পুঁজিবাজার
দর পতনের শীর্ষ ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৩ মার্চ) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৫৩ টির দর কমেছে।। আজ সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের।
এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর আগের দিনের তুলনায় ৬০ পয়সা বা ৯.০৯ শতাংশ কমেছে। যার ফলে ডিএসইর দর পতনের শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে স্থান নিয়েছে এই কোম্পানির শেয়ার।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা পিপলস লিজিং এর দর কমেছে আগের দিনের তুলনায় ২০ পয়সা বা ৮.৩৩ শতাংশ।
আর ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৬.৭৬ শতাংশ দর কমে যাওয়ায় পতনের শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
এছাড়া, আজ ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং ৫.৮১ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ ৫.৪৭ শতাংশ, ইন্দো বাংলা ফার্মা ৫.২৬ শতাংশ, সামিট পাওয়ার ৫.১০ শতাংশ, আলহাজ্ব টেক্সটাইল ৪.৯০ শতাংশ, বিডি ফাইনান্স ৪.৬২ শতাংশ এবং ইন্ট্রাকো ৪.৪২ শতাংশ কমেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
কাজের ব্যাখা দেন, অন্যথায় এখনই অপসারণ চাইবো: রাশেদ মাকসুদকে এনসিপি নেতা

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মূখ্য সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, আপনি শেয়ারবাজারের জন্য কি কাজ করছেন, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। অন্যথায়, আপনার অপসারণ এখনই চাইব। আপনাকে মনে রাখতে হবে, আপনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিএসইসির চেয়ারম্যান হয়েছেন, অথচ আপনার উপরে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নেই।
আজ শনিবার (১০ মে) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কাউকে পাত্তা দেবেন না, তা হবে না।”
এনসিপির যুগ্ম মূখ্য সমন্বয়ক আরও বলেন, বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যানের যোগাযোগ দক্ষতা (কমিউনিকেশন স্কিল) খুবই বাজে। তাকে এই বিষয়ে দক্ষতা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ও বিডার নির্বাহি চেয়ারম্যান নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং আপডেট জানাচ্ছেন। তারা দেশের উন্নয়নে সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন। অথচ বিএসইসির চেয়ারম্যান কোন আপডেট দেন না। তিনি কি কাজ করছেন এবং তার প্রতিফলন কি, সেগুলো বিনিয়োগকারীদেরকে জানাতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে, রপ্তানি আয়ের ধারা আবার গতি পাচ্ছে এবং বৈদেশিক লেনদেনে ঘাটতি কমে এসে মাত্র ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। এছাড়া জ্বালানির অপরিশোধিত অর্থ পরিশোধ করার পর রিজার্ভ এখনও ২০ বিলিয়নের বেশি, মুদ্রার মান তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল, আমদানি নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ার ফলে উৎপাদন ও বাণিজ্যে প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে বাহ্যিক খাতে আমাদের অর্থনীতি বর্তমানে একটি নিরাপদ জায়গায় অবস্থান করছে।”
এদিকে, শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থার চিত্র তুলে ধরে ফয়সাল বলেন, “বর্তমানে ডিএসই সূচক ৪,৯০০ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এই পতনের পেছনে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, চলমান উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং পাঁচ বছরের সরকারি ট্রেজারি বন্ডে ১২.৩৯% সুদের হার। যা বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজার থেকে সরকারি বন্ডে টেনে নিচ্ছে।” তবে, তিনি বলেন, “তবুও, শেয়ারবাজার এখন ঐতিহাসিকভাবে সস্তা। পিই রেশিও মাত্র ৯.৪১, যা ইঙ্গিত দেয়—এটা ভ্যালু ইনভেস্টমেন্টের জন্য দুর্দান্ত সুযোগ।”
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, “বিএসইসি’র উদ্যোগ প্রশংসনীয় কিন্তু অসম্পূর্ণ। আমরা স্বীকার করি, গত ৮ মাসে বিএসইসি কিছু প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে, ইতিমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, যা আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে।”
এনসিপি নেতা বলেন, “আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, বর্তমান সংকটময় সময়ে পুঁজিবাজারে আস্থ্য ফিরিয়ে আনতে হলে সরকারকে নিম্নোক্ত বাস্তবমুখী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে।”
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিভিডেন্ডের কারণে ‘জেড’ ক্যাটাগরি পৃথিবীর কোথাও হয় না: এনসিপির যুগ্ম মূখ্য সমন্বয়ক

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মূখ্য সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেছেন, ডিভিডেন্ডের কারণে ‘জেড’ ক্যাটাগরি পৃথিবীর কোথাও হয় না।
শনিবার (১০ মে) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকেই রাশেদ মাকসুদের অপসারণ চান বিনিয়োগকারীরা

পুঁজিবাজারের সঠিক অবস্থা পর্যালোচনা এবং উন্নয়নে করণীয় নিয়ে আগামীকাল রোববার একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই বৈঠকেই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন অযোগ্য কমিশনের অপসারণ চেয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এছাড়াও এই বৈঠকে স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধি রাখার দাবি জানান তারা।
আজ শনিবার (১০ মে) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি তুলেন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, এখন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে শেয়ারবাজার বুঝে এবং উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে এমন কাউকে রাখা হয়নি। যেখানে স্টক এক্সচেঞ্জ, মার্চেন্ট ব্যাংকার, ব্রোকার, সম্পদ ব্যবস্থাপক, বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধিসহ এসব স্টেকহোল্ডারদের কেউ থাকবে না। অথচ এরাই শেয়ারবাজারের বিদ্যমান সমস্যার কারন বুঝে। বিপরীতে যাদের নিয়ে অভিযোগ, তাদেরকেই রাখা হয়েছে বৈঠকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই তারা তাদের ব্যর্থতা তুলে ধরবেন না প্রধান উপদেষ্টার কাছে।
তাদের দাবি, বর্তমান বিএসইসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের শেয়ারবাজার অব্যাহত পতন। এর কারন হিসেবে মাকসুদ কমিশনের অযোগ্যতাকে দায়ী করেন বিনিয়োগকারীরা। তাই এই কমিশনের অপসারন চানা তারা। তবে নিজের আত্মীয় হওয়ায় অর্থ উপদেষ্টা তাকে অপসারণ করছেন না বলে অভিযোগ করেন। এমনকি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীও রাশেদ মাকসুদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এই অবস্থায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাদেরকে নিয়েই শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও শক্তিশালী করার জন্য বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে অন্যসব স্টেকহোল্ডারদের কেউ থাকবে না। এতে করে ওই বৈঠকে প্রকৃতপক্ষে কোন ভালোকিছু হবে না বলে বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস।
বিনিয়োগকারীদের এ সংগঠনটির নেতারা জানান, মাকসুদ শেয়ারবাজার বুঝেন না। এটা শুধু সাধারন বিনিয়োগকারীদের কথা না। এই কথা এখন বিএসইসির সাবেক স্বনামধন্য চেয়ারম্যানসহ স্টেকহোল্ডারদের। তাই মাকসুদের অপসারন করা উচিত।
মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর শেয়ারবাজার অনেক পিছিয়ে পড়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে খুলনা পাওয়ার

বিদায়ী সপ্তাহে (৪ মে-৮মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে খুলনা পাওয়ারের শেয়ারদর কমেছে ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ারদর কমেছে ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।
আর তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা এইচ আর টেক্সটাইলের শেয়ারদর কমেছে ১২ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর হলো- মিথুন নিটিং এন্ড ডাইং, বসুন্ধরা পেপার মিলস, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস, ন্যাশনাল টি কোম্পানি, দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস এবং এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের শেয়ারদর বেড়েছে ৫৮ শতাংশ

বিদায়ী সপ্তাহে (০৪ মে-০৮ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে ১৪১টির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। সপ্তাহজুড়ে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে বারাকা পতেঙ্গার শেয়ারদর বেড়েছে ৫৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বারাকা পাওয়ারের শেয়ারদর বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। আর শেয়ারদর ২৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ বাড়ায় তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে মিডল্যান্ড ব্যাংক।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক লিমিটেড মিউচুয়াল ফান্ড, ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক, এসইএমল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড, প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং ব্যাংক এশিয়া পিএলসি।
কাফি