কর্পোরেট সংবাদ
রমজান ও ঈদে অনলাইন-অফলাইন যেকোনো কেনাকাটা বিকাশ পেমেন্টে

প্রতি বছরের মতো এবারও রমজান ও ঈদের কেনাকাটাকে আরও সহজ, সাশ্রয়ী ও আনন্দময় করতে দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ নিয়ে এসেছে অনলাইন ও অফলাইন কেনাকাটায় ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফার। সুপরিচিত ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন শপে পোশাক, জুতা, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও অ্যাকসেসরিজ কেনা, পছন্দের রেস্টুরেন্টে ইফতার ও সেহরি অর্ডার, গ্রোসারি কেনা, ই-টিকেটিংসহ বিভিন্ন কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্টে উপভোগ করা যাবে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফারগুলো।
উল্লেখ্য, সবগুলো অফারই উপভোগ করা যাবে ১ এপ্রিল পর্যন্ত। দেখে নেয়া যাক উল্লেখযোগ্য অফারগুলো- সুপারস্টোর: রমজান মাস জুড়ে এবং ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপে ‘R2’ কুপন ব্যবহার করে দেশের শীর্ষস্থানীয় সুপারস্টোর মীনা বাজার, ইউনিমার্ট, ডেইলি শপিং, আগোরা, প্রিন্স বাজার, বেঙ্গল মিট, হোলসেল ক্লাব, আপন ফ্যামিলি মার্ট সহ আরও বেশকিছু সুপারস্টোরে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট পেতে পারেন। পাশাপাশি, ‘R3’ কুপন ব্যবহার করে সুপারস্টোর চেইন স্বপ্ন-এ বিকাশ পেমেন্টে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড: বিকাশ অ্যাপে ‘A1’ কুপন ব্যবহার করে ফুটওয়ার ব্র্যান্ড অ্যাপেক্স-এ কেনাকাটায় মিলবে ২০০ টাকা পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট। এদিকে, সারা লাইফস্টাইল-এ বিকাশ পেমেন্টে ‘S1’ কুপন ব্যবহার করে পাওয়া যাবে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট। পাশাপাশি, আড়ং, বাটা ও ইজি ফ্যাশন-এ বিকাশ পেমেন্টে পাওয়া যাবে ২০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক।
এছাড়াও, আরও শতাধিক লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডে ‘R1’ কুপন ব্যবহার করে বিকাশ পেমেন্টে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
রেস্টুরেন্ট: নির্ধারিত ফুডকোর্ট ও রেস্টুরেন্টে বিকাশ পেমেন্টে ‘F4’ কুপন ব্যবহার করে মিলবে ২০০ টাকা পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট। এই ফুডকোর্ট ও রেস্টুরেন্টের তালিকায় আছে সিক্রেট রেসিপি, বিএফসি, বার্গার কিং, ডমিনোজ পিজ্জা, পেয়ালা, চিফস লাউঞ্জ ইত্যাদি। পাশাপাশি, ‘C4’ কুপন ব্যবহার করে ২০০ টাকা পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে টেস্টি ট্রিট, শুমি’স হট কেক, কুপার’স, ওয়েল ফুড, কিভা হান, বাও, বারকোড ক্যাফে, মিঠাই, তাবাক, নর্থ এন্ড সহ আরও বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফেতে।
অনলাইন শপিং: এই রমজানজুড়ে ঈদের আগে ন্যূনতম ৫৫০ টাকার কেনাকাটায় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজে ১০ শতাংশ হারে সর্বোচ্চ ১০০ টাকার ডিসকাউন্ট ভাউচার পাওয়া যাবে।
এদিকে, নির্দিষ্ট কিছু অনলাইন শপে বিকাশ পেমেন্টে কেনাকাটায় ২০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে। ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে ফ্যাব্রিলাইফ, এক্সট্যাসি, লোটো, ফ্রিল্যান্ড, বেশি দেশি, শেভার শপ বাংলাদেশ, বিডিশপ, সেবা.এক্সওয়াইজেড, পিকাবু, স্টার টেক, ওথবা, গরুর ঘাস সহ আরও বেশ কিছু অনলাইন শপে।
ইলেকট্রনিকস: স্যামসাং-ইলেক্ট্রা, র্যাংগস ই-মার্ট, মিনিস্টার, স্টার টেক, রায়ানস, বেস্ট ইলেকট্রনিক্স, এস্কোয়ার ইলেকট্রনিক্স, ট্রান্সকম ডিজিটাল, সিঙ্গার, সনি র্যাংগস সহ আরও বেশি কিছু ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ডে যেকোনো পণ্য কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্টে কেনাকাটায় মিলবে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা ক্যাশব্যাক। এছাড়াও, ওয়ালটন প্লাজায় ন্যূনতম ১০,০০০ টাকায় কেনাকাটায় ‘W1’ কুপন ব্যবহার করে বিকাশ পেমেন্টে পাওয়া যাবে ১০০ টাকা ক্যাশব্যাক এবং পরবর্তী কেনাকাটার জন্য ১০০ টাকার ডিসকাউন্ট কুপন। এদিকে, অপ্পো ও শাওমি স্টোরে ১০,০০০ টাকা বা তার বেশি কেনাকাটায় মিলবে ২০০ টাকা ক্যাশব্যাক।
