Connect with us

মত দ্বিমত

গোটা বিশ্ব কী তাহলে অর্থনীতিতেও হার মানল আমেরিকার কাছে?

Published

on

পিই

বিশ্ব অর্থনৈতিক মহামঞ্চে প্রাধান্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা যেন এক অদৃশ্য যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। কখনো আমেরিকা, কখনো চীন, আবার কখনো ইউরোপ-এই ত্রিমুখী টানাপোড়েনে বারবার প্রশ্ন জাগে, তাহলে কী সত্যিই আমেরিকাই বিশ্বের অর্থনীতির একচ্ছত্র অধিপতি? সাম্প্রতিক কালে চীনের উত্থান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নানামুখী পদক্ষেপ সত্ত্বেও, আমেরিকার ডলার, প্রযুক্তি, বিনিয়োগ নীতি এবং ভূরাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাবে অন্যান্য সব অর্থনীতি এখনও অনেকটাই পরাধীন। এই বাস্তবতা আমাদের সামনে এক গভীর প্রশ্ন তোলে-বিশ্ব অর্থনীতিতেও কী শেষ পর্যন্ত আমেরিকাই জয়ী?

২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিশ্বব্যাপী আমদানি পণ্যের উপর ১০% শুল্ক আরোপ করে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এই পদক্ষেপ বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, যা বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বাজারে অস্থিরতা বাড়িয়েছে।

নতুন শুল্ক নীতির প্রধান দিকনির্দেশনা নিম্নরূপ:

• সর্বজনীন ১০% শুল্ক: অধিকাংশ দেশের আমদানি পণ্যের উপর ১০% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা ৫ এপ্রিল ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে।
• নির্দিষ্ট দেশের জন্য উচ্চতর শুল্ক: যেসব দেশের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি বেশি, তাদের ক্ষেত্রে শুল্ক হার ১১% থেকে ৫০% পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে, যা ৯ এপ্রিল ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।

এই শুল্ক নীতির ফলে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে:

• চীনের প্রতিক্রিয়া: চীন এই শুল্ক বৃদ্ধিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করে এবং প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে, যা বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়েছে।
• বাজারে অস্থিরতা: শুল্ক ঘোষণার পর বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে পতন ঘটে। বিশেষ করে, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক প্রায় ১০% হ্রাস পায়, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করে।
• অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব: ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ল্যাবের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ২০২৫ সালে মার্কিন জিডিপি প্রবৃদ্ধি ০.৫ শতাংশ পয়েন্ট কমতে পারে।

এই শুল্ক নীতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সম্পর্কে অর্থনীতিবিদরা বিভিন্ন মতামত প্রদান করেছেন:
• মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি: শুল্ক বৃদ্ধির ফলে আমদানি পণ্যের দাম বাড়বে, যা ভোক্তাদের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে এবং মূল্যস্ফীতি বাড়াতে পারে।
• বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা: প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধের সম্ভাবনা রয়েছে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
• বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা: শুল্ক নীতির কারণে ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগে সতর্কতা অবলম্বন করছেন, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক শুল্ক নীতি বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। এই নীতির ফলে বাণিজ্যিক সম্পর্ক, বাজার স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ভবিষ্যতে এই শুল্ক নীতির পুনর্মূল্যায়ন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে স্থিতিশীল বাণিজ্য নীতি প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।

এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে বিশ্বব্যাপী ট্রেডমার্কেট বা পণ্যবাজারে ব্যাপক অস্থিরতা ও সংকট সৃষ্টি হয়েছে:

• স্টক মার্কেট: Dow Jones, NASDAQ, FTSE, এবং Nikkei – সবকিছুর সূচকই পতনের মুখে।
• ভোক্তা পণ্য ও জ্বালানি: কাঁচামাল, জ্বালানি, খাদ্যশস্য, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি – সবকিছুর দাম দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
• ইন্ডাস্ট্রিয়াল চেইন: সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়ার ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে; শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে।

এখানে কয়েকটি দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বিশ্লেষণ করা যাক:

১. সাইন্স-বেজড বিজনেস বনাম ক্যাসিনো ব্যবসা

ট্রেডমার্কেটের সাইন্স-বেজড ব্যবসা হওয়ার দাবি, বাস্তবিক অর্থে, অনেকাংশেই মিথ্যা। বাজারের অধিকাংশ বাণিজ্য আসলে সঠিক অর্থনৈতিক মূল্যায়ন বা বাস্তব পণ্য-পরিসেবার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বরং শেয়ারবাজারের অবস্থান নির্ধারণ হয় গুজব, মৌলিক ঝুঁকি, বড় অর্থনৈতিক সংকেত, বাজারের মনস্তত্ত্ব—এসব দ্বারা। অনেক সময় শেয়ারবাজারে স্টকের দাম ওঠানামা করে শুধুমাত্র বিনিয়োগকারীদের মনস্তত্ত্বের কারণে, যার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এজন্যই অনেকেই একে “ক্যাসিনো ব্যবসা” হিসেবে বর্ণনা করেন, যেখানে গাণিতিক বা অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের পরিবর্তে অনুমান এবং ভাগ্যই প্রধান ভূমিকা নেয়।

২. অর্থনীতির জন্য হাঁস‍্যকর বিষয়

এটি অর্থনীতির জন্য হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায় যখন একটি পণ্যের মূল্য, যা অনেক সময় কোম্পানির প্রকৃত আর্থিক অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, অস্থিরভাবে ওঠানামা করে। এর ফলে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়, বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয় এবং কিছু কোম্পানির শেয়ার শুধুমাত্র শেয়ার বাঁচানোর জন্য ক্যাসিনো স্টাইল ব্যবসা শুরু করে। এতে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারানোর সম্ভাবনা থাকে, যা একেবারে একটি জুয়া খেলার মতো হয়ে পড়ে।

৩. ট্রেডমার্কেট কি ব্যবসা?

এটা ব্যবসা নয়, বরং এর কার্যক্রম অনেকটা একটি গেম বা জুয়া খেলার মতো। শেয়ারবাজারে যে পণ্য বা সেবা সরবরাহ হয় না, সেটি এক ধরনের “কমোডিটি” হিসেবে দেখা হয়, যেখানে মূলত মুনাফার জন্য শেয়ার কেনাবেচা করা হয়, কিন্তু কোনও প্রকৃত অর্থনৈতিক বা সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা হয় না। বাজারে এখন “স্পেকুলেশন”—অর্থাৎ ভবিষ্যতের দাম বাড়ানোর জন্য পণ্যের ভলিউম এবং গুজব নিয়েই মানুষ চলছে, আর এর ফলস্বরূপ, এটি ব্যবসার চেয়ে লটারির মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৪. বৈজ্ঞানিক ভিত্তির অভাব

ট্রেডমার্কেটের পরিবর্তন, যা ৩০% বা তার বেশি ওঠানামা করতে পারে এক দিনের মধ্যে, সেটি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে অস্বাভাবিক। এর কোনো নির্ধারিত অর্থনৈতিক যুক্তি বা ফান্ডামেন্টাল নেই। এটি শর্ট-টার্ম সাইকলিক চেঞ্জেস এবং ম্যানিপুলেটিভ ফ্যাক্টরস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, যা “সাইন্স-বেজড বিজনেস” হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না।

৫. অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং সামাজিক প্রভাব

বিশ্বব্যাপী যখন ট্রেডমার্কেটের এই অস্থিরতা বাড়ে, তখন এর প্রভাব সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান এবং বিশ্ব অর্থনীতির ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি বাজারের অংশগ্রহণকারীদের জন্য এক ধরনের ভীতি তৈরি করে, যার ফলে বহু মানুষ বিনিয়োগ থেকে পুঁজি হারায়।

ক্যাসিনো ব্যবসা আর শেয়ারবাজারে পার্থক্য

একে যদি কোনো বাজারের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ বা বাস্তব অর্থনৈতিক শর্তের ভিত্তিতে ব্যবসা বলা না যায়, তবে সেটি ক্যাসিনো ব্যবসা হতে বাধ্য। যদি বড় অর্থনৈতিক রাষ্ট্রগুলো বাজারে এমন ভীতি-ভিত্তিক ব্যবসা চালায়, তবে এর প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতি এবং সামাজিক প্রবৃদ্ধিতে অত্যন্ত নেতিবাচক হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “এটি শুধু একটি শুল্কনীতি নয়, এটি একটি আর্থ-রাজনৈতিক শক্তি পুনঃবন্টনের সূচনা।”
বিশ্বের জন্য করণীয়: একটি নতুন অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা জরুরি

বিশ্ব এখন একটি নতুন কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো প্রয়োজন:

১. WTO-র শক্তিশালী পুনর্গঠন: যাতে বড় রাষ্ট্রগুলোর একতরফা সিদ্ধান্ত ঠেকানো যায়।
২. আঞ্চলিক বাণিজ্য জোট গঠন: BIMSTEC, BRICS+, African Union ইত্যাদি জোটগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো।
৩. বিকল্প মুদ্রা ও ট্রেড রুট: ডলার-নির্ভরতা কমানো, জাতীয় মুদ্রায় বাণিজ্যের পথ খোলা।
৪. টেকসই উৎপাদন ও বিকেন্দ্রীকরণ: Supply chain-এর বিকেন্দ্রীকরণ এবং প্রতিটি অঞ্চলে উৎপাদন ক্ষমতা তৈরি।

বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের এই মুহূর্তে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এই পদক্ষেপগুলো বিশ্ব অর্থনীতির পুনর্গঠন এবং দীর্ঘমেয়াদী টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।

১. বিকল্প বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলা: বিশ্ব অর্থনীতিতে আমেরিকার একক আধিপত্য থেকে মুক্তি পেতে একটি নতুন কাঠামো প্রতিষ্ঠা জরুরি, যেখানে সব দেশ অংশগ্রহণ করবে।
২. ডলার নির্ভরতা কমিয়ে আঞ্চলিক মুদ্রাবিনিময় ও লেনদেন জোরদার করা: ডলার-নির্ভরতা কমিয়ে আঞ্চলিক মুদ্রা ব্যবহার করে ব্যবসা করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির পথ তৈরি করতে হবে।
৩. উন্নয়নশীল দেশগুলোর উৎপাদনশীলতা ও প্রযুক্তিনির্ভরতা বাড়ানো: দেশগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার তাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।
৪. স্থানীয় বাজার ও কৃষি অর্থনীতি শক্তিশালী করা: খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষির ওপর নির্ভরশীল অর্থনীতির বিকাশে স্থানীয় উৎপাদনকে উত্সাহিত করতে হবে।
৫. ভারসাম্যপূর্ণ বহুপাক্ষিক বাণিজ্যনীতি গড়ে তোলা: এমন একটি বাণিজ্যনীতি গঠন করতে হবে, যেখানে মানবিক প্রয়োজন এবং ন্যায্যতা অগ্রাধিকার পাবে, শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ নয়।
এই সময়ে দেশগুলোর জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, যা তাদের অর্থনৈতিক অবস্থান মজবুত করবে:
১. জ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলা: দেশগুলোর উচিত নিজস্ব গবেষণা এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে একটি স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলা।
২. আমেরিকার উন্নত শিক্ষা ও গবেষণার মডেল থেকে শেখার মনোভাব: বিদেশী শিক্ষা ও গবেষণার সেরা উদাহরণ থেকে নিজেদের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করা।
৩. বৈশ্বিক বাজারে ন্যায্য প্রতিযোগিতার নীতি: প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ন্যায্যতা বজায় রাখতে হবে, যেখানে বড় দেশগুলোর শক্তির দাপটের পরিবর্তে সব দেশের সুযোগ থাকবে।
৪. বৈশ্বিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সুষম বাণিজ্য চুক্তি: আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতার ভিত্তিতে সুষম চুক্তি প্রতিষ্ঠা করা উচিত, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে পুনরুদ্ধার করার সুযোগ মেলে।

বিশ্ব অর্থনীতিতে টেকসই এবং সমৃদ্ধির জন্য কয়েকটি ভুল পদক্ষেপ এড়িয়ে চলা অত্যন্ত জরুরি:

১. মার্কিন চাপে বা স্বার্থে আত্মসমর্পণমূলক নীতি গ্রহণ: গ্লোবাল পলিটিকাল চাপের মুখে এসে আত্মসমর্পণ করা দেশগুলোর জন্য কখনই শুভকর নয়।
২. একমুখী আমদানি-নির্ভরতা: শুধু আমদানির ওপর নির্ভর করে কখনও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পাওয়া সম্ভব নয়; স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।
৩. বৈদেশিক ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়া: দীর্ঘমেয়াদী বৈদেশিক ঋণের বোঝা দেশের স্বাধীনতা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর।
৪. নিজের উৎপাদনশীলতা উপেক্ষা করে কেবল আমদানিকৃত পণ্যে নির্ভরতা: দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পরিবর্তে শুধুমাত্র আমদানি করতে থাকলে তা অর্থনৈতিক সংকটে নিয়ে যাবে।

উন্নত বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে এবং স্বনির্ভর হতে কিছু বড় অর্জন জরুরি:

১. টেকসই অর্থনৈতিক অবকাঠামো: দেশগুলোর জন্য প্রয়োজন এমন এক অর্থনৈতিক অবকাঠামো যা পরিবেশবান্ধব এবং দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
২. নিজস্ব গবেষণা ও প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পখাত: দেশে নিজস্ব গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পখাত গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশটি শক্তিশালী হবে।
৩. একটি স্বাধীন ও সমন্বিত আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট: দেশগুলো নিজেদের মধ্যে শক্তিশালী আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট গড়ে তুলবে, যা আন্তর্জাতিক স্তরে তাদের অবস্থানকে মজবুত করবে।
৪. মানবকেন্দ্রিক ও পরিবেশবান্ধব অর্থনীতির মডেল: একটি সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে মানবিক মূল্যবোধ ও পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে।
৫. তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করা: তরুণদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্ভব হবে।
বিশ্ব অর্থনীতি আজ এক বৈশ্বিক দাবার ছকে আটকে গেছে, যেখানে আমেরিকা বহু বছর ধরেই চালকের আসনে। তবে এটি চূড়ান্ত নয়, কারণ ইতিহাস বলছে—অর্থনৈতিক ক্ষমতার ভারসাম্য বদলায় সময়ের সাথে সাথে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এখনই উপযুক্ত সময় নিজেদের ভিত মজবুত করে নতুন অর্থনৈতিক পথ রচনার। আমেরিকার কাছে নয়, বরং মানবিক মূল্যবোধ ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের কাছে যেন জয়ী হয় বিশ্ব।

রহমান মৃধা, গবেষক ও লেখক
(সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন)

Rahman.Mridha@gmail.com 

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মত দ্বিমত

নতুন ভোরের ডাক, পুরনো শকুনদের বিদায়

Published

on

পিই

বাংলাদেশ আর আমি–এ যেন এক অভিন্ন সত্তা। আমি চাইলে দেশটিকে ছেড়ে থাকতে পারি না, আবার তার মিথ্যা, শোষণ আর দুর্নীতির রাজনীতির কারণে কাছে যেতেও পারি না। ভালোবাসার বাঁধনে আবদ্ধ বলে পেছন ফিরে তাকাই, কিন্তু দেশের রক্তচোষা রাজনীতিবিদদের কুকর্ম আর মিথ্যাচার আমাকে আটকে রাখে।

আমি বিশ্বাস করি- আল্লাহ্‌র আলোকিত পথে হাঁটাই মুক্তির একমাত্র উপায়। সেই পথেই চলি, যেখানে সত্য আছে, যেখানে প্রিয় মানুষদের আদর্শিক ছায়া পড়ে। কিন্তু, দুঃখের বিষয়, যাদের হাতে দেশ ছিল- তারাই দেশকে পদদলিত করেছে, পথভ্রষ্ট করেছে, মানুষের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করেছে।

তাই আজ দূর থেকে দেশের জন্য কাজ করি। দেশের মানুষকে ভালোবেসে, তাদের চোখের জল দেখে আজ আমি কলম তুলে নিই, বুকের ভেতর জমা ক্ষোভ ছড়িয়ে দিই প্রতিটি শব্দে। কারণ দেশের জন্য কিছু করতে হলে, মুখে বুলি না ঝাড়লেও চলে, কাজে প্রমাণ দিতে হয়।

কিন্তু, হায়! যখনই দেখি কেউ সাহস করে দেশের হাল ধরতে চায়, নতুন করে গড়তে চায় স্বপ্নের বাংলাদেশ-ঠিক তখনই সেই পুরনো গলাবাজ, সেই চেনা মুখগুলো গলা ফাটিয়ে চিৎকার শুরু করে: “নির্বাচন চাই! ভোট চাই!”

তাদের প্রশ্ন করি—কোথায় ছিল এই ভোটের অধিকার, যখন তোমরা ক্ষমতায় ছিলে?
১. শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচনের বাইরে ক্ষমতায় ছিলেন প্রায় ১.৫ বছর।
২. জিয়াউর রহমান ছিলেন ৪.৫ বছর, সেনাশাসনের মুখোশে।
৩. হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন পুরো ১০ বছর—সরাসরি সামরিক শাসক!
৪. ২০০৬ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতা ছাড়ার সময়ও নির্বাচনের নামে নাটক চলেছে।
৫. আর শেখ হাসিনা—২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত, একের পর এক পাতানো নির্বাচন, রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন আর ভুয়া উন্নয়নের গল্পে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছেন।

তাহলে প্রশ্ন জাগে—এই সময়গুলোতে কোথায় ছিল জনগণের প্রকৃত অধিকার? আপনারা ক্ষমতায় গিয়েছেন, বারবার গিয়েছেন—কিন্তু কী দিয়েছেন জাতিকে?

শিক্ষিত বেকারত্ব, পাটকলের গেট বন্ধ, চিকিৎসাহীন মৃত্যু, দুর্নীতির পাহাড়, আর দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার হাহাকার!
নিজেরা ফকির থেকে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, আর দেশের মানুষ আজও ভাতের জন্য দাঁড়ায় রাস্তায় লাইনে!

এখন যখন বাংলাদেশ তার সত্যিকারের অভিভাবককে পেয়েছে, তখনই শুরু হয়েছে কণ্ঠরোধের ষড়যন্ত্র—“নির্বাচন চাই, নির্বাচন চাই!” এই আওয়াজ এখন যেন শুধুই বিরক্তিকর প্যাঁচপ্যাঁচানি।

ভাইরে, বিপ্লব কখনও ব্যালট চায় না। ইতিহাসের প্রতিটি মৌলিক পরিবর্তন এসেছে বিপ্লবী শক্তির হাত ধরে, জনগণের ভরসা আর নেতৃত্বের আস্থায়। বিপ্লব মানেই স্বতঃসিদ্ধ বৈধতা। আমেরিকার স্বাধীনতা আন্দোলন, ফরাসি বিপ্লব, রাশিয়ার অক্টোবর বিপ্লব-সবই ছিল রাজনীতির প্রচলিত নিয়ম ভেঙে নতুন পথ রচনা করার গল্প।

আজ বাংলাদেশের মানুষ আর ভোটের জন্য গলা ফাটায় না—তারা চায় একজন আদর্শবান, ন্যায়পরায়ণ শাসক। একজন মানুষ, যে লুটপাট করবে না, ক্ষমতাকে দান হিসেবে নয়—দায়িত্ব হিসেবে নেবে। যে কৃষকের ঘাম বুঝবে, ছাত্রের চোখে স্বপ্ন দেখবে, বৃদ্ধের মুখে শান্তির হাসি আনবে।

আর যারা দিনভর রাস্তায় নেমে নির্বাচন, নির্বাচন বলে গলা ফাটায়—তাদের বলি, যে নিজের সংসার চালাতে পারে না, সে দেশ চালাবে কীভাবে? রাজনীতি আজ ব্যবসা নয়, চাকরি নয়—এটা সেবা। আর যদি সেবা না পারেন, সোজা কাজ করুন, ঘাম ঝরান, পরিবারকে খাওয়ান, দেশের জন্য সৎভাবে আয় করুন।

আমি বিদেশে থেকেও দেশের জন্য কাজ করি। আপনি দেশে থেকে পারবেন না কেন? দেশপ্রেম মানে ব্যানার নয়, ব্যালট নয়—দেশপ্রেম মানে নিজের যোগ্যতাকে দেশের কল্যাণে উৎসর্গ করা। আজ আমাদের প্রয়োজন সৎ নেতৃত্ব, আদর্শিক কাঠামো আর জাতীয় ঐক্য। ভোট নয়, দল নয়, ক্ষমতা নয়—আমরা চাই বাংলাদেশ গড়ে উঠুক নতুন ন্যায়ের ভিতের ওপর।

তাই বলছি- নোভোটিং এট দিস মোমেন্ট! বিপ্লবী সরকারের জন্য ভোট লাগে না! কারণ, সত্যিকারের বিপ্লব কখনও ব্যালটে আসে না—সে আসে মানুষের মঙ্গল আর ইতিহাসের অনিবার্যতার হাত ধরে!

রহমান মৃধা, গবেষক ও লেখক
(সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন)
Rahman.Mridha@gmail.com

অর্থসংবাদ/কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

মত দ্বিমত

জোনাকি পোকাও অন্ধকারে নিজের আলোয় চলে

Published

on

পিই

একটি আত্মমুক্তির ডাক তরুণদের প্রতি..

এই মুহূর্তে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ছুটে আসছেন বিশ্বের শীর্ষ বিনিয়োগকারীরা। কারণ তারা দেখেছেন সম্ভাবনার এক নতুন বিস্ফোরণ-এই দেশের নবীন প্রজন্ম।
তারা দেখেছেন প্রযুক্তি-দক্ষ, সৃজনশীল, পরিশ্রমী ও উদ্ভাবনী এক তরুণ সমাজ, যারা কেবল স্বপ্ন দেখে না, সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতেও জানে।

বিশ্ব এখন বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে- আশায়, আস্থায়, আর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে। তারা এগিয়ে আসছে এই প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে, তাদের মেধা ও শ্রমে ভর করে একটি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে পাশে দাঁড়াতে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- এই নবীন প্রজন্ম কী করছে?

তারা কি সেই স্বপ্নের পথে এগোচ্ছে? নাকি এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে সেইসব মুখোশধারী নেতাদের পেছনে, যাদের একমাত্র মূলধন হলো মিথ্যাচার, দুর্নীতি আর ক্ষমতার অপব্যবহার?

যারা বছরের পর বছর ধরে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, প্রশাসনকে পচিয়ে তুলেছে, এবং জনগণের ভাগ্য নিয়ে নির্লজ্জ তামাশা করেছে, আপনি কি তাদের পেছনেই সময় নষ্ট করবেন? আপনি কি সেই ছায়ার পেছনে ছুটবেন, না কি নিজের আলো জ্বালাবেন—নিজের স্বপ্ন, নিজের ভবিষ্যৎ, নিজের দেশের জন্য?

আজ বিশ্বের নজর বাংলাদেশের দিকে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সময় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ তুলনামূলকভাবে দুর্বল, তাই বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিনিয়োগকারী
এখন সরাসরি বাংলাদেশে কাজ করার সাহস দেখাচ্ছেন। যা গত ৫৪ বছরেও সম্ভব হয়নি।

এই বিরল সুযোগ আপনার- নিজেকে গড়ে তোলার, নিজের চাকা ঘোরানোর, নিজের আলোর স্পন্দনে চারপাশকে আলোকিত করার। তাই এখনই সময় ভেঙে ফেলুন দুর্নীতির দেয়াল, ছিঁড়ে ফেলুন দাসত্বের শৃঙ্খল। গড়ুন একটি নতুন বাংলাদেশ নিজের মতো করে।

একটি বাংলাদেশ যেখানে নেতৃত্ব আসবে সততা, দক্ষতা ও মানবিক মূল্যবোধ থেকে। যেখানে নেতৃত্ব আর উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হবে না। বরং গড়ে উঠবে নিচ থেকে, ঘাম ও মেধা দিয়ে। একটি বাংলাদেশ যেখানে তরুণরা আর নেতৃত্বের পেছনে দৌড়াবে না বরং নিজেরাই নেতৃত্ব দেবে। সারাদিন ইঁদুরের মতো কোনো কার্লপ্রিট পলিটিশিয়ানের পেছনে না ছুটে বরং নিজের চাকা ঘুরান জ্বালান নিজের আর দেশের আলো।

আর যদি চান বাংলাদেশ এগিয়ে যাক সৎ, দক্ষ, যোগ্য নেতৃত্বে বিশ্বমঞ্চে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক তবে আজই নিজেকে বিনিয়োগ করুন। নিজের শিক্ষা, সময়, শ্রম, চিন্তা আর সৃষ্টিশীলতাকে দিন যথার্থ কাজে। বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে আজ থেকেই শুরু করুন। দেখবেন, বিশ্ব আপনার পেছনে ঘুরছে। দেখবেন, একদিন সেই দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদও আপনার দরজায় এসে কড়া নাড়ছে। একটি কাজের সুযোগের জন্য।

রহমান মৃধা, গবেষক ও লেখক
(সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন)
Rahman.Mridha@gmail.com

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

মত দ্বিমত

ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধ মূলত আমেরিকার-প্যালেস্টাইন যুদ্ধ

Published

on

পিই

প্রথমেই বলে রাখি, ইসরায়েল কোন রাষ্ট্র নয়, ফেডারেল রিজার্ভ এর রথচাইল্ড পরিবারের ইন্টারেস্টে এই ‘প্রক্সি রাষ্ট্র’-টির জন্ম দেয় ব্রিটেন এবং পরবর্তীতে এটি মেইনটেইন করে যুক্তরাষ্ট্র। দিনশেষে এটি আমেরিকার প্রক্সি কান্ট্রি।

তার মানে, ইসরায়েল- প্যালেস্টাইন যুদ্ধ মূলত আমেরিকার-প্যালেস্টাইন যুদ্ধ। ইসরায়েল আমেরিকার প্রক্সি কেবল, এর বাইরে কিছুই না। আর আমেরিকা বলতে সেই ফেডারেল রিজার্ভ, সেই রথচাইল্ড ফ্যামিলি।

উত্তর কোরিয়া, ইরান, ভেনিজুয়েলা বাদে পৃথিবীর সব দেশই ফেডারেল রিজার্ভ এর ক্লায়েন্ট (বাংলাদেশ তো বটেই)। এর মাধ্যমে পৃথিবীর প্রায় সব দেশের সম্পদই তাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, প্রভাবিত। আইকিউ ইরাক ২০০০ সালে ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বের হয়ে আসতে চেয়েছিল, সাদ্দামের অবস্থা আপনারা জানেন।লিবিয়া ২০০৯ সালে ফেডারেল রিজার্ভ এ তাদের মজুত সব স্বর্ণ দেশে নিয়ে আসতে চেয়েছিল। গাদ্দাফি এবং লিবিয়া শেষ। সিরিয়া ২০০৬ এ ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বের হয়ে আসতে চায়। সিরিয়াকে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়। আসাদকে পালাতে হয় এই সময়ে এসে আমেরিকা স্পন্সর্ড জিহাদের মাধ্যমে।

ইরান এর বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক লড়াইতে না গেলেও সারা পৃথিবী থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়।

বাইরে বাইরে অনেক কারণ বললেও মূলত ফেডারেল রিজার্ভ থেকে যারাই বের হতে চেয়ে ছিল, তাদের সাথেই যুদ্ধ করেছে আমেরিকা। এটাই কী পয়েন্ট! এখন কথা হচ্ছে, এই ফেডারেল রিজার্ভ কে শক্তিশালী করলো কারা? নবীর দেশ মক্কা মদীনার ভুমির রাজা (যদিও ইসলামে রাজতন্ত্র হারাম) সৌদ পরিবার। তা কিভাবে? পেট্রো ডলার চুক্তি।

এটি কি? বলছি।
পেট্রো ডলার চুক্তি (Petrodollar Agreement) মূলত এমন একটি অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক চুক্তির ভিত্তিতে গঠিত, যার মাধ্যমে বিশ্বের তেলের বাজারে মার্কিন ডলারকে লেনদেনের প্রধান মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৪ সালে ব্রেটন উডস সিস্টেম চালু হয়, যেখানে মার্কিন ডলার ছিল গোল্ডের সঙ্গে লিঙ্কড এবং বিশ্ব বাণিজ্যের রিজার্ভ কারেন্সি। কিন্তু ১৯৭১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন “Gold Standard” বাতিল করেন। ফলে ডলার আর স্বর্ণের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকলো না। এতে ডলারের উপর আস্থা কমে যায়, এবং মার্কিন অর্থনীতি চাপে পড়ে।

১৯৭৩ সালে মধ্যপ্রাচ্যে Yom Kippur War এবং OPEC-এর তেল নিষেধাজ্ঞা বিশ্বে তেল সংকট তৈরি করে। এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব এর মধ্যে গোপন চুক্তি হয় ১৯৭৪ সালে। চুক্তির মূল পয়েন্ট হচ্ছে সৌদি আরব ও OPEC দেশগুলো তেল শুধুমাত্র মার্কিন ডলারে বিক্রি করবে। বিনিময়ে, যুক্তরাষ্ট্র সৌদি রাজপরিবারকে সামরিক ও রাজনৈতিকভাবে নিরাপত্তা দেবে। এবং সৌদির তেল আয়ের একটি বড় অংশ আবার মার্কিন অর্থনীতিতে বিনিয়োগ হবে (বিশেষ করে U.S. Treasury bonds)। বিশ্বব্যাপী দেশগুলোকে তেল কেনার জন্য মার্কিন ডলার জোগাড় করতে হতো। ফলে ডলারের উপর নির্ভরতা বাড়ে। যুক্তরাষ্ট্র তার মুদ্রা ছাপিয়েও বিশ্ববাজারে শক্তিশালী থাকতে পারে — একে বলা হয় “𝑫𝒐𝒍𝒍𝒂𝒓 𝑯𝒆𝒈𝒆𝒎𝒐𝒏𝒚”। এই 𝑫𝒐𝒍𝒍𝒂𝒓 𝑯𝒆𝒈𝒆𝒎𝒐𝒏𝒚 ই আমেরিকাকে সুপার পাওয়ার বানিয়েছে, যা বানিয়েছে মূলত মক্কা মদিনার দেশের রাজপরিবার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে যে “নিরাপত্তা” দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পেট্রো ডলার চুক্তির অংশ হিসেবে, তার মাধ্যমে আমেরিকা মূলত এই মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি প্যানেল মুসলিম দেশগুলোর (সৌদি আরব, আরব আমিরাত, জর্ডান, বাহরাইন, কুয়েত ও ওমান) এবং তুরস্ক এলাকায় নিয়োজিত আছে কমপক্ষে ৪৫,০০০ আমেরিকান সেনা। শুধু তাই নয়, এই অঞ্চলের সকল সেনাবাহিনী মূলত আমেরিকা নিয়ন্ত্রিত। এই অঞ্ছলের এয়ার বেস, নেভাল বেস, রাডার গুলো এর পজিশন সংযুক্ত ছবিতে দেয়া আছে।

এত কিছু কেন বললাম? শত্রু দেশের সামরিক স্থাপনা নিজের ভেতর রেখে আপনারা কিভাবে প্যালেস্টাইনকে বাঁচাবেন? শত্রু দেশের মিলিটারি বেস দেশের ভেতরে রেখে কোকাকোলা বয়কটের কর্মসূচী হাস্যকর লাগে না? যুদ্ধ করতে চাইলে আগে যুদ্ধ করতে হবে এই আরবদের সাথে। এরাই ইসরায়েল এর শক্তি, এরাই আমেরিকার শক্তি। প্যালেস্টাইনীদের রক্তের দায় ইসরায়েল কিংবা আমেরিকার চেয়ে এই আরব গাদ্দার দের অনেক বেশী। এরা আবার অনেক নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, ধর্মের বাণী শোনায়। আর অপেক্ষায় আছে একটা আমেরিকান স্পন্সর্ড জেহাদ এর।

এই আরব দেশগুলোই মূল শয়তান। এতো এতো নবী এসেও এদের ঠিক করা গেলো না। আপনারা যখন এদের কাছেই সাহায্য চান, তখন আমার হাসি পায়। বোমার আঘাতে প্যালেস্টাইনী শিশুর ছিন্ন মাথা দেখে কান্নাও পায়।

লেখক: ইঞ্জিনিয়ার এম এ মোহিমেন তানিম, এসএসবিবি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

মত দ্বিমত

বাংলাদেশ: বিদেশি গোয়েন্দা প্রভাব, দুর্নীতি ও আসন্ন বিপর্যয়

Published

on

পিই

বাংলাদেশ এক গভীর সংকটের সম্মুখীন। রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা “র” (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং)-এর অনুপ্রবেশ এখন স্পষ্ট। শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে এই সংস্থাটি বাংলাদেশের নীতিনির্ধারণী কাঠামোয় সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য চরম হুমকি।

শুধু প্রশাসন নয়, প্রতিরক্ষা, অর্থনীতি, কূটনীতি, নিরাপত্তা—সব জায়গায় ভারতের প্রভাব বাড়ানোর নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বহু প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভারতীয় প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যেন তারা “সঠিক” পথে চলেন। পদোন্নতির শর্ত হিসেবে এই প্রশিক্ষণকে ব্যবহার করা হয়েছে, যা স্পষ্টতই বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল ও নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রে পরিণত করার এক সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।

দুর্নীতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে “র”-এর প্রভাব

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্নীতি আজ এমন এক স্তরে পৌঁছেছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে গ্রহণ করা প্রায় অসম্ভব।
• বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতিগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যেন একটি নির্দিষ্ট বিদেশি শক্তির স্বার্থ রক্ষা হয়।
• উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে কারা কাজ পাবে, কোন খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে—এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থের বদলে বৈদেশিক হস্তক্ষেপই প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে।
• প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতেও ভারতের উপস্থিতি নীতি-নির্ধারণের ওপর ছায়ার মতো পড়েছে।

এই বাস্তবতায় দেশ কেবল রাজনৈতিক নয়, বরং অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে গভীর সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

নির্বাচনী উন্মাদনা: দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র?

এমন এক সময়ে, যখন রাষ্ট্র দুর্নীতির বেড়াজালে বন্দি এবং বিদেশি প্রভাবের শৃঙ্খলে আটকে গেছে, তখন হঠাৎ কিছু রাজনৈতিক শক্তি নির্বাচনের জন্য তাড়াহুড়ো করছে। প্রশ্ন হচ্ছে—

এরা কি ভারতের স্বার্থ রক্ষা করতে চায়, নাকি দুর্নীতির নতুন এক পর্ব শুরু করতে চায়?

যারা আজ জনমতের তোয়াক্কা না করে একটি তড়িঘড়ি নির্বাচন আয়োজনের জন্য লড়ছে, তারা কি সত্যিই দেশকে বাঁচাতে চায়? নাকি তারা বিদেশি শক্তির হাতের পুতুল হয়ে আরও বড় দুর্নীতির চক্র তৈরি করতে চাইছে? যদি তারা দেশপ্রেমিক হয়ে থাকে, তবে তাদের প্রথম কাজ হওয়া উচিত রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করা।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ভুল পদক্ষেপ নিলে বাংলাদেশ একটি রাষ্ট্রীয় বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হবে। এটি হবে মায়ানমার বা থাইল্যান্ডের সম্প্রতি ধসে পড়া ভবনের মতো—একটি দুর্বল কাঠামো যা যে কোনো মুহূর্তে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

ড. ইউনূস: কূটনৈতিক শক্তির সঠিক ব্যবহার প্রয়োজন

এমন সংকটে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্বকে কাজে লাগানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• তিনি বিশ্বজুড়ে গ্রহণযোগ্য এবং সম্মানিত একজন ব্যক্তি, যার সঙ্গে আন্তর্জাতিক কূটনীতির সংযোগ রয়েছে।
• তার অবস্থান ও নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বাংলাদেশকে “র”-এর প্রভাবমুক্ত করার একটি কৌশলগত উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব।
• দেশের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের জন্য অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক খাতকে পুনর্গঠন করতে হবে, যাতে বিদেশি নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়।

প্রথমে মুক্তি, তারপর নির্বাচন

বাংলাদেশের সমস্যা এখন কে ক্ষমতায় আসবে, সেটি নয়। আসল সংকট হলো—রাষ্ট্র কি আদৌ স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে?

নির্বাচন তখনই অর্থবহ হবে, যখন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সত্যিকার অর্থে দেশীয় স্বার্থে কাজ করবে। তাই, প্রথমে “র”-এর প্রভাবমুক্ত হওয়া এবং রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি নির্মূল করা প্রয়োজন। এরপরই গণতন্ত্রের কথা বলা যেতে পারে।

আশার বাণী: বাংলাদেশ এখনো জাগতে পারে

এই সংকটময় পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে পরাজিত হয়নি। ইতিহাস সাক্ষী, যখনই দেশ বড় সংকটের সম্মুখীন হয়েছে, তখন জনগণের প্রতিরোধ ও সচেতনতা সেই সংকটকে অতিক্রম করেছে।

✅ সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি।
✅ দেশপ্রেমিক ও নৈতিক নেতৃত্বকে সমর্থন দেওয়া এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
✅ বিদেশি নিয়ন্ত্রণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া বাংলাদেশ বাঁচবে না।

এখনো সময় আছে। যদি জনগণ সচেতন হয়, যদি সঠিক নেতৃত্ব দেশকে মুক্ত করার জন্য এগিয়ে আসে, তবে বাংলাদেশ আবারো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।

রহমান মৃধা, গবেষক ও লেখক
(সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন)

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

মত দ্বিমত

ইউক্রেনের মতো বাংলাদেশও কি এক নতুন যুদ্ধক্ষেত্র হতে যাচ্ছে?

Published

on

পিই

ভূমিকা: সংকটের মূল কারণ কী?
বাংলাদেশ এখন এক ভয়ংকর রাজনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক মোড়ে দাঁড়িয়ে।
•শেখ হাসিনার একদলীয় শাসনামলে ভারত তার প্রভাব নিশ্চিত করেছিল।
•কিন্তু এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ভারত সেই নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে।
•বিএনপি ও অন্যান্য দল নির্বাচনী সরকারের দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
•দেশের ভেতরে অরাজকতা বেড়েছে, সহিংসতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
এই অস্থিরতার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো ভারত তার রাজনৈতিক প্রভাব হারানোর আতঙ্কে আছে, এবং সেটিই বর্তমান সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে।

১. ভারত কেন এই পরিস্থিতিতে নার্ভাস?
ভারত সবসময় বাংলাদেশকে নিজের কৌশলগত বলয়ে রাখতে চেয়েছে।
•শেখ হাসিনার শাসনে ভারত সরাসরি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা পেয়েছে।
•নির্বাচন, নিরাপত্তা, পররাষ্ট্রনীতি—সবখানে ভারতের আধিপত্য ছিল।
•কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ভারত সরাসরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
•বাংলাদেশ যদি আওয়ামী লীগ-বিহীন নির্বাচনী সরকারের অধীনে শক্তিশালী সরকার গঠন করে, সেটি ভারতের জন্য হুমকি।
ভারত এখন মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে বাংলাদেশে নিজের প্রভাব ফেরাতে, এবং সেটি করছে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চাল দিয়ে।

২. নির্বাচনী সরকারের দাবি ও সহিংসতা: কারা লাভবান হবে?
বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দল একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনী সরকারের দাবি করছে।
•শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার এটি কখনো মেনে নেয়নি।
•কিন্তু এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকায় ভারতীয় প্রভাব কমে গেছে, আর সেই সুযোগে বিরোধীরা শক্তি বাড়াচ্ছে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই সংঘাতের আসল লাভবান কে?
•বিএনপি কি আদৌ ক্ষমতায় আসতে পারবে, নাকি শুধু পরিস্থিতি ঘোলাটে করছে?
•ভারত কি এই সুযোগে হস্তক্ষেপের নতুন অজুহাত তৈরি করছে?
•চীন কি এই রাজনৈতিক শূন্যতার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে নতুন খেলায় নামছে?
এই উত্তেজনা যদি আরও বাড়তে থাকে, তাহলে দেশ গৃহযুদ্ধের পথে চলে যেতে পারে।

৩. দুর্নীতি ও রাজনৈতিক দলগুলোর আত্মকেন্দ্রিকতা: সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এখনো দেশের চেয়ে নিজেদের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
•বিএনপি ও অন্যান্য দল একটি স্থায়ী সমাধানের বদলে ক্ষমতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
•রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের স্বার্থে জনগণের সংকটকে আরও গভীর করছে।
•এই রাজনৈতিক বিভক্তি দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, আর দুর্নীতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে।
দেশের এই ভয়াবহ সংকটেও কোনো দলই সত্যিকারের সমঝোতার জন্য এগিয়ে আসছে না।
ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে দেশ এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, যেখানে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো সুযোগ নিচ্ছে।

৪. ভারত-চীন প্রতিযোগিতা: বাংলাদেশ এখন ভূরাজনৈতিক সংঘর্ষের কেন্দ্রে
ভারতের মাথাব্যথার মূল কারণ:
•বাংলাদেশে যদি আওয়ামী লীগ-বিহীন নির্বাচনী সরকারের অধীনে স্বাধীন সরকার আসে, তাহলে সেটি ভারতের স্বার্থ রক্ষা নাও করতে পারে।
•শেখ হাসিনার অধীনে ভারতীয় স্বার্থ অক্ষুণ্ন ছিল, কিন্তু এখন সেটি অনিশ্চিত।
•ফলে ভারত যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে নিজেদের প্রভাব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।

চীনের কৌশল:
•ভারতীয় প্রভাব কমায় চীন এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে।
•বাংলাদেশে নতুন ঋণ সুবিধা, সামরিক সহায়তা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করছে।
•চীন চাইবে ভারতের আধিপত্য পুরোপুরি দুর্বল করতে।
ফলাফল: বাংলাদেশ দুই পরাশক্তির লড়াইয়ে আটকে গেছে। যদি ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এটি নতুন প্রক্সি যুদ্ধের ময়দানে পরিণত হবে।

৫. সেভেন সিস্টার ও আঞ্চলিক সংকট: নতুন সংঘাতের ইঙ্গিত?
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট বাড়লে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও অস্থিরতা বাড়তে পারে।
•বাংলাদেশ থেকে অভিবাসনের ঢল নামতে পারে।
•ভারতে বিজেপি সরকার এটি হিন্দু-মুসলিম ইস্যুতে রূপান্তর করতে পারে।
•শরণার্থী সংকট ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও খারাপ করতে পারে।
এর পাশাপাশি, উগ্রবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।
ভারত যদি মনে করে বাংলাদেশে তাদের স্বার্থ হুমকির মুখে পড়েছে, তাহলে তারা সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে।

৬. অর্থনৈতিক ও সামরিক বাস্তবতা: কী হতে যাচ্ছে?
বাংলাদেশ এখন তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে।
•ডলার সংকট, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া, বিনিয়োগ কমে যাওয়ার ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
•সরকার অর্থনৈতিক সংকট সামাল না দিয়ে সামরিক প্রতিযোগিতায় মেতেছে।
•চীনের কাছ থেকে নতুন সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহের সিদ্ধান্তে ভারত আরও ক্ষুব্ধ।
এটি যদি চলতে থাকে, তাহলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে পুরোপুরি অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।

উপসংহার: বাংলাদেশ কি নতুন ইউক্রেনের পথে?
বর্তমান বাস্তবতা দেখে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ একটি মারাত্মক রাজনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক ফাঁদে আটকে গেছে।
•শেখ হাসিনার শাসনামলে ভারতীয় আধিপত্য ছিল নিশ্চিত, এখন সেটি দুর্বল হয়েছে।
•ভারতের হস্তক্ষেপের সুযোগ কমায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি আরও অস্থিতিশীল হয়েছে।
•চীন ও ভারত নতুন করে বাংলাদেশকে নিজেদের বলয়ে টানতে চাইছে, এবং এটি ভয়ংকর সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
•পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
•রাশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি খাতে সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে, যা পশ্চিমাদের দৃষ্টিতে উদ্বেগের কারণ।
যদি বাংলাদেশ ভারসাম্য রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এটি প্রক্সি যুদ্ধের নতুন ময়দান হবে।
যদি ভারতীয় আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়, তাহলে স্বাধীন নীতিনির্ধারণের সুযোগ নষ্ট হবে।
যদি চীন অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তার করে, তাহলে ভারত প্রতিক্রিয়া দেখাবে, যা আরও বিপজ্জনক হতে পারে।
যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে কঠোর হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।

বাংলাদেশের কৌশল কী হওয়া উচিত?
বাংলাদেশ যদি একটি স্বাধীন ও ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করতে চায়, তাহলে তাকে কয়েকটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে:
•ভারত ও চীনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে, যাতে কোনো একটি শক্তির প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা তৈরি না হয়।
•যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে, কিন্তু তাদের অতিরিক্ত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ রোধ করতে হবে।
•রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি খাতে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হবে, তবে তা যেন পশ্চিমাদের উসকে না দেয়।
•অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বহুমুখী বাণিজ্য কৌশল গ্রহণ করতে হবে।
•রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীল ও দেশপ্রেমিক মনোভাব গ্রহণ করতে হবে, যাতে জাতীয় স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখা হয়।

বাংলাদেশের মূল সমস্যা: দুর্নীতি, দারিদ্র্য ও শিক্ষা খাতের অবক্ষয়
একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠনের জন্য সর্বপ্রথম দুর্নীতি নির্মূল করা জরুরি।
•বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মূল শত্রু হলো দুর্নীতি, যা দেশের সম্পদ লুটপাট করছে।
•রাজনৈতিক দলগুলো কেবল নিজেদের ক্ষমতার লড়াইয়ে ব্যস্ত, কিন্তু দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করছে না।
•দেশকে দারিদ্র্য ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে হলে অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে, যাতে জনগণের সম্পদ লুটপাটের বদলে সঠিকভাবে বিনিয়োগ হয়।
•শিক্ষা খাতের অবক্ষয় থামিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে, কারণ শিক্ষাই একটি দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে।
যদি রাজনৈতিক দলগুলো স্বার্থপরতা ত্যাগ না করে, তাহলে বাংলাদেশ কখনোই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না।
জাতীয় ঐক্য, সুশাসন ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা ছাড়া দেশ একটি গভীর খাদের দিকে ধাবিত হবে।

তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?
বাংলাদেশ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে:
•বাংলাদেশ কি নতুন ইউক্রেন হবে, নাকি সময় থাকতেই নিজেদের রক্ষা করতে পারবে?
•সরকার কি সঠিক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, নাকি ভুল পথে হাঁটবে?
•ভারত-চীন প্রতিযোগিতার মাঝে বাংলাদেশ কি নিজেদের স্বাধীনতা বজায় রাখতে পারবে?
•পশ্চিমা বিশ্ব ও রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক কেমন হবে?
যদি ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশ আরেকটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে, যা ইতিহাসে একটি নতুন রাজনৈতিক বিপর্যয় হিসেবে লেখা থাকবে।
যদি বাংলাদেশ বিচক্ষণ পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে পারে, তাহলে এটি দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত শক্তিতে পরিণত হতে পারে।
কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন স্বচ্ছ নেতৃত্ব, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া।

লেখক: রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

পিই পিই
পুঁজিবাজার13 hours ago

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দশমকি ১০ শতাংশ...

পিই পিই
পুঁজিবাজার14 hours ago

সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষে নিউলাইন ক্লোথিংস

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক শেয়ারদর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে নিউলাইন ক্লোথিংস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে...

পিই পিই
পুঁজিবাজার15 hours ago

সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক শেয়ারদর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে...

পিই পিই
পুঁজিবাজার15 hours ago

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন। ডিএসই সূত্রে এ...

পিই পিই
পুঁজিবাজার1 day ago

বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমলো দুই হাজার ২২৩ কোটি টাকা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (৬ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের...

পিই পিই
পুঁজিবাজার1 day ago

ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।...

পিই পিই
পুঁজিবাজার2 days ago

আর্গন ডেনিমসের তিন পরিচালকের শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্গন ডেনিমস লিমিটেডের তিন পরিচালক তাদের সন্তানদের উপহার হিসাবে কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা...

Advertisement
Advertisement

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়া

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০  
পিই
জাতীয়6 hours ago

সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

পিই
অর্থনীতি6 hours ago

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, নতুন রেকর্ড

পিই
জাতীয়7 hours ago

রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান

পিই
সারাদেশ8 hours ago

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেলো রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা

পিই
আবহাওয়া8 hours ago

রাতেই যেসব অঞ্চলে ঝড় বইতে পারে

পিই
অর্থনীতি9 hours ago

বিগত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে ডলারের মান

পিই
জাতীয়9 hours ago

আগে দেশের মানুষকে ইলিশ খাওয়াতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা

পিই
আন্তর্জাতিক9 hours ago

তিন বছরে নাগরিকত্ব পাওয়ার বিধান বাতিল করছে জার্মানি

পিই
জাতীয়10 hours ago

পৃথক সচিবালয়ের জন্য অধ্যাদেশ তৈরির কাজ চলছে: প্রধান বিচারপতি

পিই
জাতীয়10 hours ago

এ সরকারের আমলেই বিচার বিভাগের সব সংস্কারের চেষ্টা করা হবে: আইন উপদেষ্টা

পিই
জাতীয়6 hours ago

সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

পিই
অর্থনীতি6 hours ago

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, নতুন রেকর্ড

পিই
জাতীয়7 hours ago

রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান

পিই
সারাদেশ8 hours ago

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেলো রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা

পিই
আবহাওয়া8 hours ago

রাতেই যেসব অঞ্চলে ঝড় বইতে পারে

পিই
অর্থনীতি9 hours ago

বিগত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে ডলারের মান

পিই
জাতীয়9 hours ago

আগে দেশের মানুষকে ইলিশ খাওয়াতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা

পিই
আন্তর্জাতিক9 hours ago

তিন বছরে নাগরিকত্ব পাওয়ার বিধান বাতিল করছে জার্মানি

পিই
জাতীয়10 hours ago

পৃথক সচিবালয়ের জন্য অধ্যাদেশ তৈরির কাজ চলছে: প্রধান বিচারপতি

পিই
জাতীয়10 hours ago

এ সরকারের আমলেই বিচার বিভাগের সব সংস্কারের চেষ্টা করা হবে: আইন উপদেষ্টা

পিই
জাতীয়6 hours ago

সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

পিই
অর্থনীতি6 hours ago

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, নতুন রেকর্ড

পিই
জাতীয়7 hours ago

রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান

পিই
সারাদেশ8 hours ago

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেলো রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা

পিই
আবহাওয়া8 hours ago

রাতেই যেসব অঞ্চলে ঝড় বইতে পারে

পিই
অর্থনীতি9 hours ago

বিগত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে ডলারের মান

পিই
জাতীয়9 hours ago

আগে দেশের মানুষকে ইলিশ খাওয়াতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা

পিই
আন্তর্জাতিক9 hours ago

তিন বছরে নাগরিকত্ব পাওয়ার বিধান বাতিল করছে জার্মানি

পিই
জাতীয়10 hours ago

পৃথক সচিবালয়ের জন্য অধ্যাদেশ তৈরির কাজ চলছে: প্রধান বিচারপতি

পিই
জাতীয়10 hours ago

এ সরকারের আমলেই বিচার বিভাগের সব সংস্কারের চেষ্টা করা হবে: আইন উপদেষ্টা