অর্থনীতি
ঢাকায় ৪ দিনের বিনিয়োগ সম্মেলন শুরু আজ

দেশে বৈশ্বিক বিনিয়োগের দুয়ার খুলতে আজ থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে চার দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫’। এতে বিশ্বের ৫০টি দেশের ৫৫০ জনের বেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
রোববার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের জন্য একটি বিনিয়োগের পাইপলাইন তৈরি হবে। সম্মেলনে দেশি-বিদেশি পাঁচজন বিনিয়োগকারীকে পুরস্কার দেওয়া হবে। এছাড়া মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হবে।
সম্মেলনে কারা আসছেন
বিনিয়োগ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে থাকবেন যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন, বহুজাতিক কোম্পানি স্যামসাংয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাং-জু লি, কাপড়ের ব্র্যান্ড জিওর্ডানো ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কলিন মেলভিল কেনেডি কারি। এ ছাড়া এক্সিলারেট এনার্জির প্রেসিডেন্ট ও পাকিস্তানের দাউদ গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্টের সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এসব ব্যক্তির পাশাপাশি আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা, উবার, টেলিনর ও টয়োটার মতো অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এ ছাড়া বিশ্বের বেশ কিছু বড় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিও আসছে সম্মেলনে। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বি-ক্যাপিটাল, মালয়েশিয়া ও হংকংভিত্তিক গোবি পার্টনার্স, কনজাংশন ক্যাপিটাল ও মার্কোর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে।
জানা গেছে, সম্মেলনে যোগ দেওয়া বড় ব্যবসা খাতের বিনিয়োগকারীদের নিয়ে ঢাকার বাইরে একাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করা হবে। এর অংশ হিসেবে সম্মেলনের প্রথম দিনে সোমবার (৭ এপ্রিল) বিনিয়োগকারীদের চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত কোরিয়ান ইপিজেড ও মিরসরাইয়ের জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এনএসইজেড) পরিদর্শন করানো হবে। এ ছাড়া মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, এ বছর সংস্কারের বছর, আমরা বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এসে নতুন বাংলাদেশ দেখাতে চাই। ১০ বছর পর বাংলাদেশ কেমন হবে সেই আভাস দেওয়া হবে এবারের সামিটে। বাংলাদেশের ব্যাপারে বিশ্বের ধারণা চেঞ্জ করা হবে এই সামিটের মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকে জোর দিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে আজ থেকে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শুরু হতে যাচ্ছে চারদিন ব্যাপী এই বিনিয়োগ সম্মেলন। যেখানে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরা হবে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অর্থনৈতিক সংস্কারের পূর্বাপর। আগামী ৯ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫’ এর উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
শুল্কারোপ ইস্যুতে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা ৩৭ শতাংশ শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত চেয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৭ এপ্রিল) এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়, আমরা আপনাকে আশ্বস্ত করছি, আপনার বাণিজ্য এজেন্ডা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশে। আপনার ঘোষণার পর আমি আমার উচ্চ প্রতিনিধিকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠিয়েছি যাতে ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল বাজারে আমেরিকান রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যায়। আমরাই প্রথম দেশ যারা এ ধরনের ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছি।
‘আমরাই প্রথম দেশ যারা রপ্তানির ওপর স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য বহু বছরের চুক্তি করেছি। আমাদের কর্মকর্তারা তখন থেকেই বাংলাদেশে আমেরিকান রপ্তানি দ্রুত বাড়ানোর জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা চিহ্নিত করতে কাজ করছেন। বাণিজ্য উপদেষ্টা আমাদের বিশদ কার্যক্রম নিয়ে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারে কাজ করবেন।’
চিঠিতে বলা হয়, আমাদের কর্মপরিকল্পনার মূল ফোকাস তুলা, গম, ভুট্টা, সয়াবিনসহ এ জাতীয় মার্কিন পণ্যগুলির আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো, যা মার্কিন কৃষকদের আয় ও জীবিকা নির্বাহে অবদান রাখবে। মার্কিন তুলার বাজারে গতি বাড়াতে আমরা বাংলাদেশে বন্ডেড ওয়্যারহাউজিং (গুদামজাতকরণ) সুবিধা চূড়ান্ত করছি, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকবে।
ড. ইউনূস চিঠিতে বলেন, দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে বেশিরভাগ মার্কিন রপ্তানিতে বাংলাদেশের শুল্ক রয়েছে। আমরা উপরোক্ত মার্কিন কৃষিপণ্য ও স্ক্র্যাপ ধাতুর ওপর শূন্য শুল্ক দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা শীর্ষ মার্কিন রপ্তানি পণ্য গ্যাস টারবাইন, সেমিকন্ডাক্টর ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক কমানোর জন্য কাজ করছি।
‘আমরা এরই মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি সম্পন্ন করেছি। ইন্টারনেটের এই গতি বেসামরিক বিমান চলাচল এবং প্রতিরক্ষাসহ বেশ কয়েকটি উন্নত প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশে মার্কিন ব্যবসার জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৯ মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১০.৬৩ শতাংশ

