টিভি বিজয়ীসহ সকল বিজয়ীদের কুপনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। দেশজুড়ে বিস্তৃত ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স স্মার্ট প্লাজা থেকে হাইসেন্স এর ফ্রিজ-টিভি কেনার সময় বিকাশ-এর মাধ্যমে পেমেন্ট করে কুপনগুলো ব্যবহার করা যাবে। ক্যাম্পেইনটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে বিকাশ-এর অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজ এবং ওয়েবসাইটের এই https://www.bkash.com/page/rem-eid-anondo-june লিংকে।
কর্পোরেট সংবাদ
গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনের প্রকৃত ঘটনা জানালো নগদ

সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি সংবাদপত্রে ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন নগদ-কে জড়িয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনগুলো নগদ কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নগদ কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিবেদনগুলো বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্যে পরিপূর্ণ। নগদ মনে করে, সরকার সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণ করে হীন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যেই কাজটি করা হয়েছে।
উত্থাপিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে নগদ কর্তৃপক্ষের হাতে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে। অভিযোগগুলো বিষয়ে নগদের বক্তব্য নিন্মরূপ:
ভুয়া বিল ভাউচারে টাকা উত্তোলন, ডেটা মুছে ফেলা, ইভেন্ট ও মেইনটেন্যান্স বিল দেখিয়ে টাকা সরানো অভিযোগ করা হলেও আমরা দৃঢ়ভাবে বলছি, এমন কোনো ঘটনা নগদে কখনোই ঘটেনি। এমন অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। নগদ প্রতিটি লেনদেন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে সম্পন্ন করে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ২৮ মে ২০২৫ তারিখে ডাক বিভাগের একটি তত্ত্বাবধায়ক টিম নগদ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন এবং এ বিষয়গুলি তাদের পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
নগদের এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ডেকে নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনাকেও অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। অযাচিতভাবে এখানে প্রধান উপদেষ্টার ‘একজন বিশেষ সহকারীর’কে যুক্ত করে বিষয়টির গুরুত্ব বৃদ্ধি করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। তবে প্রকৃত সত্য হল – নগদের সাম্প্রতিক অবস্থা সম্পর্কে তারা অবহিত হতে প্রতিষ্ঠানটির একজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান। এমনটা সাধারণভাবে যে কারো ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই কর্মকর্তাকে সসম্মানে ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি নগদে যাতে কোনো রকম কোনো অস্থিরতা না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নগদের বক্তব্য হল– যথাযথ বিধিবিধান প্রতিপালন করেই জাকিয়া সুলতানা জুঁইয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। নগদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট, যোগ্যতা, পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতা – এগুলো বিবেচনা করা হয়। তারপরেও তার নিয়োগের বিষয়টি পূনঃযাচাই করা হবে।
শুক্রবার অফিস এবং ছুটির দিনে ডেটাবেজের তথ্য ধ্বংস করানোর কল্পিত গল্প কোনো কোনো গণমাধ্যমে এসেছে। হাস্যকর এই গল্পের বিপরীতে প্রকৃত ঘটনা হল– ঈদ উল আজহাকে সামনে রেখে বিশেষ কিছু ক্যাম্পেইন নিয়ে কাজ করা এবং সামনের লম্বা ছুটির সময় সেবাকে সচল রাখার কাজগুলোই শুক্রবার সর্বাধিক গুরুত্বসহকারে হয়েছে। এর আগেও বড় বড় ক্যাম্পেইনের আগে নগদের কর্মীদেরকে শুক্রবার-শনিবার কাজ করতে হয়েছে। কর্পোরেট খাতে এমনটা অনেক সময়েই হয়ে থাকে। এখানে আমরা নিশ্চিত করে বলছি, নগদের কোনো ডেটা নষ্ট করা হয়নি। বরং একাধিক জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন ডেটাবেজে এই ডেটা সম্পূর্ণ সুসংরক্ষিত আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও কেপিএমজিকে সহযোগিতা করার অভিযোগে কিছু সংখ্যক কর্মীকে বিনানোটিশে বিদায় করার অভিযোগ এসেছে কোনো কোনো গণমাধ্যমে। আমরা বরং বলতে পারি, ডিজিটাল ব্যাংকের জন্যে যারা নগদে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক নগদের ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স স্থগিত করার পরেও দেশের আর্থসামাজিক পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় তাদের কাউকে বাদ দেয়া হয়নি। ডাক বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি, সেখানেই সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।
