জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে বাংলাদেশের নজর যেসব বিষয়ে

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছেন। তার সফরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে আরও গভীর অর্থনৈতিক সহযোগিতার দিকে নজর দিচ্ছে। এই সফর দুদেশের ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আঞ্চলিক পরিস্থিতির পরিবর্তন এবং ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে এই সফর ভূরাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার, চীনা বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে এবং স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও পানি ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য বেইজিংয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, বিশেষ করে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে। আমরা চীনের কাছ থেকে আরও বিনিয়োগ চাই এবং সেখানে আমাদের পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি।’
প্রধান উপদেষ্টার সফরে অর্থনৈতিক সহযোগিতা গুরুত্ব পাচ্ছে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, একটি প্রধান আলোচ্য বিষয় হলো চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনা বিনিয়োগ আকর্ষণ করা। আমরা আশা করছি, চীনা কোম্পানিগুলো তাদের কারখানা এখানে স্থানান্তর করবে এবং বাংলাদেশের অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশের সুবিধা নেবে।
তিনি উল্লেখ করেন বাংলাদেশ এখনও বেইজিংয়ের বাজার সুবিধাগুলো পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেনি, কারণ রপ্তানির জন্য পণ্যের পরিধি সীমিত। চীনের বিশাল ভোক্তা বাজারে প্রবেশের জন্য রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
স্বাস্থ্যসেবায় সহযোগিতা
স্বাস্থ্যসেবা খাতেও সহযোগিতা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়, বিশেষ করে বাংলাদেশি রোগীরা ভারতের ভিসা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে চিকিৎসা নিতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম দল ইতোমধ্যে চীনে চিকিৎসার জন্য গেছে। আমরা চাই ঢাকায় একটি আধুনিক হাসপাতাল স্থাপনে বিনিয়োগ করুক চীন।
বাংলাদেশ চীনের কাছে অনুরোধ করেছে কুনমিংয়ে চারটি হাসপাতাল নির্দিষ্ট করতে, যেখানে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য বিশেষ সুবিধা থাকবে। এই প্রথম দলটির অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের চিকিৎসা সহযোগিতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পানি ব্যবস্থাপনা ও তিস্তা ইস্যু
পানি ব্যবস্থাপনাও আলোচনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়, যেখানে বাংলাদেশ নদী ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে চীনের সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে, বিশেষ করে তিস্তা নদী ইস্যুতে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থে পানি ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা এগিয়ে নিতে চাই।’
বিশেষজ্ঞ মতামত
প্রধান উপদেষ্টার এ সফর বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান গতিশীলতার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বৈশ্বিক জোটের রদবদলের মধ্যে বাংলাদেশ যখন তার পথ নির্ধারণ করতে চাচ্ছে, তখন ড. ইউনূস চীন সফরে যাচ্ছেন। তার এই সফর কৌশলগত বিবেচনার সঙ্গে অর্থনৈতিক আবশ্যিকতার ভারসাম্য বজায় রেখে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার স্পষ্ট অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সফর প্রতীকী তাৎপর্য বহন করছে এবং ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তি তৈরি করবে।
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের প্রতীকী তাৎপর্যের ওপর জোর দিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি বলেন, এই সফর পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের জন্য দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার ক্ষেত্র তৈরি করবে। সফরে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে, যা বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির পথ প্রশস্ত করবে।
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টার এ সফর দু-দেশের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে। তবে তিস্তার মতো বড় প্রকল্পগুলোর জন্য সম্ভবত নির্বাচনের পর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিন মনে করেন, চীনের কাছ থেকে বিনিয়োগ বা বড় চুক্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো বাধা হবে না। তিনি বলেন, ‘চীন জানে, এই অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের পূর্ণ ম্যান্ডেট নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছেন।’
তিস্তা ইস্যুতে জোর দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকার নিজস্ব স্বার্থে বেইজিংয়ের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করা উচিত।
তিনি আগামী এপ্রিল মাসে ঢাকায় আয়োজিত বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি প্রতিশ্রুতিশীল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখছেন।
জ্বালানি, স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোতে পারস্পরিক স্বার্থ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘উন্নত মানের চিকিৎসা সুবিধা প্রতিষ্ঠায় চীনের আগ্রহ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
বৈদেশিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাব এনাম খান ভূ-রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে অন্য দেশের দৃষ্টিভঙ্গির চেয়ে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক প্রভাব তাৎপর্যপূর্ণ। তবে বাংলাদেশকে অবশ্যই তার স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যেমন- রোহিঙ্গা সংকট ও পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
অধ্যাপক শাহাব এনাম খান আরও বলেন, এ সফর রোহিঙ্গা সংকট পুনর্বিবেচনার নতুন সুযোগ তৈরি করছে। কারণ ২০২৪ ও ২০২৫ সালে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন।
সম্ভাব্য ভ্রমণসূচি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হাইনান প্রদেশে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া সম্মেলনে যোগ দিতে ২৬ মার্চ চীনের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
২৭ মার্চ তিনি সম্মেলনের উদ্বোধনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন এবং চীনের নির্বাহী ভাইস প্রিমিয়ার ডিং জুয়েশিয়াং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন।
২৮ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা বেইজিংয়ের গ্রেট হল অফ দ্য পিপলে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
তিনি হুয়াওয়ের একটি উচ্চ প্রযুক্তির উদ্যোগ পরিদর্শন ও চীনের শীর্ষস্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ২৯ মার্চ সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করবে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি সেখানে বক্তব্য দেবেন। এরপর ওই দিনই প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে সরকার: প্রেস উইং

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
শুক্রবার (৯ মে) প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য তুলে ধরে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার বিবেচনায় রাখছে। সে পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছে।
ইতোমধ্যে সরকার জনদাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রচলিত আইনের অধীনে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে বলেও উল্লেখ করেছে প্রেস উইং।
এতে আরও বলা হয়, এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশ গমন সম্পর্কে জনমনে ক্ষোভ বিষয়ে সরকার অবগত বলেও উল্লেখ করেছে প্রেস উইং। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: ৩ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার-বরখাস্ত

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিনভর আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে রাত পৌনে ৮টায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বার্তায় জানানো হয়, সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার ও আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং এসবির একজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তারা হলেন- অতিরিক্ত এসপি তাহসিনা আরিফ, এসআই মো. আজহারুল ইসলাম ও এটিএসআই মো. সোলায়মান।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে।
এ মামলা হওয়ার আগে কিশোরগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের আসামি করে প্রায় অর্ধশত মামলা হয়। তবে সেসব কোনো মামলাতেই আবদুল হামিদকে আসামি করা হয়নি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনবো, না হলে চলে যাবো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশত্যাগে যারা যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের শুধু পদত্যাগ না, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। যদি আমি তাদের শাস্তির আওতায় আনতে না পারি তাহলে আমি চলে যাবো (পদত্যাগ করবো)।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আইশৃঙ্খলা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্ট। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘এই ঘটনায় যারা যারা জড়িত তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে। আপনারা যে পরিস্থিতিতে আমাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি থেকে এখন পর্যন্ত অনেক উন্নতি হয়েছে তো।’
এরপর দিনাজপুর গম গবেষণা ইনস্টিটিউটে মতবিনিময় সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ত্যাগ করেন উপদেষ্ট।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ৯ মাস পর দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বুধবার (৭ মে) দিনগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন।
এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি থেকে এ আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়ল

সশস্ত্র বাহিনীকে দেওয়া বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরও দুই মাস বা ৬০ দিন বাড়িয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৮ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী বর্ণিত অধিক্ষেত্রে অর্থাৎ সারাদেশে ও সময়কালে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।
সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং কোস্টগার্ডে প্রেষণে নিয়োজিত সমমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) সারা দেশে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তারা কার্যক্রম চালাতে পারবেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৪ মে থেকে পরবর্তী ৬০ দিন এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
এর আগে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সারাদেশে মোতায়েন করা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দুই মাস বা ৬০ দিনের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে গত ১৫ নভেম্বর, ১২ জানুয়ারি ও ১৩ মার্চ তিন দফায় সশস্ত্র বাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দেওয়া ক্ষমতা দুই মাস করে বাড়ানো হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে থেমে থাকা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কায় নারীসহ ৫জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
হতাহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চারজনকে চিকিৎসক দুপুর ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলেন, আব্দুস সামাদ ফকির, তার ছেলে বিল্লাহ ফকির, মেয়ে আফসানা ও অ্যাম্বুলেন্স চালক। অপরজনের নাম জানা যায়নি।
দুর্ঘটনায় আহতরা জানান, তাদের বাড়ি মাদারীপুরের সদর উপজেলার মিঠাপুর গ্রামে। বিল্লাল ফকিরের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩০) অন্তঃসত্ত্বা। চলতি মাসের ২৩ তারিখ তার বাচ্চা প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ। তবে গতরাত থেকে তার ব্যথা হচ্ছিল। এজন্য সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে পরিবারের ১০ জন মিলে ঢাকার পথে আসছিলেন। ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার কথা ছিল। অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা দেয়ার পর এক্সপ্রেস ওয়ের নীমতলি এলাকায় আসার পর চাকা পাংচার হয়ে যায়। এরপর রাস্তার ডান পাশে চাপিয়ে সেটির চাকা মেরামত করছিলেন চালক। আর তারা কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে বসে ছিলেন, আর কয়েকজন পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস পিছন থেকে এসে সজোরে অ্যাম্বুলেন্সে ধাক্কা দেয়।
গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাসের হেল্পার সাইফুল ইসলাম শান্ত জানান, তারা কুষ্টিয়া থেকে যাত্রীবোঝাই বাসটি নিয়ে আসতেছিলেন ঢাকার আব্দুল্লাহপুর এলাকায়। নীমতলী এলাকায় এক্সপ্রেস ওয়ের ডান পাশের লেনে দাঁড়িয়ে ছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। তখন দ্রুতগতির বাসটি চালক ফয়সাল (৪০) ব্রেক করেও থামাতে পারেননি। সজোরে গিয়ে ধাক্কা লাগে থেমে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের পিছনে।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাইওয়ে থেকে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চারজন মারা যায়। এরমধ্যে এক নারী তিন পুরুষ। আহত কয়েকজনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, মাওয়ার নীমতলি এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে বাস ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে একজন মারা যান। আর আহতদের ঢাকা মেডিকেল পাঠান হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে কেউ মারা গেছে কিনা সেটি তার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। ঘটনাস্থলে যেই নারী নিহত হয়েছেন তার লাশ পুলিশ হেফাজতে আছে। বাস, অ্যাম্বুলেন্স দুটিই জব্দ করা হয়েছে।
কাফি