পুঁজিবাজার
গণমাধ্যমকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ সংস্কার কমিশনের

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। প্রথম পর্যায়ে মাঝারি ও বড় মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে সর্বসাধারণের জন্য শেয়ার ছাড়া ও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার সুপারিশ করেছে এই কমিশন।
আজ শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন
এতে বলা হয়, বৈশ্বিক চর্চা হচ্ছে গণমাধ্যমের কেন্দ্রীকরণ যেন কোনোভাবেই ঘটতে না পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কমিশন মনে করে এখানেও অচিরেই একই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। ক্রস ওনারশিপ নিষিদ্ধ করে অর্ডিন্যান্স জারি করা যায় এবং যেসব ক্ষেত্রে এটি বিদ্যমান সেগুলোয় পরিবর্তন আনার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া। এগুলো নানা পদ্ধতিতে হতে পারে। যেসব কোম্পানি/গোষ্ঠী/প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তি/পরিবার একই সঙ্গে টেলিভিশন ও পত্রিকার মালিক তারা যেকোনো একটি গণমাধ্যম রেখে অন্যগুলোর মালিকানা বিক্রির মাধ্যমে হস্তান্তর করে দিতে পারে। অথবা দুইটি মিডিয়ার (টেলিভিশন ও পত্রিকা) সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একত্রিত করে আরও শক্তিশালী ও বড় আকারে একটি মিডিয়া (টেলিভিশন অথবা দৈনিক পত্রিকা) পরিচালনা করতে পারে।
কমিশন জানায়, একক মালিকানায় একই ভাষায় একাধিক দৈনিক বা একাধিক টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করে। সেই সাথে গণমাধ্যমের যে ক্ষমতা তা নিজ স্বার্থে কেন্দ্রীভূত করে। সে কারণে এই ব্যবস্থার অবসান হওয়া দরকার। কমিশন মনে করে, একই মালিকানায় একই ভাষায় একাধিক দৈনিক পত্রিকা গণমাধ্যমের প্রতিযোগিতাকে নষ্ট করে এবং পাঠক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। টেলিভিশনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এক উদ্যোক্তার একটি গণমাধ্যম (ওয়ান হাউজ, ওয়ান মিডিয়া) নীতি কার্যকর করাই গণমাধ্যমে কেন্দ্রীকরণ প্রতিরোধের সেরা উপায়।
গণমাধ্যমে কালোটাকার অনুপ্রবেশ নিরুৎসাহিত করতে হবে উল্লেখ করে কমিশন জানিয়েছে, প্রতিবছর গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক হিসাব উন্মুক্ত করতে হবে যাতে তার আয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। সেইসঙ্গে গণমাধ্যমকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভূক্ত করার সুপারিশ করেছে কমিশন। প্রথম পর্যায়ে মাঝারি ও বড় মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে সর্বসাধারণের জন্য শেয়ার ছাড়া ও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
তাদের সুপারিশের মধ্যে আরও রয়েছে, কোনো গণমাধ্যমে নিয়োগপত্র ও ছবিসহ পরিচয়পত্র ছাড়া এবং বিনাবেতনে কোনো সাংবাদিককে অস্থায়ী, স্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এমনকি শিক্ষানবিশকাল এক বছরের বেশি হতে পারবে না। এছাড়াও সাংবাদিকদের স্থায়ী চাকরির শুরুতে সরকারি প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তাদের মূল বেতনের সমান বেতন ধার্য করার সুপারিশ করেছে কমিশন।
কাফি

পুঁজিবাজার
ব্লকে ১৬ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ৪০টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৪৫ লাখ ১৩ হাজার ৯৫৩টি শেয়ার ৭২ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৬ কোটি ৯১ লাখ ২১ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রবিবার (২৪ আগস্ট) ব্লকে সবচেয়ে বেশি সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার ২ কোটি ৮০ লাখ ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ২ কোটি ২৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকার ও তৃতীয় স্থানে থাকা আল-হাজ্ব টেক্সটাইল মিলসের ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
নতুন মার্জিন ঋণ বিধিমালা চূড়ান্ত করতে জনমত আহ্বান

পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশসমূহ বিবেচনায় নিয়ে এবং প্রান্তিক বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজারের সকল বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালের মার্জিন ঋণের বিধিমালা রহিত করে ‘মার্জিন বিধিমালা ২০২৫’ নামের নুতন বিধিমালা তৈরি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। খসড়া বিধিমালাদ্বয় জনমত যাচাইয়ের জন্য কমিশনের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। মতামত অনুযায়ী, পরবর্তীতে চূড়ান্ত বিধিমালা সরকারি গেজেটে প্রকাশের মাধ্যমে কার্যকর করা হবে।
গত ১২ আগস্ট বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৬৮তম কমিশন সভায় ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্জিন) বিধিমালা, ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদিত হয়।
বিষয়ে কমিশন থেকে জানানো হয়, পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশসমূহ বিবেচনায় নিয়ে এবং প্রান্তিক বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজারের সকল বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে খসড়া বিধিমালাটি অনুমোদন করা হয়েছে। খসড়া বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে মার্জিন অর্থায়নে বিদ্যমান ঝুঁকিসমূহ(প্রাতিষ্ঠানিক ঝুঁকি, ক্রেডিট ঝুঁকি, পদ্ধতিগত ঝুঁকি, ইত্যাদি) এবং উক্ত ঝুঁকিসমূহ হ্রাসকরণ তথা যথাযথ মার্জিন অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে খসড়া বিধিমালাটি জনমত যাচাইয়ের জন্য কমিশনের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে খসড়া বিধিমালাটির উপর সংশ্লিষ্ট অংশীজন, বিনিয়োগকারী ও জনসাধারণের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি আহ্বান করা হয়েছে। জনমত যাচাই তথা অংশীজন বা সংশ্লিষ্টদের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি গ্রহণের পর সার্বিক বিচার বিবেচনা পূর্বক প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজন-পরিমার্জন করে বিধিমালাটি চূড়ান্ত করবে কমিশন।
বর্তমানে খসড়া বিধিমালাটি কমিশনের একটি প্রস্তাবনা যা সংশ্লিষ্টদের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি বিবেচনায় নিয়েই চূড়ান্ত করা হবে এবং পরবর্তীতে চূড়ান্ত বিধিমালাটি সরকারি গেজেটে প্রকাশের মাধ্যমে কার্যকর করা হবে।
পুঁজিবাজার
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নাম-লোগো ব্যবহার করে প্রতারণা, সতর্ক করলো ডিএসই

সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নাম, লোগো এবং ঠিকানা ব্যবহার করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ভুয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে ডিএসই।
রবিবার (২৪ আগস্ট) ডিএসইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে পুঁজিবাজারের এক শ্রেণীর অসৎ গোষ্ঠী ডিএসই’র নাম, ঠিকানা, লোগো ব্যবহার করে হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপের মাধমে নিত্য নতুন পদ্ধতি ও অভিনব কায়দায় প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। যা ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে এসেছে।
এ ব্যাপারে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগকারী তথা পুঁজিবাজারের স্বার্থে রেগুলেটর, সকল ব্রোকাজের হাউজ, সিডিবিএল, ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানে চিঠির মাধ্যমে অবগত করা হয়েছে৷
এমনকি ডিএসই’র ওয়েব ব্যানারেও এই ধরনের প্রতারণা থেকে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া, খিলক্ষেত থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএসই।
বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ দিয়ে ডিএসই বলেছে, শেয়ার বা সিকিউরিটিজ লেনদেনের একমাত্র মাধ্যম ডিএসই এবং সিএসই’র সনদপ্রাপ্ত ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান এবং ডিএসই মোবাইল অ্যাপ। যদি কেউ এ ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের অতিরিক্ত মুনাফার লোভ দেখায়, তা থেকে দুরে থাকার পরামর্শ ডিএসইর৷
‘পুঁজি আপনার, বিনিয়োগ আপনার৷ তাই অসাধু চক্রের পাল্লায় পরে আপনার কষ্টার্জিত অর্জন বিনিয়োগ করে প্রতারিত হবেন না। তাই সবসময় প্রতারণা থেকে দুরে থাকুন এবং জেনে ও বুঝে বিনিয়োগ করুন।’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ডিএসই।
এসএম
পুঁজিবাজার
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার দর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত মতে, রবিবার (২৪ আগস্ট) কোম্পানির শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ কমেছে। কোম্পানিটি ৮০২ বারে ৭ লাখ ৭১ হাজার ২১২টি শেয়ার লেনদেন করে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনিয়ন ক্যাপিটালের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমেছে। তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা অ্যাপোলো ইস্পাতের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমেছে।
তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানি হচ্ছে- বে লিজিং, এমারেল্ড অয়েল, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, সাইফ পাওয়ারটেক, মিথুন নিটিং, জিএসপি ফাইন্যান্স এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কো. লিমিটেড।
এসএম
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮৪টির দর বেড়েছে। দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রবিবার (২৪ আগস্ট) কোম্পানিটির শেয়ার দর আগের দিনের তুলনায় ৫ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়েছে। যার ফলে কোম্পানিটি দর বৃদ্ধির তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে।
দর বৃদ্ধির এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক। কোম্পানিটির শেয়ার দর এদিন ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ।
এছাড়াও, ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, মুন্নু ফেব্রিক্স, মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স, জিকিউ বলপেন, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড।
এসএম