জাতীয়
শান্তিপূর্ণ ঈদ উদযাপনে সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

জনসাধারণের জানমালসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ঈদের ছুটি চলাকালীন যে কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা রুখে দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে, ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেড এবং ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটের সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনার পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এসব তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, সাধারণ জনগণের নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রামে যাতায়াত নিশ্চিত করতে এবং টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে বাস টার্মিনালে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
পাশাপাশি, আজ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহ মাঠে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এছাড়াও, গোয়েন্দা সূত্র মারফত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্যের চালান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
রাজধানীবাসীকে একটি ঝামেলামুক্ত ও আনন্দঘন ঈদ উপহার দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

জাতীয়
হাসিনার বিরুদ্ধে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সপ্তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামীকাল সোমবার (২৫ আগস্ট) দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (২৪ আগস্ট) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ দিন ধার্য করেন।
ট্রাইব্যুনালের বাকি দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আজ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা চলে। মাঝে কিছুক্ষণ বিরতি দেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনালে আজ তিনজন সাক্ষী নিজেদের জবানবন্দি দিয়েছেন।
তারা হলেন- রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের অফিস সহকারী মো. গিয়াস উদ্দিন, একই প্রতিষ্ঠানের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল ইসলাম ও কুষ্টিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাদের জেরা করেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যরা।
এর আগে যারা সাক্ষ্য দেন
গত ২০ আগস্ট এ মামলায় ষষ্ঠ দিনের সাক্ষ্য-জেরা শেষ হয়। ওই দিন সাক্ষ্য দিয়েছেন দুজন চিকিৎসকসহ চারজন সাক্ষী। তারা হলেন- ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, একই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ পারভীন, ইবনে সিনা হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাসানুল বান্না ও শহীদ শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদের মা সোনিয়া জামাল।
গত ১৮ আগস্ট পঞ্চম দিনের সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন শহীদ আস-সাবুরের বাবা মো. এনাব নাজেজ জাকি, শহীদ ইমাম হাসান তাইমের ভাই রবিউল আউয়াল ও রাজশাহীর প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন। তাদের তিনজনকে জেরা করেন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।
গত ১৭ আগস্ট চারজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন- সবজি বিক্রেতা আবদুস সামাদ, মিজান মিয়া, শিক্ষার্থী নাঈম শিকদার ও শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহীনা বেগম। ৬ আগস্ট প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রিনা মুর্মু ও সাংবাদিক একেএম মঈনুল হক। ৪ আগস্ট জবানবন্দি দেন পঙ্গু হওয়া শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান ও দিনমজুর চোখ হারানো পারভীন। ৩ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলার সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন আন্দোলনে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ।
বিচার শুরু হয় ১০ জুলাই
এর আগে, ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন নিজের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এই অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।
কাফি
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে রাজধানী ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে শনিবার বাংলাদেশ সফরে আসেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকায় অবতরণের পর তিনি গতকাল বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
জাতীয়
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কক্সবাজারে ৩ দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে সুস্পষ্ট সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে কক্সবাজারে আজ শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এ সম্মেলন আগামী ২৬ আগস্ট মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে।
‘স্টেকহোল্ডারস ডায়ালগ : টেকঅ্যাওয়ে টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শীর্ষক এ সম্মেলন আয়োজন করেছে রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের কার্যালয় এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) আসন্ন ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনের আগে এ সম্মেলনের গুরুত্ব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
কক্সবাজারে হোটেল বে ওয়াচে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদ, বৈশ্বিক সংস্থা ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে আগামীকাল যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, বীর প্রতীক, রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক (অ্যাড-ইনচার্জ) রানা ফ্লাওয়ার্স, মিয়ানমার বিষয়ক স্বাধীন তদন্ত মেকানিজমের প্রধান নিকোলাস কুমজিয়ান, মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিশেষ দূত টমাস এইচ. অ্যান্ড্রুজ এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজু সংলাপে উপস্থিত থাকবেন।
সম্মেলনটি পাঁচটি থিম্যাটিক অধিবেশনকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে-মানবিক সহায়তা ও তহবিল সংকট, রাখাইন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি, প্রত্যাবাসনের জন্য আস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং টেকসই ও সময়োপযোগী সমাধানের দীর্ঘমেয়াদি কৌশল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ সম্মেলনে রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও যুবকদের কণ্ঠস্বর বিশেষভাবে তুলে ধরা হবে, যাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সরাসরি তাদের অভিজ্ঞতা, প্রত্যাশা ও অভিযোগ শুনতে পারে।
আগামী মঙ্গলবার অংশগ্রহণকারীরা সরেজমিনে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন, যাতে শরণার্থীদের বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সরাসরি ধারণা পাওয়া যায়।
৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে প্রায় ১৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের অন্যান্য নিপীড়িত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর দুর্দশা নিয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের গণহারে বাংলাদেশে আশ্রয়ের আট বছর পূর্তির সময়ে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন আন্তর্জাতিক সহায়তা ক্রমশ কমছে এবং মিয়ানমারে সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে কাজ করছে— অব্যাহত বিদেশি সহায়তা নিশ্চিত করা, বৈশ্বিক অঙ্গনে রোহিঙ্গা সংকটকে দৃশ্যমান রাখা এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের পথ সুগম করা।
জাতীয়
অমীমাংসিত বিষয় সমাধানে একমত বাংলাদেশ-পাকিস্তান

একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়াসহ দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর এখনো কোনো চূড়ান্ত সমাধান হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তবে এসব বিষয়ে সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এসব বিষয়ে একমত হয়েছে বলে জানান তিনি।
রবিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীতে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই আশা করেন না যে ৫৪ বছরের সমস্যা একদিনে মিটে যাবে। এটি ছিল গত ১২-১৩ বছর পর অনুষ্ঠিত প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, তাও আবার হিনা রব্বানী খার আমন্ত্রণে। এটি পূর্ণাঙ্গ দ্বিপক্ষীয় সফরও ছিল না।
তিনি আরও বলেন, এখানে বসে আমরা এক ঘণ্টায় সমাধান করে ফেলতে পারবো- এটা নিশ্চয়ই কেউ আশা করবেন না। তবে বৈঠকে আমরা পরস্পরের অবস্থান তুলে ধরেছি।
এর আগে হোটেল সোনারগাঁওয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর ইসহাক দার দাবি করেন, ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং অন্যান্য অমীমাংসিত তিনটি বিষয় এরই মধ্যে দুবার সমাধান হয়েছে।
অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ইসহাক দার বলেন, ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো বিষয়টির সমাধান হয়েছে। সেই সময়ের দলিল দুই দেশের জন্য ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। এরপর জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ২০০০ সালের শুরুতে বাংলাদেশে এসে বিষয়টি প্রকাশ্যে সমাধান করেছেন। তাই এটি দুইবার সমাধান হয়েছে।
জাতীয়
একাত্তরের অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে: ইসহাক দার

১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং অন্যান্য অমীমাংসিত তিনটি বিষয় এরই মধ্যে দুইবার সমাধান হয়েছে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার।
রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই দাবি করেন তিনি।
অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ইসহাক দার বলেন, ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো বিষয়টির সমাধান হয়েছে। সেই সময়ের দলিল দুই দেশের জন্য ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। এরপর জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ২০০০ সালের শুরুতে বাংলাদেশে এসে বিষয়টি প্রকাশ্যে সমাধান করেছেন। তাই এটি দুইবার সমাধান হয়েছে।
বাংলাদেশ মনে করে, ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া, যুদ্ধক্ষতির ক্ষতিপূরণ, বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানি নাগরিকদের প্রত্যাবাসন, যৌথ সম্পদের হিস্যা এবং ১৯৭০ সালের অবিভক্ত পাকিস্তানের সময় দেওয়া বৈদেশিক সহায়তার পাওনা আদায়ের মতো বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়গুলো বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে তুলে ধরা হয় বলে জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্র।