পুঁজিবাজার
ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার পথ সহজ করতে হবে: বিএপিএলসি প্রেসিডেন্ট
দেশে অনেক বহুজাতিক কোম্পানি রয়েছে সেগুলো এখনো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়। পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির অভাব রয়েছে। এজন্য দেশি-বিদেশি কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসার পথ বা বিনিয়োগ করার পথ আকর্ষনীয় হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) প্রেসিডেন্ট ও বার্জার পেইন্টসের এমডি রূপালী হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, কোম্পানি আইনে আমাদের অতালিকাভুক্ত কোম্পানি অনেক সহজ তালিকাভুক্ত কোম্পানির চেয়ে। আমাদের আগে করপোরেট কর ব্যবধান ছিল ১৫ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত উভয়ের ক্ষেত্রে কোম্পানি আইনটা পর্যালোচনা করা উচিত। আমি শুধু করের বিষয়টা বলছি না। আমাদেরকে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে। তাহলে সে তালিকাভুক্ত হলে সে লাভবান ও সুবিধা পাবে। সে জন্য তখন সে তালিকাভুক্ত হবে। সুবিধা না পেলে কেন কোম্পানিগুলো আইপিওতে আসবে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিবে। কারণ ব্যাংকে সুদ হার বেশি হলেও ঋণ নেয়াটা সহজ।
রবিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর পল্টনস্থ ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টকে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সিএমজেএম সভাপতি গোলাম সামদানি ভুইয়া সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবুআলীর সঞ্চালনায় তিনি ব্যবসার একটি চিত্র তুলে ধরেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্দরের চার্জসহ সব ধরণের সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো ঠিক হবে না। এখন এই মুহুর্তে এই শুল্কগুলো বাড়ানো হলে ব্যবসা-বাণিজ্য কোনো ধরণের মূল্যষ্ফীতির চাপ নিতে পারবে না। শুল্ক বাড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ করছি আমরা বিএপিএলসি থেকে। তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত হলে যদি ভাল সুবিধা না পায় তাহলে কেন তারা আইপিওতে আসবে। ব্যাংক থেকেই মূলধন সংগ্রহ করবে।
তিনি বলেন, আমাদের জিডিপি বিনিয়োগ হার কেন কম হচ্ছে? বিগত কয়েক বছরে এটা কমেছে। এর কারণ হলো, কোভিডের কারণে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। বিশেষ করে এসএমইতে আমরা পিছনে পরে গেছি। যারা বড় তারা কিন্তু মোটামুটি কাটিয়ে উঠে ভালো করেই যাচ্ছে। এসএমইতে ৩০ শতাংশ হলো ব্যাংকিং খাতের সাথে যুক্ত। তার তহবিলের যথেষ্ট প্রয়োজন। সে কিন্তু বড় পরিকল্পনা নিয়ে বসে আছে। ব্যাংকিং খাত এসএমইতে বেশি আগ্রহী না। এরপর আসলো ইউক্রেন যুদ্ধ ও দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা।
বিনিয়োগ আকর্ষণে তিনি বলেন, আমাদের দরকার আর্থিক নীতি। এর মধ্যে একটা হলো রাজস্ব সম্পর্কিত। পাশাপাশি অবকাঠামোর উন্নয়ন। অন্যান্য দেশের সাথে যদি আমরা মিলাই তাহলে দেখবো তাদের লীড টাইম অনেক কম। কিন্তু আমাদের এখানে রাস্তাঘাটের যে অবস্থা তা বলার বাহিরে। এই যে কাঁচপুর ব্রীজের ওখানে সমস্যা জ্যাম। সার্বিক অবকাঠামো ভালো, কিন্তু জায়গায় জায়গায় যে জটিলতা আসে সেখানে আমাকে স্মোথ দক্ষতা আনতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের সরবরাহ লাইন অব্যশই বিশ্বমানের হতে হবে। বিনিয়োগকারী যে চায়, দেশের মধ্যে ভাল অবকাঠামো অন্যান্য প্রতিযোগী দেশের তুলনায়। আমাদের যে পরিমাণ গাড়ি বাড়ছে যে অনুযায়ী রাস্তা বাড়াচ্ছি না। তাই অবকাঠামোতে আমাদেও এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, চলতি বছরের শুরুতেই বলছে সম্পূক শুল্ক আবার বলছে ভ্যাট আরোপের বিষয়। এসব অনেক ব্যবসার বটমলাইনে হিট করছে। তারা সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছে রং এর উপর। তারা বলেছ সেটা নাকি বিলাসী পণ্য। কিন্তু রং তো এখন বিলাসি পণ্য না। এটা পণ্যকে নিরাপদ করে। ফলে এটা হলো অত্যাবশ্যকীয়। তিনি বলেন, সুতরায় পলিসিগুলো সমঝোতামূলক হতে হবে। এইচএস কোড নিয়ে অনেক গন্ডোগোল। যার কারণে প্রতিটা কোম্পানি ভুগছে। এসব কারণে দেখা যাবে আগামীতে আমরা মিয়ানমারের সাথেও প্রতিযোগীতায়ও টিকতে পারবো না। ফলে বেঞ্চমার্ক অে নক গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক নীতি, অবকাঠামো ও ক্রেতা সূচক গুরুত্বপূর্ণ। আমার মাথাপিছআয় সেটাও দেখতে হবে।
বিএসইসি মন্ত্রণালয়ের কাছে জনবল চেয়েছে এটা কিভাবে দেখছেন-এমন এক প্রশ্নের জবাবে রূপালী হক চৌধুরী বলেন, বিএসইসি আমাদের সবার অভিভাবক। তারা যেহেতু সংস্কার করছেন, ওনারা যদি কোনো কিছু করতে চান, আমার মনে হয় ওনাদের বক্তব্যটাই নেয়া উচিত। তিনি বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারেও এমন কিছ ঘটনা ঘটেছে যা অনভিপ্রেত। এখন অনারা যদি এটাকে ঢেলে সাজাতে চান, যার ফলে ভাল কিছ দিতে পারবেন, এটার কারণ তারাই বলতে পারবেন। আমরা এটাই বলি যে, সংস্কার করে ওনারা যদি ভাল কিছ আনতে পারেন, আমরা তাতে স্বাগত জানাই।
রূপালী হক চৌধুরী বলেন, করাপশন ক্যান নট হ্যাপেন, ইফ ইট ডাজনট হ্যাভ দ্যা ব্লেসিং অফ দ্যা রেগুলেটরি বডি (নিয়ন্ত্রক সংস্থার আর্শিবাদ ছাড়া দুর্নীতি হতে পারে না)। যে অডিট ফার্মা এ ধরনের (অনিয়মের) রিপোর্ট করেছে তার লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। আমাদের উদাহরন সৃষ্টি করতে হবে, যারা এ ধরনের দুর্নীতি করে তাদের কিছু না কিছ শাস্তি পেতে হবে।
তিনি বলেন, আমার রেগুলেটরি বডি (নিয়ন্ত্রক সংস্থা) এমন হতে হবে যে দোষ করবে তাকে শাস্তি দেয়া হবে। মানুষ কাজ করে দুই কারণে। একটা হলো- ইনসেনটিভ। আর একটা হচ্ছে- শাস্তি। সুতরাং আপনারা কোনো রকমের কিছু করলেন না, তাহলে তো ওই লোকগুলো আরও বেশি সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ ২০ শতাংশ করে, কিছু টাকা ছাপিয়ে দেখালাম আমার চলছে, চলছে, চলছে। এটা হতে পারে না। আমার সবাই ওখানে। আমি নিজেও ওখানে আছি, যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আছেন উনি আছেন, যিনি অডিট রিপোর্ট করছেন উনও আছেন।
বিএপিএলসি সভাপতি বলেন, আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি, তার থেকে বেশি কি থাকতে পারে। আমাদের সব শেষে পড়ে আছে- আমাদের দেশেকে ভালোবাসা। যেখানে সারা বিশ্বে ৫০ শতাংশ লোক দারিদ্রসীমার নিচে। আমাদের একমাত্র মন্ত্র হওয়া উচিত মানুষের জীবনমান উন্নত করা। সেটাই যদি আমার মন্ত্র হয়, আমার একটা মানুষের আর হাজার হাজার কোটি টাকার দরকার হয় না। আমাদের এক জীবনে আমি কতো কোটি খাবো আপনি বলেন, কয়টা বিছানাই আমরা এক সঙ্গে ঘুমাতে পারবো, কটা বাড়িতে আমরা থাকতে পারবো। সুতরাং আমাদের ভিতরে একটা চেতনা আসতে হবে, আমি দেশের জন্য কিছু করবো।
তিনি বলেন, আমি নিজে পাবলিক বিশ্ববিদ্যাল পড়েছি। কয় পয়সা বেতন দিয়েছি?। কিছু দেয়নি। তাহলে এখন আমাদের দায়িত্ব কি? দেশকে ফিরিয় দেয়া এবং সেই কাজটি আমাদের সবাইকে করতে হবে। যে কারবে না, তাকে শাস্তি পেতে হবে। যার টাকা আছে বলে । আমাদের ছোট বেলায় দেখেছি আমাদের শিক্ষকরা রেসপেক্টেড ছিলো, একজন ভালো ডাক্তার রেসপেক্টেড ছিলো। আমাদের ওই সমাজে ফিরে যেতে হবে। যদি দরকার হয় সারা বাংলাদেশের বাঙালীদের রক্ত ট্রান্সমিশন করে ফেলতে হবে। ট্রান্সমিশন দিয়ে ঠিক করতে হবে, আমরা দুর্নীতিগ্রস্থ হবো না, আমরা ভালো মানুষ হবো।
রুপালী হক বলেন, আমরা বেশিরভাগ সত্যিকার অর্থে ভালো থাকতে চাই। কিন্তু অল্প কিছু ব্যক্তির দ্বারা আমরা ডিফাইন (চিহ্নিত) হচ্ছি। এটা ঠিক না। আমরা বেশিরভাগ মানুষ সৎ থাকতে চাই, আমরা ধর্মভীরু, আমরা ভালো কাজ করতে চায়। কিছু একটা জায়গায় পড়ে আমরা কেমন যেন হতবিহ্বল হয়ে যাচ্ছি। এখন সময় জেগে ওঠার। এটা আমার, আপনার সকলের কাজ। আমরা সবাই মিলে দেশটাকে পরিবর্তন করবো, অবশ্যই। আমি আশাবাদি।
কাফি

পুঁজিবাজার
ইয়াকিন পলিমারের দর কমেছে ৮ শতাংশ

বিদায়ী সপ্তাহে (০৭ জুলাই-১০ জুলাই) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর পতনের শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ইয়াকিন পলিমারের। সপ্তাহজুড়ে ইয়াকিন পলিমারের দর কমেছে ৮ দশমিক ০৫ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৪ টাকা ৯০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৭০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১ টাকা ২০ পয়সা।
সপ্তাহের পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শেফার্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৯ টাকা ১০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ২০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ৯০ পয়সা বা ৪.৭১ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ৩.৩০ শতাংশ পতন নিয়ে অবস্থান করছে সিএপিএমআইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ৯ টাকা ১০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৮০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৩০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গ্লোবাল হেভির ২.৮৭ শতাংশ, আইসিবি অগ্রণী-১ ফান্ডের ২.৮২ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ২.৭৮ শতাংশ, নিউলাইন টেক্সটাইলের ২.৬৭ শতাংশ, আইবিবিএল বন্ডের ২.৫৯ শতাংশ এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের ২.৫৮ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে রহিম টেক্সটাইল

বিদায়ী সপ্তাহে (০৭ জুলাই-১০ জুলাই) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে রহিম টেক্সটাইল মিলস পিএলসির।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে রহিম টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৩৭.৫৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১১২ টাকা ১০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১৫৪ টাকা ২০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৪০ টাকা ১০ পয়সা।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রিজেন্ট টেক্সটাইল। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ৩ টাকা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা বা ৩৬.৬৭ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ২২.০১ শতাংশ দর বৃদ্ধি নিয়ে অবস্থান করছে রহিমা ফুড। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৮৩ টাকা ৬০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১০২ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১৮ টাকা ৪০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে শার্প ইন্ডাষ্টিজের ২০.৩৭ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৭,৬৫ শতাংশ, তমিজ উদ্দিন টেক্সটাইলের ১৭.১৭ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ১৭.০১ শতাংশ, অ্যাপেক্স স্পিনিংয়ের ১৫.৯৮ শতাংশ, ফারইস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের এবং জেমিনি সী ফুডের ১৪.৬১ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ব্র্যাক ব্যাংক

বিদায়ী সপ্তাহে (০৭ জুলাই-১০ জুলাই) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪.৪৯ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ছিল মিডল্যান্ড ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৪৯ শতাংশ।
লেনদেনের তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বিচ হ্যাচারি। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ১৪ কোটি ০২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.২১ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে সী পার্ল রিসোর্টের ১২ কোটি ৬২ লাখ টাকা, লাভেলো আইসক্রীমের ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ১০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, বিএসসির ১০ কোটি ৬১ লাখ টাকা, অগ্নি সিস্টেমের ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, সিটি ব্যাংকের ৯ ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা এবং অরিয়ন ইনফিউশনের ৯ কোটি ১০ লাখ টাকার।
কাফি
পুঁজিবাজার
ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে চলতি লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সমাপ্ত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর সব কয়টি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৭৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৭২ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
সূচকের উত্থানের পাশাপশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৪৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৪৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৬০০ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৫০ কোটি ৭ লাখ টাকা বা ৩০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৩৬ কোটি ২১ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩২৪টি কোম্পানির, কমেছে ৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
পুঁজিবাজার
উত্তরা ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি উত্তরা ব্যাংক পিএলসি পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ১৬ জুলাই বিকাল ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সভায় ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম