আন্তর্জাতিক
শান্তিতে নোবেলের জন্য মনোনীত হলেন ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার নোবেলের জন্য মনোনীত হয়েছেন। পাকিস্তানে মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাকে।
নরওয়ের রাজনৈতিক দল পার্টিয়েট সেন্ট্রামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। জানা গেছে পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স (পিডব্লিউএ) নামের একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপের প্রচেষ্টায় ২০২৫ সালের শান্তিতে নোবেলের সম্ভ্যাব প্রার্থীদের তালিকায় ওঠানো সম্ভব হয়েছে ইমরান খানের নাম। পিডব্লিউএ পার্টিয়েট সেন্টরামের একটি অঙ্গসংগঠন।
এক্সে পোস্ট করা বার্তায় বলা হয়েছে, আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে পিডব্লিউএ এমন একজনকে ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে, যিনি এই পুরস্কারের জন্য হকদার। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে যে অবদান তিনি রেখেছেন, তা আমলে নিয়েই আমরা তার নাম সুপারিশ করেছি।
শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইটের আবিষ্কারক ও সুইডিশ রসায়নবিদ আলফ্রেড বের্নহার্ড নোবেল ১৮৯৬ সালে মারা যান। মৃত্যুর আগে তার সমুদয় সম্পত্তি দান করার পাশাপাশি উইল করে গিয়েছিলেন যে প্রতি বছর যারা পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য ও শান্তিতে বিশেষ অবদান রাখতে পারবেন, তাদেরকে যেন এই সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত অর্থ থেকে পুরস্কৃত করা হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে আগের ৫টির পাশাপাশি নতুন ক্যাটাগরি হিসেবে যুক্ত হয়েছে অর্থনীতি।
১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা শুরু হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ছেদ পড়লেও তারপর থেকে প্রতি বছরই এ ৬ বিভাগে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।
শুরু থেকেই পদার্থ, রসায়ন, সাহিত্য, অর্থনীতিতে নোবেল প্রদান করছে সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি। অন্যদিকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করে আসছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। প্রতি বছর শান্তিতে নোবেল মনোনীতদের যে তালিকা হয়, সেই তালিকার নাম সুপারিশ করে নরওয়ের পার্লামেন্ট ও রাজনৈতিক দলগুলো।
ইমরান খান অবশ্য এর আগেও একবার শান্তিতে নোবেলের জন্য মনোনীতি হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে প্রথমবার নোবেলের জন্য মনোনীতি হন তিনি। সে সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইমরান।
তবে পাকিস্তানের বিগত অন্যান্য প্রধানমন্ত্রীর মতো ইমরানকেও মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই বিদায় নিতে হয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে বিরোধী এমপিদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।
ক্ষমতা হারানোর পরপরই একের পর এক মামলা হতে থাকে ইমরানের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের আগস্টে তাকে কারাবন্দি করা হয়। বিভিন্ন মামলায় তাকে ১৪ বছর কারাবাসের সাজা দিয়েছেন আদালত। বর্তমানে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের আদিয়ালা কারাগারে আছেন তিনি।
১৯৫২ সালে পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাহোরে একটি সম্ভ্রান্ত পশতু পরিবারে জন্ম নেন ইমরান খান। ইকরামুল্লাহ খান নিয়াজি-শওকত খানম দম্পতির একমাত্র পুত্র সন্তান তিনি। ইমরান খান ছাড়াও চার কন্যা রয়েছে এই দম্পতির।
পাকিস্তানে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করার পর যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান তিনি। ভর্তি হন বিশ্ববিখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ডিগ্রি নিয়েছেন তিনি।
তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের উত্থানও এই সময়ই। ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতেন তিনি। সেই সুবাদে পাকিস্তানের জাতীয় দলেও নিয়মিত হন এবং সেই ধারাবাহিকতায় একসময় জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কও বনে যান।
গত শতকের সত্তরের দশকের মাঝামাঝি ও শেষের দিকে লন্ডনে তিনি পরিচিত ছিলেন প্লেবয় হিসেবে। ১৯৯৫ সালে যুক্তরাজ্যের ধনকুবের জেমস গোল্ডস্মিথের মেয়ে জেমিমা গোল্ডস্মিথকে বিয়ে করেন তিনি। সুলাইমান ইসা ও কাসিম নামে এই দম্পতির দুই সন্তানও রয়েছেন।
২০০৪ সালে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তারপর টিভি সাংবাদিক রেহাম খানকে বিয়ে করলেও অল্প সময়ের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। ইমরানের বর্তমান স্ত্রীর নাম বুশরা বিবি।
১৯৯৬ সালে পিটিআই প্রতিষ্ঠার পর থেকে পুরোপুরি রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি। তবে রাজনীতিতে তার প্রকৃত উত্থান শুরু হয় ২০১১ সাল থেকে। ওই বছর দুর্নীতি, বিদ্যুৎ ঘাটতি, শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন সংকট এবং বেকারত্বের বিরুদ্ধে টানা আন্দোলন শুরু করেন তিনি, যা দেশটির তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়। মূলত পাকিস্তানের গণতন্ত্র ও উন্নয়নকামী তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয়তার ওপর ভর করেই ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হন ইমরান।
পাকিস্তান ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় করেছে মাত্র একবার, ১৯৯২ সালে। সেই ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক ছিলেন ইমরান খান। গত বছর রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানকে একটি কল্যাণমূলক ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে রাজনীতিতে এসেছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক
অবশেষে যুদ্ধবিমান হারানোর কথা স্বীকার করল ভারত

ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান অবশেষে পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতে যুদ্ধবিমান হারানোর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছেন। শনিবার (৩১ মে) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত শাংরিলা ডায়লগে ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই স্বীকারোক্তি দেন।
জেনারেল চৌহান বলেন, “বিমানের সংখ্যা নয়, বরং কী ভুল হয়েছে এবং কেন হয়েছে- সেটা বোঝা আমাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” যদিও তিনি পাকিস্তানের ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবিকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দেন, তবে কতগুলো বিমান হারিয়েছে ভারত, তা তিনি স্পষ্ট করে উল্লেখ করেননি।
তিনি জানান, “ভুলগুলো চিহ্নিত করে আমরা দ্রুত সেগুলোর সংশোধন করেছি এবং মাত্র দুই দিনের মধ্যে আবার আকাশে সব যুদ্ধবিমান নিয়ে হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছি।”
ভারতের পক্ষ থেকে এই প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে যুদ্ধবিমান হারানোর বিষয়টি স্বীকার করা হলো। উল্লেখ্য, সংঘাতের মধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দাবি করেছিলেন, পাকিস্তান ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে সেই দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই হয়নি এবং ভারত সরকারও এতদিন বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর থেকেই পাক-ভারত এই সংঘাত শুরু হয়। ভারত একে ‘পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসী হামলা’ বলে দাবি করলেও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে। সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছালে উভয় দেশ বিমান, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি সীমান্তে গুলিবিনিময়ে জড়িয়ে পড়ে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য যে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু যুদ্ধ এড়াতে ভূমিকা রেখেছে- এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকৃতি জানান জেনারেল চৌহান। তিনি বলেন, “পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছিলাম- এমন দাবি বাস্তবতার থেকে অনেক দূরে।”
চৌহান আরও জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের পথ সবসময় খোলা ছিল এবং উত্তেজনা প্রশমনে বিকল্প অনেক পথ রয়েছে। তিনি পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতা প্রসঙ্গে বলেন, “চীনসহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে পাকিস্তান যেসব অস্ত্র পেয়েছিল, সেগুলো কার্যকর হয়নি।” তবে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার মতে, চীন সংঘাতের সময় পাকিস্তানকে বিমান প্রতিরক্ষা ও স্যাটেলাইট সহায়তা দিয়েছে।
ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, “আমরা পাকিস্তানের সুরক্ষিত ঘাঁটির ৩০০ কিলোমিটার ভেতরে মিটার-নির্ভুলতায় হামলা চালাতে পেরেছি।” তিনি জানান, বর্তমানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে, তবে ভবিষ্যতে তা পাকিস্তানের আচরণের ওপর নির্ভর করবে। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, “আমরা আমাদের স্পষ্ট লাল দাগ টেনে দিয়েছি।”
এর আগে বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এক সাক্ষাৎকারে জানান, পাকিস্তান চীনা প্রযুক্তিনির্ভর যুদ্ধবিমান দিয়ে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তিনি রাফায়েল বিমানের কার্যকারিতা এবং চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো জবাবদিহিতা নেই। তার এই বক্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশে আসতে চায় শুভেন্দুসহ বিজেপির টিম

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের ‘সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনা’ পরিদর্শন করতে বাংলাদেশ সফর করবে বলে জানা গেছে। এমনটাই জানিয়েছেন, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে সেই টিমে কতজন প্রতিনিধি থাকবে সে তথ্য এখনও জানা যায়নি।
কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপদূতাবাসও বিজেপি টিমের বাংলাদেশ সফরের তথ্য নিশ্চিত করেছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুভেন্দুসহ বিজেপির একটি টিম বাংলাদেশে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। তাদের ভিসা নিয়ে সমস্যা হবে না বলেও জানানো হয়। তবে কতজন যাবে, বিজেপির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
গত শুক্রবার (৩০ মে) বিজেপির একটি টিম বাংলাদেশ মিশনে এসেছিলেন স্মারকলিপি জমা দিতে। এরপর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেন, সম্প্রতি যশোরে হামলার শিকার হওয়া সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি দেখতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল শিগগির বাংলাদেশে যাবে।
এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারকে। তাকে দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। সড়কপথে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তারা যশোরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু।
এরই মধ্যে কলকাতার বাংলাদেশ মিশনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন জানিয়েছে, যদি কোনো প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ যেতে চায়, তবে তাদের দ্রুত ভিসার ব্যবস্থা করা হবে।
মূলত গত সপ্তাহে যশোরের অভয়নগর উপজেলার ডহরমশিয়াহাটি গ্রামে মতুয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এতে অন্তত ১৮টি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া পৌর শাখা কৃষক দলের সভাপতি এস এম তরিকুল ইসলামকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনার পর এসব ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় বিএনপির ওই নেতার মৃত্যুর বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তের বাড়িসহ আশপাশের বাড়িতে আগুন দেয় উত্তেজিত জনতা।
শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির পরিষদীয় দলের একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার কলকাতার বাংলাদেশ মিশনে স্মারকলিপি জমা দেন। শুভেন্দু জানান, বাংলাদেশ মিশন তাদের জানিয়েছে, ওই ঘটনায় ৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৬ হাজার টাকা, ৩০ কেজি করে চাল ও ২ বান্ডিল করে টিন সাহায্য দিয়েছে।
শুভেন্দু জানিয়েছেন, তারাও সাহায্য করতে চান। কিন্তু সরাসরি করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ সরকার যদি অনুমতি দেয়, তাহলে সেখানে মতুয়া সম্প্রদায়, রামকৃষ্ণ মিশন, গৌড়ীয় মঠ এবং ভারত সেবাশ্রম সংঘের মাধ্যমে সেখানে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিজেপির একটি টিম।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা-তেল আমদানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে ঢাকা ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্য আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি পরিমাণে তুলা ও জ্বালানি তেল আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পেশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) টোকিওতে আয়োজিত নিক্কেই এশিয়া ফোরামের ফাঁকে জাপানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।
ড. ইউনূস বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেহেতু বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে আগ্রহী, তাই আমরা তাদেরকে প্রস্তাব দিয়েছি—আমরা যদি আরও বেশি মার্কিন পণ্য কিনি, তবে অন্যান্য দেশ থেকে এ ধরনের পণ্যের আমদানি কমিয়ে আনবো।”
তিনি আরও বলেন, “উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা প্রচুর তুলা আমদানি করি মধ্য এশিয়া ও ভারত থেকে। এখন আমরা ভাবছি, কেন সেই তুলা যুক্তরাষ্ট্র থেকেই আমদানি করবো না? এতে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি অনেকটাই হ্রাস পাবে।”
চলতি অর্থবছরে গত জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ৬.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং আমদানি করেছে ২.৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। এর মধ্যে তুলার পরিমাণ ছিল ৩৬১ মিলিয়ন ডলার।
বিশ্বের অন্যতম প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এই অর্থবছরে প্রায় ৭.৯ বিলিয়ন ডলারের তুলা আমদানি করেছে, যার একটি বড় অংশ এসেছে উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের মতো দেশ থেকে। মোট আমদানির ১২.৫ শতাংশই ছিল তুলা।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের তুলা উৎপাদনকারীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়েছে এবং তারা মার্কিন প্রশাসনে বাংলাদেশের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন। তার ভাষায়, “তুলা উৎপাদনকারীরা আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে উঠেছে, যারা আমাদের কিছু রাজনৈতিক সহায়তা দেয়।”
জ্বালানির বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, “যদিও আমরা বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল, তবুও যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল কেনার সুযোগ রয়েছে এবং সেটিও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।”
তবে কবে নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্য আলোচনা শুরু হবে—সে বিষয়ে এখনো কোনও নির্দিষ্ট সময়সূচি ঠিক হয়নি বলে জানান তিনি। একইভাবে, শুল্ক কতটা কমানো সম্ভব হবে, তা নিশ্চিত নয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকিকে ‘হুমকি নয়, বরং একটি সম্ভাবনা’ হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ—বলেই মন্তব্য করেন ইউনূস।
এ সময় তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত সাময়িকভাবে ট্রাম্পের শুল্ক কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আদালত মনে করে, বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কংগ্রেসের; প্রেসিডেন্ট এককভাবে এ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, সাবেক স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশ থেকে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরেও ১১-১২ বিলিয়ন ডলার লুটপাটের ঘটনা শনাক্ত করা হয়েছে এবং অর্থ বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
তিনি জানান, এই অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হলে দুটি আলাদা তহবিল গঠন করা হবে, যেখান থেকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে অর্থায়ন করা হবে। একইসঙ্গে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে উদ্যোক্তায় রূপান্তর করে তাদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করতে চান—এমন গুঞ্জন ছড়ায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিক্কেইকে তিনি বলেন, “আমি বাংলাদেশে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেইনি। তাই এখন বিদেশে কিছু বললে সেটা আমার জন্য জটিলতা তৈরি করতে পারে।”
আন্তর্জাতিক
ট্রাম্পের শুল্কনীতি আটকে দিলো যুক্তরাষ্ট্রের আদালত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি বছরের এপ্রিলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর ব্যাপকহারে শুল্ক আরোপের যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেটি আটকে দিয়েছে দেশটির এক আদালত। আদালতের এই রায়কে ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির ওপর একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
কোর্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড রায় দিয়েছে, যে জরুরি আইনের অজুহাত দেখিয়ে হোয়াইট হাউস এই শুল্ক আরোপ করেছে, সেই আইন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে একচেটিয়াভাবে বিশ্বের প্রায় সব দেশের পণ্যে শুল্ক বসানোর এখতিয়ার দেয় না।
ম্যানহাটন-ভিত্তিক এই আদালত আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের একচেটিয়া ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে রক্ষা করার জন্য প্রেসিডেন্টের হাতে যে ক্ষমতা, কংগ্রেসের ক্ষমতা তার চেয়ে বেশি।
একইসঙ্গে চীন, মেক্সিকো ও কানাডার ওপর ট্রাম্প প্রশাসন পৃথকভাবে যে শুল্ক আরোপ করেছিল, সেটিকেও স্থগিত করেছেন আদালত। তখন হোয়াইট হাউস বলেছিল, অগ্রহণযোগ্য মাদক প্রবাহ ও অবৈধ অভিবাসন ঠেকানোই এই শুল্ক আরোপের প্রধান কারণ।
এদিকে, আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে কয়েক মিনিটের মধ্যেই আপিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
আদালতের এই রায়ের পর হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কুশ দেশাই এক বিবৃতিতে বলেন, “কোনও জাতীয় জরুরি অবস্থা কীভাবে যথাযথভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নির্ধারণ করা অনির্বাচিত বিচারকদের কাজ নয়।”
তিনি আরও বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। আর ট্রাম্প প্রশাসন প্রতিটি নির্বাহী ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে সমস্ত সংকট মোকাবিলা ও আমেরিকান মহত্ব পুনরুদ্ধারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানিকারক পাঁচটি ক্ষুদ্র ব্যবসার পক্ষে মামলাটি দায়ের করেছিল রাজনৈতিক সংস্থা লিবার্টি জাস্টিস সেন্টার। যে দেশগুলো থেকে তারা পণ্য আমদানি করে, ওই দেশগুলোর পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এই মামলাই হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের তথাকথিত “লিবারেশন ডে” ট্যারিফের বিরুদ্ধে প্রথম বড় ধরনের কোনো আইনি চ্যালেঞ্জ। এই মামলাটি ছাড়াও ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য নীতির বিরুদ্ধে আরও ছয়টি মামলা চলছে। আর এগুলো করেছে ১৩টি মার্কিন অঙ্গরাজ্য এবং আরও অনেক ছোট ব্যবসায়ী গোষ্ঠী।
সর্বশেষ রায়ে তিন বিচারকের প্যানেল থেকে বলা হয়েছে, ট্যারিফ বা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৯৭৭ সালের “ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ারস অ্যাক্ট” (আইইইপিএ)-এর দোহাই দিলেও ওই আইন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে একচেটিয়াভাবে এই ধরনের বিস্তৃত ট্যারিফ আরোপের ক্ষমতা দেয় না।
বিচারকরা লিখেছেন, “আইইইপিএ আইনে শুল্ক আরোপের বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, ডোলান্ড ট্রাম্প আরোপিত ‘বিশ্বব্যাপী ও প্রতিশোধমূলক শুল্ক আদেশগুলো’ সেই ক্ষ্মতার পরিধিকে ছাড়িয়ে গেছে। ‘ট্রাফিকিং ট্যারিফ’ ব্যর্থ, কারণ এগুলো আদেশে উল্লিখিত হুমকির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিলের ২ তারিখে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। আর সেই ট্যারিফ ঘোষণার পর থেকে বিশ্ববাজারে টালমাটাল পরিস্থিতি দেখা দেয়। যদিও এরপর ওই ঘোষণা পুনর্বিবেচনা করা হয় এবং কিছু শর্ত তুলে নিয়ে অন্যান্য দেশের সাথে দর কষাকষিও করে হোয়াইট হাউস।
কাফি
আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে হঠাৎ দাম বাড়লো জ্বালানি তেলের

চাহিদা বাড়তে থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ আসার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তেলের বাজারে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে মার্কিন আদালতের স্থগিতাদেশের ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত মিলেছে, যা জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। পাশাপাশি নজরে আছে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের প্রবাহ সীমিত করতে সম্ভাব্য নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও আসন্ন ওপেক প্লাসের বৈঠকে উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্তও।
বৃহস্পতিবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৮১ সেন্ট বা ১ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৬৫ ডলার ৭১ সেন্টে। আর মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ বা ৮৩ সেন্ট বেড়ে প্রতি ব্যারেল হয়েছে ৬২ ডলার ৬২ সেন্ট।
এর আগে, বুধবার বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্ক স্থগিত করেছেন দেশটির আদালত। আদেশে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করে নিজের ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেছেন ট্রাম্প।
মূলত, আদালতে দায়েরকৃত দুটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। একটি মামলা করেছিল লিবার্টি জাস্টিস সেন্টার নামের একটি আইনি সংস্থা। ট্রাম্পের শুল্কের নিশানা হওয়া দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানি করে-এমন পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মামলাটি করেছিল তারা। অপর মামলাটি করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি অঙ্গরাজ্যের পক্ষ থেকে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতের তিনজন বিচারকের একটি প্যানেল আদেশে বলেন, কংগ্রেসকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করার বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির সুরক্ষার জন্য প্রেসিডেন্টের জরুরি ক্ষমতার মাধ্যমে তা বাতিল করা যায় না।
অবশ্য, আদালতের আদেশের পর এর বিরুদ্ধে আপিলের একটি নোটিশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রয়টার্সের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যেহেতু ট্রাম্প প্রশাসন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা বলেছে, তাই এই স্বস্তি হয়তো সাময়িক হতে পারে। ব্রিসবেনের সিটি ইনডেক্সের বিশ্লেষক ম্যাট সিম্পসন বলেন, বিনিয়োগকারীরা এমন এক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা থেকে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন, যেটাকে তারা অপছন্দ করলেও সবসময় গুরুত্ব দিয়ে দেখে থাকেন।
এদিকে, অপরিশোধিত তেলের সরবরাহ দিক থেকে রাশিয়ান তেলের উপর সম্ভাব্য নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। একই সময়ে পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ও তাদের মিত্ররা আগামী শনিবার জুলাই মাসের জন্য তেল উৎপাদন আরও বাড়ানোর বিষয়ে একমত হতে পারে।