আবহাওয়া
মাসজুড়ে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা

দেশে চলতি এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১০ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিলের মধ্যে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের ৬৪টি জেলার ওপর দিয়েই তীব্র বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় অতিক্রমের প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ফেসবুকে করা একটি পোস্টে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ে পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ এ তথ্য জানান। ওই পোস্টে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের একটি ছবিও যোগ করেন তিনি।
এতে বলা হয়, আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিলের মধ্যে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের ৬৪টি জেলার ওপর দিয়েই তীব্র বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় অতিক্রমের প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে বৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে সিলেট, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে। ঢাকা শহরের ওপর দিয়েও শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়, তীব্র বজ্রপাত অতিক্রম করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আবহাওয়া
দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১৮ জেলায় ঝড়ের আভাস

ঢাকাসহ দেশের ১৮ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার (১৯ মে) আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, কুমিল্লা, নোয়াখালি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
এ সময় এসব এলাকায় ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিন সারা দেশের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
সন্ধ্যার মধ্যে ১০ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

সন্ধ্যার মধ্যে দেশের ১০ অঞ্চলে বজ্রসহ ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে সংস্থাটি।
রবিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
রাত ১১টার মধ্যে আট জেলায় পুনরায় বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের আটটি জেলায় রাত ১১টার মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বা তার বেশি গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, বজ্রপাত চলাকালীন ঘরের বাইরে না থাকার জন্য জনসাধারণকে সতর্ক করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ মে) রাতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিট থেকে রাত ১১টার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জ, ঝিনাইদহ, রাজশাহী, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও শেরপুর জেলার কিছু স্থানে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বা তার বেশি গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
বজ্রপাত থেকে নিরাপদে থাকতে, বাইরে বজ্রপাত চলাকালীন সময়ে ঘরের বাইরে না যাওয়ার এবং বজ্রপাতের শেষ শব্দ শোনার পর অন্তত ৩০ মিনিট ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে, আগামী পাঁচ দিন সারা দেশে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। আজ শনিবার আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে। এর ফলে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
অন্যদিকে, ঢাকা, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ি, সিরাজগঞ্জ, চাঁদপুর, বান্দরবান, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোর ও ঝিনাইদহ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কিছু কিছু জায়গা থেকে তা প্রশমিত হতে পারে।
আগামীকাল রবিবার (১৮ মে) রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সোমবার (১৯ মে) রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার (২০ মে) রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
বুধবার (২১ মে) রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিনে বজ্রবৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ভয়াবহ তাণ্ডবের আশঙ্কা

ঘূর্ণিঝড়ের নাম শুনলেই বাংলাদেশের সবার মনে জেগে ওঠে সিডর, আইলা, মহাসেন কিংবা আম্পানের স্মৃতি। তবে, বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে আবারও ঘূর্ণিঝড়ের হুমকি এসেছে। আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে যা পরিণত হতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’তে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ১৬ থেকে ২২ মে’র মধ্যে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। যার ফলে এটি ভারত ও বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল বিশেষত খুলনা, সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রাম এলাকায় প্রভাব ফেলতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র বিবরণ
নিম্নচাপের অবস্থান: আন্দামান সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের সময়সীমা: ১৬ থেকে ২২ মে এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ ধারণ করতে পারে। ২৩ থেকে ২৮ মে এটি উপকূল বরাবর আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের নাম: ‘শক্তি’ (Shakti), যা শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত। এর অর্থ হলো ‘Power’ বা ‘শক্তি’। এটি একটি সংস্কৃত/দ্রাবিড় শব্দ, যা সাধারণত নারী বা দেবী শক্তির রূপক অর্থেও ব্যবহৃত হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় এই শব্দটি খুব পরিচিত।
বাতাসের গতি: ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিমি, যার ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জলোচ্ছ্বাস: ৩ থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে, যা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করতে পারে।
ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল
খুলনা, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলগুলো ঝড়ের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
করণীয় কী?
ঘূর্ণিঝড় একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এটি এড়ানোর সুযোগ নেই। কিন্তু সার্বিক প্রস্তুতির মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি কমানো অবশ্যই সম্ভব। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের সম্পদ ও জীবন রক্ষা করতে হলে রাষ্ট্র, সমাজ ও ব্যক্তি পর্যায়ে সক্রিয় ও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
দুপুরের মধ্যে ৯ জেলায় ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস

দেশের ৯ জেলায় দুপুর ১টার মধ্যে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বা তার বেশি গতিবেগে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জেলাগুলো হলো- কুড়িগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধা, জামালপুর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও সিলেট।
বজ্রপাত হলে সতর্কতামূলক দুটি নির্দেশনাও দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেগুালো হলো-
* বজ্রপাত চলাকালীন ঘরের বাইরে যাবেন না
* বজ্রপাতের একাধিক শব্দের মধ্যে সর্বশেষ যে শব্দটি শুনবেন সেই সময় থেকে কমপক্ষে ৩০ মিনিট ঘরেই অবস্থান করুন।