অর্থনীতি
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন সীমা বাড়লো

মোবাইলে ব্যাংকিং বা আর্থিক সেবার (এমএফএস) লেনদেন সীমা আবার বাড়ানো হয়েছে। এখন একজন গ্রাহক তার অ্যাকাউন্টে দিনে ৫০ হাজার টাকা এবং মাসে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা জমা (ক্যাশ-ইন) করতে পারবেন। একই সঙ্গে দিনে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা তোলা বা ক্যাশ আউট করা যাবে। মাসে করা যাবে ২ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের এ নতুন সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মতে, এখন একজন গ্রাহক তার অ্যাকাউন্টে দিনে ৫০ হাজার টাকা ক্যাশ-ইন বা জমা করতে পারবেন। আর মাসে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা ক্যাশ-ইন করা যাবে। এতদিন একজন গ্রাহক দিনে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা এবং মাসে ২ লাখ টাকা জমা করতে পারতেন। তবে ব্যাংক ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে আগের মতোই দিনে ৫০ হাজার এবং মাসে ৩ লাখ টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে।
একই সঙ্গে দিনে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা তোলা বা ক্যাশ আউট করা যাবে। মাসে ২ লাখ টাকা উত্তোলন করা যাবে। এতদিন দিনে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা তোলা বা ক্যাশ আউট করা যেত। আর মাসে সর্বোচ্চ একলাখ ৫০ হাজার টাকার সুবিধা ছিল।
এছাড়া ব্যবসায় থেকে ব্যক্তি (বিটুপি) দৈনিক সীমা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। মাসিক ২ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে। আর হিসাবের স্থিতির সীমা ৩ থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। তবে আগে সীমা অপরিবর্তিত থাকবে ব্যাংক ট্রান্সফারের (ব্যাংক হিসাব ও কার্ড)। এক্ষেত্রে কোনো লেনদেনের সংখ্যা প্রযোজ্য নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
৩০ চীনা কোম্পানির ১০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরে দেশটির সরকার এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ, অনুদান ও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশ পেয়েছে। এর মধ্যে ১০০ কোটি ডলারের বেশি হবে বিনিয়োগ।
রবিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, চীনের ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রতিশ্রুতির কথা আমরা বলছি। এই অর্থ আগের সব বড় বড় অংকের থেকে একটি বড় কারণে ভিন্ন। কারণ আগে যে বড় অংকের অর্থ নিশ্চিত করে আসা হয়েছে সেগুলো ছিল ঋণ। ঋণের একটা ইতিবাচক দিক হলো, নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টাকা চলে আসে, নেতিবাচক হলো, এই টাকা আমাদের ফেরত দিতে হয়। সুতরাং আমাদের অর্থনীতিতে এই টাকা ঢোকে এবং সুদসহ বের হয়ে যায়। সেই জায়গায় যদি বিনিয়োগ আসে, সেটি আমাদের অর্থনীতিতে থেকে যায়। এই টাকা কখনো এই দেশ থেকে যাবে না। এই বিনিয়োগের ফলে যে পরিমাণ কর্মসংস্থান হবে সেটা ঋণ থেকে কখনোই হয় না।
আশিক চৌধুরী বলেন, এবার এই ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার থেকে ১ বিলিয়নের বেশি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি। এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ৩০টি চীনা কম্পানি। এটি মূলত চট্টগ্রামের আনোয়ারাতে চীনা শিল্প ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের ওপর নির্ভর করে। প্রায় ৮০০ একর জমির ওপর এই শিল্পাঞ্চল তৈরির কাজ চলছে। এই জোনের কাজ অনেক আগেই শুরু হয়েছিল, কিন্তু ২০২২ সালের পর এটা নিয়ে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। গত তিন মাসে আমরা এখানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছি এবং অনেকগুলো বড় সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে। তাদের সঙ্গে একটা নেগসিয়েশনে এসেছে, যে কারণে বিনিয়োগকারীরা এখন খুবই কনফিডেন্ট অনুভব করছেন যে, এই বছরের কোনো এক সময় আমরা নির্মাণকাজ শুরু করব। জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, এখন আমরা নির্মাণ কাজে যাব। সেটার ওপর নির্ভর করেই কিন্তু চীনা কম্পানি আমাদের এখানে আসার চিন্তা করছে।
এবারের চীন সফরে স্বাস্থ্য সেবা একটা বড় বিষয় ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১২ শতাংশের মতো এসেছে অনুদান, যা প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলারের মতো। এর মধ্যে ১৫০ মিলিয়ন ডলার কারিগরি সহায়তার জন্য এবং ১০০ মিলিয়ন হাসপাতাল তৈরির জন্য। চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে বাংলাদেশে অত্যাধুনিক হাসপাতাল তৈরি করা এবং বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য যে যাত্রা ভারত-থাইল্যান্ডের দিকে হয়, আমরা চেষ্টা করছি, যাতে চীন থেকে সেই সাপোর্ট পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিষয়টি কিন্তু আমাদের জন্য বড় প্রভাব রেখেছে। আমরা অনেক দিন ধরে চীনের বিনিয়োগের কথা বলছি। চীনা বিনিয়োগের যে গুরুত্ব সেটা আমরা আবারও গিয়ে অনুধাবন করেছি। আমরা এই সুযোগ আসলে খুব কম গ্রহণ করেছি। চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা এখনো আছে কিন্তু খুব স্বল্প পরিসরে আছে। আমাদের আরো বেশি হারে চীনে যেতে হবে। চীন এমন একটি মহাদেশ, যেখান থেকে আমাদের সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ আসা সম্ভব। লাস্ট আগস্ট থেকে এই মার্চ পর্যন্ত ৩৪টি চীনা কম্পানি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ-বেপজাতে। এখানে আর্থিক প্রতিশ্রুতি প্রায় ১৬০ মিলিয়ন ডলারের মতো।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক বিশেষ দূত ড. খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পানি ব্যবস্থাপনা-শিল্পায়নে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি চীনের

পানি ব্যবস্থাপনা ও শিল্পায়নে বাংলাদেশকে চীন সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান। তিস্তা প্রকল্পের ব্যাপারে চীন ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বলেও তিনি জানান।
রবিবার (৩০ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফর নিয়ে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ড. খলিলুর রহমান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার এ সাপোর্টটি একটা ঐতিহাসিক সফর ছিল বিভিন্ন কারণে ঐতিহাসিক সফল। ৫ দশক ধরে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে উন্নতি হয়েছে। তারই একপর্যায়ে ৫০তম বর্ষে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা চীন সফর করলেন। তাদের সঙ্গে বৈঠকগুলো ফলপ্রসূ হয়েছে। আরও একটি কারণে এ সফরকে আমি ফলপ্রসূ বলবো আগামী কয়েক দশকে বাংলাদেশ এবং চীনের বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী বন্ধনে ওপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন আমাদের এ দুই দেশের শীর্ষ দুই নেতা। এ বিষয়ে আমি দুটো স্তম্ভের কথা বলব। প্রথম স্তম্ভ হচ্ছে পানি সম্পদ, দ্বিতীয়টি হচ্ছে শিল্পায়ন। আমরা নদীমাতৃক দেশ, পানিসম্পদ এবং আমাদের জীবন যাত্রা বহুল অংশে পানির ওপর নির্ভরশীল।
তিনি আরও বলেন, প্রকৃতির এবং পরিবেশের যে পরিবর্তন আগামী ৫০ বছরে তার এ প্রভাব বাংলাদেশের জনগণের ওপর পড়বে। সেই কনসিডারেশনে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা চীনের সঙ্গে দীর্ঘ গভীর বিস্তৃত আলোচনা করেছেন। রিভার সিস্টেম কিভাবে আমরা এগুলো ব্যবহার করতে পারি চীন আমাদের জন্য একটা অত্যন্ত বড় দৃষ্টান্ত। এসব বিষয়ে তারা পৃথিবীতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সহায়তা চেয়েছেন এবং তারাও সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এর পরপরই তিনি চীনের পানিসম্পদমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে সাক্ষাতের সময় সেখানে চীনের পানি বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশে পানির যে চাহিদা এবং সেই চাহিদা পূরণে কি কি উপায় হতে পারে সেটা নিয়ে বিশাল আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, চীনা পক্ষ আমাদের সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নদীর পানি সংরক্ষণ বন্যার পূর্বাভাস বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিভিন্ন বিষয়ে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে আমি তিস্তা নদীর যে প্রকল্প সে প্রকল্পটা উল্লেখ করব। এ প্রকল্পটা আগেই নেওয়া হয়েছেছিল এবং এটার জন্য চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণের আগ্রহ আমরা ব্যক্ত করেছি। তারাও এ বিষয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। দ্বিতীয়ত হচ্ছে শিল্পায়ন। আপনারা সবাই জানেন যখন দেং শিয়াও পিং চীনে বিস্তৃতি এবং গভীর সংস্কার সাধন করলেন তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বৈদেশিক বিনিয়োগ চীনের প্রতি আকৃষ্ট করা।
তিনি বলেন, এ সংস্কারের ফলে আমরা দেখেছি ১৯৮০ সালের থেকে শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত বিশাল বৈদেশিক বিনিয়োগ বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চায়নাতে এসেছে যে সমস্ত কারণে এ পশ্চিমা দেশগুলো চীনে এসেছিল সে কারণগুলোর কারণেই কিন্তু আজ চীন থেকে বিনিয়োগগুলো অন্যান্য দেশে চলে যাচ্ছে। ভিয়েতনামে চলে গেছে এবং তা আমাদের দেশেও আমরা আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছি। আগামী দিনগুলোতে আমাদের যুব সমাজের যে কর্মসংস্থান তার অনেকটাই নির্ভর করবে শিল্পায়নের গতির ওপর। প্রধান উপদেষ্টা প্রেসিডেন্টকে সরাসরি আহ্বান জানিয়েছেন চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বাংলাদেশে এসে তাদের কারখানা প্রতিষ্ঠা করে এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট শি জবাব দিয়েছেন যে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি তদারকি করবেন। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।
চীন সফরে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি চীনের আন্তরিকতার দিক তুলে ধরে খলিলুর রহমান বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট গ্রেট হল থেকে বাইরে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন আমাদের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূসকে স্বাগতম জানানোর জন্য। তিনি সাধারণত গ্রুপ ফটো তোলেন না। আমাদের সবাইকে নিয়ে ছবি তুলেছেন যেটা খুবই বিরল। তিনি বৈঠকের সময় তার নোট বাদ দিয়ে, লিখিত নোটের বাইরে গিয়ে স্মরণ করলেন ফুজিয়ানের গভর্নর থাকার সময় তিনি ক্ষুদ্র ঋণ বা মাইক্রোক্রেডিট অধ্যায়ন করেছেন, প্রয়োগ করেছেন সেই প্রদেশের দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য। এ যে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার দর্শন তিনি গ্রহণ করেছেন এটা শুনে আমরা সবাই আপ্লুত বোধ করেছি। এটা একটা বিরল ব্যাপার। রোহিঙ্গা বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা তুলেছেন এবং চীন তার সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে এবং পরিষ্কার করে চীন বলেছে তারা তাদের সাধ্যমতো সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। এটা আমাদের জন্য একটা বড় পাওয়া ছিল।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে খলিলুর রহমান বলেন, বিমসটেক এর আলোচ্য সুতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গটি নেই। আমরা ফরমাল ডিস্কাসনে এটা আলোচনা করার সুযোগ দেখছি না। কিন্তু সাইডলাইনে অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে এটি আলোচনা করব। আসিয়ানের একটি রোল আছে। বিমসটেকের একটি সদস্য দেশ থাইল্যান্ড তারাও এ সংকটের সমাধান চাইছেন। আমাদের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বৈঠক কবে। সেই বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে এ বিষয়টি থাকবে।
এ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের আমন্ত্রণে গত ২৬ মার্চ (বুধবার) দুপুরে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশটি সফর করেন প্রধান উপদেষ্টা। শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টা ১০ মিনিটে তিনি দেশে ফিরেন৷
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পদ্মা সেতুতে ১২ ঘণ্টায় দুই কোটি টাকা টোল আদায়

এবারের ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতুতে গত ১২ ঘণ্টায় ১ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত ১২টা থেকে শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ টোল আদায় হয়।
এ সময় ওই সেতু দিয়ে ১৮ হাজার ১২৭টি যানবাহন পারাপার হয়। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ১২ হাজার ৯৫৩টি ও জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৫ হাজার ১৭৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। একই সময়ে ৩ হাজার ৮৬৬টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে। পদ্মা সেতুর সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে গত বছর ঈদের পর সর্বোচ্চ টোল আয়ের রেকর্ড হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ৪ কোটি ২৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় হয় এবং সেতু দিয়ে ৩৯ হাজার ৬৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৯ এপ্রিল এক দিনে টোল আদায় করা হয়েছিল ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা। সে বছর ১৪ জুন আদায় হয়েছিল ৪ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার ১০০ টাকা। ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ টোল আদায় করা হয়েছিল ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা।
পদ্মা সেতুর সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানান, শুক্রবার ভোর থেকে ঈদে ঘরমুখী মানুষের যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ছিল। এতে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় পঞ্চম সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। তবে গতকালের তুলনায় আজ শনিবার যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কম। টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায় শুক্রবার ভোর থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশপথ হিসেবে খ্যাত ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দূর পাল্লার যানবাহনের চাপ বাড়ে। তবে শনিবার ভোর থেকে ওই মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ কমে এসেছে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ওই মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়েও ছুটছে অনেকে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঈদে টানা ৮ দিন বন্ধ থাকবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম টানা ৮ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) থেকে শনিবার (৫ এপ্রিল) পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
তবে বন্ধের এ সময়ে স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টের যাত্রীরা স্বাভাবিক যাতায়াত করতে পারবেন।
উভয় দেশের আমাদানি-রফতানিকারক, সিএনএফ ও সংশ্লিষ্টদের যৌথ সিদ্ধান্তে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ছুটির একটি নথির মাধ্যমে জানা গেছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৯ মার্চ থেকে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ৬ এপ্রিল সকাল থেকে আবারও বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।
এদিকে বন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টের যাত্রীরা স্বাভাবিক যাতায়াত করতে পারবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার টোল আদায়

ঈদ উপলক্ষে শেষ মুহূর্তে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। যার প্রভাব পড়েছে মহাসড়কে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বেড়েছে। যমুনা সেতু ওপর দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা৷
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মহাসড়ক সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদযাত্রায় শনিবার (২৯ মার্চ) মহাসড়কে যানবাহনের চাপ আরও বেড়েছে। বিশেষ করে শুক্রবার (২৮ মার্চ) সরকারি ছুটি হওয়ায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার রাত থেকে যানবাহনের চাপ বেড়েছে বেশি। আজ দুপুরের পর থেকে যানবাহনের চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দিনগত রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ৩০ হাজার ৩৯৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫০ টাকা। অন্যদিকে, ঢাকাগামী ১৭ হাজার ৯৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় এক কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫০ টাকা।
বৃহস্পতিবারের চেয়ে শুক্রবার যমুনা সেতু দিয়ে ১৩ হাজার ১০৮টি যানবাহন বেশি পারাপার হয়েছে। এতে ৭৩ লাখ ১৫ হাজার ৪০০ টাকা বেশি টোল আদায় হয়েছে।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮টি বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এর মধ্যে দুইপাশেই দুটি করে বুথ দিয়ে আলাদাভাবে মোটরসাইকেল পারাপারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেতুর ওপর দিয়ে সার্বক্ষণিক যানবাহন চলছে। এখন পর্যন্ত টোল আদায় বন্ধ হয়নি।
কাফি