স্বাস্থ্য
সারাদেশে সরকারি ফার্মেসি চালু করছে সরকার

সারাদেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে সরকারি ফার্মেসি চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এর মাধ্যমে ২৫০ ধরনের ওষুধ তিন ভাগের এক ভাগ দামে পাবেন সাধারণ মানুষ।
গুণগত ও মানসম্পন্ন ওষুধ সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্যখাতের বিশাল চাপ এবং ওষুধের উচ্চমূল্যের কারণে অনেক রোগী চিকিৎসা খরচ বহন করতে পারছেন না, যার ফলে তারা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের এই ফার্মেসি ব্যবস্থা একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
এবিষয়ে অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, সরকারের এই উদ্যোগটি সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় উপকারিতা বয়ে আনবে। আমাদের লক্ষ্য হলো, ওষুধের খরচ কমিয়ে স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের কাছে আরও সহজলভ্য করা। সরকারি ফার্মেসি চালু হলে, এর মাধ্যমে ৮৫ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা সম্ভব হবে, যা স্বাস্থ্য খাতের জন্য একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ।
তবে সরকারি ফার্মেসি সুষ্ঠুভাবে কার্যকর করতে ওষুধ চুরি ঠেকানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা মোকাবিলা করতে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, প্রতি বছর সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইডিসিএল প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার ওষুধ কিনে থাকে এবং এখন থেকে বাজেট বাড়িয়ে আরও বেশি পরিমাণে ওষুধ কেনা হবে। সরকারের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ সময়মতো সরবরাহ করা যায়, তা নিশ্চিত করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতায় সাহসী উদ্যোগ টক হোপ’র

বর্তমান সময়ে তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, বিশেষ করে ডিপ্রেশন ও আত্মহত্যার প্রবণতা, একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা এবং পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার হার দিন দিন বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে, তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা ভিত্তিক সংগঠন ‘টক হোপ’।
২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারী প্রতিষ্ঠিত হয় টক হোপ। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মো. ফয়সাল কানন। তার সহযোগীরা তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তারা দেখেন যে তরুণরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, কিন্তু তাদের কাছে সাহায্যের জন্য সঠিক পথ নির্দেশনা নেই। এই সমস্যা সমাধানে তারা একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যা আজকের দিনে তরুণদের জন্য একটি আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এরই মধ্যে সংগঠনটি ‘ওয়ার্কশপ অন টক হোপ’ কর্মশালার আয়োজন করেছে। এতে অংশগ্রহণ করেছে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী।
সংগঠনটি ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে। এই সেশনে মানসিক স্বাস্থ্য, ডিপ্রেশন, উদ্বেগ এবং আত্মহত্যার প্রবণতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন, তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন এবং কিভাবে তারা নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখতে পারে সে বিষয়ে পরামর্শ দেন।
এছাড়া ‘টক ফর হোপ’ নামে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক সেশন পরিচালনা করছেন টক হোপ’র চিফ কো-অর্ডিনেটর মো. ফয়সাল কানন।
এছাড়া সংগঠনটির ফেসবুক পেজের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। যেকোনো তরুণ যিনি মানসিক চাপ বা উদ্বেগ অনুভব করছেন, তিনি বিনামূল্যে অনলাইন কাউন্সেলিং নিতে পারেন। এতে করে তারা তাদের সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং পেশাদার কাউন্সেলরের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।
সংগঠনটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব প্রভৃতি মাধ্যমে নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কনটেন্ট প্রকাশ করছে। এই কনটেন্টগুলোতে তরুণদের জন্য বিভিন্ন টিপস, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তথ্য ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ভিডিও তৈরি করা হয়। এতে করে তরুণরা সহজেই তথ্য পেতে পারেন এবং নিজেদের সমস্যা সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন।
তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করে, তাদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করাই হচ্ছে তাদের লক্ষ্য। তারা বিশ্বাস করেন যে একটি সুস্থ মনই একটি সফল জীবনের ভিত্তি। এছাড়া একটি সমাজ গঠন করা, যেখানে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে কোনো কুসংস্কার থাকবে না এবং সবাই মানসিক সুস্থতার গুরুত্ব বুঝবে। তারা চান যে সকল তরুণ যেন নিজেদের সমস্যা নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে পারে এবং প্রয়োজন হলে সাহায্য নিতে পারে।
টক হোপের এই উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। তারা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এখন অনেক তরুণ তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী হচ্ছেন এবং সাহায্য নিচ্ছেন।
সংগঠনটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে:
• বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কার্যক্রম: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন করা।
• মোবাইল অ্যাপ এবং ২৪/৭ কল সেন্টার: তরুণদের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা যেখানে তারা সহজেই তথ্য পেতে পারবেন এবং কল সেন্টারে ফ্রী তে কাউন্সেলিং সেবা নিতে পারবেন।
• সম্প্রদায় ভিত্তিক প্রোগ্রাম: বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসূচি আয়োজন।
মানসিক স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা তরুণদের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে। টক হোপের মতো সংগঠনগুলো তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করছে যেখানে তারা নিজেদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পারেন এবং সহায়তা পেতে পারেন। তাদের উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করছে এবং আশা করা যায় যে ভবিষ্যতে আরও অনেক তরুণ এই ধরনের সহায়তা পাবে।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
সরকারি ফার্মেসি চালুর উদ্যোগ, কম দামে মিলবে ২৫০ রকম ওষুধ

থমবারের মতো সারা দেশের সব সরকারি হাসপাতাল চত্বরে ‘সরকারি ফার্মেসি’ চালুর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। বহুল ব্যবহৃত ২৫০ ধরনের ওষুধ মিলবে এসব ফার্মেসিতে, যেখানে ওষুধ কেনা যাবে এক-তৃতীয়াংশ দামে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সারাদেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে সরকারি ফার্মেসি চালু করা হবে। গুণগত ও মানসম্পন্ন ওষুধ সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ২৫০ ধরনের ওষুধ এক-তৃতীয়াংশ দামে পাবেন সাধারণ মানুষ।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানান, সরকারি হাসপাতালগুলোতে ল্যাব সার্ভিস আছে, অন্য প্রাইমারি হেলথকেয়ার সার্ভিস আছে, কিন্তু কোথাও কোনো ফার্মাসিউটিক্যাল সার্ভিস নেই। নতুন উদ্যোগ হিসেবে দেশের সব সরকারি হাসপাতাল চত্বরে সরকারি ফার্মেসি চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এতে ২৫০ ধরনের ওষুধ এক-তৃতীয়াংশ দামে পাবেন সাধারণ মানুষ।
তিনি বলেন, সরকারের এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় উপকারিতা বয়ে আনবে। ওষুধের খরচ কমিয়ে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের কাছে আরও সহজলভ্য করা হবে, যে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বর্তমানে ওষুধের উচ্চমূল্যের কারণে অনেকেই চিকিৎসাব্যয় বহন করতে পারছেন না, ফলে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই সমস্যা সমাধানে সরকারি ফার্মেসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে প্রায় ৮৫ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা সম্ভব হবে, যা স্বাস্থ্যখাতে একটি বিপ্লবী পরিবর্তন আনবে। তবে সুষ্ঠুভাবে ফার্মেসি পরিচালনায় ওষুধ চুরি রোধ একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যা মোকাবিলায় ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হবে।
প্রতি বছর সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার ওষুধ কিনে থাকে উল্লেখ করে সায়েদুর রহমান বলেন, এখন থেকে বাজেট বাড়িয়ে আরও বেশি পরিমাণে ওষুধ কেনা হবে। সরকারের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যেন প্রয়োজনীয় ওষুধ সময়মতো সরবরাহ করা যায়, তা নিশ্চিত করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ছুটিতেও সেবা দিতে প্রস্তুত ঢাকার হাসপাতালগুলো

