জাতীয়
ঈদে ফিরতি যাত্রায় ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হবে আজ

আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। এখন চলছে ঈদের পর ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি। যারা আগামী ৬ এপ্রিলের ফিরতি যাত্রার জন্য ট্রেনের টিকিট কিনতে চান, তাদের আজ টিকিট ক্রয় করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ৮টায় চতুর্থ দিনের মতো ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। অগ্রিম টিকিটের শতভাগই বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় বিক্রি হওয়ায় কোনো টিকিট রিফান্ড করার সুযোগ থাকছে না।
এদিকে আজ সকাল ৮টা থেকে পাওয়া যাবে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট। অন্যদিকে দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট।
এছাড়া ঈদের পর ফিরতি যাত্রায় ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ।
উল্লেখ্য, বিগত বছরগুলোতে ঈদযাত্রায় ৮ থেকে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাতো বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু এবার সেটি কমিয়ে ৫ জোড়া করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ২ নামে দুটি এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৩ ও ৪ নামে একজোড়া ট্রেন চালানো হবে, ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৫ ও ৬ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে এবং জয়দেবপুর- পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে পাবর্তীপুর ঈদ স্পেশাল ৯ ও ১০ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
গত ২০ বছরে ঈদযাত্রা এত স্বস্তির হয়নি: পরিবহন উপদেষ্টা

গত ২০ বছরে ঈদযাত্রা এত স্বস্তির হয়নি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ রোববার (৩০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ফাওজুল কবির খান বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবার স্বস্তির ঈদযাত্রা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এবার সরকার হিসেবে কাজ করেছি, কোনো দপ্তর হিসেবে নয়। সড়ক বিভাগ, বিআরটিএ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, পুলিশ সবাই একসঙ্গে কাজ করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে শ্রমিক এবং মালিক অসাধারণ একটা কাজ করেছে। আমরা বলেছি যে এটা আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া আমরা একা করতে পারবো না। তারা পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
এ সময় বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইয়াসিন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ, সড়ক-মহাসড়ক বিভাগ, মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ, আমরা (বিআরটিএ) সবাই মিলে এক হয়ে কাজ করেছি যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি টার্মিনালে ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছে। সেই সঙ্গে আমাদের ভিজিলেন্স টিমও আছে।
পরিবহন উপদেষ্টার গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়বেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন। আজ রোববার (৩০ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। এরপর বিকেল ৪টায় তিনি তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
এর আগে, শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি ও সময়সূচি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা দুজনেরই জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আশা করা যাচ্ছে। এ ছাড়া ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজে অংশ নিতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব গ্রহণের পর এবারই প্রথম তিনি ও তার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, এবার ঈদযাত্রায় কোনো টিকিট কালোবাজারি হয়নি এবং তাতে রেলওয়ের কোনো কর্মকর্তাও জড়ানোর সাহস পায়নি।
রোববার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে ঈদযাত্রার সময় প্রতি বছর ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। এতে রেলওয়ের লোকজনও জড়িয়ে পড়ে। এবার সেটা কঠোরভাবে নজরদারি করা হয়েছে। রেলের কেউ এসবে (টিকিট কালোবাজারি) জড়াতে পারেনি। ফলে যাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হয়নি।
ঘরমুখো মানুষ সড়কপথের মতো ট্রেনযাত্রায়ও স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পথে পথে চাঁদাবাজি চলতো, গাড়ি থামানো হতো। সেটা কিন্তু এবার নেই। কেউ এটা করার সুযোগ ও সাহস পায়নি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে। তারা নির্দেশনা মোতাবেক ভালো কাজ করছেন। সবমিলিয়ে ঈদযাত্রায় আমরা ইতিবাচক ফলাফল পাচ্ছি।
স্টেশনে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন, তারা কী জানালেন- এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সবাই খুশি। অন্যবারের চেয়ে এবার তারা সুন্দরভাবে যেতে পারছে। ভোগান্তি একেবারে কম। কোথাও বাড়তি টাকা-পয়সা চাওয়া হচ্ছে না। এগুলো যাত্রীরা জানালেন। তারা ভালোভাবে গেলেই আমাদের কষ্ট স্বার্থক হবে।
এসময় রেলের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেনসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পেলেন ২৪ বন্দি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে ২৪ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৪ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২২ জন বন্দিকে ৫৭৯ ধারায় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী মুক্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া আরও দুইজনকে ভালো কাজের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, মুক্তি পাওয়া ২৪ বন্দি এরই মধ্যে কারাগার ত্যাগ করেছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে ঈদ কবে, জানা যাবে সন্ধ্যায়

দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর সোমবার নাকি মঙ্গলবার উদযাপিত হবে তা জানা যাবে আজ সন্ধ্যায়। ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় সভায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (বাদ মাগরিব) এ সভা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। একমাস রমজানের রোজা শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।
এদিকে চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা প্রবল বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
সন্ধ্যায় দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর বাংলাদেশের কোথাও চাঁদ দেখা না গেলে মঙ্গলবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ উদযাপিত হবে মঙ্গলবার (১ এপ্রিল)।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।