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) বাংলাদেশের রপ্তানি খাত প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এসময়ে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৭ দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ের ৩৩ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
দেশের রপ্তানি কর্মক্ষমতা নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে৷
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে ৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে, যা ২০২৪ সালের মার্চের ৩ দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।
প্রথাগতভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত তার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ এই নয় মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি খাত থেকে ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিফলন।
এর মধ্যে শুধু মার্চেই এই খাতে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের মার্চে ছিল ৩ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তৈরি পোশাক ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি খাত সামগ্রিক রপ্তানি বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে বলে জানিয়েছে এনবিআর।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভিয়েতনাম থেকে এলো ১২ হাজার ৭০০ টন চাল

ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা আরও ১২ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি সম্পাদিত চুক্তির আওতায় জি টু জি ভিত্তিতে (প্যাকেজ-১) ভিয়েতনাম থেকে ১২ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে এমভি এমডি সি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা এরইমধ্যে শেষ হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জি টু জি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে মোট ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এরইমধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ৬০ হাজার মেট্রিক টন চাল দেশে পৌঁছেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ৯০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন

নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তার জন্য ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখান থেকে শুধু স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে মূলধন জোগান দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫-এর স্টার্টআপ কানেক্ট সেশনের আলোচনায় এ কথা জানান তিনি। এ বিষয়ে শিগগিরই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর।
এদিন রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘এমপাওয়ারিং ইনোভেশন কানেক্টিং অপরচ্যুনিটি’ শিরোনামে স্টার্টআপ কানেক্ট সেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় চারদিনব্যাপী বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের। দেশি-বিদেশি তরুণ ও উদ্ভাবনী উদ্যোক্তারা অংশ নেন এ সেশনে।
সেশনের মূলপ্রবন্ধে বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর সম্ভাবনা তুলে ধরেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তানভীর আলী। প্রবন্ধে বলা হয়, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে উদ্ভাবনী স্টার্টআপ উদ্যোগের চাহিদা বাড়ছে। তবে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় দেশে এখনো এই খাতে বিনিয়োগ কম।
বাংলাদেশ ব্যাংক আহসান এইচ মনসুর বলেন, নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক যে বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে তার অর্থ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
এরপর বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ব্যবসা করার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স পাওয়াসহ সরকারি লালফিতার দৌরাত্ম্য বেশি। প্রতিবছর ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।
তিনি আরও বলেন, ৪০ দেশের ৫ শতাধিক বিদেশি বিনিয়োগকারী এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। এসব বিনিয়োগকারীকে চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘুরিয়ে দেখানো হবে।
বাংলাদেশে উদ্ভাবনী উদ্যোক্তার অভাব নেই বলে মন্তব্য করেন বিডার চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, স্টার্টআপ তহবিলের সংকটে নতুন উদ্যোক্তারা ব্যবসা শুরু করতে পারেন না। এ কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংক ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল গঠন করতে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্তা দেন লিংকডইনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। প্যানেল আলোচনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এবং আইসিটি সচিব শীশ হায়দার চৌধুরী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

ঈদের ছুটিতে টানা ৯ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (৫ এপ্রিল) থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলওয়ে শুল্ক স্টেশন দিয়ে।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মির্জা কামরুল হক বলেন, ঈদ উপলক্ষে দুই দেশের পারস্পরিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) থেকে দর্শনা শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। ঈদের আগের দিন ও পরের দিনসহ মোট ৯ দিন বন্ধ ছিল এ কার্যক্রম। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ছুটি শেষ হওয়ায় পরদিন শনিবার সকাল থেকে আবারও পণ্য পরিবহন শুরু হয়।
তিনি আরও জানান, ছুটি শুরুর আগে ভারতের যেসব খালি মালবাহী ওয়াগন বাংলাদেশে অবস্থান করছিল, সেগুলো ধাপে ধাপে ফেরত পাঠানো হয়। কারণ, এসব ওয়াগনের জন্য প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া বাংলাদেশ সরকারকে ভারতকে পরিশোধ করতে হয়। অতিরিক্ত খরচ এড়াতেই ছুটির আগেই ওয়াগনগুলো ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এদিকে দর্শনার জয়নগর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ রমজান জানান, দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে চেকপোস্টের কার্যক্রম ঈদের দিনসহ ছুটির পুরো সময় জুড়েই চালু ছিল।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু সদস্য ছুটির মধ্যেও দায়িত্বে ছিলেন, যাতে যাত্রীসেবা অব্যাহত থাকে। যাত্রীদের যাতায়াতে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটেনি।