ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পদ্মায় নৌকাডুবিতে স্বামীসহ প্রাণ গেল ইবি শিক্ষার্থী মাসুদার

পাবনায় পদ্মা নদীতে ঘুরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে স্বামীসহ প্রাণ হারালেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদা মাহজাবিন মৌ।
শনিবার (০৫ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে নৌ পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষার্থীর বাবা মানিকুজ্জামান মানিক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে পাবনার সুজানগরে পদ্মা নদীতে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় বেড়াতে যান মৌ ও তার স্বামী হৃদয় প্রামাণিক। এক পর্যায়ে মাঝ নদীতে পৌছালে পদ্মার ঢেউয়ে ডুবে যায় নৌকাটি। তবে এসময় বাকিরা সাঁতরে তীরে পৌছাতে পারলেও নিখোঁজ হন মৌ এবং তার স্বামী হৃদয়।
নিহত মৌ -এর বাবা জানান, শুক্রবার বিকালে মৌ তার স্বামীসহ নদীতে বেড়াতে যায়। সন্ধ্যায় আমরা নৌকাডুবির খবর পাই। শনিবার সকাল দশটায় আমরা আমার মেয়ে আর তার স্বামীর মরদেহ খুঁজে পাই। এসময় নিজের নিহত মেয়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া চান তিনি।
নিহত শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা জানান, এমন আকস্মিক এবং হৃদয়বিদারক ঘটনা মেনে নেওয়া কঠিন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা স্তব্ধ হয়ে গেছি। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে যে মৌ আর আমাদের মাঝে নেই। মৌ এবং তার স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত আমরা এবং তার পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাজিদ মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট ও দুর্নীতি শ্বেতপত্র প্রকাশে ইবিতে ফের বিক্ষোভ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আহ্বানে বটতলা প্রাঙ্গণে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমবেত হন তারা।
এসময় শিক্ষার্থীদের ‘পুকুরে লাশ কেন, প্রশাসন জবাব দে; তুমি কে আমি কে, সাজিদ সাজিদ”; Justice Justice, we want justice ; আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিব না; ভয়ভীতি আর অন্ধকার, চাই না চাই না; গাফিলতি মানি না, জবাব ছাড়া ছাড়ি না!; প্রশাসনের তালবাহানা, মানি না মানব না; শিক্ষার্থীরা মর্গে, প্রশাসন স্বর্গে ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ কর্মসূচিতে থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. আ.ব.ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, আল কুরআন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি, অধ্যাপক ড. মোহা. জালাল উদ্দিন, ইবি শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, খেলাফত ছাত্র মজলিস, জমিয়তে তালাবিয়্যা আরাবিয়া-সহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনে বিভাগের শিক্ষার্থী জানান, সাজিদ শুধু আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থী নয়, আপনাদেরও ভাই। আমরা পরিক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করছি। অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরিক্ষা দিচ্ছেন, এটা কাম্য নয়। জুলাই আন্দোলনে যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা মাঠে নেমেছিলাম, সাজিদ হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য একসাথে রাজপথে আন্দোলনে আপনাদের চাই।
আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আরও জানান, সাজিদ রহস্যময় মৃত্যুর তদন্তের কোন অগ্রগতি দেখছি না। ইবি প্রশাসন এই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে অবচেতন কেন? ২৪ ঘন্টায় প্রাথমিক রিপোর্ট দেয়ার কথা ছিল, আমরা পাইনি। ছয়দিন তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার কথা ছিল সেটাও পার হয়ে গেছে। আদৌ তদন্ত রিপোর্ট পাবো কি না জানি না। জুলাই গণঅভ্যুত্থান শহিদের রক্তের উপর দাড়িয়ে আপনারা দায়িত্ব পেয়েছেন। আপানাদের ঘুমিয়ে থাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব দেয়া হয়নি। আমার ভাইয়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে না কি হত্যাকান্ড এটার রহস্য দ্রুত বের করতেই হবে।
ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দরা প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা এখনো পর্যন্ত তদন্ত কমিটি থেকে আশ্বস্ত হওয়ার মত কোন তথ্য পাইনি। সাজিদের মৃত্যু ঠিক কিভাবে হয়েছে তার ন্যূনতম তথ্য প্রশাসন এখনো উপস্থাপন করতে পারেননি। প্রশাসনকে বলে দিতে চাই- অতিদ্রুত সাজিদের সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেন। অন্যথায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো। আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায় নিয়ে যাব, তখন প্রশাসনের কোন সুযোগ থাকবে না।
অধ্যাপক ড. মো. নাছির উদ্দিন মিঝি বলেন, জুলাইয়ের পরে বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীবন্ধব ও নিরাপদ ক্যাম্পাস হিসেবে চেয়েছি। সেই কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যদি এগিয়ে না আসে তবে আমরা মনে করব এই প্রশাসন জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করেনা। সাজিদের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের পক্ষ থেকে অত্যন্ত জড়ালো দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরোও বলেন, কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করছি সাজিদের মৃত্যু অর্থাৎ এই মূল বিষয়কে এড়িয়ে বিভিন্ন অপশক্তি সেখানে ঢোকার চেষ্টা করছে। এই অপশক্তিকে প্রতিহত করে সাজিদ হত্যার রহস্য উন্মোচনে আল কোরআন বিভাগ থেকে শুরু করে সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা ও ছাত্রসংগঠনগুলো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। এই প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে সাজিদ মূল রহস্য উন্মোচনে আমরা এক চুলও ছাড় দেব না ইনশাল্লাহ। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাকে চুল পরিমানও ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসের কানে এই বাণী যাবে, তারা সচেতন হবে এবং সজিদের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করে অতিদ্রুত সকলের সামনে পেশ করতে হবে।
রুটিন উপাচার্য দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, তদন্ত কমিটিকে ১০ কার্যদিবস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ছুটির দিন বাদে ৫ দিন কার্যদিবস পেয়েছে তদন্ত কমিটি। আশা করছি ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পেলে চলতি সপ্তাহের মঙ্গল/বুধবারের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারব।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই বিকেলে শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সাজিদ আব্দুল্লাহর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এটা দুর্ঘটনা না-কি হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাজিদ শহিদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নং কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র পরদিন ১৮ জুলাই জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি করে প্রশাসন। অন্যদিকে একইদিনে শহিদ জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট ড. আব্দুল গফুর গাজীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে হল প্রশাসন। উভয় কমিটিই ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। মৃত্যুর কারণ ও পেছনের সম্ভাব্য রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কাজ চলমান।
কাফি/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ফি নির্ধারণ করে দিলো সরকার

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে। যা চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। সুযোগ পাওয়াদের ভর্তি কার্যক্রম ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। তবে ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।
সরকারের পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে প্রকাশিত নীতিমালা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বৃহস্পতিবারে দেওয়া এ নীতিমালা অনুযায়ী, ঢাকার মেট্রোপলিটন এলাকার ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ টাকা ফি নিতে পারবে।
ঢাকার বাইরে অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজ সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা এবং বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজ ৫ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে।
জেলা পর্যায়ে ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজ সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা এবং বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজ ৩ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে।
উপজেলা পর্যায়ে ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজ ৩ হাজার টাকা এবং বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজ ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত ফি নিতে পারবে।
এ ছাড়া এমপিওভুক্ত কলেজগুলোর ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা, অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় (উভয় ভার্সন) সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা, জেলা পর্যায়ে (উভয় ভার্সন) সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা এবং উপজেলা পর্যায়ে (উভয় ভার্সন) সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) এর উপসচিব মো. আবদুল কুদ্দুস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যে শিক্ষাবর্ষে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তার পূর্ববর্তী দুই বছরের মধ্যেও উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। বিদেশি বোর্ডের ক্ষেত্রে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড মান নির্ধারণ করে অনুমোদন দিলেই ভর্তি করা যাবে।
বিভাগ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা যেকোনো বিভাগে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) আবেদন করতে পারবে। তবে ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাবে না। মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে এসএসসি বা দাখিল ভোকেশনালে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যে কোনো বিভাগে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।
সরকারি ও বেসরকারি কলেজে মোট আসনের ৯৩ শতাংশ থাকবে সকল শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য এবং ১ শতাংশ অধীনস্থ দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তবে সংরক্ষিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সেসব আসনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সমান জিপিএ প্রাপ্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত মোট নম্বর দেখে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। যদি নম্বরও সমান হয়, তাহলে বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে গণিত, জীববিজ্ঞান ও ইংরেজি এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার ক্ষেত্রে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ের নম্বর পর্যায়ক্রমে বিবেচনায় নেওয়া হবে।
