আন্তর্জাতিক
নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেন ইমরান খান

পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রচারে তার প্রচেষ্টার জন্য নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ইমরান খানের নাম প্রস্তাব করেছে পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স (পিডব্লিউএ) এবং নরওয়ে ভিত্তিক সংগঠন পার্টিয়েট সেন্ট্রাম। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে পার্টিয়েট সেন্ট্রাম বলেছে, “আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, মনোনয়নের অধিকারী এমন একজনের সঙ্গে (পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স) জোটবদ্ধ হয়ে, আমরা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে তার কাজের জন্য নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করেছি।”
বিবৃতিতে গণতন্ত্রের সংগ্রামে পিটিআই প্রধান ইমরান খানের নেতৃত্ব, মানবাধিকারের প্রতি তার অবস্থান ও পাকিস্তানিদের সমস্যা সমাধানে তার নিষ্ঠার প্রশংসা করা হয়েছে।
এর আগে, ২০১৯ সালে দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার জন্য ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। সেবার ইমরান খানকে মনোনীত করেছিল মার্কিন পত্রিকা ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর।
প্রতি বছর, নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শত শত মনোনীতদের নাম পায়, যার পরে তারা দীর্ঘ আট মাসের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করে।
পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলায় তাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এটি চতুর্থ বড় মামলা যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস এবং বেআইনি বিবাহ সম্পর্কিত তিনটি মামলা উচ্চ আদালত কর্তৃক বাতিল বা স্থগিত হয়েছে।
২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের পর ইমরান খান ক্ষমতা হারান। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন, এগুলোকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আজ

জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে এবং এই উত্তেজনা সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। এমন অবস্থায় রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসতে চলেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
সোমবার (৫ মে) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এখানে পেহেলগামে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার পরবর্তী পরিস্থিতি এবং ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হবে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আজ একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক আয়োজন করতে যাচ্ছে। এই বৈঠকে ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মিরের পেহেলগামে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার পরবর্তী পরিস্থিতি এবং ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হবে।
পাকিস্তানের অনুরোধে এই বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা জাতিসংঘে আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং ভারতের একতরফা পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবে। পাকিস্তান এই কূটনৈতিক উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের অংশ হিসেবে দেখছে।
মূলত পেহেলগাম হামলার পর ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে এবং সীমান্তবর্তী আতারি-ওয়াঘা স্থলসীমান্ত বন্ধ করে দেয়। পানিচুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তকে পাকিস্তান “যুদ্ধ ঘোষণার শামিল” বলে উল্লেখ করে এবং পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিজেদের আকাশসীমায় ভারতীয় বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এছাড়া পাকিস্তান গত শনিবার “আবদালি” ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। ভারতের কর্মকর্তারা এটিকে “খোলামেলা উসকানি” বলে মন্তব্য করেছেন। ৪৫০ কিমি রেঞ্জের এই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তান “সিন্ধু মহড়ার” অংশ হিসেবে পরীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়া জানিয়েছে, তারা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত, যদি উভয় পক্ষ সম্মত হয়।
বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি, সীমান্তে সংঘর্ষ এবং পারস্পরিক নিষেধাজ্ঞার ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়েছে। জাতিসংঘের এই বৈঠকে উত্তেজনা প্রশমনে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, সেদিকেই নজর রয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের।
উল্লেখ্য, ভেটো ক্ষমতার অধিকারী নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য — চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও — কাউন্সিলের ১০টি অস্থায়ী সদস্য হলো— আলজেরিয়া, ডেনমার্ক, গ্রিস, গায়ানা, পাকিস্তান, পানামা, দক্ষিণ কোরিয়া, সিয়েরা লিওন, স্লোভেনিয়া এবং সোমালিয়া।
আর চলতি মে মাসের জন্য জাতিসংঘের এই সংস্থার সভাপতিত্ব করছে গ্রিস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কুয়েতে ঈদুল আজহার ছুটি ঘোষণা

জিলকদ চাঁদ দেখা যাওয়ার পর কুয়েতের কর্তৃপক্ষ ঈদুল আজহা ২০২৫ উপলক্ষে ছুটির সময়সূচি ঘোষণা করেছে। ইসলামি ক্যালেন্ডারের ১১তম মাস জিলকদ চাঁদ দেখার পর নিশ্চিত হয়েছে যে পরবর্তী মাস হবে জিলহজ, যা হজ ও ঈদুল আজহার পবিত্র আয়োজনের সূচনা করে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কুয়েতের মন্ত্রিসভা ৫ জুন বৃহস্পতিবার থেকে ৮ জুন রবিবার পর্যন্ত আরাফাত দিবস ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে।
এছাড়া, ৯ জুন সোমবার ‘রেস্ট ডে’ বা বিশ্রাম দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে দেশটিতে অফিস-আদালত খুলবে ১০ জুন মঙ্গলবার থেকে।
জ্যোতির্বিদদের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৭ মে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, ফলে ২৮ মে হবে কুয়েতে পবিত্র জিলহজ মাসের প্রথম দিন। এর ভিত্তিতে ৫ জুন পালিত হবে পবিত্র আরাফার দিন এবং ৬ জুন উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা।
বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা ঈদুল আজহা ধর্মীয় উৎসাহ-উদ্দীপনায় উদযাপন করে থাকেন হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও হযরত ইসমাইল (আ.)-এর ত্যাগ ও আনুগত্যের স্মরণে। এটি হিজরি বছরের সর্বশেষ মাস জিলহজের ১০ তারিখে পালন করা হয় এবং মুসলিম বিশ্বের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
নিজেদের সব বন্দরে ভারতীয় জাহাজ নিষিদ্ধ করলো পাকিস্তান

কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে ভারত ও পাকিস্তান। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (৩ মে) নিজেদের সব বন্দরে ভারতের পতাকাবাহী জাহাজ নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান। এর আগে ভারতের পক্ষ থেকেও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়।
শনিবার (১ মে) ভারতের জাহাজ চলাচলবিষয়ক বিভাগের মহাপরিচালক এক বিবৃতিতে জানান, পাকিস্তানের পতাকাবাহী জাহাজকে ভারতের কোনো বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে ভারতের পতাকাবাহী জাহাজ পাকিস্তানের কোনো বন্দরে যাবে না। ভারতীয় জনগণ, সম্পদ ও ভারতের জাহাজ চলাচলের স্বার্থ ও নিরাপত্তা রক্ষায় এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের এই আদেশের পর পাকিস্তানের সমুদ্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বন্দর ও জাহাজ চলাচল বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সামুদ্রিক সার্বভৌমত্ব রক্ষা, অর্থনৈতিক স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের পতাকাবাহী জাহাজকে পাকিস্তানের কোনো বন্দরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজ ভারতীয় কোনো বন্দরে যাবে না।
এবিষয়ে যেকোনো ব্যতিক্রম বা ছাড়ের ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ‘কেস-টু-কেস’ ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অংশ হিসেবে দেশটি থেকে সব ধরনের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ আমদানি নিষিদ্ধ করেছে নয়াদিল্লি।
ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় শুক্রবার (২ মে) বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, পাকিস্তান থেকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে আসা সব ধরনের পণ্যের আমদানি ও পরিবহন এখন থেকে নিষিদ্ধ। এ নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
পাকিস্তান থেকে আকাশ ও স্থলপথে সব ধরনের ডাক ও পার্সেলও নিষিদ্ধ করেছে ভারত। শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানায়।
গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে নয়াদিল্লি। তবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। ওই হামলার পর থেকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রতিবেশীর মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সিইওর পদ ছাড়ছেন ওয়ারেন বাফেট

বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ওয়ারেন বাফেট। চলতি বছরের শেষ দিকে তিনি এই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কায় বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের বার্ষিক শেয়ারহোল্ডারদের সভায় শনিবার এ ঘোষণা দেন। অনেক বিনিয়োগকারী আগেই বিষয়টি আঁচ করেছিলেন, কিন্তু বিশ্বাস করতে পারেননি। তবে সেই ঘোষণাই এসেছে সভায়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী বাফেটের পদত্যাগের পর বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে বার্কশায়ারের সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেবেন গ্রেগ অ্যাবেল। বার্কশায়ারের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ২০২১ সালেই তাঁকে বাফেটের উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত করা হয়।
শনিবারের সভায় বাফেট জানিয়েছেন, তিনি বার্কশায়ারের একটিও শেয়ার বিক্রি করবেন না। তিনি বলেন, তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা কেবল তাঁর সন্তানেরাই জানতেন।
বাফেট বলেন, আমি চাই, বছরের শেষে গ্রেগ অ্যাবেল কোম্পানির সিইও হিসেবে দায়িত্ব নিক। তিনি চমকে দেওয়ার জন্য পরিচালকদের সামনে হঠাৎ করে এ ঘোষণা দিতে চেয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন। এ সময় হাজার হাজার দর্শক দাঁড়িয়ে বাফেটকে সম্মান জানান।
৯৪ বছর বয়সী বাফেট এই অনুষ্ঠানে তাঁর উত্তরসূরি প্রসঙ্গে কথা বলবেন, এমনটা প্রত্যাশা ছিল। তিনি ১৯৬৫ সালে বার্কশায়ার প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ১৯৭০ সাল থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানর সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিতর্ক নয়, সমঝোতা চায় পাকিস্তান—জাতিসংঘে শান্তির বার্তা

অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিকে বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি আখ্যা দিয়ে উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমদ।
শুক্রবার (২ মে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিম ইফতিখার জানান, সাম্প্রতিক আঞ্চলিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিব, সাধারণ পরিষদের সভাপতি এবং নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের অবহিত করেছে পাকিস্তান। একইসঙ্গে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অংশীদারের সঙ্গেও দেশটির কূটনৈতিক অবস্থান ও উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, উত্তেজনা প্রশমনে পাকিস্তানের সদিচ্ছা রয়েছে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় পাকিস্তান পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানিয়ে আসিম বলেন, “নিরাপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি পাকিস্তানের শান্তিপূর্ণ, সহযোগিতামূলক এবং সুসম্পর্কভিত্তিক প্রতিবেশী নীতির কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন। আসিম বলেন, “পারস্পরিক সম্মান ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে যেকোনো বিরোধের সমাধান চায় পাকিস্তান—এমনকি ভারতের সঙ্গেও।”
তিনি আরও জানান, ২২ এপ্রিল পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর ভারত-পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে, যা বৈশ্বিক শান্তির জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করছে।
আসিম মনে করেন, এই সংকট মোকাবেলায় একতরফা পদক্ষেপ ও উস্কানিমূলক বক্তব্য থেকে বিরত থাকা জরুরি। পাশাপাশি তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবসহ আন্তর্জাতিক মহলের শান্তিপূর্ণ আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণে কৃতজ্ঞতা জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার তাগিদ দেন।