ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
২০২৬ সালের পাঠ্যবইয়ের চাহিদা চেয়েছে সরকার

ইবতেদায়িসহ দেশের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ের চাহিদা চেয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সব অঞ্চলের উপরিচালকদের কাছ থেকে চাহিদা চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অফিস আদেশে জানানো হয়, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা অনলাইনে দাখিল সংক্রান্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
এর আগে এনসিটিবি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে এবতেদায়িসহ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের চাহিদা চেয়ে পত্র দেয়।
এনসিটিবির গত ২৫ মার্চের পত্রে বলা হয়েছে, দেশের সব শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিন্যমূল্যের পাঠ্যপুস্তক মূদ্রণ করে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে সরবরাহের বিষয়টি সরকারের একটি অগ্রাধিকার ও জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ভিপি প্রার্থী আবিদের উক্তি নিয়ে ব্যঙ্গ, ক্ষমা চেয়ে ইবি শিক্ষার্থীর স্ট্যাটাস

সম্প্রতি ডাকসুর ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলামের জুলাই আন্দোলনে বলা ‘প্লিজ, কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না’ অংশটি নিয়ে ব্যঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাকসুর ফল ঘোষণার রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নাইমুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করেন। এক পর্যায়ে সেটি ভাইরাল হলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এবিষয়ে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সমাজ কল্যাণ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সোহান হাসান সাকিব নামে এক শিক্ষার্থী ক্ষমা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন।
তবে তাদের পোস্ট করা ২৬ সেকেন্ডের মূল ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ‘তুমিও জানো আমিও জানি, সাদিক কায়েম পাকিস্তানি’ স্লোগান নেন। পাশাপাশা ‘প্লিজ, কেউ কাউকে ছেড়ে যায়েন না’ নিয়েও ব্যঙ্গ করেন। তবে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কাঁটছাট করে শুধু ‘প্লিজ কেউ ছেড়ে যাইয়েন না’ অংশ প্রচার করা হয়।
আবিদ ভাইয়ের ‘প্লিজ কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না’ মন্তব্য করা নিয়ে সোহান হাসান সাকিব লিখেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের করা একটি ভিডিয়োর কিছু অংশকে অনেকেই সমালোচনাসহ প্রচার করছেন, যেখানে ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ভাইয়ের ‘প্লিজ কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না’ অংশটুকু ছিল। এই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলা প্রয়োজন মনে করে এই পোস্ট।
তিনি আরও বলেন, এই ভিডিওটি আমরা করেছি সহপাঠীদের মধ্যে আড্ডার ছলে। এটি সেন্স অব হিউমার থেকে করা। এইটা জাস্ট একটা পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। এটি উদেশ্যমূলকভাবে কাউকে আঘাতের জন্য করা হয়নি। ভিডিয়োটিতে আবিদ ভাইয়ের কথার পাশাপাশি সাদিক কায়েম ভাইকে নিয়েও মন্তব্য ছিল। কিন্তু ভিডিওটির একটি অংশ পোস্ট করে আবিদ ভাইয়ের বিষয়ে বিশেষভাবে উল্লেখ করে একটি নেগেটিভিটি তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভিডিওটি ছিল কেবলই হলের একটি রুমে বসে বন্ধুদের মাঝে আড্ডার অংশ। এটি কোনো রাজনৈতিক বৈঠক বা উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা ছিল না। এছাড়া এটি কেবলই ডাকসু নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে করা হয়েছে, অনেকে এটিকে জুলাই আন্দোলনে আবিদ ভাইয়ের সেই বিখ্যাত আহ্বানকে অবমূল্যায়নের কথা বলছেন, এটি কোনোভাবেই তেমন উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়নি। বরং বিষয়টির এমন অর্থ নিয়ে অনেকে কষ্ট পেয়েছেন এটি আমাদের মর্মাহত করেছে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই যোদ্ধা আবিদ ভাইয়ের অবদান অনস্বীকার্য। তার হৃদয়গ্রাহী আহ্বান— “প্লিজ কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না” আন্দোলনের কঠিন মুহূর্তে হাজারো শিক্ষার্থীর মনোবল ধরে রেখেছিল, মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। আমরাও আন্দোলনের মাঠে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম।
তিনি ক্ষমা চেয়ে বলেন, মজার ছলে করা আমাদের এই ভিডিওটি এভাবে মানুষকে কষ্ট দেবে, বিশেষ করে আমাদের জুলাই সহযোদ্ধাদের, এটি কখনোই ভাবতে পারিনি। আবিদ ভাইসহ যারা আমাদের এই কর্মকাণ্ডে ব্যথিত হয়েছেন সবার কাছে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আবিদ ও সাদিক ভাইসহ সকলের কাছে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি।
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহা. মাহমুদুল হাসান বলেন, কয়েকজন বন্ধুরা মিলে মজার ছলে ভিডিও করে ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন। অথচ একই ভিডিওতে সাদিক কায়েমকে নিয়েও ট্রল করেছেন। ইস্যু ক্রিয়েট করার জন্য একটা মহল কাটছাঁট করে ভিডিও ছড়িয়ে ভাইরাল করেছে। ভিডিওতে থাকা কয়েকজন আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়া শহরে পুলিশের মার খেয়েছে। তবে তাদেরকে আন্দোলন বিরোধী হিসেবে মুখোমুখি দাঁড় করা হচ্ছে। তারা ইতোমধ্যে ক্ষমা চেয়েছে এবং আবিদ ভাইয়ের কাছে ক্ষমার জন্য যোগাযোগ করছে।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন- ওমর ফারুক (ইইই ২০-২১ সেশন), নাহিদ হাসান (আল কুরআন ২০-২১), নাইমুর রহমান (অর্থনীতি ২১-২২), সোহান (সমাজ কল্যাণ ১৭-১৮), রোকনুজ্জামান রোকন (মার্কেটিং ১৯-২০), মোজাম্মেল (দাওয়াহ ২১-২২), আবদুল্লাহ নুর মিনহাজ (আল হাদিস ২০-২১)। তারা সবাই ইবি শাখা ছাত্র শিবিরের হল ও ফ্যাকাল্টির নেতাকর্মী।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সন্ধ্যা সাতটায় জাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে নাটকীয়তার ইতি টানলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় জাকসু ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিন দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাতে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এর আগে প্রক্টর ও জাকসুর নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম জানান দুপুর আড়াইটার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিহ হয়েছে। আমাদের অভিজ্ঞতাও কম। তবে সবাই সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে। আশা করছি আর দেরি হবে না। আড়াইটার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এদিকে, জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. খন্দকার লুৎফুল এলাহীও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দুপুরে ফলাফল হতে পারে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, আজ (শুক্রবার) রাতের মধ্যেই আমরা যেন ফল ঘোষণা করতে পারি, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ওইদিন রাত সোয়া ১০টা থেকে ভোট গণনা শুরু হলেও তা এখনো চলমান। জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। ছাত্রদের হলের মধ্যে আল বেরুনী হলে ভোটার ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার রয়েছেন।
ছাত্রীদের হলের মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।
এবার প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৫টি পদে লড়েছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী ছিলেন। ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী ছিলেন না। একজন করে প্রার্থী ছিলেন ৬৭টি পদে। সে হিসাবে মাত্র ২৪টি পদে ভোট নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের মধ্য ২টি হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাকসু নির্বাচনে তৃতীয়দিনের মতো চলছে ভোট গণনা

তৃতীয়দিনের মতো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগণনা চলছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত ১২ কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এখনো বাকি ৯ কেন্দ্রের ভোট গণনা।
এর আগে হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে কেন্দ্রীয় সংসদের ভোগণনা শুরু হয়। গণনা কখন শেষ হবে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি।
যদিও শুক্রবার রাতের মধ্যে জাকসু ও ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম জানিয়েছিলেন, শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সম্পূর্ণ গণনা শেষ করে বেসরকারিভাবে ফলাফল প্রকাশ করা যাবে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে জাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ওইদিন ভোট গণনা শুরু হয় রাত সোয়া ১০টায়। সেই গণনা এখনো চলছে।
জাকসুতে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৮৯৭। এর মধ্যে ছাত্র ছয় হাজার ১১৫ এবং ছাত্রী পাঁচ হাজার ৭২৮ জন। এর প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাকসু নির্বাচন: ১২ হলের ভোট গণনা শেষ, বাকি আরও ৯

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ১২টি আবাসিক হলের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। বাকি ৯টি হলে গণনা চলমান। সব হলে ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর শুরু হবে কেন্দ্রীয় সংসদের ব্যালট গণনা।
নির্বাচন কমিশনের এক সদস্য জানান, দুটি টেবিলে একসঙ্গে ভোট গণনার কাজ চলছে। ভোরের দিকে কয়েকটি হলে প্রার্থীদের এজেন্ট অনুপস্থিত থাকায় সাময়িকভাবে গণনা বন্ধ ছিল। তবে যেখানে এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন, সেসব হলে ভোট গণনা অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পরে ব্যালট বাক্সগুলো সিনেট ভবনে আনা হয় এবং রাত ১০টার কিছু পর শুরু হয় গণনা কার্যক্রম। সিনেট ভবনে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতিতে ভোট গণনা চলছে, যেখানে মূলত হল সংসদের প্রার্থীদের প্রতিনিধিরা আছেন।
নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহী রাত পৌনে ৩টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন শুধু হল সংসদের ভোট গণনা চলছে। মনে হচ্ছে জুমার নামাজের আগে কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা শুরু করা সম্ভব হবে না। সব মিলিয়ে ফলাফল ঘোষণা করতে করতে দুপুরের পর হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা সারাদিন হলে ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন আবার সিনেট ভবনে গণনার দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা ক্লান্ত, এ কারণেই গণনা কিছুটা ধীরগতিতে চলছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইংরেজি ভাষা শিক্ষাদান পদ্ধতির মানোন্নয়নে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগ

দেশজুড়ে প্রাথমিক শিক্ষার ভবিষ্যৎ উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল। সম্প্রতি, এ নিয়ে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়, যার লক্ষ্য সরকারের আসন্ন ‘প্রাইমারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (পিইডিপি-৫) পরিকল্পনায় সহায়তা করার মাধ্যমে এটিকে সফল করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা।
এ অংশীদারিত্বের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে প্রাথমিক স্কুলের ইংরেজি শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য কেমন উদ্যোগ প্রয়োজন তা খুঁজে বের করা। এ উদ্যোগের অন্যতম আরেকটি দিক হল নিডস এনালাইসিস এর মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা, কারণ পেশাগত উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রায়শই তাদের ভূমিকা উপেক্ষা করা হয়। এ নিডস এনালাইসিস প্রক্রিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করবে এবং পিইডিপি-৫ এ কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অংশীদারিত্ব সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। ব্রিটিশ কাউন্সিলের এ সহযোগিতা আমাদের পিইডিপি-৫ এর কৌশলগত পরিকল্পনার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমরা ব্রিটিশ কাউন্সিলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই; একইসাথে, ভবিষ্যতেও এ ধরনের অংশীদারিত্বের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
বাংলাদেশ সরকার ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের ৭০ বছরেরও বেশি সময়ের সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের ইতিহাস রয়েছে, আর তারই ধারাবাহিকতায় আজ এই অংশীদারিত্ব হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের প্রোগ্রাম পরিচালক ডেভিড নক্স। এ প্রকল্পের মূল বিষয়বস্তুর ওপরও আলোকপাত করেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো শহর ও গ্রাম, দুই জায়গা থেকেই তথ্য সংগ্রহ করা; কারণ, আমাদের প্রাথমিক শিক্ষকদের একটি বড় অংশ গ্রামে কর্মরত।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু, প্রাথমিক স্তরের অধিকাংশ শিক্ষক নারী, তাই পেশাগত উন্নয়নে লিঙ্গভিত্তিক সমতা নিশ্চিত করাকেও আমরা পূর্ণ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। পাশাপাশি, আমরা যখন মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজন বুঝে কাজ করব, তখনই কেবল সত্যিকার অর্থে পুরো শিক্ষক সহায়তা ব্যবস্থাটিকে শক্তিশালী করা সম্ভব হবে।
পরবর্তীতে, ব্রিটিশ কাউন্সিলের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শমরেশ সাহা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী এই উদ্যোগ কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তার একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
চতুর্থ প্রাইমারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (পিইডিপি-৪) অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। এ সময় এ. কে. মোহম্মদ সামছুল আহসান, রাজা মোহাম্মদ আবদুল হাই, মোহাম্মদ কামরুল হাসান, মো. ইমামুল ইসলাম, মো. মাহবুবুর রহমান বিল্লাহ রসহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ইমরান সাইফুর এবং সাহেলী নাজ।
উভয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতির লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।