সারাদেশ
সব রেকর্ড ভেঙে শোলাকিয়ায় ৬ লাখের বেশি মুসল্লির অংশগ্রহণ

এক মাস সিয়াম সাধনার পর উপমহাদেশসহ দেশের অন্যতম বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবার ঐতিহাসিক এই জামাতে প্রায় ৬ লাখের বেশি মুসল্লি অংশ নেন। এর আগে, গত বছরের ঈদুল ফিতরের নামাজের ৫ লক্ষাধিক মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টায় দেশের বৃহৎ এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী জানান, এবারের ঈদুল ফিতরের জামাতে প্রায় ৬ লাখেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ঈদের জামাতে অংশ নিতে এদিন সকালে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ঈদগাহে আসে। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি ট্রেন সকালে মুসল্লিদের নিয়ে কিশোরগঞ্জে পৌঁছায়। সকাল ৯টার মধ্যেই ঈদগাহ ময়দান লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর জামাতে ইমামতি করেছেন কিশোরগঞ্জ শহরের বড় বাজার মসজিদের খতিব মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ। বিকল্প ইমাম হিসেবে ছিলেন হয়বতনগর এ ইউ কামিল মাদরাসার প্রভাষক মাওলানা জুবায়ের ইবনে আব্দুল হাই।
মুসল্লিদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল এই ঈদগাহ ময়দান। এ বছর শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ১৯৮তম জামাত অনুষ্ঠিত হলো। খুতবা শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
শোলাকিয়ায় নামাজ আদায়ে দুই দিন ধরেই গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, বরিশাল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, যশোরসহ ৬৪টি জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে কিশোরগঞ্জে লোক আসতে শুরু করেন। অনেকে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের বাসায়, আবাসিক হোটেল, শহরের মসজিদগুলোতে এবং ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে রাত্রীযাপন করেন। ভোররাতে ট্রেন, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেল ও হেঁটে হাজারো মানুষ কিশোরগঞ্জে আসেন। সবার গন্তব্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া। বড় ঈদগাহ, বড় জামাত বেশি মুসল্লির সঙ্গে জামাত আদায় করলে দোয়া কবুল হয়—এমন আকর্ষণে সকাল থেকেই এই ঈদ জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য কিশোরগঞ্জ ও আশপাশের জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন লাখো মুসল্লি।
নেত্রকোনা থেকে ঈদের জামাতে নামাজ পড়তে এসেছেন রফিকুল ইসলাম। তার সঙ্গে এসেছেন আরও কয়েকজন মুসল্লি। তারা সবাই একসঙ্গে শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদের নামাজ শেষ করে বাড়ি ফিরবেন। তাদের মধ্যে এক স্বস্তির ঈদ উদযাপন লক্ষ্য করা গেছে।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ হাছান চৌধুরী বলেন, অতীতের বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমরা সব সময় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। এবারও পূর্বের সব বিষয় মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। তাই আমরা কিছু বাড়তি আয়োজন করেছি। এর মধ্যে ইদগাহ ময়দানকে লক্ষ্য করে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঈদগাহ ময়দান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, খুব সুন্দরভাবেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ ঈদগাহ মাঠের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকলেই আমাদের সহযোগিতা করছেন। রাস্তাঘাটে মানুষে লোকারণ্য। নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে সবাই শান্তিপূর্ণভাবেই বাসায় ফিরতে পারবেন।
রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে মুসল্লিদের সংকেত দিতে শর্টগানের ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। তিনটি জামাত শুরুর ১৫ মিনিট আগে, দুটি ১০ মিনিট আগে এবং শেষ গুলিটি ছোড়া হয় জামাত শুরুর এক মিনিট আগে। আগত লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তার স্বার্থে এখানে টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া কিছু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের চলাচলের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনেরও ব্যবস্থা করেছে। একটি ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে এবং অন্যটি ভৈরব থেকে ছেড়েছে।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে প্রার্থনার ক্যাপ, মুখোশ এবং প্রার্থনার ম্যাট ছাড়া অন্য কিছু বহন করা নিষিদ্ধ ছিল। মুসল্লিদের সাহায্য করার জন্য বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক এবং কয়েকটি মেডিকেল টিম মাঠে কর্তব্যরত ছিল। মাঠসহ প্রবেশপথে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ারও ছিল। আর পুলিশের ড্রোন ক্যামেরা আকাশে উড়েছে।
প্রসঙ্গত, ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য, এক নারী এবং এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশসহ ১৬ মুসল্লি আহত হন। তবু এ ঈদগাহ ময়দানের ধারাবাহিক জামাত আয়োজনে ছন্দপতন ঘটেনি, কিন্তু করোনা অতিমারির কারণে দুই বছর এই ঈদগাহ ময়দানে ঈদের কোনো জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।
২৭৪ বছরের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে শোলাকিয়া ঈদগাহ। এই ঈদগাহের যাত্রা শুরু ১৭৫০ সালে। তবে ১৮২৮ সালে প্রথম আনুমানিক সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। সেই থেকেই এই ঈদগাহসহ পুরো এলাকার নামকরণ হয় ‘শোলাকিয়া’। ১৮২৮ সাল থেকে জামাত গণনায় এবার ১৯৭তম জামাত হবে।
প্রশাসন থেকে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সেনাবাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ, সাদা পোশাকের গোয়েন্দাদের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মোট ৫টি প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছিল। তারা আনসার সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠ পর্যবেক্ষণ করছিলেন। সিসিটিভি ক্যামেরা ছাড়াও, ৬টি ওয়াচ টাওয়ার এবং ড্রোনও মাঠে নজরদারির জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল।
জরুরি সেবার জন্য ৬টি অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিস সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।

সারাদেশ
সখিপুর থানা প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

শরীয়তপুরের সখিপুর থানা প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সখিপুর ফুড কর্নারে অনুষ্ঠিত সভায় সকল সদস্যের সম্মতিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ১৫ সদস্যের এ নবগঠিত কমিটি আগামী দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবে।
সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন চ্যানেল এস টেলিভিশনের ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি মো. সাইফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এশিয়ান টেলিভিশনের ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি রুহুল আমিন জুয়েল।
এ ছাড়া অন্যান্য পদে দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন—
সহ-সভাপতি আমান আহমেদ সজীব (দৈনিক সংবাদ মোহনা), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ (দৈনিক নিরপেক্ষ), সাংগঠনিক সম্পাদক, রাসেল সিকদার (দৈনিক নয়া দিগন্ত মাল্টিমিডিয়া), দপ্তর সম্পাদক, এম এম জসিম উদ্দিন (দৈনিক সরেজমিন বার্তা), অর্থ ও প্রচার সম্পাদক আমির হোসেন চোকদার (চ্যানেল এস, সখিপুর থানা প্রতিনিধি), কার্যকরী সদস্য সাদ্দাম হোসেন (ডেলি মর্নিং গ্লোরি), আতিকুর রহমান (দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি, সাধারণ সদস্য আল আমিন (জে এ টিভি), বি এম সজিব সরকার (দৈনিক সোনালী কণ্ঠ), রাকিব হোসেন (দৈনিক সকালের শিরোনাম), তাহের আলী (অর্থ সংবাদ) মামুন সরকার (দৈনিক ভোরের বানী), মুনতাছির আহমেদ রুবাইদ (দৈনিক জবাবদিহি)।
নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, সাংবাদিকতার পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সখিপুরের সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করাই হবে তাদের প্রধান লক্ষ্য। স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ নতুন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও আশাবাদ প্রকাশ করেছে।
অর্থসংবাদ/তাহের আলী/এসএম
সারাদেশ
বন্যার পূর্বাভাস, প্লাবিত হতে পারে ১২ জেলা

দেশের ১২ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী তিনদিনে এসব অঞ্চলের নদীগুলোর পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রংপুর বিভাগের ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদের পানিসমতল বাড়তে পারে এবং তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমা পার করতে পারে। এসময়ে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে পারে।
একই সঙ্গে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরী, যাদুকাটা ও ভোগাই-কংস নদ-নদীগুলোর পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও শেরপুর জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, সিলোনিয়া, ফেনী ও হালদা নদীর পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, আজসহ আগামী দুদিন দেশের অভ্যন্তরে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। উজান থেকে পানি আসতে পারে। তবে এসব পানি কমে যাবে।
সারাদেশ
ময়মনসিংহে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০

ময়মনসিংহের ভালুকায় দুই বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ভরাডোবা তাসরিফ কটন মিলের সামনে ময়মনসিংহগামী রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, দুর্ঘটনার পর নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে গুরুতর আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর পুলিশ বাস দুটি জব্দ করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সারাদেশ
ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামকে উইমেন চেম্বারের সংবর্ধনা

চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের নবনির্বাচিত কমিটিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর শহরের জোড়পুকুর পাড়স্থ ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুল মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়।
একই অনুষ্ঠানে চাঁদপুর প্রেসক্লাব, চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম ও চাঁদপুর জেলা ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদককেও সংবর্ধনা দেয়া হয়।
চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মনিরা আক্তারের সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যমুনা গ্রুপের পরিচালক শামছুল আলম, আনন্দ টিভির এজিএম এসবি বুলবুল, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, লায়ন্স ক্লাব অব চাঁদপুরের লায়ন্স ওয়ায়েছ মোহাম্মদ জয়, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল গাজী বাহার।
সংবর্ধিত অতিথিরা হলেন- ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও দৈনিক স্বদেশ বাংলার সম্পাদক একেএম রাশেদ শাহরিয়ার, সাধারণ সম্পাদক ও এনটিভির চিফ অব করেসপনডেন্ট সফিক শাহীন, সিনিয়র-সভাপতি এমএ নোমান (দৈনিক আমার দেশ), সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন (বাণিজ্য প্রতিদিন), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী ফয়সাল (চ্যানেল ২৪), অর্থ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন (দেশ সমাচার), জনকল্যাণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন (অর্থ সংবাদ), প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক নুরুন্নবী চৌধুরী হাছিব (টেক পাবলিক), দপ্তর সম্পাদক মহসিন হোসেন (বিডি সমাচার), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুজ্জামান নাঈম (স্বদেশ বাংলা)।
এ ছাড়া, সালেহ বিপ্লব (দৈনিক দেশবার্তা), নাজমুল হক বাপ্পী (বাংলা স্পোর্টস), ফখরুল ইসলাম (ঢাকা পোস্ট) ও সাঈদ আল হাসান শিমুল (কালবেলা), চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ, চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি রিয়াদ ফেরদৌস, চাঁদপুর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাড. মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত ইকরাম, সাধারণ সম্পাদক শাওন পাটোয়ারীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তারা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কলম ধরে সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে জেলার ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে। পাশাপাশি চাঁদপুরের স্থানীয় সাংবাদিকরা সবসময় তাদের লেখনীর মাধ্যমে এই জেলার কল্যাণ বয়ে আনবে। আমরা সবাই একটি সুন্দর চাঁদপুর বিনির্মাণের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। এসময় চাঁদপুরের সর্বস্তরের সাংবাদিকদের সাফল্য কামনা করেন অতিথিরা।
চাঁদপুর উইমেন চেম্বারের পরিচালক ফেরদৌসী বেগমের সঞ্চলনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও টিভি উপস্থাপ ইউনুছ উল্লাহ, উইমেন চেম্বারের পরিচালক জাহিন আক্তার, সবাই মিলে স্মার্ট শপ -এর সত্বাধিকারী তানিয়া ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথিদের ক্রেস্ট, ফুলেল শুভেচ্ছা ও উপহার প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সহযোগিতায় ছিলো সুনামধন্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ও কুরিয়ার সার্ভিস ‘ঢাকার হাট’।
কাফি
সারাদেশ
শনিবার ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

বিতরণ লাইন মেরামত ও ট্রান্সফরমারের জরুরি সংস্কারকাজের জন্য সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) বিক্রয় এবং বিতরণ বিভাগ-১ ও বিভাগ-২ কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা সিলেট নগরীর ৩৩/১১ কেভি শেখঘাট উপকেন্দ্রের বিকল্প সোর্স লাইনের নির্মাণকাজ চলবে। ফলে এ সময়ে ৩৩/১১ কেভি লাক্কাতুরা ও আম্বরখানা উপকেন্দ্রের সব ১১ কেভি ফিডারগুলোর আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এই সময়ে লাক্কাতুরা উপকেন্দ্রের আওতাধীন এয়ারপোর্ট থানা, কাকুয়ারপাড়, বঙ্গ বাজার, লাক্কাতুরা বাজার, বাইশটিলা, ওসমানী বিমানবন্দর এক্সপ্রেস, ধোপাগুল, বনশ্রী, বাদামবাগিচা (আংশিক), মুসলিম পাড়া, মালনীছড়া, বাঁশবাড়ি গলির মুখ, আঙ্গুরমিয়ার গলির মুখ, রুপসা আবাসিক এলাকা, খাসদবীর প্রাইমারি স্কুল, ইসরাইল মিয়া গলি, আবাদানি, বড়শালা বাজার মসজিদের পাশে আংশিক এলাকা, দারুস সালাম মাদরাসা রোড, পর্যটন, ফরিদাবাদ, সিলভার সিটি, কেওয়াছড়া, হিলুয়াছড়া চা-বাগান, মহালদিক, উমদারপাঙা, সাহেবের বাজার, কালাগুল, লালবাগ, পীরেরগাঁও, আলাইবহর, লিলাপাঙা, দাপনাটিলা, ছালিয়া, রঙ্গিটিলা, সালুটিকর ঘাট ও সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এছাড়াও উল্লেখিত সময়ে আম্বরখানা উপকেন্দ্রের আওতাধীন রায়হুসেন গলি, ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোড, মজুমদারী, সৈয়দমুগনী, চৌকিদেখী (উত্তর পাশ), বাদাম বাগিচা, লেচু বাগান, পীর মহল্লা (পূর্ব ও পশ্চিম), হাউজিং এস্টেট, জালালাবাদ আবাসিক এলাকা, আম্বরখানা, ঘূর্ণি আবাসিক এলাকা, দরগা মহল্লা, গৌর গোবিন্দ টিলা, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বন্দর বাজার, পুরানলেন, জল্লারপাড়, স্টেডিয়াম মার্কেট, মিয়া ফাজিলচিন্ত, সুবিদ বাজার, বনকলা পাড়া, কলবাখানী, চাষনী পীর মাজার রোড, গোয়াইপাড়া, কাহের মিয়ার গলি, মক্তবগলি, শাহী ঈদগাহ, হাজারীবাগ, টিবিগেট, উচাসড়ক, কাজিটুলা, মিরবক্সটুলা, তাতিপাঙা ও সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে।
অন্যদিকে শনিবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) বিক্রয় এবং বিতরণ বিভাগ-২ এর নিয়ন্ত্রণাধীন ফিডারের আওতাধীন নগরীর কাজীটুলা, মানিকপীর মাজার রোড, নয়াসড়ক, বারুদখানা, জেলরোড, হাওয়াপাড়া, চারাদিঘীরপাড় ও আশপাশ এলাকা ছাড়াও ওসমানি যাদুঘর, ধোপাদিঘীর উত্তরপার, কাজী জালাল উদ্দিন স্কুল, নাইওরপুল পয়েন্ট, অনাবিল, হোটেল অনুরাগ, শাহী ঈদগাহ, বালুচর, ঝরনারপাড়, কুমারপাড়া পয়েন্ট, শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা, সোনার বাংলা আবাসিক এলাকা, নতুন বাজার, আল-ইসলাহ, আরামবাগ, বালুচর ছড়ারপাড়, ফোকাস ও সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। দীর্ঘ এই সময়ে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন মেরামত, ট্রান্সফরমার রক্ষণাবেক্ষণ ও রাইট অফ ওয়ে বরাবর গাছপালা কর্তনের কাজ করা হবে।
সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ চলাকালে বিদ্যুৎ লাইনকে চালু অবস্থায় ধরা হবে এবং নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ হলে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে। গ্রাহকদের সাময়িক এ অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।