একই কলেজে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব কলেজে নির্ধারিত বিভাগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তি হতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগের আসন পূরণ করার পর অবশিষ্ট আসনে বাইরের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা যাবে। ভর্তি প্রক্রিয়া পুরোপুরি অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে এবং কলেজগুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইট ও নোটিশ বোর্ডে ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
ভর্তি সংক্রান্ত ফি নির্ধারণ করবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এবং তা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে। অনুমোদিত ফি-এর অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করা যাবে না এবং রশিদ ছাড়া কোনো ফি গ্রহণ করা নিষিদ্ধ।
তবে ভর্তি শেষে কলেজ পরিবর্তনের সুযোগ থাকলেও অন্য বিভাগ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ফিরে আসার সুযোগ থাকবে না। একইভাবে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর অন্য বিভাগে যাওয়া গেলে পরে বিজ্ঞান বিভাগে ফিরে যাওয়া যাবে না।
একইসাথে বোর্ডের অনুমতি ছাড়া কোনো কলেজ শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র (টিসি) দিতে পারবে না এবং অন্য প্রতিষ্ঠানে সেই ছাড়পত্র দেখিয়ে ভর্তি নেওয়াও যাবে না। বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে ছাড়পত্র দেওয়া ও গ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য ১৫ দিনের মধ্যে বোর্ডে জমা দিতে হবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, কোনো কলেজ যদি অনুমোদিত না হয় বা অনুমোদনবিহীন ক্যাম্পাসে কোনো বিষয়ে ভর্তি কার্যক্রম চালায়, তবে তাদের স্বীকৃতি ও এমপিও বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সরকারি কলেজের ক্ষেত্রেও নীতিমালা লঙ্ঘনের প্রমাণ মিললে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নতুন নীতিমালাটি দেশের সকল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রমে প্রযোজ্য হবে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরবর্তী ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে অনলাইনে আবেদন, মেধা তালিকা প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস শুরু পর্যন্ত সমস্ত কার্যক্রম শেষ করতে হবে বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
চীনের বিমানবন্দরে ঢাবি শিক্ষকের মৃত্য

আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফেরার পথে চীনের কুনমিং বিমানবন্দরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফেরার পথে চীনের কুনমিং বিমানবন্দরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল ২৩ জুলাই মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর।
জাহাঙ্গীর আলমের আকস্মিক মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম একজন নিরহংকার, সদালাপী ও সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। তার মৃত্যুতে জাতি একজন গুণী শিক্ষক ও গবেষককে হারালো। তিনি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম দি দায়সুন একাডেমি অব সাইন্সেস (ডিএওএস)-এর আমন্ত্রণে ৭ম বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য গত ১৭ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়াতে গিয়েছিলেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাজিদের রহস্যময় মৃত্যুর নিয়ে ইবিতে সংবাদ সম্মেলন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ। বিভাগের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের নিয়ে দাবি আদায় ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নিহত সাজিদের বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝির সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফি, বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সাংবাদিক সংগঠনের সাংবাদিকবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি বলেন, “সাজিদ যেহেতু আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থী তাই আমাদের দায়বদ্ধতা একটু বেশি। আমরা সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। ইতিমধ্যেই আমাদের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যু কিভাবে হয়েছে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সেই তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই তাদের কাজ অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি এই ছাত্র অবস্থান করতো শহিদ জিয়াউর রহমান হলে। সেই হলের প্রভোস্ট এবং হলবডির পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিও তাদের কাজ অব্যাহত রেখেছে। সরকারিভাবে পুলিশ প্রশাসন সাজিদ আব্দুল্লাহ যে জায়গায় মারা গিয়েছে সে জায়গা এবং হলসহ প্রয়োজনীয় জায়গা পরিদর্শন করেছে এবং কাজ অব্যাহত রেখেছে।”
তদন্তের সার্বিক বিষয়ে তিনি জানান, “এই লাশ যখন মর্গ থেকে বের করে কবরস্থ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন ছাত্রদের দাবির মুখে এবং শিক্ষার্থীদের ইমোশনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমাদের প্রশাসনের সাথে তাদের এগ্রিমেন্ট হয়েছিল যে দশ কার্যদিবসের মধ্যে, যা পরবর্তীতে ছয় কার্যদিবসে উপনীত করা হয়েছিল সেই কাজও অব্যাহত আছে। সেই কাজটা কতটুকু অগ্রসর হয়েছে তার ফলোআপ জানার জন্য সাজিদ আব্দুল্লাহর বাবা এবং চাচাসহ কয়েকজন লোক গতকাল আমাদের ক্যাম্পাসে এসেছেন। তারা বিভাগের সাথে মতবিনিময় করেছেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির সাথেও বৈঠক করেছেন। সংশ্লিষ্ট হলের গঠিত তদন্ত কমিটির সাথে বৈঠক করেছেন। সর্বশেষ তারা পুলিশ প্রশাসনের সাথে বৈঠক করে বিদায় নিয়েছেন।
