পুঁজিবাজার
ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার পথ সহজ করতে হবে: বিএপিএলসি প্রেসিডেন্ট
দেশে অনেক বহুজাতিক কোম্পানি রয়েছে সেগুলো এখনো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়। পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির অভাব রয়েছে। এজন্য দেশি-বিদেশি কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসার পথ বা বিনিয়োগ করার পথ আকর্ষনীয় হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) প্রেসিডেন্ট ও বার্জার পেইন্টসের এমডি রূপালী হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, কোম্পানি আইনে আমাদের অতালিকাভুক্ত কোম্পানি অনেক সহজ তালিকাভুক্ত কোম্পানির চেয়ে। আমাদের আগে করপোরেট কর ব্যবধান ছিল ১৫ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত উভয়ের ক্ষেত্রে কোম্পানি আইনটা পর্যালোচনা করা উচিত। আমি শুধু করের বিষয়টা বলছি না। আমাদেরকে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে। তাহলে সে তালিকাভুক্ত হলে সে লাভবান ও সুবিধা পাবে। সে জন্য তখন সে তালিকাভুক্ত হবে। সুবিধা না পেলে কেন কোম্পানিগুলো আইপিওতে আসবে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিবে। কারণ ব্যাংকে সুদ হার বেশি হলেও ঋণ নেয়াটা সহজ।
রবিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর পল্টনস্থ ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টকে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সিএমজেএম সভাপতি গোলাম সামদানি ভুইয়া সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবুআলীর সঞ্চালনায় তিনি ব্যবসার একটি চিত্র তুলে ধরেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্দরের চার্জসহ সব ধরণের সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো ঠিক হবে না। এখন এই মুহুর্তে এই শুল্কগুলো বাড়ানো হলে ব্যবসা-বাণিজ্য কোনো ধরণের মূল্যষ্ফীতির চাপ নিতে পারবে না। শুল্ক বাড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ করছি আমরা বিএপিএলসি থেকে। তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত হলে যদি ভাল সুবিধা না পায় তাহলে কেন তারা আইপিওতে আসবে। ব্যাংক থেকেই মূলধন সংগ্রহ করবে।
তিনি বলেন, আমাদের জিডিপি বিনিয়োগ হার কেন কম হচ্ছে? বিগত কয়েক বছরে এটা কমেছে। এর কারণ হলো, কোভিডের কারণে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। বিশেষ করে এসএমইতে আমরা পিছনে পরে গেছি। যারা বড় তারা কিন্তু মোটামুটি কাটিয়ে উঠে ভালো করেই যাচ্ছে। এসএমইতে ৩০ শতাংশ হলো ব্যাংকিং খাতের সাথে যুক্ত। তার তহবিলের যথেষ্ট প্রয়োজন। সে কিন্তু বড় পরিকল্পনা নিয়ে বসে আছে। ব্যাংকিং খাত এসএমইতে বেশি আগ্রহী না। এরপর আসলো ইউক্রেন যুদ্ধ ও দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা।
বিনিয়োগ আকর্ষণে তিনি বলেন, আমাদের দরকার আর্থিক নীতি। এর মধ্যে একটা হলো রাজস্ব সম্পর্কিত। পাশাপাশি অবকাঠামোর উন্নয়ন। অন্যান্য দেশের সাথে যদি আমরা মিলাই তাহলে দেখবো তাদের লীড টাইম অনেক কম। কিন্তু আমাদের এখানে রাস্তাঘাটের যে অবস্থা তা বলার বাহিরে। এই যে কাঁচপুর ব্রীজের ওখানে সমস্যা জ্যাম। সার্বিক অবকাঠামো ভালো, কিন্তু জায়গায় জায়গায় যে জটিলতা আসে সেখানে আমাকে স্মোথ দক্ষতা আনতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের সরবরাহ লাইন অব্যশই বিশ্বমানের হতে হবে। বিনিয়োগকারী যে চায়, দেশের মধ্যে ভাল অবকাঠামো অন্যান্য প্রতিযোগী দেশের তুলনায়। আমাদের যে পরিমাণ গাড়ি বাড়ছে যে অনুযায়ী রাস্তা বাড়াচ্ছি না। তাই অবকাঠামোতে আমাদেও এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, চলতি বছরের শুরুতেই বলছে সম্পূক শুল্ক আবার বলছে ভ্যাট আরোপের বিষয়। এসব অনেক ব্যবসার বটমলাইনে হিট করছে। তারা সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছে রং এর উপর। তারা বলেছ সেটা নাকি বিলাসী পণ্য। কিন্তু রং তো এখন বিলাসি পণ্য না। এটা পণ্যকে নিরাপদ করে। ফলে এটা হলো অত্যাবশ্যকীয়। তিনি বলেন, সুতরায় পলিসিগুলো সমঝোতামূলক হতে হবে। এইচএস কোড নিয়ে অনেক গন্ডোগোল। যার কারণে প্রতিটা কোম্পানি ভুগছে। এসব কারণে দেখা যাবে আগামীতে আমরা মিয়ানমারের সাথেও প্রতিযোগীতায়ও টিকতে পারবো না। ফলে বেঞ্চমার্ক অে নক গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক নীতি, অবকাঠামো ও ক্রেতা সূচক গুরুত্বপূর্ণ। আমার মাথাপিছআয় সেটাও দেখতে হবে।
বিএসইসি মন্ত্রণালয়ের কাছে জনবল চেয়েছে এটা কিভাবে দেখছেন-এমন এক প্রশ্নের জবাবে রূপালী হক চৌধুরী বলেন, বিএসইসি আমাদের সবার অভিভাবক। তারা যেহেতু সংস্কার করছেন, ওনারা যদি কোনো কিছু করতে চান, আমার মনে হয় ওনাদের বক্তব্যটাই নেয়া উচিত। তিনি বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারেও এমন কিছ ঘটনা ঘটেছে যা অনভিপ্রেত। এখন অনারা যদি এটাকে ঢেলে সাজাতে চান, যার ফলে ভাল কিছ দিতে পারবেন, এটার কারণ তারাই বলতে পারবেন। আমরা এটাই বলি যে, সংস্কার করে ওনারা যদি ভাল কিছ আনতে পারেন, আমরা তাতে স্বাগত জানাই।
রূপালী হক চৌধুরী বলেন, করাপশন ক্যান নট হ্যাপেন, ইফ ইট ডাজনট হ্যাভ দ্যা ব্লেসিং অফ দ্যা রেগুলেটরি বডি (নিয়ন্ত্রক সংস্থার আর্শিবাদ ছাড়া দুর্নীতি হতে পারে না)। যে অডিট ফার্মা এ ধরনের (অনিয়মের) রিপোর্ট করেছে তার লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। আমাদের উদাহরন সৃষ্টি করতে হবে, যারা এ ধরনের দুর্নীতি করে তাদের কিছু না কিছ শাস্তি পেতে হবে।
তিনি বলেন, আমার রেগুলেটরি বডি (নিয়ন্ত্রক সংস্থা) এমন হতে হবে যে দোষ করবে তাকে শাস্তি দেয়া হবে। মানুষ কাজ করে দুই কারণে। একটা হলো- ইনসেনটিভ। আর একটা হচ্ছে- শাস্তি। সুতরাং আপনারা কোনো রকমের কিছু করলেন না, তাহলে তো ওই লোকগুলো আরও বেশি সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ ২০ শতাংশ করে, কিছু টাকা ছাপিয়ে দেখালাম আমার চলছে, চলছে, চলছে। এটা হতে পারে না। আমার সবাই ওখানে। আমি নিজেও ওখানে আছি, যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আছেন উনি আছেন, যিনি অডিট রিপোর্ট করছেন উনও আছেন।
বিএপিএলসি সভাপতি বলেন, আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি, তার থেকে বেশি কি থাকতে পারে। আমাদের সব শেষে পড়ে আছে- আমাদের দেশেকে ভালোবাসা। যেখানে সারা বিশ্বে ৫০ শতাংশ লোক দারিদ্রসীমার নিচে। আমাদের একমাত্র মন্ত্র হওয়া উচিত মানুষের জীবনমান উন্নত করা। সেটাই যদি আমার মন্ত্র হয়, আমার একটা মানুষের আর হাজার হাজার কোটি টাকার দরকার হয় না। আমাদের এক জীবনে আমি কতো কোটি খাবো আপনি বলেন, কয়টা বিছানাই আমরা এক সঙ্গে ঘুমাতে পারবো, কটা বাড়িতে আমরা থাকতে পারবো। সুতরাং আমাদের ভিতরে একটা চেতনা আসতে হবে, আমি দেশের জন্য কিছু করবো।
তিনি বলেন, আমি নিজে পাবলিক বিশ্ববিদ্যাল পড়েছি। কয় পয়সা বেতন দিয়েছি?। কিছু দেয়নি। তাহলে এখন আমাদের দায়িত্ব কি? দেশকে ফিরিয় দেয়া এবং সেই কাজটি আমাদের সবাইকে করতে হবে। যে কারবে না, তাকে শাস্তি পেতে হবে। যার টাকা আছে বলে । আমাদের ছোট বেলায় দেখেছি আমাদের শিক্ষকরা রেসপেক্টেড ছিলো, একজন ভালো ডাক্তার রেসপেক্টেড ছিলো। আমাদের ওই সমাজে ফিরে যেতে হবে। যদি দরকার হয় সারা বাংলাদেশের বাঙালীদের রক্ত ট্রান্সমিশন করে ফেলতে হবে। ট্রান্সমিশন দিয়ে ঠিক করতে হবে, আমরা দুর্নীতিগ্রস্থ হবো না, আমরা ভালো মানুষ হবো।
রুপালী হক বলেন, আমরা বেশিরভাগ সত্যিকার অর্থে ভালো থাকতে চাই। কিন্তু অল্প কিছু ব্যক্তির দ্বারা আমরা ডিফাইন (চিহ্নিত) হচ্ছি। এটা ঠিক না। আমরা বেশিরভাগ মানুষ সৎ থাকতে চাই, আমরা ধর্মভীরু, আমরা ভালো কাজ করতে চায়। কিছু একটা জায়গায় পড়ে আমরা কেমন যেন হতবিহ্বল হয়ে যাচ্ছি। এখন সময় জেগে ওঠার। এটা আমার, আপনার সকলের কাজ। আমরা সবাই মিলে দেশটাকে পরিবর্তন করবো, অবশ্যই। আমি আশাবাদি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
বিচ হ্যাচারির শেয়ারে কারসাজি তদন্তের নির্দেশ বিএসইসির

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের শেয়ারের দাম ও লেনদেন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির পেছনে কোনো কারসাজি রয়েছে কি-না তা তদন্ত করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ডিএসইকে তদন্ত সম্পন্ন করে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিএসইসির উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, যেকোন সন্দেহজনক ট্রেড এক্সিকিউশন, যদি থাকে, যা অ-সম্মতির কারণ হতে পারে, তা অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট /কমপ্লায়েন্স অফিসার/সিইও কে অবহিত করুন।
বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ও লেনদেন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক। এ পরিস্থিতিতে ডিএসইকে কোম্পানিটির লেনদেন সম্পর্কে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হলো। সাম্প্রতিক সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ও লেনদেনের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণগুলো (বাজারের কারসাজি, ইনসাইডার ট্রেডিং ও অন্যান্য বাজারের অপব্যবহারসহ) চিহ্নিত করে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলো।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, তদন্তকালে কোম্পানিটি সন্দেহজনক লেনদেন সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা ২০০০-এর আচরণবিধি ৬ ও ৮ এবং সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ (স্টক ব্রোকার এবং ২০০) আইনের অ-সম্মতিকে আকর্ষণ করতে পারে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই ইস্টার্ণ লুব্রিকেন্টসের

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স পিএলসির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণ জানে না বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছে কোম্পানিটি।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে সম্প্রতি ডিএসই কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠায়।এর জবাবে ২৪ মার্চ কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই কোম্পানিটির শেয়ার দর এভাবে বাড়ছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি বাধ্যতামূলক

কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে এক হাজার কোটি টাকা বা তার বেশি ঋণ নিতে চাইলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে পুঁজিবাজার সংস্কারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গঠিত টাস্কফোর্স। একই সঙ্গে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনে প্রাথমিক ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) এই সুপারিশ বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কাছে টাস্কফোর্সের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হয়। অবশ্য এটি খসড়া সুপারিশ। আগামী ২৭ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে এই খসড়া সুপারিশের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে বিএসইসি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এক হাজার কোটি টাকা বা তার বেশি ঋণ নিতে চাইলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করে টাস্কফোর্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অপরদিকে পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানি আইপিও’র জন্য আবেদন করলে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করবে স্টক এক্সচেঞ্জ। স্টক এক্সচেঞ্জ অনুমোদন দিলে সেসব কোম্পানি আইপিওতে শেয়ার বিক্রি করতে পারবে। স্টক এক্সচেঞ্জ কোনো কোম্পানির আইপিও বাতিল করলে বিএসইসি ওই কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিতে পারবে না।
এবিষয়ে টাস্কফোর্স সুপারিশ করেছে- শেয়ারবাজারে আইপিওর মাধ্যমে কোন কোম্পানি বাজারে আসবে এবং কোন কোম্পানি অনুমোদন পাবে না, এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেবে স্টক এক্সচেঞ্জগুলো। স্টক এক্সচেঞ্জ যদি কোনো কোম্পানির আইপিও প্রস্তাব বাতিল করে দেয় তাহলে বিএসইসি সেই কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিতে পারবে না। আইপিও সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে এ বিধান যুক্ত করতে হবে।
স্টক এক্সচেঞ্জের হাতে আইপিও অনুমোদনের প্রাথমিক ক্ষমতা দেওয়ার পাশাপাশি ফিক্সড প্রাইজ বা স্থির মূল্য পদ্ধতিতে আইপিও’র আবেদন করতে গেলে কোম্পানির পরিশোধ মূলধন কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা এবং বুক বিল্ডিংয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা থাকার সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স।
টাস্কফোর্সের সুপারিশে বলা হয়েছে, স্থির মূল্য পদ্ধতিতে ৩০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোনো কোম্পানিকে মূল বাজারে তালিকাভুক্ত করা যাবে না এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৫০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোনো কোম্পানিকে মূল বাজারে তালিকাভুক্ত না যাবে না।
একই সঙ্গে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বাকি ৫০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এবং বাকি ৪৫ শতাংশ স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দরপতনের শীর্ষে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। তাতে দরপতনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
দরপতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার দর কমেছে আগের দিনের তুলনায় ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ দর কমে যাওয়ায় পতনের শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড।
এছাড়া, আজ ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড, ন্যাশনাল ফিড মিলস, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, ক্রাউন সিমেন্ট, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক এবং এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দরবৃদ্ধির শীর্ষে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ১০ শতাংশ। তাতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইসলামিক ফাইন্যান্সের দর বেড়েছে আগের দিনের তুলনায় ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ দর বৃদ্ধি হওয়ায় শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
এছাড়া, আজ ডিএসইতে দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, এসইএমএল আইবিবিএল ফান্ড, প্রাইম ফাইন্যান্স এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি।
কাফি