জাতীয়
চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১০

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হলে নিহতের সংখ্যা ১০ জনে দাঁড়ায়।
নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী, দুজন শিশু ও পাঁচজন পুরুষ। তবে তাদের পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
আজ (বুধবার) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় রিল্যাক্স পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে দুটি মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ৭ জন, লোহগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন লোহাগাড়া থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাসযাত্রী মতিন মিয়া জানান, ‘চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী রিলাক্স পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। বেশ কয়েকবার চালক বাসটি থামানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যেই বিপরীত দিক থেকে আসা কক্সবাজারমুখী মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের আট যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন ৪ জন।
এর আগে একই স্থানে ঈদের দিন সোমবার দুই বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন। গতকাল মঙ্গলবার একই স্থানে দুইটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৮ জন আহত হন।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল মতিন বলেন, নিহতদের মধ্যে একজনের নাম দিলীপ। তিনি ঝিনাইদহের বোয়ালিয়া এলাকায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বার বার একই এলাকায় দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুদিন আগেও এখানে দুর্ঘটনায় ৫ জন মারা গেছেন। আমার ৩ মাসের অভিজ্ঞতায় বলছি, কক্সবাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা এই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করেন। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অপরিচিত চালকরা এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চালান। তারা সড়কটি সম্পর্কে জানেন না। পাশাপাশি সড়কে যথাযথ সিগন্যাল নেই। দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই একটা বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে। অন্য এলাকার চালক হলে এটা কতটুকু বিপজ্জনক বুঝতে পারেন না।

জাতীয়
কৃষি ও গবেষণায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে চীন

কৃষি, পাট, সামুদ্রিক মাছ ধরাসহ গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও ব্যবসায় সহযোগিতা বাড়াতে প্রস্তুত চীন।
রোববার (১ জুন) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সফররত চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও এ কথা বলেন। খবর বাসসের
তিনি প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেন, যেসব চীনা কোম্পানি আমার সঙ্গে এসেছে তারা খুবই উৎসাহিত। আপনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। এসব কোম্পানি আমাকে বলেছে, আপনার উদ্যোগ দেখে তারা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।
বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান ভোক্তাবাদ প্রসঙ্গে চীনা মন্ত্রী জানান, রাত ১০টার পরও বিপণিবিতানে ক্রেতাদের উপস্থিতি তাকে মুগ্ধ করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এখনও বিপুল সম্ভাবনা অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে, বিশেষ করে কৃষি এবং গভীর সমুদ্র ও নদীভিত্তিক মাছ চাষে। চীনের সহযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামকেই একটি উৎপাদন ইউনিটে রূপান্তর করা সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে চীনা মন্ত্রী বলেন, আমরা জানতে আগ্রহী যে, কৃষির কোন কোন খাতে পূর্ণমাত্রায় সহযোগিতা সম্ভব। তিনি চাষের জমি উন্নয়ন, পানি সংরক্ষণ ও আধুনিক চারা রোপণ প্রযুক্তির কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, আমার দৃষ্টিতে কৃষি শুধুই একটি শিল্প নয়, বরং এটি একটি সামাজিক সংগঠনের রূপ।
মাছ ও সামুদ্রিক অর্থনীতি প্রসঙ্গে চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী চীনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব চান। তিনি বলেন, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার প্রযুক্তিতে চীন বিশ্বে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
চীনা মন্ত্রী উল্লেখ করেন, চীন-বাংলাদেশ সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূসের পাট খাত পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা নিয়ে দেওয়া বক্তব্য তাকে আকৃষ্ট করেছে।
তিনি বলেন, চীন প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলারের পাট আমদানি করে, যা বাংলাদেশের মোট পাট রপ্তানির প্রায় ১০ শতাংশ। গবেষণা ও পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে পারলে এর পরিমাণ বহুগুণ বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, আপনার (ড. ইউনূস) বক্তব্যের পরপরই চীনা পাট ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা বাংলাদেশের পাট পণ্য নিয়ে গবেষণা শুরু করবে।
চীনা মন্ত্রী বলেন, আমাদের সহযোগিতা কেবল ব্যবসায় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। গবেষণাতেও যৌথভাবে কাজ করা উচিত। যদি বাংলাদেশ এই গবেষণায় অংশ নেয়, তাহলে পাট চীনের জন্য একটি উপযুক্ত পণ্য হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের পাটপণ্য ডিজাইনাররা চীনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে পারেন। তিনি চীনা মন্ত্রীর এই আন্তরিকতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থানের প্রশংসা করেন এবং চীনকে বাংলাদেশের পাশে বন্ধুর মতো থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক ইউনূস চীনা মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আপনার কথা আমার কানে সংগীতের মতো শোনায়। তিনি চীনা মন্ত্রীর উষ্ণ ভাষণ এবং বড়সংখ্যক চীনা বিনিয়োগকারী নিয়ে আসার জন্য সাধুবাদ জানান।
তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আজকে আপনার ভাষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এত বেশি বিনিয়োগকারী এসেছেন, যা আমাদের জন্য একটি ভালো বার্তা- পুরো জাতি এটি লক্ষ্য করেছে।
তিনি তার সাম্প্রতিক চীন সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, সেখানে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়, বিশেষ করে বাণিজ্য ও ব্যবসা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সফরের সময় অনেক আন্তরিক আলোচনা হয়েছে। আপনার সফর এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
কাফি
জাতীয়
সোমবার মহাসমাবেশ করবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি

অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চেয়ারম্যানের অপসারণসহ ৭ দফা দাবিতে সোমবার মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রোববার (১ জুন) নতুন এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সরকার দাবি মেনে না নেওয়ায় সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে৷ মহাসমাবেশে শুধু বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো চালু রেখে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী শহীদ মিনারে যোগ দেবেন।
সাতটি দাবি নিয়ে গত ১২ দিন ধরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন এই কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় তারা নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অবস্থান কর্মসূচির ১২তম দিনে আন্দোলনরতদের সঙ্গে সংহতি জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।
নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে কোনো বৈষম্য মানা হবে না। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা মাঠে পরিশ্রম করে দেশের জনগণকে বিদ্যুৎসেবা দিয়ে যাচ্ছে। তারা কোনো অন্যায্য দাবি নিয়ে আসেননি। মানবিক মর্যাদাপূর্ণ জীবনের জন্য আন্দোলন করছেন। তারা মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করেননি, বিদ্যুৎসেবা চালু রেখে সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলন করছেন। পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীরা অশান্ত হলে দেশে অন্ধকার নেমে আসবে। তাদের সে পথে ঠেলে দেবেন না।
তিনি বিদ্যুৎ উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসুন। আলোচনার মাধ্যমে তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিন।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলন কর্মসূচিতে এনসিপির পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, পতিত স্বৈরাচারের ফ্যাসিবাদী কাঠামো রয়ে গেছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে। এই কাঠামো ভাঙতে সবাইকে হাত লাগাতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণসহ দুই দফা দাবিতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামেন সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী।
কাফি
জাতীয়
এক নজরে বাংলাদেশের ৫৩টি জাতীয় বাজেট

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সোমবার (১ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করবেন। এটি হবে দেশের ৫৪তম বাজেট এবং অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট।
স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দিন আহমেদ ১৯৭২ সালে দেশের প্রথম বাজেট পেশ করেন। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এই বাজেট হবে বর্তমান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের প্রথম বাজেট। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান, মানুষের জীবনমান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষায় বাড়তি নজর দিয়ে এবারের বাজেটের অর্থ ব্যয় করা হবে।
নিচে ক্রমানুসারে বাংলাদেশের ৫৩টি জাতীয় বাজেট এক নজরে তুলে ধরা হলো। এখানে বাজেটের পরিমাণ ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বরাদ্দ উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থবছর- উপস্থাপক- মোট বাজেট- বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-
১৯৭২-৭৩- তাজউদ্দিন আহমেদ- ৭৮৬ কোটি টাকা – ৫০১ কোটি টাকা।
১৯৭৩-৭৪- তাজউদ্দিন আহমেদ- ৯৯৫ কোটি টাকা – ৫২৫ কোটি টাকা।
১৯৭৪-৭৫- তাজউদ্দিন আহমেদ- ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকা – ৫২৫ কোটি টাকা।
১৯৭৫-৭৬- ড. আজিজুর রহমান মল্লিক- ১ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা – ৯৫০ কোটি টাকা।
১৯৭৬-৭৭- মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান- ১ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা – ১ হাজার ২২২ কোটি টাকা।
১৯৭৭-৭৮- লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান- ২ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা – ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা।
১৯৭৮-৭৯- প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান- ২ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা – ১ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা।
১৯৭৯-৮০- ড. এম এন হুদা- ৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা – ২ হাজার ১২৩ কোটি টাকা।
১৯৮০-৮১ এম সাইফুর রহমান- ৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা – ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
১৯৮১-৮২- এম সাইফুর রহমান- ৪ হাজার ৬৭৭ কোটি- ৩ হাজার ১৫ কোটি টাকা।
১৯৮২-৮৩- এ এম এ মুহিত- ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা – ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
১৯৮৩-৮৪- এ এম এ মুহিত- ৫ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা – ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা।
১৯৮৪-৮৫- এম সাইয়েদুজ্জামান- ৬ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা – ৩ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা।
১৯৮৫-৮৬- এম সাইয়েদুজ্জামান- ৭ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা – ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।
১৯৮৬-৮৭- এম সাইয়েদুজ্জামান- ৮ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা – ৪ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা।
১৯৮৭-৮৮- এম সাইয়েদুজ্জামান- ৮ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা – ৫ হাজার ৪৬ কোটি টাকা।
১৯৮৮-৮৯- মেজর জেনারেল মুনিম- ১০ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা – ৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা।
১৯৮৯-৯০- ড. ওয়াহিদুল হক- ১২ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা – ৫ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা।
১৯৯০-৯১- মেজর জেনারেল মুনিম- ১২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা – ৫ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা।
১৯৯১-৯২- এম সাইফুর রহমান- ১৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা – ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
১৯৯২-৯৩- এম সাইফুর রহমান- ১৭ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা – ৯ হাজার ৫৭ কোটি টাকা।
১৯৯৩-৯৪- এম সাইফুর রহমান- ১৯ হাজার ৫০ কোটি টাকা – ৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
১৯৯৪-৯৫- এম সাইফুর রহমান- ২০ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা – ১১ হাজার কোটি টাকা।
১৯৯৫-৯৬- এম সাইফুর রহমান- ২৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা- ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
১৯৯৬-৯৭- শাহ এ এম এস কিবরিয়া – ২৪ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা – ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
১৯৯৭-৯৮- শাহ এ এম এস কিবরিয়া – ২৭ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা – ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
১৯৯৮-৯৯- শাহ এ এম এস কিবরিয়া – ২৯ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা – ১৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
১৯৯৯-২০০০- শাহ এ এম এস কিবরিয়া – ৩৪ হাজার ২৫২ কোটি টাকা – ১২ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা।
২০০০-০১- শাহ এ এম এস কিবরিয়া – ৩৮ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা- ১৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
২০০১-০২- শাহ এ এম এস কিবরিয়া – ৪২ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা – ১৯ হাজার কোটি টাকা।
২০০২-০৩- এম সাইফুর রহমান- ৪৪ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা- ১৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
২০০৩-০৪- এম সাইফুর রহমান- ৫১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা- ২০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
২০০৪-০৫- এম সাইফুর রহমান- ৫৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা- ২২ হাজার কোটি টাকা।
২০০৫-০৬- এম সাইফুর রহমান- ৬১ হাজার ৫৮ কোটি টাকা- ২৩ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা।
২০০৬-০৭- এম সাইফুর রহমান- ৬৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা- ২৬ হাজার কোটি টাকা।
২০০৭-০৮- মির্জা আজিজুল ইসলাম- ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা- ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
২০০৮-০৯- মির্জা আজিজুল ইসলাম- ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা- ২৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
২০০৯-১০- এ এম এ মুহিত- ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা- ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
২০১০-১১- এ এম এ মুহিত- ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা- ৩৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকা।
২০১১-১২- এ এম এ মুহিত- ১ লাখ ৬১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা- ৪১ হাজার ৮০ কোটি টাকা।
২০১২-১৩- এ এম এ মুহিত- ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা- ৫২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা।
২০১৩-১৪- এ এম এ মুহিত- ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা- ৬০ হাজার কোটি টাকা।
২০১৪-১৫- এ এম এ মুহিত- ২ লাখ ৫০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা- ৭৫ হাজার কোটি টাকা।
২০১৫-১৬- এ এম এ মুহিত- ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা- ৯৩ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা।
২০১৬-১৭- এ এম এ মুহিত- ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা- ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
২০১৭-১৮- এ এম এ মুহিত- ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা- ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা।
২০১৮-১৯- এ এম এ মুহিত- ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা- ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা।
২০১৯-২০- আ হ ম মুস্তফা কামাল- ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা- ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।
২০২০-২১- আ হ ম মুস্তফা কামাল- ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা- ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।
২০২১-২২- আ হ ম মুস্তফা কামাল- ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা- ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।
২০২২-২৩- আ হ ম মুস্তফা কামাল- ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা- ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।
২০২৩-২৪- আ হ ম মুস্তফা কামাল- ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা- ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।
২০২৪-২৫- এ এইচ মাহমুদ আলী- ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা- ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।
এ এম এ মুহিত ও এম সাইফুর রহমান বিভিন্ন মেয়াদে সর্বোচ্চ ১২টি করে বাজেট পেশ করেছেন।
সূত্র: বাসস
কাফি
জাতীয়
শাহ সিমেন্টকে কালো তালিকাভুক্ত করার দাবি টিআইবির

ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা নদীর মোহনায় পরিবেশ সংরক্ষণ ও নদী রক্ষা সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ এবং নির্বিকারে নদী দখলের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আজ রবিবার (১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ জানায় সংস্থাটি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করে নদী দুটি দখলমুক্ত করার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি জানায়, মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মীরেরশরাই মৌজায় শাহ সিমেন্ট কোম্পানি প্রায় ২৪ একর নদীর জমি বালু ও মাটি ফেলে ভরাট করেছে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে এবং নদীর শ্রেণি পরিবর্তন হয়েছে। দখল করা জমিতে গড়ে ওঠা স্থাপনা ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যার পানিপ্রবাহে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।
এছাড়া কারখানার তরল ও কঠিন বর্জ্য নদীতে ফেলার ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ক্লিংকার ধুলো বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে নদীতে গিয়ে মিশে পরিবেশ দূষণ করছে। মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন (এনআরসিসি) ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি ‘দখলদার’ হিসেবে চিহ্নিত করলেও এখন পর্যন্ত নদী রক্ষায় সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
টিআইবি জানায়, শাহ সিমেন্ট শুধু জবাবদিহিহীনভাবে নদীখেকো ব্যবসায় লিপ্ত রয়েছে তাই নয়, জনগণের অর্থে পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পে নির্বিকারভাবে ঠিকাদার হিসেবে মুনাফা করে যাচ্ছে।
বিষয়টির কঠোর সমালোচনা করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নদী দখল করে দুটি নদী ধ্বংসের এই কার্যক্রম কোনো যুক্তিতেই মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ধরনের কার্যক্রম কেবল নদীর নাব্য ধ্বংস করছে না, বরং দেশের পরিবেশগত ভারসাম্য ও নদীনির্ভর জনজীবনকেও চরম ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। নদীর স্বাভাবিক গঠন নষ্ট করে বন্যা, নদীভাঙন, পানিসংকট ও জলপ্রবাহজনিত সমস্যা বহুগুণে বাড়াচ্ছে। যার প্রভাব দেশের অর্থনীতি ও মানুষের জীবনমানের ওপর পড়ছে।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে হাইকোর্টের যুগান্তকারী রায়ে বাংলাদেশের মধ্যে এবং বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদীকে আইনি সত্তা (জুরিসটিক পারসন/লিগ্যাল পারসন) বা জীবন্ত সত্তা (লিভিং এনটিটি) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এর অর্থ হলো, নদী হত্যা যে কোনো ব্যক্তি হত্যার শামিল। এমন বাস্তবতায়ও এই নদীখেকো প্রতিষ্ঠানটি বালু ও মাটি ফেলে মোহনায় জমি ভরাট করছে, যা স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত করে নদীকেই মেরে ফেলছে। আমরা মনে করি, নদীখেকো এই প্রতিষ্ঠান কোনোভাবেই রাষ্ট্র তথা সরকারের সঙ্গে কোনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক করার অধিকার রাখে না। শাহ সিমেন্টকে দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহির আওতায় আনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সব ধরনের সরকারি কার্যাদেশ, লাইসেন্স ও আর্থিক প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত রাখতে অবিলম্বে কালো তালিকাভুক্তির আহ্বান জানাই আমরা।
অন্য সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, শাহ সিমেন্টের সঙ্গে সব ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাতিল করে এ প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসায়িক বয়কটের দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে এই দখলদারত্বের কোনো স্থান নেই।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটি যেভাবে বালু ও মাটি ফেলে মোহনা ভরাট করে জমি দখল করেছে তা পোর্ট অ্যাক্ট ১৯০৮, পোর্ট রুলস ১৯৬৬ এবং উচ্চ আদালতের আদেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিআইডব্লিউটিএ এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের প্রতি শাহ সিমেন্টসহ অন্য দখলদারদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাই। একই সঙ্গে, বারবার নদী ‘দখলদার’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পরও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার পেছনে কারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
কাফি
জাতীয়
সেন্টমার্টিনে প্রচুর নেতিবাচক পরিবর্তন দেখছি

সেন্টমার্টিনে প্রচুর নেতিবাচক পরিবর্তন দেখছি বলে মন্তব্য করেছে এক ব্যক্তি।
সম্প্রতি এক সেমিনার শেষে তিনি একথা বলেন।