জাতীয়
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে ভূকম্পন অনুভূত হয়। তবে কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই ভূমিকম্পে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭। এর উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশের পাশের দেশ মিয়ানমারের মান্দালয়। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৫৯৭ কিলোমিটার। ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প বড় ধরনের বলে গণ্য করা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাইয়াত কবীর প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর–উত্তরপশ্চিমে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ১০ কিলোমিটার গভীরে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
মোঘল আমলের কায়দায় ঢাকায় ঈদ আনন্দ মিছিল

ঢাকায় সুলতানি মোঘল আমলের কায়দায় ঈদ আনন্দ মিছিল হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই আনন্দ মিছিলে অংশ নেন অসংখ্য মানুষ, যারা একত্রিত হয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরের পুরনো বাণিজ্যমেলার মাঠে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাত শেষে সকাল ৯টায় সেখান থেকেই শুরু হয় বর্ণাঢ্য ঈদ আনন্দ মিছিল।মিছিলটি আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠের সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক ধরে খামারবাড়ি মোড় হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদের জামাত শেষ হতেই মিছিলের মধ্যে শুরু হয় ব্যান্ডপার্টির বাজনা, এবং বাজতে থাকে জনপ্রিয় ঈদ গান ‘ও মোর রমজানের ওই রোজার শেষে’। এতে হাজার হাজার মানুষ একত্রিত হয়ে ঈদের আনন্দে মেতে ওঠেন।
মিছিলে ছিল সুসজ্জিত পাঁচটি শাহী ঘোড়া, ১৫টি ঘোড়ার গাড়ি, ব্যান্ড পার্টি ও বাদ্যযন্ত্র। ঘোড়ার গাড়িগুলোর শোভায় মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন। এছাড়া, সুলতানি-মোঘল আমলের ইতিহাসচিত্র সম্বলিত পাপেট শো আয়োজন করা হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের মাঝে বাড়তি আনন্দ যোগ করে। মিছিল শেষে অংশগ্রহণকারীদের সেমাই ও মিষ্টি খাওয়ানো হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই আয়োজন শেষ করা হয়।
অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, এমন আয়োজন যদি প্রতিবছর হয়, তাহলে ঈদের আনন্দ আরো বহুগুণ বেড়ে যাবে।
মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী তুষার আহমেদ বলেন, “এমন একটি আয়োজনে অংশ নিতে পেরে সত্যিই দারুণ লাগছে। আমাদের পুরনো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে এমন আয়োজন বারবার হওয়া উচিত।”
মিছিলে অংশ নেওয়া ইফতিয়াক আশিক নামের অপর একজন বলেন, ঢাকায় অনেক বছর পর এভাবে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে, খুবই ভালো লাগছে। আমি পুরো মিছিলজুড়েই ছিলাম।
ঈদের এই আয়োজনকে ঘিরে পুরো এলাকায় ছিল নিরাপত্তার কড়াকড়ি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন তৎপর।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ঢাকার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যগুলোও ফিরিয়ে আনা। এই ঈদ আনন্দ মিছিল তারই একটি অংশ। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে এই আয়োজন করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতীয় ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

মানুষের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে, সব প্রতিকূলতার সত্ত্বেও সেই ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের আত্মত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশকে আমরা পেয়েছি, তা ধরে রাখতে সবার মধ্যে আরও কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
রবিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজের পর দেওয়ার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, আহত হয়ে যারা স্বাভাবিক জীবন হারিয়েছে তাদের জন্য দোয়া করব। তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে জাতীয় ঐক্য গড়ে হবে। আমরা যেন স্থায়ী একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে সামনে এগিয়ে যেতে পারি সেজন্য কাজ করতে হবে। যারা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে নিজেদের আত্মাহুতি দিয়েছেন আমরা অবশ্যই তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। যত বাধাই আসুক ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আজ বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি বাজারে, প্রতিটি গঞ্জে প্রতিটি শহরে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতির পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদ মোবারক জানাচ্ছি। যারা ঈদের জামাতে শরিক হওয়ার সুযোগ পাননি তাদেরকেও ঈদ মোবারক। মা বোন যার ঘরে আছে জাতির পক্ষ থেকে ঈদ মোবারক। প্রবাসী ভাইয়েরা যারা বিদেশে আছে আজ হয়তো অনেকেই ঈদের জামাতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন না তাদের ঈদ মোবারক। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যারা আছেন আমরা তাদের ভুলে যাইনি। তাদেরও ঈদ মোবারক। যারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন জামাতে আসতে পারেননি তাদেরকে ঈদ মোবারক।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ঈদ নৈকট্য আদায়ের দিন, ভালোবাসার দিন। এই দিনটি যেন আমরা ভালোভাবে আদায় করতে পারি, আমরা যেন সবার কাছে পৌঁছে যেতে পারি সেই আহ্বান রইল। আজ একটা অটুট ঐক্য গড়ে তোলার দিন। স্থায়ীভাবে এই ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। ঈদের জামাতে আমাদের এই কামনা। আজ মোনাজাতে তাদেরকে স্মরণ করব দোয়া করব, যারা নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য জন্য নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। সবাই যেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করি।
তিনি বলেন, যারা আহত হয়ে স্বাভাবিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন তারা যেন স্বাভাবিক জীবনে ফেরতে আসতে পারেন সে দোয়া করব।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েন প্রধান উপদেষ্টা। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম হিসেবে এ জামাতে দায়িত্ব পালন করেন এবং ক্বারী হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
জামাত শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় এ জামাত শুরু হয়।
এবার ঈদের প্রধান জামাতে দেশবরেণ্য ইসলামী আইন বিশেষজ্ঞ ও হাদিস বিশারদ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ঈদ জামাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিভিন্ন সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের হাজারো মানুষ নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে খুতবা পাঠ করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। এর আগে আলোচনায় দেশ ও মুসলিম জাতির কল্যাণে দোয়া করেন তিনি।
এদিন ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই জাতীয় ঈদগাহ মাঠে মুসল্লিদের যেতে দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঈদগাহ মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। জামাত শুরু হলে নামাজের কাতার কদম ফোয়ারা ও প্রেস ক্লাব এলাকা ছাড়িয়ে যায়।
ঈদের প্রধান জামাতের আয়োজনে ছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সংস্থাটির জনসংযোগ বিভাগ জানায়, ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করেছেন। সেখানে নারীদের জন্য আলাদা নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা ছিল। বাবা-মায়ের হাত ধরে আসে ছোট শিশুরাও।
মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় পুলিশ, র্যাব ও অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ

আজ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। দীর্ঘ ২৯ দিন সিয়াম সাধনার পর সোমবার সারাদেশের মুসলমানরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।
রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পরই ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় নিশ্চিত করা হয় যে, সোমবার সারাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে।
ঈদ জামাতের আয়োজন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল হলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে:
সকাল ৭টা, সকাল ৮টা, সকাল ৯টা, সকাল ১০টা, সকাল পৌনে ১১টা
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
নিরাপত্তা ও অন্যান্য ব্যবস্থা ঢাকা মহানগরীতে এক হাজার ৭৩৯টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদগাহ মাঠ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, সোয়াট ও বোম্ব স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঈদগাহ এলাকায় নজরদারি করা হবে।
সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বিনামূল্যে বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতাল, বৃদ্ধনিবাস, কারাগার ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। এখানে প্রায় তিন লাখেরও বেশি মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করবেন। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঈদের আনন্দ ঈদের দিন সরকারি ও বেসরকারি ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করেছে।
শুভেচ্ছা বার্তা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন এবং মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেছেন।
সকলের জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতর আনন্দময় হোক। ঈদ মোবারক!
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মিয়ানমারে ত্রাণ পাঠালো বাংলাদেশ

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে অবস্থিত মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়তেই ১৫ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসে পড়া ঘরবাড়ির নিচে চাপা পড়া মানুষের খোঁজে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে অনেক জায়গায়।
এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১ হাজার ৬৪৪ জন নিহত এবং ৩ হাজার ৪০৮ জন আহত হয়েছে। দরিদ্র ও যুদ্ধকবলিত দেশটির সামরিক শাসকরা শনিবার কয়েক শ বিদেশি উদ্ধারকর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন।
এ অবস্থায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে জরুরি ভিত্তিতে মিয়ানমারে ১৬ দশমিক ৫ টন ওষুধ, তাঁবু ও ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্ল্যানিং) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আলিমুল আমীন।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্পের ফলে খাদ্য, পানি ও বাসস্থান সংকট এবং জরুরি চিকিৎসার অভাবে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের এই মানবিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত মর্মাহত।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণসামগ্রী হিসেবে ওষুধ, তাঁবু, শুকনা খাবার এবং উদ্ধার ও চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা সহায়তা দল প্রেরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুটি পরিবহন বিমান জরুরি এসব ত্রাণসামগ্রীসহ মিয়ানমারের ইয়াংগুনের উদ্দেশে রওনা দেয়।
উল্লেখ্য, আজ যে ত্রাণসামগ্রী মিয়ানমারে পাঠানো হচ্ছে তা পরিকল্পিত ত্রাণ সহায়তার একটি অংশমাত্র। পরবর্তীতে, মিয়ানমার সরকারের অনুমতি প্রাপ্তি সাপেক্ষে আরও ত্রাণসহায়তা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দল পাঠানো হবে।
উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ২৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে ১০ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এ ছাড়া চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ১০ সদস্য এবং অসামরিক চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ১১ সদস্যের দুটি মেডিকেল টিমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।