অর্থনীতি
ব্যাংক দেউলিয়া হলে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন গ্রাহক

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকের গচ্ছিত আমানতের সুরক্ষায় গঠন করা হবে ‘আমানত সুরক্ষা তহবিল’। ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক তহবিল গঠন করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পৃথক হিসাবের মাধ্যমে পরিচালিত হবে এ তহবিল। এমনই এক নতুন আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাংক আমানত বিমা আইন ২০০০ এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠিত আমানত বিমা ট্রাস্ট তহবিলে জমা করা অর্থ আমানত সুরক্ষা তহবিলে (ব্যাংক কোম্পানি) প্রারম্ভিক জমা হিসেবে স্থানান্তরিত হবে। যেখানে মোট সুরক্ষিত আমানতের আনুপাতিক হারে তহবিলের আকার নির্ধারণ হবে। আমানতকারীর সর্বোচ্চ সুরক্ষা আমানতের পরিমাণ হবে দুই লাখ টাকা। সবোর্চ্চ এ সীমা তিন বছর পর পর পর্যালোচনা করা হবে।
জনমত গ্রহণের জন্য উন্মুক্ত এই খসড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে আমানত সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রিমিয়ামের মাধ্যমে পরিচালিত এক পৃথক তহবিল তদারকি করবে এ কর্তৃপক্ষ। অধ্যাদেশের খসড়া প্রণয়ন করে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
অধ্যাদেশে আমানত সুরক্ষা বলতে বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠান অবসায়নের (দেউলিয়া) ক্ষেত্রে এর আমানতকারীদের সুরক্ষিত আমানত পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান এবং আমানত সুরক্ষা ব্যবস্থা মানে আমানত সুরক্ষার জন্য কার্যকরী পদ্ধতি। সরকারের আমানত, সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের আমানত, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান-স্বশাসিত সংস্থা ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আমানত, সদস্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত, সদস্য প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক শাখায় সংগৃহীত আমানত, বিদেশি সরকারের আমানত, বিদেশি সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের আমানত ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আমানত এ অধ্যাদেশের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
আমানত সুরক্ষা তহবিলের উৎস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- সদস্য প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বা অন্য কোনো উৎস থেকে নিয়মিত সংগৃহীত আর্থিক সম্পদ। বার্ষিক প্রিমিয়াম, বিনিয়োগ থেকে আয় এবং নতুন ব্যাংকের ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধনের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ প্রারম্ভিক জমা।
অধ্যাদেশের খসড়ায় আমানত সুরক্ষা তহবিলে বলা হয়েছে, সুরক্ষা সীমা অতিক্রম করা আমানতকারীদের অতিরিক্ত অর্থের দাবি লিকুইডেটরের মাধ্যমে করতে হবে। নিরাপদ আমানতের জন্য সাত দিনের মধ্যে পরিশোধের সময়সীমা এবং তহবিলের আয়কর ছাড়ের বিষয়টিও স্পষ্ট করা হয়েছে। প্রিমিয়াম সময়মতো পরিশোধ না করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও আমানতকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অধ্যাদেশ আনার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
খসড়া অধ্যাদেশটি ব্যাংক আমানত বিমা আইন-২০০০ এর স্থলাভিষিক্ত হবে, যেখানে সর্বোচ্চ পরিশোধের সীমা ছিল এক লাখ টাকা। সরকার এটি বাস্তবায়নের জন্য একটি আমানত সুরক্ষা ব্যবস্থা গঠন করবে, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক আমানত সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত দায়িত্ব যেমন রেগুলেটরি, সুপারভাইজরি ও রেজুলেশন সম্পর্কিত কার্যক্রম থেকে আলাদা ও স্বাধীন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক তার ক্ষমতা ও দায়িত্ব কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য সংগঠনের কাঠামোর মধ্যে একটি আলাদা বিভাগ গঠন করবে। এটি ডিপোজিট প্রোটেকশন ডিভিশন নামে পরিচিত হবে।
আমানত সুরক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সাত সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ। এ পর্ষদের চেয়ারম্যান হবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। পরিচালনা পর্ষদ প্রতি তিন বছর অন্তর কমপক্ষে একবার সুরক্ষিত আমানতের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করবে। বিধিবিধান, বিনিয়োগ নীতি এবং ঝুঁকি নির্ভর প্রিমিয়াম হারের তদারকি করবে। যা ব্যাংক সংকট মোকাবিলায় সহায়তার জন্যও তহবিল বরাদ্দ করবে।
আমানত তহবিল বিষয়ে খসড়া অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, আয়কর আইন ২০২৩, ব্যবসায়িক মুনাফা আইন ১৯৪৭ বা অন্য কোনো বিদ্যমান কর আইন নির্বিশেষে আমানত সুরক্ষা তহবিলের আয়, মুনাফা বা প্রাপ্তির ওপর কোনো আয়কর, অতিরিক্ত কর বা ব্যবসায়িক মুনাফা কর প্রযোজ্য হবে না। যদি কোনো সদস্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নির্ধারিত প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়, তবে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের চলতি অ্যাকাউন্ট থেকে সংশ্লিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে আমানত সুরক্ষা তহবিলের সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে জমা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিলম্বিত প্রিমিয়ামের ওপর জরিমানা আরোপ করতে পারবে। সরকারি ট্রেজারি বন্ড বা ট্রেজারি বিলের মধ্যে যে হার সর্বোচ্চ, সেই হার অনুযায়ী সুদ প্রযোজ্য হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
বিকেএমইএ’র কারখানার ৭৬ শতাংশ শ্রমিকের বোনাস পরিশোধ

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সদস্যভুক্ত কারখানার ৭৬ শতাংশ শ্রমিক ঈদুল ফিতরের বোনাস পেয়েছেন। একই সঙ্গে বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত ৫৩ দশমিক ১৯ শতাংশ কারখানায় শ্রমিকদের চলতি মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেএমইএ সভাপতি ফজলে শামীম এহসান এ তথ্য জানায়।
বিকেএমইএ সূত্র জানায়, বিকেএমইএ’র মোট কারখানা ৬১৩টি। কারখানাগুলোতে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধের হার প্রায় শতভাগ। ২৫ মার্চ পর্যন্ত ঢাকার ২৫০ কারখানায় (মার্চ মাসের) বেতন পরিশোধের হার ৪৮ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং বোনাস পরিশোধের হার ৮৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। একই সময়ে নারায়ণগঞ্জের ২৭১ কারখানার ৪১ দশমিক ১৫ শতাংশ কারখানায় বেতন দেওয়া হয়েছে। বোনাস পেয়েছেন ৫৮ দশমিক ৪১ শতাংশ শ্রমিক।
চট্টগ্রামের ৯টি কারখানায় ৯৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ শ্রমিক বেতন পেয়েছেন। এছাড়া ঈদের বোনাস দেওয়া হয়েছে ৯১ দশমিক ৯৫ শতাংশ শ্রমিককে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় দুই কোটি ২৬ লাখ টাকা

গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে ২৪ হাজার ৯৭ যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল হক খান পাভেল এ তথ্য নিশ্চত করেন।
এদিকে ঈদে নাড়ির টানে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। ঈদ যাত্রার শুরুতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে ঘুরমুখো মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। প্রথমদিন অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরমধ্যে গণপরিবহনের সংখ্যাও খুব কম। সব মিলিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ সড়ক দিয়ে ঘুরমুখো মানুষ।
সরেজমিনে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, আগের তুলনায় মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। তবে গণপরিবহনের সংখ্যা কম দেখা গেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও পরিবহন পাচ্ছে না তারা। পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কে স্বেচ্ছাসেবীরা দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
মহাসড়কের এলেঙ্গায় কথা হয় সজিব নামের এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে রংপুরে যাবো। অনেকক্ষণ মহাসড়কে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গাড়ি পাচ্ছি না।
হামিদুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, আমি কালিহাতীতে বল্লা এলাকায় সুতার মিলে কাজ করি। ঈদে বাড়িতে কুড়িগ্রাম যাওযার জন্য বেলা ১১টা থেকে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কিন্তু দুপুর ২টা পর্যন্ত কোনো গাড়ি পাচ্ছি না। যাও দুই একটি গাড়ি পাচ্ছি দ্বিগুণ ভাড়া চাওয়া হচ্ছে।
দিদারুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, আমি রংপুর যাবো। সাধারণরত রংপুরের ভাড়া ৪০০ টাকা। কিন্তু আজকে ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ১ হাজার টাকা। আরেকদিকে কাঙ্খিত গণপরিবহন পাওয়া যাচ্ছে না।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মির্জানুর রহমান বলেন, বিকেল থেকে মহাসড়কে প্রায় সাড়ে ৭০০ পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এরমধ্যে মোবাইল টিম, মোটরসাইকেল টিম দায়িত্ব পালন করা হয়েছে। এছাড়া মহাসড়কে চারটি সেক্টর ভাগ করা হয়েছে। মহাসড়কে যাতে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে না পারে দিকে নজরদারি রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
টাকা ছাপিয়েও ব্যাংক রক্ষা কঠিন হয়ে যাচ্ছে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

টাকা ছাপিয়েও ব্যাংক রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
সোমবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামানের সভাপতিত্বে মাহফিল সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মুহিব।
এসময় পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করতে অনেক টাকা ছাপানো হচ্ছে। বর্তমানে ব্যাংক রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সরকার ব্যাংকগুলো রক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান কমেছে, তাই প্রবাসী আয় বেড়েছে। টাকা পাচার কমেছে, সেটা তেমন দৃশ্যমান হচ্ছে না, কারণ ভবিষ্যতের জন্য রোডম্যাপ করতে হবে। এক বছরের পরিকল্পনায় হবে না।
বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ আসতে চাইবে না। তবে এতকিছুর মধ্যেও রপ্তানি আয় বেড়েছে। জিনিসপত্রের দামও কমেছে বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিকল্পনা কমিশনের অনিয়ম যতটুকু প্রকাশ করা হবে তত স্বচ্ছতা বাড়বে। আগের সরকার যেসব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড করছিল তাতে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়তো। এতে সরকারও টিকে থাকতে পারতো না। টাকা ছাপানো, টাকা পাচারের ফলে রিজার্ভ থাকতো না। বৈদেশিক লেনদেন ঠিক থাকতো না। ব্যাংকগুলো খালি হয়ে যাচ্ছিলো। শেষের দিকে ব্যাংকগুলো খালি হয়ে বন্ধ হয়ে যেতো।
বিটিভিতে সরকারের সমালোচনা করে টক শো হোক- সেই দাবিও করেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।
সোমবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ (ডিএফআইএম) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২২ সালের ২৯ মে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ, স্টাডি ট্যুর, এক্সপোজার ভিজিট, সভা ও সেমিনারে অংশ নিতে বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। তবে এখন থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাপ্তরিক প্রয়োজনে অত্যাবশ্যকীয় বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের বিদেশ ভ্রমণ সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের পৃথক যে নির্দেশনা রয়েছে তা পরিপালন করতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০২৩ এর ৪১(২) (ঘ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঈদের ছুটিতে ৯ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান

ঈদের ছুটিতে টানা ৯ দিন (২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল) ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে শিল্পঘন এলাকায় ২৮ ও ২৯ মার্চ কিছু ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে। মূলত পোশাক খাতে কর্মরতদের বেতন-ভাতা দেওয়ার সুবিধার্থে পোশাকশিল্প এলাকার কিছু ব্যাংক শাখা ওই দুদিন খোলা থাকবে।
সোমবার (২৪ মার্চ) পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ৩ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় তফসিলি ব্যাংকের সব শাখা ও উপ-শাখা বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি বন্ধ থাকবে ফাইন্যান্স (আর্থিক প্রতিষ্ঠান) কোম্পানিও। ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রপ্তানি বিল বিক্রির জন্য এবং ওই শিল্পে কর্মরতদের বেতন-বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে শিল্পঘন এলাকায় ২৮ ও ২৯ মার্চ ব্যাংক শাখা খোলা রাখতে হবে।
যেসব এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে তার মধ্যে রয়েছে- ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাকশিল্প এলাকা।
এসব এলাকায় ২৮ মার্চ (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ব্যাংকের শাখা খোলা রাখতে হবে। লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, বাকি সময় লেনদেন পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা হবে। শনিবার ব্যাংক শাখা খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত, এর মধ্যে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
ব্যাংকের যেসব শাখা খোলা থাকবে, সেই শাখাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ছুটির দিনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিধি মোতাবেক ভাতা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্য প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সমুদ্র, স্থল, বিমানবন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপ-শাখা ও বুথ সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা হবে।
২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত (ঈদের দিন ছাড়া) সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু রাখার স্বার্থে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ায় নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।