জাতীয়
দেশে ঈদ কবে, জানা যাবে সন্ধ্যায়

দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর সোমবার নাকি মঙ্গলবার উদযাপিত হবে তা জানা যাবে আজ সন্ধ্যায়। ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় সভায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (বাদ মাগরিব) এ সভা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। একমাস রমজানের রোজা শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।
এদিকে চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা প্রবল বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
সন্ধ্যায় দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর বাংলাদেশের কোথাও চাঁদ দেখা না গেলে মঙ্গলবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ উদযাপিত হবে মঙ্গলবার (১ এপ্রিল)।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

জাতীয়
স্বাধীনতাকে রক্ষা করা সবার পবিত্র দায়িত্ব : বিমানবাহিনী প্রধান

বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের সবার। এ দেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করা আমাদের সবার পবিত্র দায়িত্ব। সবাই মিলে কাজ করলে বিশ্বের মানচিত্রে এই বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারব।’
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসান মাহমুদ খান বলেন, ‘শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা শুধু অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসই জোগায় না, ন্যায়ের পথেও চলতে শেখায়।’
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘এই দেশ সবার। এ দেশে আমরা শান্তিতে, সুন্দরভাবে সবাই বসবাস করব। এখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, ‘জন্মাষ্টমীতে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের যে আদর্শ, সেই আদর্শ এখান থেকে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ুক। এই আদর্শের ভিত্তিতেই আমরা সুন্দরভাবে এই দেশে একসঙ্গে বসবাস করব।’
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশে শত শত বছর ধরে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ি বাঙালি, উপজাতি- সবাই মিলে আমরা অত্যন্ত শান্তিতে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে যাচ্ছি। আজকের এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার হবে, সেই সম্প্রীতি, সেই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ আমরা সব সময় বজায় রাখব।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন আছে। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে থাকব। আপনারা নিশ্চিন্তে এই দেশে বসবাস করবেন। আপনাদের যত ধর্মীয় উৎসব আছে উদ্যাপন করবেন। আমরা একসঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেব।’
পরে প্রদ্বীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে তিন বাহিনীর প্রধান জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
জাতীয়
বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান: সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান। এই দেশে ধর্ম-বর্ণের কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। আমরা সবাই সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রেখে চলছি, ভবিষ্যতেও চলব।’
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই দেশে শত শত বছর ধরে হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, পাহাড়ি-বাঙালি, উপজাতি—সবাই মিলে আমরা অত্যন্ত শান্তিতে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার হবে সম্প্রীতির এই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ আমরা সব সময় বজায় রাখব এবং একসঙ্গে সবাই শান্তিতে সুন্দরভাবে বসবাস করব। এখানে কোনো ধর্ম-জাতি, বর্ণ-গোত্রের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। এই দেশ সবার।
সবাই আমরা এই দেশের নাগরিক। প্রতিটা অধিকার আমাদের; সবার সমান অধিকার এবং সেভাবেই আমাদের সামনের সোনালি দিনগুলো দেখতে চাই।’
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘এখানে নৌবাহিনীর প্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধান আছেন। সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন আছে।
আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব। এক হয়ে আপনাদের সঙ্গে কাজ করে যাব।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ুক। এই আদর্শের ভিত্তিতে আমরা সুন্দরভাবে এ দেশে একসঙ্গে বসবাস করব।’
অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বলেন, ‘শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা শুধু অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসই জোগায় না, ন্যায়ের পথেও চলতে শেখায়।’
‘এই বাংলাদেশ আমাদের সবার। স্বাধীনতাকে রক্ষা করা আমাদের সবার পবিত্র দায়িত্ব। সবাই মিলে কাজ করলে বিশ্বের মানচিত্রে এই বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারব’, যোগ করেন বিমানবাহিনীর প্রধান।
নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেন, ‘আসুন, পারস্পরিক সহনশীলতার মাধ্যমে দেশকে আরো শক্তিশালী করি। শ্রীকৃষ্ণ যেন সমাজে ন্যায় ও আলোর সত্য প্রজ্জ্বলিত করেন।’
পরে প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে তিন বাহিনীর প্রধান জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পলাশীর মোড় থেকে শুরু হয় জন্মাষ্টমীর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হবে।
জাতীয়
প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদেশি নির্ভরতা কমান: জ্বালানি উপদেষ্টা

প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদেশি নির্ভরতা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শনিবার (১৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম-ঢাকা জ্বালানি তেলের পাইপলাইন প্রকল্পের উদ্বোধনী (কমিশনিং) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আর কতকাল পরনির্ভরশীল থাকবো আমরা। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন ও ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজেদের প্রকৌশলীদের দক্ষ করে তুলতে হবে।’
স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্পে ভ্যালু অ্যাডিশন বাড়াতে হবে। দুর্নীতির কারণে সম্পদের সদ্ব্যবহার হচ্ছে না। দুর্নীতি রোধ করে দেশীয় সম্পদের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় জ্বালানি তেলের প্রধান স্থাপনা (এম.আই.) প্রান্তে আজ এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় নতুন যুগে প্রবেশ করলো বিপিসি। জ্বালানি তেল সরবরাহের এই আধুনিক ব্যবস্থা চালু হওয়ায় অপচয় রোধ, অর্থ ও সময় সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি তেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
বিপিসির কর্মকর্তারা জানান, ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইনে নিয়মিত জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হলে তেল পরিবহন বাবদ বছরের সাশ্রয় হবে অন্তত ২০০ কোটি টাকা। এই পাইপলাইন দিয়ে মূলত ডিজেল পরিবহন হবে ঢাকার গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপোতে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় ৫০ লাখ লিটার ডিজেল চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে ঢাকার গোদনাইলে পরিবহন করতে এখন সময় লাগছে মাত্র ১২ ঘণ্টা। আগে নৌপথে ডিজেল পরিবহন করতে সময় লাগতো ৪৮ ঘণ্টা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি সচিব সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের প্রধান মেজর জেনারেল হাসানুজ্জামান, প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল সুলতান মাহমুদ।
জাতীয়
ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির দালাল, প্রশ্ন আইন উপদেষ্টার

ডাক্তারদের পৃথিবীর কোন দেশে বেসরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের জন্য নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে? ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির দালাল-প্রশ্ন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের।
শনিবার (১৬ আগস্ট) শহীদ আবু সাইদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএইচসিডিওএ) এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন করেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আমাকে বছরে অন্তত পাঁচ-ছয় বার হাসপাতালে যেতে হয়। আমি কখনো বিদেশে চিকিৎসা নেইনি, কারণ আমার সে সামর্থ্য নেই। দেশে চিকিৎসা নিয়েই ভালো সেবা পেয়েছি—কারণ মানুষ আমাকে চেনে। কিন্তু সাধারণ মানুষ কি একই সেবা পাচ্ছেন? রোগীর কথা শোনার বদলে ডাক্তাররা অনেক সময় ১৪-১৫টি টেস্ট ধরিয়ে দেন, নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ কিনতে বলেন। এসব বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ডাক্তারদের পৃথিবীর কোন দেশে বেসরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের জন্য নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে? ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির দালাল? দেশের বড় বড় ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির মধ্যস্বত্বভোগী। কোন জায়গায় নামিয়েছেন নিজেদের। এ ছাড়া ডাক্তাররা অভিযোগ করে টেস্টের রেজাল্ট ভুল। অথচ দেশে অনেক জায়গায় ভালো টেস্ট হয়।
আইন উপদেষ্টা বলেন, সব থেকে বেদনাদায়ক হচ্ছে বেশিরভাগ হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীদের আচরণ ও মন খারাপ থাকে। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে থাকেন, সেবা দিতে চান না। কারণ তারা ১২ হাজার টাকা বেতন পান। আপনারা কম টাকা লাভ করেন। অনেক হাসপাতালের মালিক আছেন যাদের আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। অনেকে কোটি টাকার বাগান বাড়িতে থাকতে পারেন অথচ নার্সদের ভালো বেতন দিতে পারে না। আপনারা লাভ করেন কিন্তু সেটা ন্যায্যভাবে করেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে মানুষ ভারত, ব্যাংকক যেতে চায় না। আপনাদের কাছে সেবা পেতে চায়। কারণ আপনারা করোনাকালীন সেটা প্রমাণ করেছেন যে আপনাদের সক্ষমতা আছে। আপনারা যদি নার্সসহ অন্যান্য কর্মচারীদের আরেকটু খানি বেতন বাড়ান তাহলে আপনাদের ১০ কোটি টাকা লাভ কম হবে। যদি ১০০ কোটি টাকা লাভ করেন সেখান থেকে ১০ শতাংশ কম লাভ হবে। এটার ফলে তারা যে সেবা দেবে সেটা কভার করে দেবে। সেটা না হলে আল্লাহতো আছেন।
জাতীয়
দৈনিক ৬ কোটি ডিম উৎপাদন হলেও চাহিদা পূরণ হচ্ছে না: ফরিদা আখতার

দেশে প্রতিদিন প্রায় ছয় কোটি ডিম উৎপাদন হলেও তা দিয়ে চাহিদা পূরণ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। পুষ্টি নিরাপত্তা প্রসঙ্গে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমানে দেশে মাথাপিছু গড় মাংস খেতে পারে মাত্র ২০০ গ্রাম। এখনও বহু পরিবার আছে যারা সপ্তাহে বা মাসে একদিন মাংস খায়।’
শনিবার সকালে ঢাকা সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুলে নবনির্মিত ছয়তলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন ও এসএসসি-২০২৫ সালের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো অবস্থানে আছে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম আমাদের পুষ্টির উৎস। তাই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি পুষ্টির দিকটিও বিবেচনায় রাখতে হবে।’
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বহু তরুণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ শহীদ হয়েছেন। অনেকে হাত-পা-চোখ হারিয়ে আজীবন পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের ত্যাগকে স্মরণ রেখে এমন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে মানুষের অধিকার কখনো ক্ষুণ্ণ হবে না।’
তিনি বলেন, ‘বেগম রোকেয়া মুসলিম মেয়েদের জন্য স্বাধীন পরিবেশ দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন, সেখানে পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালিত হতো। কেবল বই পড়া দিয়ে সবকিছু জানা সম্ভব নয়, কারণ ইতিহাস বারবার বিকৃত হয়েছে। তাই শিক্ষকদের দায়িত্ব হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষা দিয়ে দেশ ও জাতি সম্পর্কে সচেতন করে তোলা।’
নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘স্কুলের ভেতরে ও বাইরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্ব নিতে হবে। ইভটিজিংয়ের কারণে মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে—নতুন বাংলাদেশে এটা হতে দেওয়া যাবে না।’
পরিবেশ সুরক্ষায় শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সপ্তাহে অন্তত একদিন স্কুল ও এলাকায় পরিবেশ রক্ষায় কার্যক্রম চালাতে হবে। পাশাপাশি পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। কারণ এগুলো মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।’
নারী শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী ও আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নারী নির্যাতন আইন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে শিক্ষক, অভিভাবক ও সমাজকে একসঙ্গে সচেতন হতে হবে।’