ই-টিকেটিং: গ্রাহকরা ঈদের ছুটির আগে বিকাশ পেমেন্টে ন্যূনতম ১০০০ টাকার বাস টিকিট বুকিংয়ে পেতে পারেন ১০০ টাকা ক্যাশব্যাক। অফারটি উপভোগ করা যাবে ই-টিকেটিং প্ল্যাটফর্ম ‘যাত্রী’ এবং ‘বিডিটিকেটস’-এ। পাশাপাশি, শ্যামলী পরিবহন, দোয়েল এক্সপ্রেস, ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেস এবং লন্ডন এক্সপ্রেসের বাস টিকেট বুকিংয়েও এই অফারটি উপভোগ করা যাবে।
পবিত্র রমজান মাস জুড়ে এবং ঈদকে সামনে রেখে বিকাশ পেমেন্টে সকল ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফারগুলো দেখে নেয়া যাবে বিকাশ-এর অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজ বা এই ওয়েব লিংকে – https://www.bkash.com/campaign/search?category=shob-moment-e-bkash-payment ।

কর্পোরেট সংবাদ
দুই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করলো ব্র্যাক ব্যাংক

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমে টেকসই ব্যাংকিং-যাত্রায় আরও নিজের অবস্থান শক্তিশালী করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্লুমবার্গ ইএসজি রেটিং ২০২৪-এ বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে তৃতীয় বছর শীর্ষ দশে থাকার গৌরব অর্জন করেছে ব্যাংকটি। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও পঞ্চমবারের মতো ব্র্যাক ব্যাংককে দেশের অন্যতম শীর্ষ টেকসই ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ব্লুমবার্গ ইএসজি স্বীকৃতি
ব্লুমবার্গ ইএসজি রেটিং ২০২৪-এ ব্র্যাক ব্যাংক সর্বোচ্চ ৩.৮ সামগ্রিক স্কোর অর্জন করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিবেশ (১.৭৬), সামাজিক (৫.৮৩) এবং সুশাসন (৩.০৭)-এর স্কোর। এর মাধ্যমে ব্যাংকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স (৩.৫১) ও সিটি ব্যাংক (২.৬৪)-কে ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে পরিচালিত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে।
এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে তৃতীয় বছরের মতো ব্লুমবার্গের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জায়গা করে নিতে সমর্থ্য হয়েছে।
ব্লুমবার্গের এই বৈশ্বিক স্বীকৃতি এসেছে ব্র্যাক ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ কার্বন নিঃসরণ রিপোর্ট, সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট রিপোর্ট ২০২৪, আইএফআরএস এস-১ ও এস-২ রিপোর্ট এবং অ্যানুয়াল রিপোর্ট ২০২৪ প্রকাশের মধ্য দিয়ে। এই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের মাধ্যমে ব্যাংকটি সুশাসনে নতুন বেঞ্চমার্ক তৈরি করেছে। ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের টেকসই অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০,২১৫ কোটি টাকায়, যা ব্যাংকটির মোট অ্যাসেট পোর্টফোলিওর ৮২%। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বাজার মূলধন (১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারহোল্ডিং (৩২%) আর্থিক খাতে ব্র্যাক ব্যাংকের নেতৃত্বস্থানের প্রতিফলন। এছাড়াও, তিন ধরনের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ তথ্য (জিএইচজি স্কোপ ১, ২, ৩) প্রকাশের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকসই ব্যাংক রেটিং ২০২৪
বাংলাদেশ ব্যাংক পঞ্চম বছরের মতো ব্র্যাক ব্যাংককে দেশের অন্যতম শীর্ষ টেকসই ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ‘এক্সেলেন্ট’ রেটিং অর্জন করেছে, যা দেশে মাত্র আরও দুটি ব্যাংক অর্জন করতে পেরেছে।
সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ইনডেক্স, সিএসআর অ্যাক্টিভিটিস, গ্রিন রিফাইন্যান্স, কোর ব্যাংকিং সাসটেইনেবিলিটি ইনডেক্স এবং ব্যাংকিং সার্ভিসেস কাভারেজ— এই পাচটি পাঁচটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে রেটিং করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্র্যাক ব্যাংকই বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক, যারা পার্টনারশিপ ফর কার্বন অ্যাকাউন্টিং ফাইন্যান্সিয়ালস (পিসিএএফ) ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে স্কোপ ১, ২, ৩ কার্বন নিঃসরণ তথ্য প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি ব্যাংকটি ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবিলিটি স্ট্যান্ডার্ডস বোর্ড (আইএসএসবি) মানদণ্ড অনুযায়ী স্বতন্ত্র আইএফআরএস এস-১ ও এস-২ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক বেস্ট প্র্যাকটিসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংকটি ১,০০০ কোটি টাকার সোশ্যাল বন্ড ইস্যুরও প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা হবে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন (আইসিএমএ) প্রিন্সিপালস অনুযায়ী।
টেকসই অর্থায়নকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে ব্র্যাক ব্যাংক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০টি সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স হেল্পডেস্ক স্থাপন করেছে, যাতে গ্রাহকদের জন্য গ্রিন ফাইন্যান্স ও পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা আরও সহজলভ্য হয়। ব্যাংকিংয়ের বাইরেও ব্র্যাক ব্যাংকের সিএসআর উদ্যোগগুলো সমাজে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে। শুধু ২০২৪ সালেই ব্যাংকটি স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির আওতায় ৫০,০০০ মানুষকে সেবা, জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রকল্পের আওতায় ৪৬,০০০ কৃষককে সহায়তা এবং শিক্ষা খাতের আওতায় ৭০০ সুবিধাবঞ্চিত নারীকে উচ্চশিক্ষায় বৃত্তি দিয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন মর্যাদাপূর্ণ অর্জন সম্পর্কে ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “সাসটেইনেবিলিটি এখন আর কোনো ঐচ্ছিক বিষয় নয়, বরং এটি এখন দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধি ও প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তি। ব্লুমবার্গ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের এই স্বীকৃতি আমাদের দায়িত্বশীল ব্যাংকিং, স্বচ্ছতা ও ইমপ্যাক্ট তৈরির প্রতিশ্রুতিকে আরও সুদৃঢ় করেছে। ব্র্যাক ব্যাংকে আমরা বিশ্বাস করি, ইএসজি শুধু পরিবেশ রক্ষা বা সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ই নয়, বরং এটি একটি ভবিষ্যতমুখী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রক্রিয়া, যেখানে বিনিয়োগকারী, রেগুলেটর, সহকর্মী ও গ্রাহকেরা আস্থা রাখতে পারেন। আমরা সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন আরও বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে জাতীয় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে পারি।”
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
দেশের রিয়েল এস্টেটের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন হাউজিং

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড একসময় বড় ধরনের সংকটে পড়লেও বর্তমানে আবার শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে।
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার ঋণের বোঝায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তবে সুপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা ও দক্ষ নেতৃত্বে তারা সেই সময়কে পেছনে ফেলে এসেছে। বর্তমানে কোম্পানিটির মুনাফা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের এফডিআর এখন দাঁড়িয়েছে ৪৫০ কোটি টাকায়—যা আর্থিক সক্ষমতার সুস্পষ্ট প্রমাণ।
যখন দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ব্যাংক ঋণের ভারে জর্জরিত, ঠিক তখন ঋণমুক্ত থেকে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড একটি সফল ব্যবসায়িক মডেল হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ইস্টার্ন হাউজিং বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট শিল্পে সুপরিচিত একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি। রিহ্যাবের ২৯ প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের অন্যতম হওয়ায় খাতটির উন্নয়নে তাদের অবদান অনস্বীকার্য।
শুরুর লক্ষ্য ছিল ঢাকার নগরায়ণকে পরিকল্পিত আবাসনে রূপান্তর করা। সেই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্প শুরু করে। বনশ্রী, দক্ষিণ বনশ্রী, মহানগর, নিকেতন, ছায়াবিথি (বাসাবো), প্যারাডোগা (যাত্রাবাড়ী), ভেমর, পল্লবী ফেস-১ ও ফেস-২, মায়াকানন (আমিনবাজার), সাভার, আফতাবনগর ও রায়েরবাজারসহ বহু এলাকায় তারা সফলভাবে আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে কিছু প্রকল্প এখনো চলমান।
প্রতিষ্ঠানটির বিশেষ সাফল্যের মধ্যে আফতাবনগর প্রকল্পকে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ধরা হয়, যা ঢাকার অন্যতম আধুনিক আবাসিক এলাকায় পরিণত হচ্ছে। গত চার বছর ধরে প্রজেক্ট ইনচার্জ মেজর মো. আলতামাস করিম (অব.) আফতাবনগরকে পরিকল্পিত আবাসিক নগরীতে রূপ দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, তার নেতৃত্বে এলাকা অচিরেই রাজধানীর সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন আবাসনে রূপ নেবে।
ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৬৫ সালের দিকে, প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা জহুরুল ইসলামের হাত ধরে। ঢাকার পল্লবী থানায় ৭০০ বাড়ির প্রথম প্রকল্প দিয়ে তারা কাজ শুরু করে। পাশাপাশি ৯১০ একর জমি অধিগ্রহণ করে বৃহৎ পরিসরে উন্নয়ন কার্যক্রম চালায়।
বর্তমানে চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম দেশের বাইরে থাকায় ব্যবস্থাপনার গুরুদায়িত্ব সামলাচ্ছেন ধীরাজ মালাকার। তিনি ২০১০ সালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়ে কোম্পানিকে ঘুরে দাঁড় করান এবং লাভজনক অবস্থানে নিয়ে আসেন।
আজ ইস্টার্ন হাউজিং কেবল একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান নয়, বরং বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট শিল্পের শক্তিশালী স্তম্ভে পরিণত হয়েছে।
কর্পোরেট সংবাদ
রবি’তে বিকাশ দিয়ে সর্বোচ্চ রিচার্জকারীরা জিতলেন বাইক, এসি ও স্মার্ট টিভি

রবি নাম্বারে বিকাশ দিয়ে সর্বোচ্চ অ্যামাউন্ট রিচার্জ করে গ্রাহকরা জিতে নিয়েছেন বাইক, এসি ও স্মার্ট টিভি কুপন। পাশাপাশি, ২১ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত চলা মেগা ক্যাশব্যাক ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন সর্বোচ্চ রিচার্জকারী ২০জন গ্রাহক পেয়েছেন ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন অংকের ক্যাশব্যাক। গ্রাহকদের নিত্য প্রয়োজনীয় মোবাইল রিচার্জ সেবাটিকে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতেই এই ক্যাম্পেইনটির আয়োজন করে বিকাশ।
সম্প্রতি বিকাশ কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে মোটরবাইক, এসি, ও স্মার্ট টিভির কুপনগুলো তুলে দেয়া হয়।
ক্যাম্পেইনে সর্বোচ্চ রিচার্জকারী গ্রাহকের জন্য ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের মোটরবাইক কুপন। ২য় ও ৩য় সর্বোচ্চ রিচার্জকারী পান ৫০ হাজার টাকা মূল্যের এসি কুপন এবং ৪র্থ ও ৫ম সর্বোচ্চ রিচার্জকারী পান ৪০ হাজার টাকা মূল্যের স্মার্ট টিভি কুপন।
বিকাশে অন্যতম জনপ্রিয় সেবা-অ্যাপ অথবা ইউএসএসডি কোড *২৪৭# -এর মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি ব্যবহারকারীর মোবাইল রিচার্জকে সহজ করে দিয়ে তাদের প্রতিদিনকার জীবনধারাকে নিরবচ্ছিন্ন রেখেছে। আর এই সেবায় বিকাশের সঙ্গে শুরু থেকেই যুক্ত আছে দেশের অন্যতম শীর্ষ টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রবি। বিকাশ থেকেই সবচেয়ে সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ইন্টারনেট, মিনিট, বান্ডেল, স্পেশাল রেট, বিনোদন প্যাক সহ মোবাইল রিচার্জের বিভিন্ন অফার পছন্দানুযায়ী গ্রহণ করতে পারছেন গ্রাহকরা।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশের উদ্যোগে এমএফএসের অপব্যবহার রোধে সচেতনতা বাড়াতে সমন্বয় কর্মশালা

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মতো গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেবাকে আরও সুরক্ষিত করতে এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে এর ব্যবহার প্রতিরোধে দেশজুড়ে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে যাচ্ছে বিকাশ। বাংলাদেশ পুলিশ এর বিভিন্ন ইউনিটে অনুষ্ঠিত কর্মশালাগুলোতে এ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় সাড়ে চার হাজার তদন্ত কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।
