ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
স্বাধীনতা দিবস নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা

একাত্তর কিংবা চব্বিশ, লড়াইয়ের নেপথ্য কারণ বৈষম্য। বৈষম্যের মাত্রা যখনই চরমে উঠেছে বাঙালি তার চিরাচরিত সংগ্রামী রুপ ধারণ করেছে। রুপকথার নয় বাস্তবে মানচিত্র রক্ষা করার প্রতিশ্রুতিতে বুক পেতে ছিল উদ্যমী এক তরুণ শহীদ আবু সাইদ। জানতো না তার বুক বাংলাদেশের জন্য ঢাল হয়ে রক্ষাকবচ হবে, শুরু হবে নতুন ইতিহাস। পানি দিয়ে স্বাধীনতাকে বেগবান করেছে শহিদ মীর মুগ্ধ। শহিদ নাফিজের রিকশায় লাশের দৃশ্য মনে করিয়ে দেয় সেই ‘৭১ এর দৃশ্যপট এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয় বাংলার আপামর সাধারণ জনতা মাঝে। স্বাধীনতার জন্য কিভাবে জীবন বাজি রেখেছিল আমাদের পূর্বপুরুষেরা তা হয়তো পুনরাবৃত্তি ঘটেছে ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে। আমাদের দেহে এখনো পূর্বপুরুষদের রক্ত বহমান আছে তা প্রমাণ করেছে ‘২৪ শের স্বাধীনতা। স্বাধীন বাংলায় তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা যেন এক অনন্য উদাহরণ পৃথিবীর ইতিহাসে। স্বাধীনতা দিবসে ও জাতীয় দিবসে তরুণদের ভাবনা, প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মো. সাকিব আসলাম।
বিচারহীনতার সংস্কৃতির থেকে মুক্তিই হলো স্বাধীনতা
অর্ণব হাসান, লোকপ্রশাসন বিভাগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
স্বাধীনতা শুধু একটি ভূখণ্ডের স্বাধীনতা নয়, এটি মানুষের অধিকার, ন্যায়বিচার ও সম্মানের স্বাধীনতা। বিচারহীনতার সংস্কৃতি একটি রাষ্ট্রের ন্যায়বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, সমাজে ভীতি ও অস্থিরতার জন্ম দেয়। যেখানে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হয় না, সেখানে নিরপরাধীর নিরাপত্তাও থাকে না। এ অবস্থা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে অবস্থান করে। জ্যঁ-জাক রুশো বলেছেন, ‘Freedom is the power to choose our own chains.’ কিন্তু বিচারহীনতার সংস্কৃতি সেই শৃঙ্খল আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়। প্রকৃত স্বাধীনতা তখনই অর্জিত হয়, যখন রাষ্ট্র বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা তৈরি করতে পারে এবং সকলের জন্য সমান ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়। আমাদের স্বাধীনতার প্রকৃত মূল্যায়ন হবে তখনই, যখন আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পেয়ে একটি সুবিচারভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে পারব।
চেতনার প্রতীক ২৬শে মার্চ
জান্নাতি জাহান, সমাজ কল্যাণ বিভাগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
২৬ শে মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবের প্রতীক। যা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় বাঙালি অন্যায়, অবিচার, বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা আপোসহীন। স্বাধীনতা দিবস এলেই আমাদের মনে পড়ে সেই সব বীর শহীদদের কথা, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন ভূখণ্ড, বাঙালি হিসাবে আলাদা পরিচয়। এই জাতীয় দিবসগুলো আমাদের শুধু অতীতের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় না আদর্শ সমৃদ্ধ দেশ গড়ার দায়িত্ব ও কর্তব্য মনে করিয়ে দেয়। নতুন বাংলাদেশে আমার প্রত্যাশা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে, স্বাধীনতার চেতনা লালন করে, আদর্শ দেশপ্রেমী হয়ে দেশের সমৃদ্ধি, উন্নয়ন, কল্যাণের জন্য কাজ করা। ব্যক্তির স্বার্থকে বড় করে না দেখে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া। দেশকে ভালোবেসে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করা। দেশে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করা। বাংলাদেশকে বিশ্বমানের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করা। স্বাধীনতা দিবসে ১৯৫২ থেকে ২০২৪ এর সকল বীর শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি আদর্শ, সুন্দর, সকলের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ কামনা করি।
স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা, দায়িত্ববোধ ও ঐক্যবদ্ধতা
ইব্রাহীম খলিল, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
বাংলাদেশের আত্মপরিচয়ের সশস্ত্র যুদ্ধের শুরু ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে। ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমাদের গৌরবময় অর্জন। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে এর সুরক্ষা আরও বেশি কঠিন। স্বাধীনতা রক্ষায় প্রয়োজন জনগণের সচেতনতা, দায়িত্ববোধ ও একতা। সচেতন জনগণ নিজেদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সজাগ থাকে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। দায়িত্বশীল নাগরিক সমাজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য নিবেদিত থাকে, যা স্বাধীনতার স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। সর্বোপরি, জাতির মধ্যে ঐক্য থাকলে স্বাধীনতা কখনো বিপন্ন হয় না। আমরা প্রত্যাশা করি বাংলাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো বিভেদ, হানাহানি ও স্বার্থপরতার রাজনীতি না করে সচেতনতা, দায়িত্ববোধ ও ঐক্যবদ্ধতার রাজনীতি করবে। কারণ বিভেদ, হানাহানি ও স্বার্থপরতা স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই ২৬ মার্চ শুধু স্বাধীনতা অর্জনের সশস্ত্র যুদ্ধের শুরুর নয়, বরং এ দিনটি আমাদের সচেতনতা, দায়িত্ববোধ ও একতার শপথ নেওয়ার দিনও বটে।
নিরাপত্তাহীনতা: নতুন বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ
মোসাদ্দেক হোসেন, আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের ডাক পড়ে ৩৬ জুলাই। বাংলাদেশের মানুষের মাথার উপর থেকে কষ্টের ভার পতিত হয় ভারতে গিয়ে আশ্রয় মাধ্যমে। এরপর থেকে আমজনতা স্বস্থিতে নিঃশ্বাস নেয়ার চেষ্টা করলেও আজ পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়নি। নিরাপত্তাহীনতা সে স্বস্থিটুকু কেড়ে নিয়েছে। একটি মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে বের হয়ে কাজে যাচ্ছে, এরপর ঘরে ফিরতে পারবে কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। খুন, ছিনতাই, ধর্ষণ, সহিংসতার দৌরাত্ম্য যেনো কঠিন বেগে চলছে। অপরাধারীরা দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে। আর মূল অপরাধীরা যেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো পরিপূর্ণভাবে মানুষের সেবার কাতারে দাঁড়াতে পারে নি। পত্রিকার কাগজ উল্টালেই প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে শিশু ধর্ষণ, সন্তানের সামনে বাবার খুন, মা তার ছেলের লাশ খুঁজে বেড়াচ্ছেন , ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণবিনাশ। সরকার মিডিয়ার সামনে কঠিন হাতে সন্ত্রাস, ধর্ষণ দমন করতে চাইলেও সম্ভব হচ্ছে না। এ সম্ভব না হওয়ার মূল কারণ হলো অপরাধীদের পিছনে রাজনৈতিক রাঘববোয়ালদের হাত।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি অপরাধীকে শাস্তির জন্য গ্রেফতারও করে কিন্তু নেতার চাপে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এরপর সে অপরাধী আরো কঠিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। আমরা ২৪ এর অন্দোলন পরবর্তী সময়ে এরকম বাংলাদেশ কল্পনা করিনি। ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে নেতাদের আশ্রয়ে অপরাধীরা বেঁচে যেত। মানুষ পাল্টিয়েছে, ক্ষমতার হাত বদলিয়েছে কিন্তু এদের চরিত্রগুলো ফাসিস্ট এর শূণ্যস্থান পূরন করেছে। স্বাধীনতার ৫৫ বছর পর আর এসব হুমকির মধ্যে থাকতে চাই না। রাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা চাই। এখনই মোক্ষম সময় অপরাধীদের দ্রুত বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হোক জনতার সেবক, কোনো রাজনৈতিক দলের পাঠার বলি না হোক। জনগণের প্রতি তাদের জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যেন নিরাপত্তার সাথে চলতে পারে, নিরাপত্তার সাথে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে এটাই নতুন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের চাওয়া। নিরাপত্তার চাদরে আবৃত্ত থাকুক সকল সাধারণ নাগরিক জনতা।
আমার স্বপ্নের বাংলাদেশ হবে সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ
জাবিন তাসমিন,সমাজ কল্যাণ বিভাগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
আমার চোখে বাংলাদেশ হবে একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, ও সমৃদ্ধ দেশ। যেখানে সবাই ন্যায্য অধিকার উপভোগ করবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও মৌলিক চাহিদা সবার জন্যে সহজলভ্য হবে। কেউ টাকা আর অসহায়ত্বের কারণে বিনা চিকিৎসায় মরবে না। দুর্নীতি আর বৈষম্যের জায়গা থাকবে না, সব শ্রেণীর মানুষের জন্য সমান সুযোগ থাকবে। কর্মসংস্থানের অভাব থাকবে না। কৃষি, প্রযুক্তি ও শিল্পের সমন্বয়ের দেশে এগিয়ে যাবে। নারী-পুরুষ সমানভাবে সমাজে অবদান রাখবে। আমি এমন এক বাংলাদেশ চাই যেখানে, কৃষক তার ন্যায্য দাম পাবে এবং শ্রমিক তার পরিশ্রমের সঠিক মূল্য পাবে। আইন শৃঙ্খলা মজবুত হবে। নারী ও শিশুরা চলবে নির্ভয়ে অপরাধীরা শাস্তি পাবে সৎ মানুষেরা মাথা উঁচু করে বাঁচবে। সবার জন্য নিরাপদ সমাজ করে উঠবে।
আমি এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, যেখানে সাফল্য মানে শুধু নিজের উন্নতি নয় সমাজে সবার উন্নতি। সমাজে কেউ অসহায় ও অবহেলিত থাকবে না। কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না, সবার বাসস্থান নিশ্চিত হবে; শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা হবে সবার অধিকার। গ্রামের শিশুরাও পাবে উন্নতমানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা। তরুণরা নতুন নতুন আবিষ্কার করবে। আমি এমন একটা দেশ চাই, যেখানে দেশের সম্পদ কেবল কিছু মানুষের হাতে সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং সবার কল্যাণে কাজে লাগবে, মানুষ মানুষকে ভালোবাসবে ধর্ম-বর্ণ -শ্রেণী ভেদাভেদ ভুলে। চব্বিশের সূচনায় এক নতুন ধারায় বাংলাদেশ দেখার স্বপ্ন যেন বাস্তবায়ন হয় সেই প্রত্যাশা থাকবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
কর্মচারীদের মাঝে ইবি ছাত্রশিবিরের ঈদ উপহার প্রদান

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীদের মাঝে ঈদ সামগ্রী উপহার প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইবি শাখা। গত বুধবার (২৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলে বিকাল ৪টায় এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এতে প্রায় ১২০ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীর মাঝে ঈদ সামগ্রী উপহার প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইবি শিবির সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসান বলেন, পবিত্র রমজান মাস শেষে একরাশ আনন্দ আর খুশির বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয়েছে ঈদ-উল-ফিতর। দীর্ঘ এক মাস আত্মসংযম, ত্যাগ ও ইবাদতের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করেছি। ঈদ সেই সিয়াম সাধনার পরিসমাপ্তি এবং আনন্দের দিন। ঈদ মানেই উৎসব, ঈদ মানেই মিলনের বার্তা। এই দিনে ধনী-গরিব, ছোট-বড় সকলের ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে শামিল হই, একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করি। আমাদের চারপাশে অনেক সুবিধাবঞ্চিত, অসহায় ও দুস্থ মানুষ রয়েছেন, যারা হয়তো ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত। এই দিনে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। ঈদ শুধু ব্যক্তিগত উৎসব নয়; বরং এটি সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের প্রতীক।
তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কর্মচারীরা, যারা প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের জন্য নিরলস পরিশ্রম করেন- তাদের জন্য এই আয়োজন। সবার মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে ঈদের আনন্দকে আরও অর্থবহ করে তুলতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা। ছাত্রশিবির প্রতিবছরই বিভিন্ন স্তরের জনসাধারণের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো সবার মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা। আসুন, আমরা সবাই মিলেমিশে ঈদ আনন্দে মেতে উঠি এবং একই সাথে সমাজের অবহেলিত মানুষগুলোর প্রতি আমাদের সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিই।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকিং ইসলামের মৌলিক আকিদার সাথে সম্পর্কিত: ঢাবি ভাইস চ্যান্সেলর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ইসলামী ব্যাংকিং ইসলামের মৌলিক আকিদার সাথে সম্পর্কিত। ইসলামী ব্যাংকব্যবস্থাকে সমাজে ছড়িয়ে দিতে হলে মানবসেবার ব্রত নিয়ে কাজ করতে হবে।
রবিবার (২৩ মার্চ) ইসলামিক ব্যাংকস কনসালটেটিভ ফোরামের (আইবিসিএফ) উদ্যোগে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং-এ শরীয়াহ গভর্নেন্স: প্রয়োগ ও বাস্তবতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাবি ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে গবেষণার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এই খাতের উন্নয়নে তাত্তি¡ক ও বাস্তবিক জ্ঞানের সম্মিলন প্রয়োজন। ইসলামী ব্যাংকিং বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাক্ষরতার জন্য জ্ঞানভিত্তিক বড় প্রচারণা দরকার। এই প্রচারণায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ব্যাংকিং প্রফেশনালদের সাথে থাকতে চায়। আইবিসিএফ এর উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ে ইসলমী ব্যাংকখাতের অংশীজনদের যে সমাবেশ ঘটেছে তা জাতির বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে অব্যাহত রাখতে হবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইবিসিএফ ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স-এর সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভাইস চ্যান্সেলর ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হাসিনা শেখ। সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইবিসিএফর টাস্ক কমিটির চেয়ারম্যান ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও আইবিসিএফর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন, আল-আরাফাহ
ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও আইবিসিএফ-এর ভাইস চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ার, ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও আইবিসিএফ-এর অ্যাডভাইজার মু. ফরীদ উদ্দিন আহমদ এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির চেয়ারম্যান ও আইবিসিএফ এর মেম্বার ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।
মোহাম্মদ আবদুল মান্নান সভাপতির ভাষণে বলেন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, আমানত সংগ্রহ, বিনিয়োগ বিকেন্দ্রীকরণ, কল্যাণধর্মী প্রোডাক্ট উদ্ভাবন, বৈদেশিক বাণিজ্য ও
রেমিট্যান্স সেবার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকিং দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জনকল্যাণ ও জীবনমানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ১০টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ৭০০টি শাখা, প্রচলিত ১৬টি ব্যাংকের ৩৪টি শাখা এবং ১৯টি ব্যাংকের ৮২৫টি উইন্ডোর মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে যা দেশের সার্বিক ব্যাংকিং খাতের প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে ইসলামী ব্যাংকিং বিষয়ে স্বতন্ত্র একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠার ফলে দীর্ঘদিনের অভাব পূরণ হয়েছে। দেশের ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য স্বতন্ত্র ব্যাংকিং আইন দীর্ঘদিনের দাবী, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যে খসড়া আইন হিসেবে প্রণয়ন করে স্টেকহোল্ডারদের মতামতের জন্য প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, আইবিসিএফ-এর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এই আইন দেশে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকখাতে সরাসরি ৫৩ হাজার ব্যাংকার ইসলামী অর্থায়ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবল যোগান দিতে তিনি শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামী ব্যাংকিং বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার তাগিদ দেন। এছাড়া শরীয়াহ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য ব্যাংকার, গ্রাহক, শিক্ষাবিদদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আইবিসিএফ-এর অ্যাডভাইজার একেএম নূরুল ফজল বুলবুলের সঞ্চালনায় সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আইবিসিএফর সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ আব্দুজ জাহের। এ সময় বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উদ্যোক্তা, সিনিয়র ব্যাংকার, শিক্ষাবিদ, শরীয়াহ বিশেষজ্ঞসহ এই খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে যথাযথ মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আনন্দ শোভাযাত্রা, বেলুন উড়ানো, শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনসহ যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী। এ সময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে পতাকা উত্তোলন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর উপাচার্যের ডিনবৃন্দসহ সব অনুষদ, হল, বিভাগ, সব পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ ও ফোরাম, বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন এবং সাংবাদিক সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে এক শোভাযাত্রা বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্মৃতিসৌধে সমবেত হয়। এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য, উপ উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ।
এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ, আবাসিক হল, বিভাগ, ছাত্রসংগঠন এবং সাংবাদিক সংগঠন পর্যায়ক্রমে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরবর্তীতে শহীদ জিয়াউর রহমান কর্তৃক স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এসময় পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের রুহের মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে বাদ জোহর কেন্দ্রীয় মসজিদ, আবাসিক এলাকার মসজিদ এবং হল মসজিদসমূহে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতীকী ব্লাক আউট করা হয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র শ্রদ্ধা নিবেদন

স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কর্মরত সাংবাদিক সংগঠন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) রিপোর্টার্স ইউনিটি।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এ সময় শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনে অংশ নেন সংগঠনটির আহ্বায়ক ফারহানা নওশীন তিতলী, সদস্য সচিব মো. সাকিব আসলাম, সদস্য শাহরিয়ার কবির রিমন সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির আহ্বায়ক ফারহানা নওশীন তিতলি বলেন, মহান স্বাধীনতার দিবসে যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে এই ভূখন্ড আমাদের উপহার দিয়েছেন তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাদের এই আত্মত্যাগ প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রেরণিত করবে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা আমরা প্রস্তুত।
এর আগে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, শাখা ছাত্রদল, বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ, ফোরাম, অনুষদ, হল, বিভাগ, ছাত্র সংগঠন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি ইবি ছাত্রদলের শ্রদ্ধা নিবেদন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইবি শাখা।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধে ও শহীদ জিয়াউর রহমান কর্তৃক স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে শহীদদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানান তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, আহসান, রাফিজসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ, ফোরাম, অনুষদ, হল, বিভাগ, ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ জানান, ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ভিত্তি প্রস্তর সহ স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি পুষ্প মাল্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি ভিসি স্যার, প্রোভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, জিয়া পরিষদ, ইউট্যাব, গ্রীন ফোরামসহ সাংবাদিক বৃন্দ, শিক্ষার্থী, সামাজিক এবং ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে।
উল্লেখ্য, পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহিদদের স্মরণে ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম