জাতীয়
ছুটি শুরুর আগেই লঞ্চের ৯৫ শতাংশ টিকিট শেষ

পদ্মা সেতু চালুর আগে ঢাকা ও বরিশাল প্রান্ত থেকে মোট ১৪টি লঞ্চ প্রতিদিন যাত্রী পারাপার করতো। সেতু চালুর পর যাত্রী সংকটে মাত্র চারটি লঞ্চ দুই দিক থেকে যাত্রী পরিবহন করে। তারপরও যাত্রী সংকট ছিল ব্যাপক। তবে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে ঘিরে ভিন্নরূপ দেখা গেছে বরিশাল নদী বন্দরে।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছুটি শুরুর আগেই প্রায় ৯৫ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ফিরতি টিকেটেরও চাহিদা বাড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে- ডেকের যাত্রীও লাভের মুখ দেখাবে লঞ্চ মালিকদের।
বরিশাল নদী বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, পাঁচটি লঞ্চ নোঙর করা। প্রতিটি লঞ্চেই ধোয়া-মোছা আর সাজসজ্জার কাজ চলছে। ছুটিতে থাকা স্টাফদের তাগিদ দিয়ে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) থেকেই ঢাকা-বরিশাল রুটে লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস চালু হবে। স্পেশাল সার্ভিসের মধ্য দিয়ে এই রুটে যুক্ত হচ্ছে এক হাজার যাত্রী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন নতুন লঞ্চ এমভি এমখান-৭।
এমভি মানামী লঞ্চের স্টাফ প্রান্ত বলেন, কয়েকদিনের চেষ্টায় পুরো লঞ্চটিকে আমরা নতুন রূপ দিয়েছি। বিভিন্ন স্থানে রঙ করা হয়েছে, কেবিনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষ্যে যাত্রীদের সবচেয়ে ভালো সেবা দিতে আমাদের এই প্রস্তুতি।
মনির হোসেন নামে আরেক স্টাফ বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর সারা বছরই যাত্রী সংকট থাকে। ঈদে ও কোরবানিতে কিছু যাত্রী হয়। যদিও গতকালকের ট্রিপে আশানুরুপ যাত্রী হয়নি, তবে কাউন্টার থেকে যা জানানো হয়েছে তাতে ঈদের ছুটি শুরু হলে ভিড় বাড়বে।
বিআইডব্লিউটিএ থেকে জানানো হয়েছে স্পেশাল সার্ভিসসহ বরিশাল-ঢাকা রুটে এবার মোট ১৯টি বিলাসবহুল লঞ্চ যাত্রী সেবা দেবে। আরও ২-৩টি লঞ্চ ভায়া রুটে যাত্রী পরিবহন করবে। সমস্ত লঞ্চে যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে যাত্রীরা বলছেন- তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সড়ক পথ ছেড়ে নৌপথে ঈদযাত্রা বেছে নিয়েছেন।
শাহনেওয়াজ নামে এক যাত্রী বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে লঞ্চে যাতায়াত খুবই আরামদায়ক। ঈদের সময় সড়কে দেখা যায় বাসের বেপরোয়া প্রতিযোগিতা। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছুটে চলায় দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকে। আমরা ঈদের যাত্রায় ঝুঁকি নিতে চাই না দেখে লঞ্চে টিকিট নিয়েছি।
আরেক যাত্রী বেলায়েত হোসেন বলেন, আমার বন্ধুর জন্য লঞ্চের টিকিট নিতে এসেছি। বরিশাল অঞ্চলের সড়ক সরু। পর্যাপ্ত স্থান না থাকায় এবং বাসগুলোর দ্রুত চালানোর প্রবণতায় মারাত্মক ঝুঁকি মনে হয়। তাছাড়া জায়গায় জায়গায় যানজট থাকায় লঞ্চই আমাদের কাছে পছন্দের।
ষাটোর্ধ্ব মনিরুল ইসলাম বলেন, পরিবারসহ লঞ্চে আমরা এসেছি। আজকে এসেছিলাম ফিরতি টিকিট নিতে। টিকেটের মূল্য কোনো অংশে কমায়নি লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। তারপরও সড়কের চেয়ে লঞ্চ নিরাপদ দেখে পরিবারসহ লঞ্চেই আমরা যাতায়াত করি।
৯৫ শতাংশ কেবিন বিক্রি শেষ
লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ১৯টি লঞ্চে বিভিন্ন মানের প্রায় পাঁচ হাজার কেবিন রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি লঞ্চই ডেকে হাজারের অধিক যাত্রী বহন করতে পারে।
এমভি আওলাদ-১০ লঞ্চের ব্যবস্থাপক অভিজিৎ সরকার বলেন, যাত্রীদের সুবিধার্থে ১২ মার্চ থেকেই আমরা অগ্রিম টিকিট ছেড়েছি। ইতোমধ্যে কেবিনের প্রায় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। আমরা লাভবান হবো কিনা তা বোঝা যাবে ভাসমান যাত্রী অর্থাৎ ডেকের যাত্রীদের ওপর নির্ভর করে।
এমভি মানামী লঞ্চের ব্যবস্থাপক জিয়াউল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ঈদ প্রস্তুতি আমাদের খুব ভালো। ইতোমধ্যে আসা এবং ফিরতি ট্রিপে কেবিন প্রায় ৯৫ শতাংশ বিক্রি হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত যাত্রীর চাপ না থাকলেও আগামী কয়েকদিনে বোঝা যাবে আমরা কেমন থাকবো।
এমভি সুন্দরবন লঞ্চের পরিচালক বলেন, এ বছর যাত্রীর চাপ হবে বলে প্রত্যাশা করছি। আমরা সবগুলো লঞ্চ প্রস্তুত রেখেছি। যদিও এখনো যাত্রী বাড়েনি। লম্বা ছুটি হওয়ায় ক্রমে ক্রমে যাত্রী আসবে বলে আশাবাদী।
সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক আকতার হোসেন আকাজ বলেন, এ বছর যাত্রীর চাপ হবে বলে প্রত্যাশা করছি। আমরা সবগুলো লঞ্চ প্রস্তুত রেখেছি। যদিও এখনো যাত্রী বাড়েনি। লম্বা ছুটি হওয়ায় ক্রমে ক্রমে যাত্রী আসবে বলে আশাবাদী।
যা বলছে কর্তৃপক্ষ
বরিশাল নদী বন্দরে কন্ট্রোল রুম ও হেল্প ডেস্ক ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে। যাত্রী সেবায় মেডিকেল টিমও থাকবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, গোয়েন্দাসহ অন্যান্য বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
বরিশাল সদর নৌ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহসিন বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নৌ বন্দর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বরিশাল নদী বন্দরের কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে আমরা আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা কাজ করছি। আশা করছি নৌপথে এবারের ঈদ যাত্রা সুন্দর হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
চট্টগ্রাম-কুনমিং রুটে ফ্লাইট চালুর ঘোষণা

বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে চীনের উনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার ঘোষণা দিয়েছে চীন। একইসঙ্গে বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য কুনমিংয়ের চারটি হাসপাতালকে ‘ডেডিকেটেড’ ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, কুনমিংয়ে বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য ডেডিকেট করা চারটি হাসপাতালে ফি কম। এসব হাসপাতালে স্থানীয়রা যে ফি পরিশোধ করেন, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া রোগীরাও একই ফি পরিশোধ করে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।
কুনমিং রুটে ফ্লাইট ভাড়া বেশি হওয়ায় চট্টগ্রাম থেকে কম খরচে ফ্লাইট সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ঢাকা-কুনমিং রুটেও বিমান ভাড়া কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশিদের জন্য আরো বেশি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান উন্মুক্ত করবে। কুনমিংয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এপ্রিলে বাংলাদেশ থেকে সাংবাদিকদের বড় একটি দলকে পাঠানো হবে। গত মাসে প্রায় অর্ধশত বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য প্রথমবারের মতো কুনমিং ভ্রমণ করেছেন। তারা সেখানকার হাসপাতালের মানের প্রশংসা করেছেন। তবে, যাতায়াত খরচ বেশি বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই।
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে কুনমিং রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স। কুনমিং ও চট্টগ্রামের মধ্যে পরিকল্পিত ফ্লাইট ভ্রমণ ব্যয় এবং ভ্রমণের সময় কমিয়ে আনবে, যা চীনে আরো বেশি বাংলাদেশির জন্য স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার পথ প্রশস্ত করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আজ শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে জাতীয় ঈদগাহের হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক শাহজাহান মিয়া।
ডিএসসিসির প্রশাসক বলেন, এবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস নেই। এরপরও কোনো কারণে আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহের পরিবর্তে সকাল নয়টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন, সে জন্য ঈদের জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সব প্রতিকূল পরিস্থিতি মাথায় রেখেই প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক। তিনি আরও বলেন, গত বছরের মতো এবারও আধুনিক ও সুসংগঠিত ব্যবস্থাপনায় ঈদের জামাতের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এবার জাতীয় ঈদগাহে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটির এই প্রশাসক। তিনি বলেন, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। মুসল্লিদের জন্য অজু করার জায়গা, শৌচাগার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ডিএসসিসির প্রশাসক জানান, জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করার জন্য আরামদায়ক কার্পেট বিছানো হয়েছে। তাই কাউকে জায়নামাজ সঙ্গে আনতে হবে না। নারীদের নামাজ আদায়ের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তার জন্য দুটি মেডিকেল টিম থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রোববার সন্ধ্যায় বসছে চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক

পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা ও ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে আগামীকাল রোববার বৈঠকে বসছেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। শনিবার (২৯ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে (বাদ মাগরিব) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
ওইদিন দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্ধারিত টেলিফোন বা ফ্যাক্স নম্বরে তথ্য জানানোর অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ অথবা ০২-৪১০৫০৯১৭) কিংবা ফ্যাক্স নম্বরে (০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ বা ০২-৯৫৫৫৯৫১)। এছাড়া, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও অবহিত করা যাবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশেও মিয়ানমারের মতো ভূমিকম্পের শঙ্কা

মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে যে দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশে সতর্কতা ও প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাহিনীটি।
শনিবার (৩ মার্চ) ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৮ মার্চ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে পর পর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প দুটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭ ও ৬.৪।
ফলে দেশ দুটি বেশ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এমতাবস্থায় ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য সব পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির নিমিত্ত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান করছে:
ফায়ার সর্ভিসের দেওয়া নির্দেশনাগুলো হলো: (১) বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ করা; (২) ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা; (৩) সকল বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা; (৪) ইউটিলিটি সার্ভিসসমূহ যথা গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সঠিকতা নিশ্চিত করা; (৫) ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা করা; (৬) জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসাপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নম্বরসমূহ ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সকল ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ করা এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখা; (৭) ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালীন সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা; (৮) জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি যেমন- টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট/কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি বাসা-বাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা যাতে ভূমিকম্প পরবর্তীতে আটকা পরলে তা ব্যবহার করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা যায় এবং (৯) সকল পর্যায়ে তদারকি সংস্থার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা।
এ ছাড়া যেকোনো তথ্যের জরুরি প্রয়োজনে ০১৭২২৮৫৬৮৬৭ মোবাইল নম্বর ও ১০২ হটলাইন নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে মিয়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঈদে ফাঁকা ঢাকায় নাশকতার হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকা। এই ফাঁকা ঢাকায় কোনো ধরনের নাশকতার হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে কোনো ধরনের নাশকতার হুমকি নাই। কোনো হুমকি থাকলে সেটা সবাইকে নিয়ে মোকাবিলা করা হবে। জনগণ ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করলে কেউ নাশকতা করতে পারবে না।
শনিবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টার পর রাজধানীর প্রবেশ ও বাহিরমুখ গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে এসব বলেন তিনি।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, এবার ঈদে সবাই ছুটি ভোগ করছে কিন্তু পুলিশ বিজিবি আনসার ছুটি কাটাচ্ছে না। তারা কিন্তু নিশ্চিদ্রভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ঢাকায় কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন ভালো থাকে এজন্য তারা কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা যেন ভালোভাবে যেতে পারেন। আপনাদের বাসা বাড়ি ভালো থাকে। এজন্য তারা সব ধরনের কাজ করে যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি এখানে এসেছিলাম টিকিটের দাম বেশি আদায় করা হচ্ছে কি না বিষয়টি দেখার জন্য। প্রত্যেকটি কাউন্টারে ভাড়ার চার্ট ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে এরপরও যদি কেউ বেশি ভাড়া আদায় করে তবে আপনারা বিআরটিএ ভিজিলেন্স টিম এর কাছে অভিযোগ করবেন। এছাড়াও পুলিশ কন্ট্রোল রুমে অভিযোগ করবেন।
তিনি আরও বলেন, দুই একটা ছোটখাটো অভিযোগ রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। সবাই আপনারা দোয়া করবেন যাত্রীরা যেন ভালোভাবে যেতে পারে। রাস্তাঘাটে যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। আমি চালকদের সাথে কথা বলেছি তারা রেস্ট পায় কি না কারণ রেস্ট না পেলে সড়কে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এজন্য চালকরা যেন রেস্ট পায় বিষয়টি মালিকদের বলা হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সরকারের উদ্যোগ ছিল বলেই মানুষ এবার স্বস্তিতে বাড়ি যেতে পারছে। আমরা চেষ্টা করছি তারা যেন ভালোভাবে বাড়ি যেতে পারে এবং ভালোভাবে আবার ঢাকায় ফিরে আসতে পারে।