স্বাস্থ্য
সরকারি ফার্মেসি চালুর উদ্যোগ, কম দামে মিলবে ২৫০ রকম ওষুধ

থমবারের মতো সারা দেশের সব সরকারি হাসপাতাল চত্বরে ‘সরকারি ফার্মেসি’ চালুর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। বহুল ব্যবহৃত ২৫০ ধরনের ওষুধ মিলবে এসব ফার্মেসিতে, যেখানে ওষুধ কেনা যাবে এক-তৃতীয়াংশ দামে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সারাদেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে সরকারি ফার্মেসি চালু করা হবে। গুণগত ও মানসম্পন্ন ওষুধ সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ২৫০ ধরনের ওষুধ এক-তৃতীয়াংশ দামে পাবেন সাধারণ মানুষ।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানান, সরকারি হাসপাতালগুলোতে ল্যাব সার্ভিস আছে, অন্য প্রাইমারি হেলথকেয়ার সার্ভিস আছে, কিন্তু কোথাও কোনো ফার্মাসিউটিক্যাল সার্ভিস নেই। নতুন উদ্যোগ হিসেবে দেশের সব সরকারি হাসপাতাল চত্বরে সরকারি ফার্মেসি চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এতে ২৫০ ধরনের ওষুধ এক-তৃতীয়াংশ দামে পাবেন সাধারণ মানুষ।
তিনি বলেন, সরকারের এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় উপকারিতা বয়ে আনবে। ওষুধের খরচ কমিয়ে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের কাছে আরও সহজলভ্য করা হবে, যে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বর্তমানে ওষুধের উচ্চমূল্যের কারণে অনেকেই চিকিৎসাব্যয় বহন করতে পারছেন না, ফলে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই সমস্যা সমাধানে সরকারি ফার্মেসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে প্রায় ৮৫ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা সম্ভব হবে, যা স্বাস্থ্যখাতে একটি বিপ্লবী পরিবর্তন আনবে। তবে সুষ্ঠুভাবে ফার্মেসি পরিচালনায় ওষুধ চুরি রোধ একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যা মোকাবিলায় ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হবে।
প্রতি বছর সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার ওষুধ কিনে থাকে উল্লেখ করে সায়েদুর রহমান বলেন, এখন থেকে বাজেট বাড়িয়ে আরও বেশি পরিমাণে ওষুধ কেনা হবে। সরকারের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যেন প্রয়োজনীয় ওষুধ সময়মতো সরবরাহ করা যায়, তা নিশ্চিত করা হবে।

স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮৩

শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন রোগী। এসব রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩৬ জন আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৮, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৩৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৩৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ হাজার ৭২৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৯ হাজার ৮৬৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গু: নিয়ন্ত্রণের বাইরে দুই সিটির ১৩ ওয়ার্ড

রাজধানী ঢাকার দুই সিটির ১৩টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমাণ নির্দিষ্ট মানদণ্ডের থেকেও বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার আওতাধীন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীন গত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে চালানো প্রাক-বর্ষা জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত মৌসুম পূর্ব এডিস সার্ভে-২০২৫ এর ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। সাধারণত এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের স্বীকৃত পদ্ধতি ‘ব্রুটো ইনডেক্স’র মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হওয়া মানেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
দুই সিটির ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টিতে ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি। এর অর্থ হচ্ছে, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে মশা বা লার্ভা পাওয়া গেছে। এই এলাকাগুলো ডেঙ্গুর বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ঝুঁকিতে থাকা ওয়ার্ডগুলো হলো- ১২, ২, ৮, ৩৪, ১৩, ২২ নং ওয়ার্ড। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো- ৩১, ৪১, ৩, ৪৬, ৪৭, ৪, ২৩ নং ওয়ার্ড।
স্বাস্থ্য
২৪ ঘণ্টায় আরো ২৩৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত

রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো ২৩৪ জন। তবে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
সোমবার (১৬ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৩২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৫ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮ জন, খুলনা বিভাগে ৫ জন রয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে গত একদিনে সারাদেশে ১৯০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৮৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৬ হাজার ২২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন একলাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৭৫ জনের। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় ও হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
স্বাস্থ্য
২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪৯ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত

শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো ২৪৯ জন। একইসঙ্গে এই সময়ে ভাইরাসটি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরো একজনের।
রবিবার (১৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়াদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩৫ জন, খুলনা বিভাগে ৮ জন রয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ১ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে, গত এক দিনে সারাদেশে ২২২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ হাজার ২৯৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৫ হাজার ৯৮৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন একলাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় ও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
স্বাস্থ্য
সব হাসপাতালে কোভিড শয্যা প্রস্তুতের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

দেশে আবারও করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে আলাদা করে কোভিড রোগীদের জন্য শয্যা প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. মো. মঈনুল আহসান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাস প্রতিরোধ এবং আক্রান্ত রোগীদের জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আগামী শনিবারের (১৫ জুন) মধ্যে সব সরকারি হাসপাতালে আলাদা করে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য সার্বক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা ও শয্যা প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যায়।
এমএস