সারাদেশ
চাঁদপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আজম খানের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য এবং চাঁদপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আজম খানের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে চাঁদপুর শহরের ডিসি অফিস সংলগ্ন ইউরো এশিয়া পার্টি সেন্টারে এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে চাঁদপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েক হাজার রোজাদার নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
দোয়া ও মোনাজাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এসএম কামাল চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহ নেওয়াজ খান।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম জুয়েলের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইকবাল বিন বাশার, চাঁদপুর জেলা জাসাসের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা এমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি ক্বারী মো. ইয়াসিন।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন নাগরিক কমিটির চাঁদপুর সদর উপজেলার আহবায়ক এডভোকেট শেখ আবুল খায়ের মো. সালেহ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এই দেশের গণমানুষের দল। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। গণতন্ত্রের মা আপোসিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্বে বিএনপি মানুষের অধিকার আদায় এবং গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিটা নেতাকর্মী এক-অভিন্ন এবং ঐক্যবদ্ধ আছে।
বক্তারা বলেন, বিএনপি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। ফলে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে নেতৃত্বে লড়াই থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমাদের মধ্যে কোনো প্রতিহিংসা থাকবে না। আমরা সবাই শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক কর্মী। এদেশের মানুষের ভোট এবং গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে রাজপথে আছি এবং থাকব। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে হবে। এজন্য যার যার অবস্থান থেকে দলের জন্য কাজ করতে হবে। আজকে যিনি এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছেন তিনি স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে দীর্ঘকাল প্রবাস যাপন করেছেন। তিনি প্রবাসে থেকেও দলের নেতা কর্মীদের পাশে ছিলেন এবং গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য আজম খান চাঁদপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী। তিনি একজন শিক্ষিত, মেধাবী, মানবিক, পরিশ্রমি এবং কর্মীবান্ধব নেতা। এমন একজন নেতা জনপ্রতিনিধি হলে ওই এলাকার নাগরিকদের জন্য ভালো কাজ করতে পারবেন। তবে দল যাকেই মনোনয়ন দিবে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে তার পক্ষে ধানের শীষের জন্য কাজ করব। আমাদের মধ্যে কেউ যাতে বিবেদ সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোতালেব মাস্টার, দেলোয়ার হোসেন মাস্টার, মোশারফ হোসেন খাট মন্টু, মৌসুমের বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক নাদিম পাটোয়ারী, বিএনপি নেতা তুষার খানসহ বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

সারাদেশ
কবর খোঁড়া সেই মনু মিয়া মারা গেছেন

বিনা পারিশ্রমিকে ৩ হাজারের বেশি কবর খনন করা সেই মনু মিয়া মারা গেছেন। কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জয়সিদ্দি ইউনিয়নের আলগা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে দীর্ঘদিন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মনু মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়সিদ্দি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম।
কবর খুঁড়ে তিনি পার করে দিয়েছেন তার ৬৭ বছরের জীবনের সুদীর্ঘ ৪৯টি বছর। কোনো ধরনের পারিশ্রমিক কিংবা বখশিস না নিয়ে এ পর্যন্ত খনন করেছেন ৩ হাজার ৫৭টি কবর।
দূরের যাত্রায় দ্রুত পৌঁছাতে নিজের ধানী জমি বিক্রি করে বেশ কয়েক বছর আগে কিনেছেন একটি ঘোড়া। এই ঘোড়ার পিঠে তিনি তুলে নেন তার যাবতীয় হাতিয়ার-যন্ত্র। সেই ঘোড়ায় সওয়ার হয়েই শেষ ঠিকানা সাজাতে মনু মিয়া ছুটে চলতেন গ্রাম থেকে গ্রামে। তবে সে ঘোড়াটিও মারা যায় এ বছর ১৬ মে।
সারাদেশ
পশুর নদীতে ডুবে গেলো কার্গো জাহাজ

বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পশুর নদীর চরে ডুবে গেছে ফ্লাইঅ্যাশ (সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল) বোঝাই কার্গো জাহাজ। শুক্রবার (২৭ জুন) ভোর ৬টার দিকে মোংলা নদী ও পশু নদীর ত্রিমোহনা সংলগ্ন চরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ এমভি মিজান-০১ এর ড্রাইভার শওকত শেখ জানান, তাদের জাহাজটি পশুর চ্যানেলে নোঙর করা অবস্থায় ছিল। শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে এমভি কে আলম গুলশান-০২ নামক লাইটার কার্গো জাহাজ অ্যাংকর করে থাকা এমভি মিজান-০১ কার্গো জাহাজের ওপর উঠিয়ে দেয়। এ সময় লাইটার কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ওই কার্গো জাহাজটি ডুবে যায়। এতে ৯১৪ মেট্টিক টন ফ্লাইঅ্যাশ ছিল। ভারতের কলকাতার ভেন্ডেল এলাকা থেকে এ ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই করেছিল মিজান-১। ঢাকার নারায়ণগঞ্জের বসুন্ধরার ঘাটে যাওয়ার পথিমধ্যে যাত্রাবিরতিকালে মোংলা বন্দরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ড্রাইভার শওকত আরও বলেন, লাইটার জাহাজের ধাক্কায় তাদের কার্গো জাহাজের পাশ ও তলা ফেটে নদীতে ডুবে গেছে। ওই জাহাজে থাকা ১০জন স্টাফই সাঁতরিয়ে কুলে উঠে এখন নিরাপদ রয়েছেন।
এদিকে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের চরে এ নৌযান দুর্ঘটনা ঘটলেও বন্দর চ্যানেল পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছ বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ মোঃ মাকরুজ্জামান বলেন, কার্গো জাহাজ এমভি মিজান-১ অপর একটি লাইটার জাহাজ এমভি কে আলম গুলশান-০২ এর ধাক্কায় পশুর নদীর চরে ডুবে গেছে। তবে বন্দর চ্যানেল সুরক্ষিত রয়েছে। বন্দর চ্যানেল দিয়ে সব ধরনের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ধর্ম ও জীবন
সৌদি আরবে কক্সবাজারের ওয়াহিদুর রহমানের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন

কক্সবাজারের কৃতী সন্তান আ.ফ.ম.ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী সৌদি আরবের মক্কা উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন।
তিনি কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলাধীন গর্জনীয়া পূর্ব বোমাংখিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল ছিলেন, গর্জনীয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হেড মাওলানা। তার দাদা মাওলানা ওবায়দুল হক চট্টগ্রামের বিখ্যাত দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।
অ.ফ.ম ওয়াহীদুর রহমান বর্তমানে পবিত্র হারামাইন শরীফাইন সৌদি আরবের অনুবাদ প্রকল্পে বাংলা বিভাগে অনুবাদক, ভাষ্যকার ও তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মরত।
তিনি সৌদি আরবের মক্কা উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালে পিএইচডি অর্জন করেন। তার গবেষণা অভিসন্দর্ভের শিরোনাম ছিল- ‘ইমাম আল-বায়হাকী আস-সুনান আল-কুবরায় যা বর্ণনা করেছেন তার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে ডাকার আইনশাস্ত্র’।
তিনি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের প্রখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে হাদিস বিভাগে কামিল ও ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা-ই- আলিয়া, ঢাকা থেকে কামিল তাফসির বিভাগে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।
এর আগে কক্সবাজারের টেকনাফের রঙ্গিখালী দারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের উম্মুল মাদারিস খ্যাত চুনতী হাকিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে যথাক্রমে আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় সম্মানের সাথে উত্তীর্ণ হন।
তিনি ১৯৯৯-২০০৪ ইংরেজি সাল পর্যন্ত ঢাকা মোহাম্মদপুরে অবস্থিত গাউছিয়া ইসলামীয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আ.ফ.ম.ওয়াহীদুর রহমান মাক্কী সৌদি সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ পৃথিবীর ২০টি ভাষায় খুতবাতুল আরাফার তথা হজের খুতবাহ সম্প্রচার প্রকল্পে বাংলা ভাষ্যকার হিসেবে ২০২০, ২০২১ ও ২০২৩ সালে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া ও তিনি মক্কায় ইসলামিক সেন্টার এর একজন দায়ী হিসেবে বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে দাওয়াতী কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
কাফি
সারাদেশ
পাবনায় ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে সাড়ে ১২ লাখ টাকা লুট

পাবনা সদর উপজেলার টেবুনিয়ায় ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় জানালার গ্রিল কেটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। এসময় দুটি কম্পিউটার ভাঙচুর ও হার্ডডিস্ক লুট করা হয়। প্রমাণ ধ্বংস করতে এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
বুধবার (১৮ জুন) দিনগত রাতে উপজেলার টেবুনিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে ব্যাংক খোলার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
স্থানীয়, পুলিশ ও ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার স্বাভাবিক কার্যক্রম শেষে ব্যাংক বন্ধ করে চলে যান শাখা সংশ্লিষ্টরা। পরদিন ব্যাংকের অফিস সহকারী (মেসেঞ্জার) রাসেল এসে ব্যাংক খুলে দেখেন জানালার গ্রিল কাটা এবং পুরো ব্যাংক তছনছ অবস্থায় রয়েছে। পরে সংশ্লিষ্টদের খবর দিলে দেখা যায়, ভল্টে থাকা টাকা, কম্পিউটার ও হার্ডডিস্ক লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এবিষয়ে ব্যাংকের অফিস সহকারী রাসেল প্রামাণিক বলেন, রাতের কোনো একটি সময় এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। সকালে অফিসে ঢুকে দেখি জানালার গ্রিল কাটা, কম্পিউটার ভাঙা ও চেয়ার ছড়ানো। এরপর আমি স্যারদের জানাই।
এজেন্ট শাখার ইনচার্জ নাঈম হাসান বলেন, খবর পেয়ে অফিসে এসে দেখি ভল্ট ভাঙা ও তাতে থাকা ১২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা নেই। অফিসের দুটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক এবং সিসিটিভি সিস্টেমও ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় চেয়ারে ঘটনায় জড়িতদের পায়ের ছাপ লক্ষ্য করা গেছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভল্ট ভেঙে টাকা ও কম্পিউটার চুরি হয়েছে বলে দাবি শাখা সংশ্লিষ্টদের। তবে ভল্ট ভাঙা হয়েছে বলে মনে হয়নি। ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের দ্বন্দ্বেও এমনটি হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
সারাদেশ
২৪ ঘণ্টায় সিলেটে আরও ৪ জনের করোনা শনাক্ত

গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে নতুন করে আরও চারজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে নতুন করে সিলেটে ছয়জন করোনা আক্রান্ত হলেন। বুধবার (১৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে চারজনের কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছয়জন। তাদের মধ্যে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে তিনজন, নর্থইস্ট হাসপাতালে একজন, রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন ও সীমান্তিকে একজন।
এদিকে নতুন করে সিলেটে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু হওয়ায় প্রস্তুতি নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এরই মধ্যে তিনটি আরটি-পিসিআর ল্যাব প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া করোনা রোগীদের চিকিৎসায় শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের একটি ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। এর বাইরে করোনার পরীক্ষার কিটসহ সব সরঞ্জামাদি সরবরাহ ও প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আনিসুর রহমান জানান, করোনা পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি সংস্থা সীমান্তিকে তিনটি আরটি-পিসিআর ল্যাব প্রস্তুত করা হয়েছে। বর্তমানে নমুনা পরীক্ষার চাহিদা কম থাকায় শুধুমাত্র ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চলবে পরীক্ষা। রোগী বাড়লে বাকি দুটি ল্যাবও ব্যবহার করা হবে।