কোনো কোনো কর্মকর্তার বকেয়া বেতন নেওয়ার একটি অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে নগদের অবস্থান খুবই পরিস্কার। যে কয়েক জনের এই সময়ে কয়েক মাসের বকেয়া বেতন একবারে হয়েছে তাদের বেতন সব সময়ই অনুমোদন নেওয়া হতো। কিন্তু বেতন ছাড় করা হতো না। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক থাকাকালীন সময়েই এ নিয়ম বিদ্যমান ছিল। পরে ওই কর্মকর্তাদের বেতন দেশের অন্যতম শীর্ষ একজন আইনজীবির পরামর্শ নিয়ে প্রচলিত শ্রম আইন অনুসারে ছাড় করা হয়। এখানে কোনো অবস্থায় আইন বা নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।
কর্পোরেট সংবাদ
ঈদে উপলক্ষ্যে কার্ডে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক

ব্র্যাক ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা এই ঈদউল আজহায় উপভোগ করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়- ফ্লাইট, হোটেল, শপিং, ডাইনিংসহ আরও অনেক কিছুতে।
ফ্লাইট ও ভ্রমণ
শেয়ারট্রিপ-এ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বুকিংয়ে ন্যূনতম খরচ ৩০,০০০ টাকা খরচে থাকছে সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা ইন্সট্যান্ট ছাড়; অফার চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। দেশের ভেতর গোযায়ানে ৫,০০০ টাকার বেশি খরচে ৫ জুনের মধ্যে ট্রাভেল বুকিংয়ে থাকছে ৪,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়। ইউএস বাংলা এয়ারের বেজ ফেয়ারের ওপর থাকছে আরও ১০% ছাড়।
হোটেল
শাইনপুকুর স্যুইটস, অ্যালেগ্রো স্যুইটস, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ছুটি রিসোর্ট গাজীপুর এবং পূর্বাচল, হোটেল কক্স টুডে এবং ওশান প্যারাডাইজসহ নির্বাচিত হোটেলে ৬০% পর্যন্ত সাশ্রয়ের সুযোগ। মানা বে -তে কার্ডহোল্ডার ও তাঁদের পরিবারের জন্য বাই-টু-গেট-ওয়ান ফ্রি।
লাইফস্টাইল ও ফ্যাশন
ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা এক্সট্যাসি, লা রিভ এবং কে ক্রাফ্ট থেকে ২,০০০ টাকার বেশি কেনাকাটায় দ্বিগুণ রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাবেন। ডেবিট কার্ডহোল্ডাররা সিঙ্গার এবং গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার আউটলেটে থাকছে ৩০০০ পর্যন্ত দ্বিগুণ রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ। নির্বাচিত ঈদ হাটে ব্র্যাক ব্যাংকের কিউআর -এর মাধ্যমে ২০,০০০ টাকার বেশি খরচ করলে পাওয়া যাবে ৩০০০ পর্যন্ত রিওয়ার্ড পয়েন্ট।
ডাইনিং
ব্র্যাক ব্যাংকের সকল কার্ডে পাওয়া যাবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, ক্রাউন প্লাজা গুলশান, দ্য ওয়েস্টিন এবং রেডিসন ব্লু ঢাকাসহ শীর্ষস্থানীয় হোটেলগুলোতে বাই-ওয়ান-গেট-ওয়ান ফ্রি অফার।
ক্যাশব্যাক এবং ইএমআই
ডেবিট কার্ডহোল্ডাররা নির্বাচিত শপিংমলে ৩,০০০ টাকার বেশি ট্যাপ অ্যান্ড পে লেনদেনে ১০০ টাকা ক্যাশব্যাক পাবেন, সেই সাথে কন্ট্যাক্টলেস পিওএস পেমেন্টে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ক্যাশব্যাক পাবেন। ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন পেফ্লেক্স ইএমআই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সিঙ্গার এবং র্যাংগসসহ মার্চেন্টদের কাছে ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেতে পারেন। র্যাংগস ইমার্টে ১৫ জুন পর্যন্ত ১২ মাসের ০% ইএমআইসহ ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত তাৎক্ষণিক ছাড় পাওয়া যাবে।
অনলাইন শপিং এবং জুয়েলারি
গোরুর ঘাশ এবং লেভেল আপের মতো নির্বাচিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে থাকছে ২০% পর্যন্ত ছাড়। এছাড়া জাভেরি, গোল্ড ওয়ার্ল্ড ডায়মন্ড এবং স্পার্কল জেমস অ্যান্ড জুয়েলার্সে হীরার গয়না এবং মেকিং চার্জে ৪৮% পর্যন্ত ছাড়।
আন্তর্জাতিক স্পেন্ডিং অ্যান্ড টিকেটিং
১৫ মে থেকে ১৪ জুনের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল রিটেইল লেনদেনে পাওয়া যাবে দ্বিগুণ রিওয়ার্ড পয়েন্ট। সহজ, গ্রিনলাইন পরিবহন, যাত্রী এবং বিডি টিকেটের মাধ্যমে টিকেট কিনলে থাকছে ২০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক। ডেবিট কার্ডহোল্ডাররা এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে ১০০০ পয়েন্ট পর্যন্ত দ্বিগুণ রিওয়ার্ড পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন।
হাম্বা মিট ক্যাম্পেইন
বেঙ্গল মিট আউটলেটে বা অনলাইনে ৫,০০০ টাকা বা তার বেশি খরচ করলে ডেবিট কার্ডহোল্ডাররা ২,০০০ টাকা পর্যন্ত দ্বিগুণ রিওয়ার্ড পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন।
অফারের বিস্তারিত www.bracbank.com/eid-ul-azha-2025 ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
কাফি