ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
স্বাধীনতা দিবস নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা

একাত্তর কিংবা চব্বিশ, লড়াইয়ের নেপথ্য কারণ বৈষম্য। বৈষম্যের মাত্রা যখনই চরমে উঠেছে বাঙালি তার চিরাচরিত সংগ্রামী রুপ ধারণ করেছে। রুপকথার নয় বাস্তবে মানচিত্র রক্ষা করার প্রতিশ্রুতিতে বুক পেতে ছিল উদ্যমী এক তরুণ শহীদ আবু সাইদ। জানতো না তার বুক বাংলাদেশের জন্য ঢাল হয়ে রক্ষাকবচ হবে, শুরু হবে নতুন ইতিহাস। পানি দিয়ে স্বাধীনতাকে বেগবান করেছে শহিদ মীর মুগ্ধ। শহিদ নাফিজের রিকশায় লাশের দৃশ্য মনে করিয়ে দেয় সেই ‘৭১ এর দৃশ্যপট এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয় বাংলার আপামর সাধারণ জনতা মাঝে। স্বাধীনতার জন্য কিভাবে জীবন বাজি রেখেছিল আমাদের পূর্বপুরুষেরা তা হয়তো পুনরাবৃত্তি ঘটেছে ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে। আমাদের দেহে এখনো পূর্বপুরুষদের রক্ত বহমান আছে তা প্রমাণ করেছে ‘২৪ শের স্বাধীনতা। স্বাধীন বাংলায় তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা যেন এক অনন্য উদাহরণ পৃথিবীর ইতিহাসে। স্বাধীনতা দিবসে ও জাতীয় দিবসে তরুণদের ভাবনা, প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মো. সাকিব আসলাম।
বিচারহীনতার সংস্কৃতির থেকে মুক্তিই হলো স্বাধীনতা
অর্ণব হাসান, লোকপ্রশাসন বিভাগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
স্বাধীনতা শুধু একটি ভূখণ্ডের স্বাধীনতা নয়, এটি মানুষের অধিকার, ন্যায়বিচার ও সম্মানের স্বাধীনতা। বিচারহীনতার সংস্কৃতি একটি রাষ্ট্রের ন্যায়বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, সমাজে ভীতি ও অস্থিরতার জন্ম দেয়। যেখানে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হয় না, সেখানে নিরপরাধীর নিরাপত্তাও থাকে না। এ অবস্থা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে অবস্থান করে। জ্যঁ-জাক রুশো বলেছেন, ‘Freedom is the power to choose our own chains.’ কিন্তু বিচারহীনতার সংস্কৃতি সেই শৃঙ্খল আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়। প্রকৃত স্বাধীনতা তখনই অর্জিত হয়, যখন রাষ্ট্র বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা তৈরি করতে পারে এবং সকলের জন্য সমান ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়। আমাদের স্বাধীনতার প্রকৃত মূল্যায়ন হবে তখনই, যখন আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পেয়ে একটি সুবিচারভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে পারব।
চেতনার প্রতীক ২৬শে মার্চ
জান্নাতি জাহান, সমাজ কল্যাণ বিভাগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
২৬ শে মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবের প্রতীক। যা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় বাঙালি অন্যায়, অবিচার, বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা আপোসহীন। স্বাধীনতা দিবস এলেই আমাদের মনে পড়ে সেই সব বীর শহীদদের কথা, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন ভূখণ্ড, বাঙালি হিসাবে আলাদা পরিচয়। এই জাতীয় দিবসগুলো আমাদের শুধু অতীতের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় না আদর্শ সমৃদ্ধ দেশ গড়ার দায়িত্ব ও কর্তব্য মনে করিয়ে দেয়। নতুন বাংলাদেশে আমার প্রত্যাশা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে, স্বাধীনতার চেতনা লালন করে, আদর্শ দেশপ্রেমী হয়ে দেশের সমৃদ্ধি, উন্নয়ন, কল্যাণের জন্য কাজ করা। ব্যক্তির স্বার্থকে বড় করে না দেখে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া। দেশকে ভালোবেসে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করা। দেশে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করা। বাংলাদেশকে বিশ্বমানের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করা। স্বাধীনতা দিবসে ১৯৫২ থেকে ২০২৪ এর সকল বীর শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি আদর্শ, সুন্দর, সকলের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ কামনা করি।
স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা, দায়িত্ববোধ ও ঐক্যবদ্ধতা
ইব্রাহীম খলিল, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
