আন্তর্জাতিক
টিকটককে আরো ৭৫ দিন সময় দিলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ওপর ঝুলে থাকা নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের সময়সীমা আবারও ৭৫ দিনের জন্য পিছিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) এ সম্পর্কিত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে দেশটিতে টিকটককে দ্বিতীয়বারের মতো লাইফলাইন প্রদান করলেন তিনি।
অন্যথায় আজই (৫ এপ্রিল) দেশটিতে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতো চীনের বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটি। খবর বিবিসির।
গতকাল শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, “আমরা চাই না টিকটক অন্ধকারে চলে যাক। টিকটক এবং চীনকে নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর আশা করছি।”
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ১৭ কোটিরও বেশি গ্রাহক রয়েছে। কিন্তু এর চীনভিত্তিক মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। টিকটকের মাধ্যমে চীন সরকার মার্কিন জনগণের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারে, এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে মার্কিন প্রশাসন। যদিও বাইটড্যান্স ও চীন এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।
গত বছরের এপ্রিলে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার প্রণীত আইনে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে টিকটক। জো বাইডেন সরকারের আইন অনুযায়ী, বাইটড্যান্সকে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র অংশের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণমূলক মালিকানা চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে কোনো মার্কিন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে। অন্যথায় দেশটিতে টিকটককে নিষিদ্ধ করা হবে।
তবে, জানুয়ারিতে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড দায়িত্ব নেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে টিকটকের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ৭৫ দিন পিছিয়ে দেন। ফলে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সক্ষম হয় টিকটক। ৭৫ দিনের সেই সময়সীমা আজ (৫ এপ্রিল) শেষ হওয়ার কথা ছিল।
গতকাল শুক্রবার ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশের ফলে আরো ৭৫ দিন সময় পেল টিকটক। সে হিসেবে এবার ১৯ জুনের মধ্যে বাইটড্যান্সকে টিকটিক ইস্যুতে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাইটড্যান্স জানিয়েছে, তারা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো কোনো চুক্তি সম্পন্ন হয়নি।
কোম্পানির এক মুখপাত্র বলেছেন, “কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনো নিষ্পত্তি করা বাকি এবং যেকোনো চুক্তি চীনা আইনের অধীনে অনুমোদন নিতে হবে।”
বিবিসি প্রতিবেদন বলছে, গত বুধবার টিকটক কেনার একটি চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে একই দিনে ট্রাম্প চীনের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা করার পর চুক্তিটি ভেঙে যায়।
চুক্তির সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র সিবিএস নিউজকে জানিয়েছে, বাইটড্যান্সের প্রতিনিধিরা হোয়াইট হাউজের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা জানিয়েছেন যে, শুল্কের বিষয়ে আলোচনা না হলে চুক্তিটির অনুমোদন দেবে না চীন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা বাজার অর্থনীতির মৌলিক নীতি লঙ্ঘনকারী অনুশীলনের বিরোধিতা করে।
যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৫৪ শতাংশ মোট শুল্কের সম্মুখীন হয়েছে চীন এবং ৩৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। টিকটক বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হলে শুল্ক কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
মার্কিন মধ্যস্থতায় ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প এই ঘোষণা দেন। তিনি উভয় দেশকে বিবেচনা বোধ ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানান এবং এই বিষয়ে তাদের মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওও এই বিষয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি এবং একটি নিরপেক্ষ স্থানে বিস্তৃত বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শেহবাজ শরিফের প্রজ্ঞা ও নেতৃত্বের প্রশংসা করেন, যারা শান্তির পথ বেছে নিয়েছেন। রুবিও আরও জানান, গত ৪৮ ঘণ্টায় তিনি ও জে ডি ভ্যান্স শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, যাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও শরিফও ছিলেন।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারও পাকিস্তান ও ভারতের তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান সর্বদা তার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার সাথে আপস না করে এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই স্থল, আকাশ ও সমুদ্রে সব ধরনের গোলাগুলি ও সামরিক অভিযান বন্ধ করবে। এই যুদ্ধবিরতি ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিকেল ৫টা থেকে কার্যকর হবে। তিনি আরও জানান, আজ বিকেলে পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক (ডিজিএমও) তার ভারতীয় সমকক্ষকে ফোন করেন এবং উভয় পক্ষ স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রে সব ধরনের গোলাগুলি বন্ধ করতে সম্মত হয়। দুই পক্ষ আগামী ১২ মে পুনরায় যোগাযোগ করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারত যদি থামে, তাহলে আমরাও থামব: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারত যদি উত্তেজনাকর পদক্ষেপ বন্ধ করে, তাহলে ইসলামাবাদও তাই করবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। শনিবার (১০ মে) স্থানীয় একটি টেলিভিশন স্টেশনের সঙ্গে কথা বলার সময় ইসহাক দার এ কথা বলেন।
ভারত ও পাকিস্তান শনিবার একে অপরের বিরুদ্ধে নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করার এবং একে অপরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার অভিযোগ করার পর তার এই মন্তব্য এসেছে।
ইসহাক দার বলেন, যদি সামান্যতম বিচক্ষণতা থাকে, তাহলে ভারতও থামবে এবং যদি তারা থামে, তাহলে আমরাও থামব।
আমরা সত্যিকার অর্থে কোনো একটি দেশের আধিপত্য ছাড়াই শান্তি চাই, বলেও উল্লেখ করেন দার।
এদিকে, পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধ ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য দেশ দুটিকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-৭।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসলামাবাদে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ‘গঠনমূলক আলোচনার’ জন্য সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ-উত্তেজনার মধ্যেই ভূমিকম্প হয়েছে পাকিস্তানে। এক বিবৃতিতে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর পিএমডি জানিয়েছে, শনিবার সকাল ১০টা ৮ মিনিটে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে পাকিস্তানে।
এই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল বা এপিসেন্টার ছিল পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমে হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের ২৩০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের কম্পণ মূলত অনুভূত হয়েছে রাজধানী ইসলামাবাদ এবং খাইবার পাখুতনখোয়া রাজ্যে। এছাড়া আটক, পেশোয়ার, মারদান, নওশেরা, সোয়াবি, উত্তর ওয়াজিরিস্তিানসহ বিভিন্ন জেলায় টের পাওয়া গেছে কম্পণ।
তবে এতে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ভৌগলিকভাবে পাকিস্তানের অবস্থান ভারতীয় ও ইউরাশীয় টেকটোনিক প্লেটের একটি সংযোগস্থলে। তাই এ দুই টেকটোনিক প্লেটের কোনোটি সামান্য অবস্থান পরিবর্তন করলেই ভূমিকম্প হয় দেশটিতে।
এর আগে ২০১৫ সালে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৪০০ মানুষ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে পাল্টা হামলা শুরু করেছে পাকিস্তান

ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ এর বদলা হিসাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বানিয়ান মারসুস’ শুরু করেছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ দাবি করেছে, ভারত তাদের তিনটি বিমানঘাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। এর জবাবে ভারতের পাঠানকোট, উধমপুরসহ বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে তারা।
শ্রীনগর থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, যে ভোর পৌনে ছয়টার দিকে সেখানে কয়েকটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। শহরজুড়ে এখন পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট চলছে।
এর আগে ভারত আর পাকিস্তান দুটি দেশই দাবি করে যে শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদের ওপরে অপর দেশ থেকে হামলা হয়েছে।
উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের ৩২টি বিমানবন্দর থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের করাচির ফায়সাল হাইওয়েতে একাধিক বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে বলে জানাচ্ছেন বিবিসির সংবাদদাতারা।
গুলিস্তাঁ-এ-জওহার এলাকার এক বাসিন্দা জুবেইর আশরাফ বিবিসিকে জানিয়েছেন যে ভোরবেলা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তিনি। আকাশে আলোর ঝলকানিও দেখতে পেয়েছেন মি. আশরাফ।
বিস্ফোরণের পরেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, সবাই তাদের বাড়ির আলো নিভিয়ে দেন।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে শুক্র ও শনিবারের মাঝ রাতে উত্তরের বারামুল্লা থেকে গুজরাতের ভুজ পর্যন্ত ২৬টি জায়গায় ড্রোন দেখা গিয়েছে। সূত্র: বিবিসি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশি ৪ টিভির ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করল ভারত

নিজ দেশে ৪টি বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলের ইউটিউব চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করেছে ভারত। এই চ্যানেলগুলো হলো যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন ও মোহোনা টিভি। জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভারত অনুরোধ জানানোর পর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মুক্ত ফ্যাক্টচেকিং সাইট ডিসমিসল্যাব।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের প্রতিবেদন প্রকাশে সময় (গতকাল শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত) পর্যন্ত চ্যানেলগুলোতে প্রবেশ করা যায়নি। ভারতের ভূখণ্ডের কোনো এলাকায় এই চার টিভি চ্যানেলের ইউটিউব চ্যানেল আর দেখা যাচ্ছে না। দেশটির ভূ-অবস্থান থেকে এই চ্যানেলগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করলে একটি বার্তা সামনে আসছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘এই কনটেন্টটি বর্তমানে এ দেশে প্রদর্শনযোগ্য নয়। কারণ, এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সরকারি আদেশের আওতায় রয়েছে।’
ইউটিউব কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে বাংলাদেশি এই চার টিভি চ্যানেলের কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে নোটিশ দিয়েছে। যমুনা টিভির কর্তৃপক্ষ ডিসমিসল্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন যে তারা নোটিশ পেয়েছেন। সেই নোটিশে বলা হয়েছে, “ভারতের সরকারের কাছ থেকে আমাদের কাছে এই মর্মে অনুরোধ করা হয়েছে যে আপনার কন্টেন্টগুলোর সম্প্রচার যেন দেশটিতে বন্ধ করা হয়, কারণ আপনার সম্প্রচারিত কন্টেন্টগুলো ভারতের জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে…এই কারণে এখন থেকে আপনার চ্যানেলে আপলোড করা কন্টেন্টগুলো আর ভারতে প্রদর্শন বা সম্প্রচার করা হবে না।”
বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য ডিসমিসল্যাব ভিপিএনে (ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) যুক্ত হয়ে আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ঠিকানায় ভারতীয় অবস্থান নিশ্চিত করার পর ইউটিউবের অফিশিয়াল সাইটে গিয়ে তাদের তালিকাভুক্ত ৩৮টি বাংলাদেশি সংবাদ ও মিডিয়া চ্যানেল যাচাই করেছে। এগুলোর মধ্যে যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন এবং মোহনা টিভিতে প্রবেশ করা যায়নি। পাশাপাশি চ্যানেলগুলোতে জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনাসংবলিত বার্তাও দেখা গেছে।
পাশাপাশি, এই চার চ্যানেলের ইউটিউব লিংক নয়াদিল্লি ও কলকাতাভিত্তিক দুজন সাংবাদিককে পাঠিয়েছে ডিসমিসল্যাব। তারাও নিশ্চিত করেছেন যে চ্যানেল চারটিতে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। এর একটি স্ক্রিন রেকর্ডও তারা ডিসমিসল্যাবকে প্রদান করেছেন।
ভারতের ‘ইন্টারমিডিয়ারি গাইডলাইনস ও ডিজিটাল মিডিয়া এথিকস কোড রুলস’ আইন মেনে চলে ইউটিউব। এ আইনের আওতায় ভারত সরকার কোনো কনটেন্ট ও চ্যানেলকে জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব বা জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি বলে মনে করলে তা ব্লক করার নির্দেশ দিতে পারে।
কাশ্মিরের পেহেলগামে ২৬ জন পর্যটককে হত্যার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৬ মে ভারত অপারেশন সিঁদুর নামে এক অভিযানের অংশ হিসেবে পাকিস্তানে হামলা চালায়। পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেয়।
ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে ভারত সরকার দেশটির স্বাধীন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ার ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট নিজ দেশে ব্লক করেছে। এ নিয়ে দ্য ওয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছে, এটা ভারতের সংবিধানে প্রদত্ত সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এর আগে এক্স (সাবেক টুইটার) জানিয়েছে, ভারত সরকার আট হাজারের বেশি ‘অ্যাকাউন্ট’ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে, যার মধ্যে স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের অ্যাকাউন্টও রয়েছে।
ভারতের নির্দেশে এক ডজনের বেশি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল এবং রাজনীতিবিদ ও তারকাদের ইনস্টাগ্রাম আইডি ভারতে ব্লক করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে।