অর্থনীতি
মার্চের ২৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৭০ কোটি ডলার

পবিত্র রমজান মাসে প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। মার্চের প্রথম ২৪ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে এসেছে ২৭০ কোটি মার্কিন ডলার। এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সব মিলিয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৫২ কোটি ডলার।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি মার্চ মাসে প্রবাসীরা বৈধ পথে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠাচ্ছেন। প্রবাসী আয়ের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসের শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি মার্চ মাসের প্রথম ১৫ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৬৬ কোটি ডলার। চার দিন পরে অর্থাৎ ১৯ মার্চে ব্যাংকিং চ্যানেল তথা বৈধ পথে আসা প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ২২৫ কোটি ডলার। এর মধ্যে শুধু ১৯ মার্চ এক দিনেই এসেছে ১৩ কোটি ডলার। আবার ১ থেকে ২২ মার্চ তথা মাসের প্রথম ২২ দিনে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪৩ কোটি ডলার, যা ২৪ মার্চে বেড়ে ২৭০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, দেশে গত বছরের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে টানা সাত মাস ধরে প্রতি মাসে ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি।
এ ছাড়া, চলতি বছরের জানুয়ারিতে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবাসী আয় ৩ শতাংশ বেশি আসে। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাস (জুলাই–মার্চে) প্রবাসীরা দেশে ১ হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন, যা এর আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি। আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
ঈদে টানা ৮ দিন বন্ধ থাকবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম টানা ৮ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) থেকে শনিবার (৫ এপ্রিল) পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
তবে বন্ধের এ সময়ে স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টের যাত্রীরা স্বাভাবিক যাতায়াত করতে পারবেন।
উভয় দেশের আমাদানি-রফতানিকারক, সিএনএফ ও সংশ্লিষ্টদের যৌথ সিদ্ধান্তে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ছুটির একটি নথির মাধ্যমে জানা গেছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৯ মার্চ থেকে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ৬ এপ্রিল সকাল থেকে আবারও বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।
এদিকে বন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টের যাত্রীরা স্বাভাবিক যাতায়াত করতে পারবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার টোল আদায়

ঈদ উপলক্ষে শেষ মুহূর্তে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। যার প্রভাব পড়েছে মহাসড়কে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বেড়েছে। যমুনা সেতু ওপর দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা৷
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মহাসড়ক সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদযাত্রায় শনিবার (২৯ মার্চ) মহাসড়কে যানবাহনের চাপ আরও বেড়েছে। বিশেষ করে শুক্রবার (২৮ মার্চ) সরকারি ছুটি হওয়ায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার রাত থেকে যানবাহনের চাপ বেড়েছে বেশি। আজ দুপুরের পর থেকে যানবাহনের চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দিনগত রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ৩০ হাজার ৩৯৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫০ টাকা। অন্যদিকে, ঢাকাগামী ১৭ হাজার ৯৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় এক কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫০ টাকা।
বৃহস্পতিবারের চেয়ে শুক্রবার যমুনা সেতু দিয়ে ১৩ হাজার ১০৮টি যানবাহন বেশি পারাপার হয়েছে। এতে ৭৩ লাখ ১৫ হাজার ৪০০ টাকা বেশি টোল আদায় হয়েছে।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮টি বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এর মধ্যে দুইপাশেই দুটি করে বুথ দিয়ে আলাদাভাবে মোটরসাইকেল পারাপারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেতুর ওপর দিয়ে সার্বক্ষণিক যানবাহন চলছে। এখন পর্যন্ত টোল আদায় বন্ধ হয়নি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
শনিবার শতভাগ কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধ সম্পন্ন হবে: বিজিএমইএ

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দেশের পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন ও উৎসব ভাতা অধিকাংশ কারখানায় পরিশোধ সম্পন্ন হয়েছে। এতে শ্রমিকদের মাঝে যেমন স্বস্তি ফিরে এসেছে পাশাপাশি উদ্যোক্তারাও চাপমুক্ত হয়েছেন। তবে এখনও যেসব কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়া বাকি রয়েছে তারাও আগামীকালের (২৯ মার্চ) মধ্যে তা পরিশোধ করবেন। এতে করে শনিবারের মধ্যেই দেশের সব কারখানার শতভাগ পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ সম্পন্ন হবে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ব্যাংক, শ্রমিক নেতাসহ সবার সহযোগিতায় এই প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে।
বিজিএমইএর মহাসচিব মো. ফয়জুর রহমান জানিয়েছেন, ২৭ মার্চ পর্যন্ত ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করেছে ৯৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ কারখানা। মার্চ মাসের ১৫ বা ৩০ দিনের বেতন পরিশোধ করেছে ৮৩ দশমিক ২০ শতাংশ কারখানা। ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে ৯৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ কারখানা। আর ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে ০ দশমিক ৪৭ শতাংশ কারখানায় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও জানান, জরুরি শিপমেন্টের কারণে কিছু কারখানা ২৮ ও ২৯ মার্চ বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে। বিজিএমইএ আশা করছে, ২৯ মার্চের মধ্যেই প্রায় ১০০ শতাংশ কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধ সম্পন্ন হবে।
বিজিএমইএ বলছে, শুরু থেকেই বেতন-ভাতা পরিশোধ নিশ্চিত করতে ৪৪৫টি কারখানাকে ক্লোজ মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের হস্তক্ষেপে প্রায় ১০০টি সমস্যাগ্রস্ত কারখানার শ্রমিকদের পাওনা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এছাড়া, শ্রমিকদের সুবিধার্থে বিজিএমইএর অনুরোধে সরকার সরকারি ছুটির দিনেও ব্যাংকের শাখাগুলো খোলা রাখার নির্দেশ দেয়, যা উদ্যোক্তাদের বেতন পরিশোধে সহায়তা করেছে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিজিএমইএর নির্দেশনা অনুযায়ী, ২৬ মার্চ থেকে ২৯ মার্চের মধ্যে ধাপে ধাপে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হচ্ছে। যাতে মহাসড়কে যানজটের চাপ কমে। এ ছাড়াও, উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ ট্রেন চালু করেছে এবং মহাসড়কগুলোতে বিআরটিসি বাসের বিশেষ সার্ভিস চালু করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনায় এক হাজার ৭৭৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা। দেশের বাজারে সোনার এতো দাম আগে আর কখনো হয়নি।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে দাম বাড়ানো হয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এতদিন দেশের বাজারে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ছিল সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯ টাকা। গত ২৫ মার্চ এই দাম নির্ধারণ করা হয়। চার দিনের ব্যবধানে এখন দাম বাড়ানোর কারণে সেই রেকর্ড ভেঙে সোনার দাম নতুন উচ্চতায় উঠলো।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় এক হাজার ৭৭৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৭০৩ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৫০ হাজার ৬৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৪৫৮ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ২৩৬ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৬ হাজার ৫৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ২৫ মার্চ সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় এক হাজার ১৫৪ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৫৬ হাজার ৯৯ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৬ টাকা বাড়িয়ে করা এক লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৬ টাকা।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ৯৩৩ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ২৭ হাজার ৭০৯ টাকা আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ৮০৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় এক লাখ পাঁচ হাজার ৩০৩ টাকা। আজ শুক্রবার পর্যন্ত এ দামেই সোনা বেচাকেনা হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপা দুই হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপা ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রূপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ৭৩ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন বা ৭ দশমিক ৩ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৪৫ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৮৮৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার পর সৃষ্ট উদ্বেগের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার এ ঘোষণা এলো।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মাধ্যমে ওই অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র টমি ব্রুস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীরা রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষাকারী ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। ডব্লিউএফপির মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা দেওয়া হবে। দশ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা দেওয়া হবে। আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের এ ধরনের জীবন রক্ষাকারী সহায়তার বোঝা ভাগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
এই সহায়তা রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষের জন্য জরুরি খাদ্য, পানীয় জল, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে ব্যবহৃত হবে।
প্রতিবেশী মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের মুখে পালিয়ে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।