বাংলাদেশের আত্মপরিচয়ের সশস্ত্র যুদ্ধের শুরু ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে। ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমাদের গৌরবময় অর্জন। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে এর সুরক্ষা আরও বেশি কঠিন। স্বাধীনতা রক্ষায় প্রয়োজন জনগণের সচেতনতা, দায়িত্ববোধ ও একতা। সচেতন জনগণ নিজেদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সজাগ থাকে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। দায়িত্বশীল নাগরিক সমাজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য নিবেদিত থাকে, যা স্বাধীনতার স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। সর্বোপরি, জাতির মধ্যে ঐক্য থাকলে স্বাধীনতা কখনো বিপন্ন হয় না। আমরা প্রত্যাশা করি বাংলাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো বিভেদ, হানাহানি ও স্বার্থপরতার রাজনীতি না করে সচেতনতা, দায়িত্ববোধ ও ঐক্যবদ্ধতার রাজনীতি করবে। কারণ বিভেদ, হানাহানি ও স্বার্থপরতা স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই ২৬ মার্চ শুধু স্বাধীনতা অর্জনের সশস্ত্র যুদ্ধের শুরুর নয়, বরং এ দিনটি আমাদের সচেতনতা, দায়িত্ববোধ ও একতার শপথ নেওয়ার দিনও বটে।
নিরাপত্তাহীনতা: নতুন বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ
মোসাদ্দেক হোসেন, আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের ডাক পড়ে ৩৬ জুলাই। বাংলাদেশের মানুষের মাথার উপর থেকে কষ্টের ভার পতিত হয় ভারতে গিয়ে আশ্রয় মাধ্যমে। এরপর থেকে আমজনতা স্বস্থিতে নিঃশ্বাস নেয়ার চেষ্টা করলেও আজ পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়নি। নিরাপত্তাহীনতা সে স্বস্থিটুকু কেড়ে নিয়েছে। একটি মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে বের হয়ে কাজে যাচ্ছে, এরপর ঘরে ফিরতে পারবে কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। খুন, ছিনতাই, ধর্ষণ, সহিংসতার দৌরাত্ম্য যেনো কঠিন বেগে চলছে। অপরাধারীরা দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে। আর মূল অপরাধীরা যেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো পরিপূর্ণভাবে মানুষের সেবার কাতারে দাঁড়াতে পারে নি। পত্রিকার কাগজ উল্টালেই প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে শিশু ধর্ষণ, সন্তানের সামনে বাবার খুন, মা তার ছেলের লাশ খুঁজে বেড়াচ্ছেন , ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণবিনাশ। সরকার মিডিয়ার সামনে কঠিন হাতে সন্ত্রাস, ধর্ষণ দমন করতে চাইলেও সম্ভব হচ্ছে না। এ সম্ভব না হওয়ার মূল কারণ হলো অপরাধীদের পিছনে রাজনৈতিক রাঘববোয়ালদের হাত।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি অপরাধীকে শাস্তির জন্য গ্রেফতারও করে কিন্তু নেতার চাপে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এরপর সে অপরাধী আরো কঠিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। আমরা ২৪ এর অন্দোলন পরবর্তী সময়ে এরকম বাংলাদেশ কল্পনা করিনি। ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে নেতাদের আশ্রয়ে অপরাধীরা বেঁচে যেত। মানুষ পাল্টিয়েছে, ক্ষমতার হাত বদলিয়েছে কিন্তু এদের চরিত্রগুলো ফাসিস্ট এর শূণ্যস্থান পূরন করেছে। স্বাধীনতার ৫৫ বছর পর আর এসব হুমকির মধ্যে থাকতে চাই না। রাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা চাই। এখনই মোক্ষম সময় অপরাধীদের দ্রুত বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হোক জনতার সেবক, কোনো রাজনৈতিক দলের পাঠার বলি না হোক। জনগণের প্রতি তাদের জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যেন নিরাপত্তার সাথে চলতে পারে, নিরাপত্তার সাথে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে এটাই নতুন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের চাওয়া। নিরাপত্তার চাদরে আবৃত্ত থাকুক সকল সাধারণ নাগরিক জনতা।
আমার স্বপ্নের বাংলাদেশ হবে সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ
জাবিন তাসমিন,সমাজ কল্যাণ বিভাগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
আমার চোখে বাংলাদেশ হবে একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, ও সমৃদ্ধ দেশ। যেখানে সবাই ন্যায্য অধিকার উপভোগ করবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও মৌলিক চাহিদা সবার জন্যে সহজলভ্য হবে। কেউ টাকা আর অসহায়ত্বের কারণে বিনা চিকিৎসায় মরবে না। দুর্নীতি আর বৈষম্যের জায়গা থাকবে না, সব শ্রেণীর মানুষের জন্য সমান সুযোগ থাকবে। কর্মসংস্থানের অভাব থাকবে না। কৃষি, প্রযুক্তি ও শিল্পের সমন্বয়ের দেশে এগিয়ে যাবে। নারী-পুরুষ সমানভাবে সমাজে অবদান রাখবে। আমি এমন এক বাংলাদেশ চাই যেখানে, কৃষক তার ন্যায্য দাম পাবে এবং শ্রমিক তার পরিশ্রমের সঠিক মূল্য পাবে। আইন শৃঙ্খলা মজবুত হবে। নারী ও শিশুরা চলবে নির্ভয়ে অপরাধীরা শাস্তি পাবে সৎ মানুষেরা মাথা উঁচু করে বাঁচবে। সবার জন্য নিরাপদ সমাজ করে উঠবে।
আমি এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, যেখানে সাফল্য মানে শুধু নিজের উন্নতি নয় সমাজে সবার উন্নতি। সমাজে কেউ অসহায় ও অবহেলিত থাকবে না। কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না, সবার বাসস্থান নিশ্চিত হবে; শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা হবে সবার অধিকার। গ্রামের শিশুরাও পাবে উন্নতমানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা। তরুণরা নতুন নতুন আবিষ্কার করবে। আমি এমন একটা দেশ চাই, যেখানে দেশের সম্পদ কেবল কিছু মানুষের হাতে সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং সবার কল্যাণে কাজে লাগবে, মানুষ মানুষকে ভালোবাসবে ধর্ম-বর্ণ -শ্রেণী ভেদাভেদ ভুলে। চব্বিশের সূচনায় এক নতুন ধারায় বাংলাদেশ দেখার স্বপ্ন যেন বাস্তবায়ন হয় সেই প্রত্যাশা থাকবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নতুন সচিব রেহানা পারভীন

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নতুন সচিব নিয়োগ পেয়েছেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) রেহানা পারভীন।
রেহানা পারভীনকে বদলি করে সোমবার (১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রেহানা পারভীনই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইতিহাসে প্রথম নারী সচিব।
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ’ এবং ‘কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ’ নামে দুটি বিভাগে ভাগ করা হয়। ১৯৭১ সাল থেকে অবিভক্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৩৩ জন সিনিয়র সচিব/সচিব দায়িত্ব পালন করেছেন। দুই ভাগ হওয়ার পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে এ পর্যন্ত ৭ জন সিনিয়র সচিব/ সচিব দায়িত্বে ছিলেন। তাদের কেউই নারী ছিলেন না।
গত ২৩ জুলাই শিক্ষার্থীদের আপত্তির মুখে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব (চুক্তিভিত্তিক) সিদ্দিক জুবায়েরকে প্রত্যাহার করা হয়। ওই দিন তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
গত ২১ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা হতাহত হন। পরের দিনের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিতের কথা সোমবার দিনগত রাত ৩টার দিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।
পরের দিন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। তারা সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন, একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন। শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের ভেতরে গাড়ি ভাঙচুর করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের বের করে দেন। এরপরই সিদ্দিক জোবায়েরকে প্রত্যাহার করা হয়।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ পাচ্ছেন ৪১ হাজার প্রার্থী

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশপর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৪১ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। এরই মধ্যে ফল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই এ সুপারিশ করা হতে পারে।
রোববার (১৭ আগস্ট) ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মজিবর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম।
বৈঠকে সুপারিশের সারসংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মো. মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ৪১ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। খুব দ্রুতই নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।
গত ১৬ জুন এক লাখেরও বেশি শিক্ষক নিয়োগের ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনগ্রহণ শুরু হয় গত ২২ জুন, যা চলে ১০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত। আবেদন ফি জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা ছিল ১৩ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৫৭ হাজারের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন। অথচ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট এক লাখ ৮২২টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে রয়েছে ৪৬ হাজার ২১১টি, মাদরাসায় ৫৩ হাজার ৫০১টি। কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ১১০টি পদ ফাঁকা। সে হিসাবে প্রায় অর্ধেকের মতো পদ ফাঁকাই থেকে যাবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন সংক্রান্ত পেইজে বিভ্রান্তমূলক মন্তব্য, জানেন না ইবি কর্তৃপক্ষ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) পরিবহন প্রশাসকের অধীনে দীর্ঘদিন ধরে ‘ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। গ্রুপে দেয়া এক শিক্ষার্থীর স্টাটাসে ওই পেইজ থেকে বিভ্রান্তমূলক মন্তব্যসহ চাঞ্চল্যকর তথ্য ওঠে এসেছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী রেদওয়ানুল ইসলাম ‘ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি’ নামের গ্রুপে নবীন শিক্ষার্থীদের আগমন উপলক্ষে বাস-ভোগান্তি কমাতে স্টাটাস দেন এবং স্টাটাসে ওই শিক্ষার্থী লিখেন, “২০২৪-২৫ ব্যাচ এসেছে, প্রত্যেকটা গাড়ি ওভারলোড। ডাবল ডেকার ওভারলোড হয়ে যাওয়ার জন্য দাঁড়াচ্ছে না (রাস্তা খারাপ)। এমতবস্থায় আমরা রোজ কি ভাড়া দিয়ে ক্যাম্পাসে যাবো? হয় কালকের মধ্যে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হোক, না হলে একটা গাড়িও শহর থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে যেতে দেয়া হবে না। ধন্যবাদ।”
ওই স্টাটাসের প্রত্যুত্তরে প্রশাসনের পেইজ থেকে মন্তব্য ঘরে বলছেন, কালকের মধ্যে বাস বাড়বে না। এবার আপনার যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেন। কোনো কিছুর প্রতিকার হুমকি দিয়ে হয় না। আপনি যেহেতু হুমকি দিয়েছেন আপনি আপনার কাজ করেন। সব শিক্ষার্থীকে বাসে আটকিয়ে তাদের কষ্ট বাড়ালে আমরা আপনার নামই বলবো।
এভাবে চলতে থাকেন সাইবার যুদ্ধ। এক পর্যায়ে সেশনজট, আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশ্ন তোলা সহ ইত্যাদি বিষয়ে কমেন্ট সেকশনে পাল্টাপাল্টি আলাপ করতে দেখা যায়। রাকিব নামের আরেক শিক্ষার্থী এসে ‘প্রশাসনের এ্যপ্রোচ এমন হওয়া উচিত নয়’ বলে মন্তব্য করেন এবং মন্তব্যগুলো হুমকি হিসেবে নেন শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্যের ঘরে কর্তৃপক্ষের পেইজ থেকে আরও বলেন, ‘পরিবহন বিভাগ বাসের সংখ্যা বাড়াতে অতিরিক্ত চারটি ডাবল ডেকার বাস আনার পরিকল্পনা নিয়েছে, যা ট্রেজারার অফিসের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া, আগামী বছরের আগে বাস ভাড়া বাড়ানো সম্ভব নয় এবং মন্ত্রণালয় থেকে নিজস্ব বাস কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের এক সময়ে ক্যাম্পাসে আসার কারণে বাসে চাপ বেশি পড়ে, তাই বিভাগের মধ্যে সমন্বয় ও একাডেমিক কাউন্সিলের পদক্ষেপ অত্যাবশ্যক। পরিবহন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় ও ধৈর্যের প্রয়োজন।’
এসব মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক জানেন না বলে নিশ্চিত করেছেন। তবে জানা যায়, পেইজে এডমিন হিসেবে যুক্ত আছেন ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অভশান। জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমার কাছে যেসকল তথ্য আছে তার ভিত্তিতে উত্তর দেয়ার এখতিয়ার আছে এবং প্রশাসন থেকে পূর্ব থেকেই অনুমোদিত। আমি অযৌক্তিক কোনো রিপ্লাই দেইনি।’
এদিকে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. শেখ মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘শিক্ষার্থীর স্টাটাসটা আমি দেখেছি এবং স্ক্রিনশট নিয়ে ট্রেজারার স্যারকে পাঠিয়ে শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছি। উনি বিআরটিসির চারটি ডাবল ডেকার বাস কেনার অনুমোদন দিয়েছেন। আশা করি খুব দ্রুতই বাস সংকট সমস্যার সমাধান হবে।’
পেইজে দেয়া মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন আছে কি-না সেটা একান্ত অফিশিয়াল বিষয়। রিপ্লাইগুলো দেখিনি। তাছাড়া যেকোনো কমেন্টের রিপ্লাই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়ে যুক্তি দেখানোর অনুমোদন কারো নাই।’
অর্থসংবাদ/কাফি/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
মিনিস্টারে চাকরির সুযোগ

সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মিনিস্টার হাই টেক পার্ক লিমিটেড। আগ্রহ ও যোগ্যতা থাকলে আবেদন করতে পারেন।
পদের নাম ও সংখ্যা: শোরুম ম্যানেজার, ১০ জন।
আবেদনের যোগ্যতা: প্রার্থীর ডিপ্লোমা (ইইই) অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। এ ছাড়া ৩ থেকে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। শুধু পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। বয়স সর্বনিম্ন ২৭ বছর হতে হবে। কর্মস্থল দেশের যে কোনো স্থানে।
বেতন: মাসিক বেতন ২০,০০০-৪০,০০০ টাকা করে দেয়া হবে।
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা বিজ্ঞপ্তিটি বিস্তারিত দেখে আবেদনের নিয়ম জানতে ক্লিক করুন এখানে।
আবেদনের সময়সীমা: আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ কেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে। এর কেন্দ্রের পরিবর্তে প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে লিখিত পরীক্ষা। আনন্দ মোহন কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি এ কথা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১৪ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট ময়মনসিংহ কেন্দ্রের ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা আনন্দ মোহন কলেজের পরিবর্তে প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে।