জাতীয়
স্বাধীনতা দিবসে ৬ জাহাজ উন্মুক্ত করলো কোস্টগার্ড

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে জনসাধারণের জন্য ছয়টি জাহাজ উন্মুক্ত করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। বুধবার (২৬ মার্চ) বিকেলে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। প্রতিবছর এ দিনটি বাঙালি জাতি বিশেষভাবে পালন করে থাকে। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ২৬ মার্চ দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ‘বিসিজিএস শেট গাং’ (মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাট, ঢাকা), ‘বিসিজিএস সৈয়দ নজরুল’ (১৫ নং ঘাট, পতেঙ্গা), ‘বিসিজিএস শ্যামল বাংলা’ (বিসিজি বেইস চট্টগ্রাম, ইছা নগর), ‘বিসিজিএস কামরুজ্জামান (দিগরাজ, মোংলা), ‘বিসিজিএস তৌহিদ’ (রুপসা, খুলনা) এবং ‘বিসিজিএস অপরাজেয় বাংলা’ (পায়রা পোর্ট, পটুয়াখালী) জাহাজগুলো সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখে।
স্বাধীনতা-দিবস, কোস্টগার্ড, মুক্তিযুদ্ধ, নৌবাহিনীস্বাধীনতা দিবসে ছয় জাহাজ উন্মুক্ত করলো কোস্টগার্ড
তিনি আরও বলেন, দুপুর ১২টা থেকে জাহাজ পরিদর্শন করতে ওই এলাকা এবং আশপাশের এলাকার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী-পুরুষ আগমন করেন। এতে সাধারণ মানুষের কোস্টগার্ডের জাহাজ এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়।
এছাড়াও জাহাজগুলো সম্পর্কে মানুষের কৌতূহল এবং বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন দ্বায়িত্বশীল কর্মকর্তা এবং নাবিকরা। জাহাজের গভীর সমুদ্রে গমন ও উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলে টহল, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কর্মকাণ্ড, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যুতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা এবং যুদ্ধকৌশল সম্পর্কে জানতে পেরে জনসাধারণের মাঝে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সম্পর্কে ইতিবাচক দিক প্রকাশ পায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
বিপুল বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি নিয়ে দেশে ফিরলেন ড. ইউনূস

চার দিনের ঐতিহাসিক চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টা ১০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
চীনে চার দিনের আনুষ্ঠানিক সফর শেষে গতকাল বিকাল ৪টা ৫৭ মিনিটে দেশের উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের চিফ প্রোটোকল অফিসার হং লেই বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে বিদায় জানান।
চীন থেকে পেয়েছেন বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ঋণ-অনুদান প্রাপ্তি, চিকিৎসা সহযোগিতা, যোগাযোগব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়ন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, বাণিজ্যে ভারসাম্য আনাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস। সফরকালীন চীন সরকার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ, অনুদান ও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক সফরে চীন সরকারের পক্ষ থেকে উষ্ণ আতিথেয়তা পেয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল সকালে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সেখানে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বিশ্বকে বদলে দিতে বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখতে হবে। একটি বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু শেখার জায়গা নয়, এটি স্বপ্ন দেখারও জায়গা। আপনি যদি স্বপ্ন দেখেন, তবে তা ঘটবেই। আপনি যদি স্বপ্ন না দেখেন, তবে তা কখনো ঘটবে না। এখন পর্যন্ত যা কিছু ঘটেছে, কেউ না কেউ আগে তা কল্পনা করেছিল। অসম্ভব মনে হলেও শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে অদ্ভুত এবং অকল্পনীয় বিষয়ে স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করেন ড. ইউনূস। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক অধ্যাপক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টিকে নিজের ঘর মনে করেন বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। গত ২৬ মার্চ চীনে পৌঁছান ড. ইউনূস।
২৭ মার্চ চীনের হাইনান প্রদেশে আয়োজিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনের ফাঁকে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন। ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। চীনা প্রেসিডেন্ট ড. ইউনূসের সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের জন্য চীনা বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবেন বলে জানিয়েছেন। ড. ইউনূস টেকসই অবকাঠামো ও জ্বালানি বিনিয়োগ, বাংলাদেশ ২.০ উৎপাদন ও বাজার সুযোগ এবং সামাজিক ব্যবসা, যুব উদ্যোক্তা এবং তিন শূন্যের বিশ্ব- এসব বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তিনটি বৈঠকেও যোগ দেন। দেশটির শতাধিক শীর্ষ উদ্যোক্তা ও সিইওদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেন।
ইউনূসের এ সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ চীন সরকার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ, অনুদান ও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। জলবিদ্যুৎ, বন্যা মোকাবিলা ও দুর্যোগ হ্রাস, নদী খনন এবং পানিসম্পদ উন্নয়নের মতো বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারে ‘একমত হয়েছে’ দুই দেশ। চীন সফর প্রসঙ্গে চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, চীনকে ভালো বন্ধু হিসেবে দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ ও চীনের বিগত ৫০ বছরের সম্পর্ক চমৎকার ছিল, আগামী ৫০ বছর আরও সুদৃঢ় হবে। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে। তিনি বলেন, চীন যা অর্জন করেছে তাতে বাংলাদেশের সবাই অনুপ্রাণিত। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হলো একটি নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠন করা এবং জনগণ আশা করে, তারা নিজ দেশের উন্নয়নে চীনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে পারবে। চীন টানা ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১ হাজার চীনা প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এতে সাড়ে ৫ লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। আরও চীনা বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে আসবেন এবং স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে একটি বৃহত্তর বাজার উন্মুক্ত করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এদিকে বাংলাদেশিদের জন্য চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তিতে নতুন দ্বার উন্মুক্ত হতে চলেছে চীনে।
চীন ইতোমধ্যে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য কুনমিংয়ের চারটি হাসপাতাল নির্ধারণ করেছে। চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল ইসলাম জানান, ‘কুনমিংয়ের হাসপাতালগুলোর নির্দিষ্ট ফ্লোর শুধু বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। চিকিৎসা খরচও তুলনামূলক কম।’ তবে চীন ভ্রমণের ক্ষেত্রে উচ্চ বিমান ভাড়াকে একটি বড় বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ সংকট কাটাতে চট্টগ্রাম থেকে কুনমিং রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন, গতকাল এয়ারলাইনসের কর্মকর্তারা চীন সফররত বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম ও কুনমিংয়ের মধ্যে পরিকল্পিত ফ্লাইট পরিচালিত হলে ভ্রমণ খরচ ও সময় উভয়ই কমে আসবে। এছাড়া কুনমিং ভ্রমণ সহজ করতে ঢাকা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ঢাকা-কুনমিং ফ্লাইটের বিমান ভাড়াও কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও বেশি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশিদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চট্টগ্রাম-কুনমিং রুটে ফ্লাইট চালুর ঘোষণা

বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে চীনের উনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার ঘোষণা দিয়েছে চীন। একইসঙ্গে বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য কুনমিংয়ের চারটি হাসপাতালকে ‘ডেডিকেটেড’ ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, কুনমিংয়ে বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য ডেডিকেট করা চারটি হাসপাতালে ফি কম। এসব হাসপাতালে স্থানীয়রা যে ফি পরিশোধ করেন, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া রোগীরাও একই ফি পরিশোধ করে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।
কুনমিং রুটে ফ্লাইট ভাড়া বেশি হওয়ায় চট্টগ্রাম থেকে কম খরচে ফ্লাইট সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ঢাকা-কুনমিং রুটেও বিমান ভাড়া কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশিদের জন্য আরো বেশি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান উন্মুক্ত করবে। কুনমিংয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এপ্রিলে বাংলাদেশ থেকে সাংবাদিকদের বড় একটি দলকে পাঠানো হবে। গত মাসে প্রায় অর্ধশত বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য প্রথমবারের মতো কুনমিং ভ্রমণ করেছেন। তারা সেখানকার হাসপাতালের মানের প্রশংসা করেছেন। তবে, যাতায়াত খরচ বেশি বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই।
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে কুনমিং রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স। কুনমিং ও চট্টগ্রামের মধ্যে পরিকল্পিত ফ্লাইট ভ্রমণ ব্যয় এবং ভ্রমণের সময় কমিয়ে আনবে, যা চীনে আরো বেশি বাংলাদেশির জন্য স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার পথ প্রশস্ত করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আজ শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে জাতীয় ঈদগাহের হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক শাহজাহান মিয়া।
ডিএসসিসির প্রশাসক বলেন, এবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস নেই। এরপরও কোনো কারণে আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহের পরিবর্তে সকাল নয়টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন, সে জন্য ঈদের জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সব প্রতিকূল পরিস্থিতি মাথায় রেখেই প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক। তিনি আরও বলেন, গত বছরের মতো এবারও আধুনিক ও সুসংগঠিত ব্যবস্থাপনায় ঈদের জামাতের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এবার জাতীয় ঈদগাহে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটির এই প্রশাসক। তিনি বলেন, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। মুসল্লিদের জন্য অজু করার জায়গা, শৌচাগার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ডিএসসিসির প্রশাসক জানান, জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করার জন্য আরামদায়ক কার্পেট বিছানো হয়েছে। তাই কাউকে জায়নামাজ সঙ্গে আনতে হবে না। নারীদের নামাজ আদায়ের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তার জন্য দুটি মেডিকেল টিম থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রোববার সন্ধ্যায় বসছে চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক

পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা ও ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে আগামীকাল রোববার বৈঠকে বসছেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। শনিবার (২৯ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে (বাদ মাগরিব) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
ওইদিন দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্ধারিত টেলিফোন বা ফ্যাক্স নম্বরে তথ্য জানানোর অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ অথবা ০২-৪১০৫০৯১৭) কিংবা ফ্যাক্স নম্বরে (০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ বা ০২-৯৫৫৫৯৫১)। এছাড়া, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও অবহিত করা যাবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশেও মিয়ানমারের মতো ভূমিকম্পের শঙ্কা

মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে যে দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশে সতর্কতা ও প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাহিনীটি।
শনিবার (৩ মার্চ) ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৮ মার্চ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে পর পর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প দুটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭ ও ৬.৪।
ফলে দেশ দুটি বেশ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এমতাবস্থায় ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য সব পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির নিমিত্ত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান করছে:
ফায়ার সর্ভিসের দেওয়া নির্দেশনাগুলো হলো: (১) বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ করা; (২) ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা; (৩) সকল বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা; (৪) ইউটিলিটি সার্ভিসসমূহ যথা গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সঠিকতা নিশ্চিত করা; (৫) ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা করা; (৬) জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসাপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নম্বরসমূহ ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সকল ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ করা এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখা; (৭) ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালীন সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা; (৮) জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি যেমন- টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট/কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি বাসা-বাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা যাতে ভূমিকম্প পরবর্তীতে আটকা পরলে তা ব্যবহার করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা যায় এবং (৯) সকল পর্যায়ে তদারকি সংস্থার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা।
এ ছাড়া যেকোনো তথ্যের জরুরি প্রয়োজনে ০১৭২২৮৫৬৮৬৭ মোবাইল নম্বর ও ১০২ হটলাইন নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে মিয়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস।