ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
২০২৬ সালের পাঠ্যবইয়ের চাহিদা চেয়েছে সরকার

ইবতেদায়িসহ দেশের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ের চাহিদা চেয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সব অঞ্চলের উপরিচালকদের কাছ থেকে চাহিদা চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অফিস আদেশে জানানো হয়, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা অনলাইনে দাখিল সংক্রান্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
এর আগে এনসিটিবি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে এবতেদায়িসহ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের চাহিদা চেয়ে পত্র দেয়।
এনসিটিবির গত ২৫ মার্চের পত্রে বলা হয়েছে, দেশের সব শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিন্যমূল্যের পাঠ্যপুস্তক মূদ্রণ করে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে সরবরাহের বিষয়টি সরকারের একটি অগ্রাধিকার ও জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
‘ইউনেট স্পিকআপ বাংলাদেশ’ তারুণ্যের কণ্ঠ একত্রে গর্জে উঠলো গ্র্যান্ড ফিনালেতে

দেশের তরুণ বক্তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হলো নেতৃত্বের আহ্বান, আত্মবিশ্বাসের প্রকাশ এবং ভবিষ্যতের গল্প। ইয়ুথ আপস্কিল নেটওয়ার্কের (ইউনেট) আয়োজনে ইংরেজী থেরাপি প্রেজেন্টস ইউনেট স্পিকআপ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
চূড়ান্ত রাউন্ড শেষে বিজয়ী হন তিনজন প্রতিযোগী। এতে ১ম স্থান অর্জন করেছেন সিলেট আর্মি আইবিএ থেকে মাশরুরা মেশকাত পূর্ণ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাসনিমুল ইসলাম আফিফ পেয়েছেন ২য় স্থান, আর ঢাকা মোহাম্মদপুর প্রিপেরটরি হাই স্কুল থেকে আদিবা সুলতানা আলিফা হয়েছেন ৩য় স্থান বিজয়ী এবং প্রত্যেকেই পেয়েছেন প্রাইজমানি। সকল ফাইনালিস্টদের ট্রফি ও সনদপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন দেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া ইংলিশ অলিম্পিয়াড-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সংগঠক আমান সুলায়মান, জেন বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির নির্বাহী পরিচালক ও অধ্যক্ষ কে এম হাসান রিপন, পাব্লিক স্পিকিং অফিসিয়ালের (পিএসও) প্রতিষ্ঠাতা সোলায়মান আহমেদ জিশান এবং ব্যারিস্টার রাফায়েলুর রহমান মেহেদী, জেসিআই বাংলাদেশ ন্যাশনাল গভর্নিং বডি মেম্বার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক। তিনি বলেন, “যে তরুণ-তরূণী কথা বলতে জানে, তারাই পারে ভবিষ্যত গড়তে। এই আয়োজন সেই সাহসী কণ্ঠগুলোকে একত্র করেছে।”
ইউনেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, ইভেন্ট ডিরেক্টর মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল বলেন, “যুব কণ্ঠ যত দৃঢ় হবে, দেশ তত সমৃদ্ধ হবে। তরুণরা যখন তাদের কণ্ঠ খুঁজে পায়, তখনই তারা নিজেদের লক্ষ্য খুঁজে পেতে শুরু করে। ইউনেট স্পিকআপ বাংলাদেশ আমরা আয়োজন করেছি এই বিশ্বাস থেকে যেন তরুণরা সাহস নিয়ে কথা বলতে পারে, চিন্তা প্রকাশ করতে পারে, এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা ছড়াতে পারে। আজকের প্রতিটি বক্তৃতাই ছিল ভবিষ্যতের একেকটি রূপরেখা।”
ইউনেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিওও মাহির আশেফ এবং এই আয়োজনের কনভেনার বলেন, “আসল পরিবর্তন শুরু হয় আত্মপ্রকাশ থেকে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা এমন এক প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই যারা যুক্তির সাথে কথা বলতে জানে, সহানুভূতির সাথে নেতৃত্ব দিতে পারে, এবং সচেতনভাবে কাজ করতে পারে। আমরা যে উদ্দীপনা ও সম্ভাবনা দেখেছি, এটি কেবল শুরু মাত্র।”
তরুণদের কথার শক্তি, আত্মবিশ্বাস এবং নেতৃত্বের বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে সফলভাবে শেষ হলো ইউনেট স্পিকআপ বাংলাদেশ ২০২৫ যা হয়ে থাকবে বহু তরুণের জীবনের প্রেরণার মাইলফলক। আয়োজনটির স্পন্সর হিসেবে যুক্ত ছিলো ইংলিশ থেরাপি, চমৎকার ডিজিটাল, গ্লোবাল ট্রাভেলস, ব্যাস নেটওয়ার্ক এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি ছাত্রীর গলায় রমদা ধরে ছিনতাই

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রী ক্যাম্পাসে ফেরার উদ্দেশ্যে বাস ধরতে ভোরে বাসা থেকে ইজিবাইকে করে যাওয়ার পথে ৫-৬ জন দুর্বৃত্তের কবলে পড়ে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে। দিনাজপুর জেলার রানীগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, তার গলায় রামদা ধরে টাকা-পয়সা ও মালামাল নিয়ে যায়। তাছাড়াও ছিনতাইকারীরা ইজিবাইক চালককে বেঁধে রেখে ইজিবাইকসহ পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার বাস ধরার জন্য তিনি ভোর সাড়ে ৫টায় একজন পরিচিত ইজিবাইক চালকের সঙ্গে রওনা দেন। পথে একটি নির্জন স্থানে পৌঁছালে হঠাৎ ৫-৬ জন ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে। প্রথমে দুর্বৃত্তরা চালকের মোবাইল ফোন ও ইজিবাইকের চাবি ছিনিয়ে নেয় এবং চালককে বেঁধে ফেলে। পরে তার গলায় রামদা ধরে ভয় দেখিয়ে কাছে থাকা টাকা-পয়সা দাবি করে। প্রাণভয়ে তিনি সঙ্গে থাকা ২,৫০০ টাকা দিয়ে দেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী আরও জানান, ছিনতাইকারীরা তাকে নামিয়ে দিয়ে ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ইজিবাইকে থাকা তার একটি লাগেজও নিয়ে যায় তারা। এতে তার ল্যাপটপ ও প্রয়োজনীয় জামা-কাপড় ছিলো। পরে ওই ছাত্রী রাস্তার পাশে থাকা এতিমখানায় গিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করে। তবে তার কাছে থাকা মোবাইলফোনটি নিতে পারেননি ছিনতাইকারীরা। পরবর্তীতে বাড়িতে যোগাযোগ করলে পরিবারের সদস্যরা এসে বাড়িতে নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ছাত্রী বলেন, আমি সবসময়ই এই রাস্তায় একাই যাতায়াত করি। এর আগে কখনো আমার সাথে এমন ঘটেনি। আমি অনেক ভয় পেয়েছি। তবে আমি এখন নিরাপদে আছি। থানায় জিডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে সিইউও হলেন ক্যাডেট সার্জেন্ট সুলতান মাহমুদ

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) সুন্দরবন রেজিমেন্টের অধীন ২৪ বিএনসিসি ব্যাটালিয়নের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্লাটুনের ক্যাডেট আন্ডার অফিসার (সিইউও) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ক্যাডেট সার্জেন্ট সুলতান মাহমুদ। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সুন্দরবন রেজিমেন্টের রেজিমেন্ট কমান্ডার লে. কর্নেল কামরুল ইসলাম, পিএসসি, আর্টিলারি এবং ২৪ বিএনসিসি ব্যাটালিয়নের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার অধ্যাপক মেজর ড. শাহিনুর রহমান তাকে র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন।
এরআগে, ৭ জানুয়ারি সুন্দরবন রেজিমেন্ট অ্যাডজুট্যান্ট মেজর পলাশ কুমার বিশ্বাস, ইএমই স্বাক্ষরিত (রেজিমেন্ট কমান্ডারের পক্ষে) এক আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
সিইউও সুলতান মাহমুদ বলেন, সিইউও হিসেবে সুন্দরবন রেজিমেন্ট কর্তৃক যে দায়িত্ব পেয়েছি, তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্লাটুনকে আরও এগিয়ে নেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আমার লক্ষ্য থাকবে, ক্যাডেটরা যেন এথিকস বজায় রেখে নিজেদের আরও দক্ষ ও চৌকস প্রমাণ করতে পারে। সবার দোয়া কামনা করছি যেন দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি।
আগামী ৬ মাসের জন্য তিনি সুন্দরবন রেজিমেন্ট এর ২৪নং ব্যাটালিয়নের আলফা কোম্পানির সিইউও এবং কোম্পানি এডজুটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, সুলতান মাহমুদ ৩টি ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প, ২টি রেজিমেন্ট ক্যাম্প ও ১টি কেন্দ্রীয় ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া, ইবিতে ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবস, ২০২৩ সালের ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবস প্যারেড ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস প্যারেড, ২০২৪ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস প্যারেড, ভর্তি পরীক্ষার ডিউটিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু আজ

আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এদিন সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হবে, যা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছেন ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন শিক্ষার্থী। সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ছাত্র সাত লাখ এক হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী সাত লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা দুই হাজার ২৯১টি, প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪টি।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থী দুই লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এরমধ্যে ছাত্র এক লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন, ছাত্রী এক লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫টি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নয় হাজার ৬৩টি।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থী এক লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র এক লাখ আট হাজার ৩৮৫ জন ও ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খোন্দকার এহসানুল কবির বলেন, প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখনও পর্যন্ত আমরা আমাদের কোনো ঘাটতি দেখতে পাচ্ছি না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী এবং আমাদের মনিটরিং টিম যেটা আছে এবং প্রত্যেক বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সজাগ আছেন।
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতি বোর্ডের ১৪ নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো—
১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ (ত্রিশ) মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে;
২. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে;
৩. প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না;
৪. পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট হতে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন পূর্বে সংগ্রহ করবে;
৫. শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রেরণ করবে।
৬. পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের OMR ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না;
৭. পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে;
৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না;
৯. কোন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে;
১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে;
১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে মুঠোফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না;
১২. সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে;
১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে;
১৪. পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
এছাড়া পরীক্ষা চলাকালে, পরীক্ষা শুরুর আগে বা পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী এবং পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের আশেপাশের ফটোকপি মেশিন বন্ধ থাকবে। ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রাত পোহালেই এসএসসি পরীক্ষায় বসছে সোয়া ১৯ লাখ শিক্ষার্থী

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল)। এদিন সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হবে, যা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছেন ১৯ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন শিক্ষার্থী। সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী—প্রথমদিনে দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মাদরাসা বোর্ডের অধীন কোরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং কারিগরি বোর্ডের বাংলা-২ (দাখিল ও ভোকেশনাল) পরীক্ষা হবে। সব বোর্ডের প্রথমদিনের পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, পরীক্ষা গ্রহণে যা যা প্রস্তুতি দরকার, তা করা শেষ। পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি প্রশ্নফাঁসের গুজব ফেসবুকে বা অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিচ্ছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবেন।
৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশ
পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে সব পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিটের পর পরীক্ষাকেন্দ্রে এলে রেজিস্টারে নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে।
বিলম্বে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে অবহিত করবেন। তবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পর কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ বা পরীক্ষা গ্রহণে অনুমতি দেওয়া যাবে না।
মোবাইল ফোন-ঘড়ি-ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিষেধ
কেন্দ্রসচিব ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন ও মোবাইল ফোনের সুবিধাযুক্ত ঘড়ি, কলম বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
কোন বোর্ডে কত পরীক্ষার্থী
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ ও ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। ৯টি বোর্ডে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২৯১টি। ১৮ হাজার ৮৪টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ ও ছাত্রী ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫টি। পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৯ হাজার ৬৩টি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ জন এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন।
গুজব-প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে ৩৫ দিন কোচিং বন্ধ
এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে প্রশ্নফাঁসের গুজব ও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা শুরুর দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। লিখিত পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।
পাশাপাশি পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে কোনো ধরনের ফটোকপি মেশিন চালু রাখা যাবে না। তাছাড়া এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ১৬ মার্চ ‘এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ওইদিন শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এসএসসি পরীক্ষাগ্রহণ বিশাল কর্মযজ্ঞ, যার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে হয়। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় নানামুখী চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অসাধু চক্রের যেকোনো অপতৎপরতার প্রতি নজর রাখতে হবে।
সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, প্রশ্নফাঁসের গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষা চলাকালীন দিনগুলোতে পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত দেশের সর্বত্র সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
নকলমুক্ত পরীক্ষা নিশ্চিতে কঠোর মাউশি
নকলমুক্তভাবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শেষ করার জন্য মাঠপর্যায়ের সব কর্মকর্তাকে চূড়ান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এক চিঠিতে গত ৭ এপ্রিল এ নির্দেশনা দেয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ১০ এপ্রিল থেকে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে গত ১৯ মার্চ একটি স্মারকপত্র পাঠানো হয়। স্মারকপত্রের মর্মানুযায়ী—পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অধিদপ্তরের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে নির্দেশ
এদিকে, পরীক্ষা চলাকালীন সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যবস্থা নিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিদ্যুৎ বিভাগও এ নিয়ে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে গুজব প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক জনসচেতনতার জন্য প্রচারের ব্যবস্থা নিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠুভাবে বজায় রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও অনুরোধ করা হয়।
এছাড়া শিক্ষা বোর্ড থেকে দূরবর্তী কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে উত্তরপত্র দ্রুততম সময়ে বোর্ডে পৌঁছানোর জন্য ডাক বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়। বোর্ডের নিকটবর্তী কেন্দ্রগুলো থেকে উত্তরপত্র দ্রুততম সময়ে সরাসরি বোর্ডে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।