সাজিদের পরিবারের দাবি সম্পর্কে তিনি জানান, আমার সন্তান মারা গেছে। আমার সন্তানের যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হয় এবং তদন্তের মাধ্যমে যদি এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়, আমার কোনো কথা নাই। কিন্তু যদি আমার সন্তানের কোনো অপঘাত অথবা কোনো অন্তর্ঘাতমূলক কোনো কার্যক্রমের ফলে মৃত্যু হয় তাহলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার চাই। অর্থাৎ সুষ্ঠু তদন্তের সাপেক্ষে তিনি তারা মৃত সন্তানের বিচার চেয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম, আইন-শৃঙ্খলা ও একাডেমিক কার্যক্রম ব্যহত হয় এমন অথবা সাজিদ আব্দুল্লাহর লাশ যেন কোনো অপব্যবহার বা অপরাজনীতির শিকার না হয় সে ব্যাপারে তিনি অনুরোধ করেছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন, আমার সন্তানের বিচার হচ্ছে আমার প্রধান মুখ্য বিষয়। কিন্তু আমার সন্তানকে কাজে লাগিয়ে কোনো ধরনের রাজনীতি বা অন্তর্ঘাতমূলক কিছু আমি চাই না। আমার মাধ্যমে উনার কথা আপনাদের কাছে পৌছে দিলাম। আপনাদের মাধ্যমে দেশ ও জাতি জানুক যে তিনি কী চাচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি সাজিদের মৃত্যু এবং আন্দোলন কেন্দ্রিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। তবে, সকল কিছুর প্রচারণা গুলো হতে হবে সঠিক। আপনাদের কাছে এই সহযোগিতা আমি কামনা করছি। সাজিদের রহস্যময় মৃত্যু আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা দুর্বল। আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ হলো মুখ্য বিষয় যেন হারিয়ে না যায়।
এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন বিভাগ, সকল সচেতন ছাত্রজনতা, ছাত্র-সংগঠন ও সাংবাদিকদের সঠিক ও সহায়ক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই বিকেলে শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সাজিদ আব্দুল্লাহর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এটা দুর্ঘটনা না-কি হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাজিদ শহিদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নং কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র পরদিন ১৮ জুলাই জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি করে প্রশাসন। অন্যদিকে একইদিনে শহিদ জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট ড. আব্দুল গফুর গাজীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে হল প্রশাসন। উভয় কমিটিই ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। মৃত্যুর কারণ ও পেছনের সম্ভাব্য রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
কাফি/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
যুক্তরাজ্যের মার্কফিল্ড ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি

যুক্তরাজ্যের মার্কফিল্ড ইনস্টিটিউট অব হায়ার এডুকেশনের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর সই করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং মার্কফিল্ড ইনস্টিটিউট অব হায়ার এডুকেশনের পক্ষে রেক্টর ড. জাহিদ পারভেজ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ইংল্যান্ডের লেস্টার শহরের সন্নিকটে যুক্তরাজ্যভিত্তিক উচ্চশিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পাসে এই সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইউকে’র সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান, ইসলামী ফাউন্ডেশন লেস্টারের পরিচালক ফারুক মুরাদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক দেলোয়ার হোসাইন ও উপাচার্যের সহধর্মিণী আমেনা খাতুন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়,”এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম জোরদার হবে। এর মধ্যে রয়েছে যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, শিক্ষার্থী বিনিময়, ফ্যাকাল্টি বিনিময় ও যৌথভাবে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন।”
অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ ও রেক্টর ড. জাহিদ পৃথক উপস্থাপনার মাধ্যমে তাঁদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।
অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ তাঁর উপস্থাপনায় ইবি প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যর ওপর আলোকপাত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির গত ৪৬ বছরের পথচলায় নানা ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন,”বর্তমানে নয়টি অনুষদের অধীনে ৩৮ বিভাগের কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে চারটি বিভাগ ইসলাম ভিত্তিক উচ্চতর শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকরভাবে অন্যান্য সাধারণ বিভাগের উচ্চতর শিক্ষাকার্যক্রমও চালু রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,”সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের মধ্য দিয়ে ইসলামী শিক্ষার সাথে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় করে দেশের উচ্চশিক্ষায় ভূমিকা রেখে উন্নত জাতি গঠনের যে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করেছিল, তা পূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। পরিশেষে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন পাঁচটি হল নির্মাণ ও শিক্ষকদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণসহ তাঁর সময়ে নেওয়া বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন তিনি।”
পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই মার্কফিল্ড ইনস্টিটিউট ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। এর মধ্যে ছিল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরি ও কিউব পাবলিকেশন্সহ ফাউন্ডেশনের অন্যান্য কার্যক্রম।
কাফি/সাকিব