ঈদে দীর্ঘ ৯ দিনের ছুটিতে দেশ। ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি চলবে সব সরকারি ও অধিকাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। লম্বা এই ছুটিতে কীভাবে চলবে হাসপাতালগুলো? কেমন হবে সেবা কার্যক্রম? ঈদের ছুটিতে জরুরি রোগীদের নিয়ে কোথায় যাবেন, কোথায় গেলে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা পাবেন, এ নিয়ে অনেকের মধ্যেই দুশ্চিন্তা থাকতে পারে। তবে ঈদের ছুটিতে রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালগুলো সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
ঈদ ঘিরে ঢাকা এখন অনেকটাই ফাঁকা। হাসপাতালগুলোতেও রোগীর জটলাও কিছুটা কম। তবে জরুরি বিভাগের অনেক রোগী ও তাদের স্বজনদের ঈদ করতে হবে হাসপাতালেই। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ এই ছুটিতেও তারা হাসপাতালে পর্যাপ্ত জনবল রাখছেন। বিশেষ করে জরুরি বিভাগ, ওটি ও ইনডোরে নিয়মিত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মাচারীরা সেবা দেবেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসা একটি জরুরি সেবা, এটা বন্ধ হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। ঈদে ছুটির দিনগুলোতেও হাসপাতালের কার্যক্রম চলমান থাকবে। সরকারি হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের সেবা ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে। তবে ঈদের দিন, ঈদের আগের এবং পরের দিন শুধুমাত্র আউটডোরে রোগী দেখার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটির দিনগুলোতে চিকিৎসক এবং নার্স রোস্টার অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি ঈদের দিন রোগীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও করা হবে।
ঈদের ছুটিতে হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে। ঈদের ছুটিতেও জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে। তিনদিন আউটডোর সেবা বন্ধ থাকবে। চিকিৎসকরা রোস্টার অনুযায়ী ডিউটি করবেন। এবার যদিও সরকারি ছুটি তিনদিন কিন্তু চিকিৎসকদের আসলে ছুটি নাই।
ঈদের দিনে রোগীর জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা থাকবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সকালে রোগীদের সেমাই ফিরনি খেতে দেওয়া হয়, এছাড়াও দুপুরে পোলাও খাসির মাংস এবং ডিম দেওয়া হয়।
চিকিৎসাসেবায় মানুষের সবচেয়ে বেশি ভরসার জায়গা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ওই হাসপাতালে দৈনিক এক হাজার জনবল কর্মরত থাকবেন বলে জানিয়েছেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, বেশিরভাগ জরুরি বিভাগের রোগী আসে। আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছি। ছুটির মধ্যে প্রতিদিন ১৫০ জন ডাক্তার, ৫০০ নার্স ও অন্য কর্মচারীরা মিলে এক হাজারের বেশি জনবল নিয়োজিত থাকবে। আমরা প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহও নিশ্চিত করেছি।
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান বলেন, ঈদের আগের দিন, ঈদের দিন এবং পরের দিন আমাদের আউটডোর বন্ধ থাকবে। এর আগে পরে আউটডোরে রোগীরা চিকিৎসা পাবেন, সেই ব্যবস্থা করা আছে। এছাড়াও আমাদের হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগ ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে। অমুসলিম ডাক্তারদের দিয়ে পাঁচ দিনের রোস্টার করা আছে।
তিনি বলেন, জরুরি অপারেশন থিয়েটার, সার্জারি এবং গাইনি বিভাগের টিম রেডি আছে, চালু থাকবে। প্রত্যেকটা ওয়ার্ডের রোস্টার রেডি করা আছে, সেই অনুযায়ী ডিউটিতে থাকবে। আমাদের হাসপাতালের সব স্তরে চিকিৎসক আছে। এ ছাড়া তৃতীয় শ্রেণি, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং নার্স ডিউটিতে উপস্থিত থাকবে। ফলে, আশা করি কোনো অসুবিধা হবে না।
ঈদ উপলক্ষে বিশেষ কোনো খাবারের ব্যবস্থা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের দিন বরাবরের মতোই বিশেষ খাবার বরাদ্দ করা হবে।
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে নিরবচ্ছিন্ন স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ডের স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল, কিডনি হাসপাতাল, হৃদরোগ হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতাল সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালে জরুরি ও ইনডোর সার্ভিস চালু থাকবে। ছুটির দিনেও বিশেষ ব্যবস্থায় সেবা কার্যক্রম চালু রাখবে হাসপাতালগুলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন আজ

দেশজুড়ে ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন শুরু আজ শনিবার। এর আওতায় প্রায় ২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে ‘ভিটামিন এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
শৈশবকালীন অন্ধত্ব প্রতিরোধ এবং শিশুমৃত্যুর হার কমাতে ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। মোট এক লাখ ২০ হাজার টিকাদান কেন্দ্রে টিকা খাওয়ানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বছরে ২ বার ৯৮ শতাংশ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত অন্ধত্বের হার ১ শতাংশের নিচে কমে এসেছে এবং শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে।
এই সাফল্য ধরে রাখতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখা হয়েছে।
ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। টিকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী বা স্বেচ্ছাসেবক ক্যাপসুলের মুখ কাঁচি দিয়ে কেটে ভেতরে থাকা সবটুকু তরল শিশুকে খাওয়াবেন। শিশুদের কান্নার সময় অথবা তাদের জোর করে ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পর্যালোচনার জন্য ক্যাম্পেইনের দিন প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
মেডিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণদের ফল স্থগিত

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পাস করা ১৯৩ জনের ফলাফল যাচাই-বাছাই ২৯ জানুয়ারির মধ্যে, সে পর্যন্ত তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, কোটা থাকবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নিবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর আগে সোমবার সকালে শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। সমাবেশে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল আজকে মধ্যে বাতিলের দাবি জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ফল পুনরায় প্রকাশের দাবি করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, কোটার মাধ্যমে আবারও মুজিববাদ ও শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে। বাংলাদেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখনও কোটা রয়ে গেছে। অবিলম্বে এই কোটা প্রথা বাতিল করতে হবে।
তাদের দাবি, যে কোটার জন্য এত প্রাণ দিতে হলো, সেই কোটা আবার ফিরে এসেছে। এর জবাব বর্তমান সরকারকে দিতে হবে। এই ফল বাতিল করে শুধু মেধার ভিত্তিতে নতুন ফল প্রকাশ করতে হবে।
এদিকে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রের, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। সোমবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, আপনারা জানেন যে কোটা বাতিলের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত থেকে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেখানে মূল পরিবর্তন হলো নাতি-নাতনির পরিবর্তে, পরবর্তী প্রজন্মের বদলে সন্তান বলা হয়েছে। অতএব কোটার বিষয়টিতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে এটা একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাও প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী হয়েছে। তারপরও এটা স্ক্রুটিনি করা হবে।
তিনি বলেন, এই ১৯৩ জনের (যারা কোটায় মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন) মধ্যে খুবই আনইউজুয়াল হবে যাদের (বাবার) বয়স ৬৭-৬৮ এবং যাদের সন্তান থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। সেখানে যদি কোনো ত্রুটি ধরা পড়ে তাহলে সেটা দেখা হবে। এমবিবিএস পরীক্ষায় মূল কোটা থাকবে কি থাকবে না, এই নীতিগত সিদ্ধান্তটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয়, এটি রাষ্ট্রের। আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি এটি যাচাই করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জানুয়ারি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৫টি আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
চলতি বছর ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ছিল ৪০। অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর মধ্যে মোট ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পাসের হার ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী ২২ হাজার ১৫৯ জন, যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৩৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ ছাড়াও উত্তীর্ণ মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯৩৬ জন, যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৬৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর ৯০ দশমিক ৭৫।