সম্প্রতি, স্থানীয় একটি হোটেলে সিলেট রেঞ্জ পুলিশের সাথে “মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের অপব্যবহার তদন্ত ও প্রতিরোধ” শীর্ষক দিনব্যাপী এই কর্মশালায় ৫০ জন তদন্ত কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জ পুলিশ এর রেঞ্জ ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান এবং বিকাশের পক্ষ থেকে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও বিকাশের উপদেষ্টা ড. মো. নজিবুর রহমান এনডিসি এবং বিকাশের ইভিপি ও হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স মেজর এ কে এম মনিরুল করিম (অব.) ।
অপরাধী চক্র সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য কীভাবে কাজে লাগিয়ে তাদের শনাক্ত করা ও আইনের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এই কর্মশালাগুলোতে। এতে প্রযুক্তির ব্যবহার করে তদন্ত কর্মকর্তারা গ্রাহকের হারানো টাকা অনুসন্ধানের কৌশল, ডিজিটাল লেনদেন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের উপায়, এবং তদন্তের প্রয়োজনে বিকাশের কর্মকর্তাদের সাথে কীভাবে খুব সহজেই যোগাযোগ করা যায় – এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া, কোনো অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটিত হওয়াকালীন তৎক্ষণাৎ কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, তা নিয়েও কর্মশালাগুলোতে আলোকপাত করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তদন্ত কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে গত ৩ মাসে হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রংপুর, লালমনিরহাট, সাতক্ষীরা, সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলায় অনুষ্ঠিত হয় “মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে অপব্যবহার তদন্ত ও প্রতিরোধ” শীর্ষক কর্মশালা। ৭টি জেলার ৪০০ জন তদন্ত কর্মকর্তা এতে অংশ নেন।
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকসই ব্যাংক রেটিংয়ে শীর্ষে সিটি ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত ২০২৪ সালের টেকসই ব্যাংক রেটিংয়ে (সাসটেইনেবিলিটি রেটিং) সিটি ব্যাংক শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। এ নিয়ে টানা পঞ্চম বছর সিটি ব্যাংক দেশের শীর্ষ ১০ টেকসই ব্যাংকের তালিকায় তাদের অবস্থান ধরে রাখলো। তবে এবারই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে রেটিংয়ে ব্যাংকগুলির যার যার অবস্থান ঘোষণা করেছে, যেখানে সিটি ব্যাংককে প্রথম স্থানে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মাসরুর আরেফিনের হাতে এ সংক্রান্ত ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। অনুষ্ঠানে ডেপুটি গভর্নর নুরুন্নাহার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে এই টেকসই বা সাসটেইনেবল ব্যাংক রেটিং বাংলাদেশ ব্যাংক দুটি প্রধান দৃষ্টিকোণ থেকে প্রস্তুত করছে, ফাইন্যান্সিয়াল সাসটেইনেবিলিটি, যাতে দেখা হয় মূল ব্যাংকিং সূচকগুলিতে ব্যাংকের পারফরম্যান্স, যেমন মূলধন পর্যাপ্ততা, তারল্য, সম্পদের মান, লাভজনকতা, খরচ নিয়ন্ত্রণ দক্ষতা, গ্রাহক সেবা, দেশব্যাপী সেবার সহজলভ্যতা, সুশাসনের মান ইত্যাদি; এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি, যেখানে বিচার করা হয় টেকসই অর্থায়ন, সবুজ অর্থায়ন এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নিরিখে মূলত ব্যাংকের পরিবেশ ও জলবায়ুবান্ধব উদ্যোগগুলিকে।
সিটি ব্যাংকের এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, “আমার কাছে ফাইন্যান্সিয়াল সাসটেইনেবিলিটি আমাদের দেশের জন্য এ মুহূর্তে পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এই রেটিং এখন উভয় বিষয়কেই বিবেচনায় নিচ্ছে, তাই এটা কার্যত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া ‘সেরা ব্যাংক‘ এরই স্বীকৃতি। তাই আমাদের পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত সবাই, আমাদের গ্রাহক ও সকল স্টেকহোল্ডার আজ সমানভাবে গর্বিত ও আনন্দিত।”
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের পর্ষদ ইতিমধ্যে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে এমন এক আর্থিক সংস্থায় রূপান্তর করতে যা “ফিনটেক কোম্পানির মতো আচরণ করবে এবং পুরো জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং লাইসেন্সের আওতায় সেবা দেবে। আমরা সেই লক্ষ্য পূরণের পথেই এগিয়ে যাচ্ছি।”
কাফি