অর্থনীতি
ভারত থেকে পোশাকের আমদানি কমেছে

প্রতিবছর ঈদ আসলেই ভারত ও পাকিস্তান থেকে তৈরি পোশাকের আমদানি বাড়ে। ঈদের বাজারে যেভাবে দোকানে দোকানে এই দুটি দেশের পোশাক বেচাকেনা হয়, সে তুলনায় বৈধপথে আমদানি খুবই কম। মূলত ভারত থেকে অবৈধপথে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক আমদানি হয়। গত তিন মাসে ১৩ লাখ ২৯ হাজার পিস পোশাক আমদানি হয়েছে। এসব পোশাকের শুল্কায়িত মূল্য ৪৫ কোটি টাকা। গত রোজার আগে একই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার লাখ পিস কম।
গত এক দশকে দেশের বড় উদ্যোক্তারাও পোশাকের নিজস্ব ব্র্যান্ড গড়ে তুলেছেন। তবু ক্রেতাদের চাহিদার কারণে ঈদের আগে প্রতিবছর ভারত ও পাকিস্তান থেকে তৈরি পোশাকের আমদানি বাড়ে। অবৈধপথে পোশাক আমদানির সঠিক হিসাব পাওয়া না গেলেও বৈধপথে পোশাক আমদানির সঠিক হিসাব পাওয়া যায়।
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো দেশ দুটি থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করে থাকে। আবার রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্যাম্পল বা নমুনা হিসেবেও পোশাক আমদানি করে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য মতে, গত তিন মাসে (ডিসেম্বর–ফেব্রুয়ারি) ভারত ও পাকিস্তান থেকে ২২ লাখ ৩৫ হাজার পিস পোশাক আমদানি হয়েছে। গত রোজার আগে একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ২৬ লাখ পিস পোশাক।
ভারত থেকে গত তিন মাসে ১৩ লাখ ২৯ হাজার পিস পোশাক আমদানি হয়েছে। এসব পোশাকের শুল্কায়িত মূল্য ৪৫ কোটি টাকা। গত রোজার আগে একই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার লাখ পিস কম।
আমদানি হওয়া এসব পোশাকের মধ্যে থ্রি–পিস আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার পিস। গত রোজার আগে একই সময়ে থ্রি–পিস আমদানি হয়েছিল ১ লাখ ৮৮ হাজার পিস। এবার প্রতি পিসের গড় আমদানি মূল্য ৩ দশমিক ০৮ ডলার বা ৩৭৭ টাকা। গড়ে প্রতি পিসের শুল্ক–কর ৭২৮ টাকা। এ হিসাবে প্রতি পিসের দাম পড়ছে ১ হাজার ১০৫ টাকা।
সবচেয়ে ভালো মানের থ্রি–পিস আমদানি হয়েছে ১২ ডলার বা ১ হাজার ৪৬৪ টাকায়। শুল্ক–কর ১ হাজার ৯২৫ টাকা। সব মিলিয়ে উন্নত মানের থ্রি–পিসের আমদানি মূল্য ৩ হাজার ৩৮৯ টাকা। সবচেয়ে সাধারণ মানের থ্রি–পিসের আমদানি মূল্য পড়েছে শুল্ক–করসহ ৭৩১ টাকা।
ভারত থেকে লেহেঙ্গা আমদানিও কমেছে এবার। এবার ৫ হাজার ২৯৭ পিস লেহেঙ্গা আমদানি হয়েছে। আমদানি মূল্য গড়ে ১৭ ডলার। প্রতি পিসের গড় শুল্ক–কর ৪ হাজার ৩৩২ টাকা। তাতে প্রতি পিসের আমদানি খরচ পড়েছে ৬ হাজার ৪০৬ টাকা।
ভারত থেকে এবার শাড়ি আমদানি বেড়েছে। গত ডিসেম্বর–ফেব্রুয়ারিতে শাড়ি আমদানি হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার পিস। গতবার আমদানি হয়েছিল ১ লাখ ১৮ হাজার পিস। ভারত থেকে পাঞ্জাবি আমদানি গতবারের তুলনায় তিন গুণ বেড়েছে। মেয়েদের পোশাক আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার পিস, শিশুদের ৪ লাখ ৬১ হাজার পিস।
পাকিস্তান থেকে এবার তিন মাসে প্রায় ৯ লাখ পিস পোশাক আমদানি হয়েছে। শুল্কায়ন মূল্য হিসাবে তা ৫২ কোটি টাকা। গতবারের তুলনায় পাকিস্তান থেকে পোশাক আমদানি বেড়েছে প্রায় ৯২ হাজার পিস।
পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া পোশাকের ৯৭ শতাংশই মেয়েদের পোশাক থ্রি–পিস, টু–পিস ও ওয়ান–পিস। গত তিন মাসে (ডিসেম্বর–ফেব্রুয়ারি) দেশটি থেকে থ্রি–পিস আমদানি হয়েছে ৭ লাখ ৩৫ হাজার পিস। টু–পিস ও ওয়ান–পিস আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার পিস।
থ্রি–পিস আমদানিতে ব্যবসায়ীরা ১ থেকে ১০ ডলার মূল্য ঘোষণা করেছেন। তবে কাস্টমস বলছে, এই দর অবিশ্বাস্য। এ জন্য তিন–চার গুণ বেশি দর ধরে শুল্কায়ন করেছে কাস্টমস। যেমন এক ডলারে আনা পোশাকের শুল্কায়ন করা হয়েছে চার ডলারে। তাতে প্রতি পিস থ্রি–পিসের শুল্ক–কর নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩১ টাকা।
পাকিস্তান থেকে ছেলেদের পোশাক হিসাবে আমদানি হয়েছে ৪ হাজার ১৩৯ পিস পাঞ্জাবি। পাঞ্জাবি আমদানি হয়েছে ৩ থেকে ১০ ডলারে।
তৈরি পোশাকের বাইরেও পাকিস্তান থেকে কাপড় আমদানি হচ্ছে। তবে বেশির ভাগই আমদানি করছে পোশাক রপ্তানিকারকদের প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্যিকভাবেও কাপড় আমদানি হচ্ছে। তবে পরিমাণে কম। ব্যবসায়ীরা জানান, বৈধপথের বাইরে পাকিস্তান থেকেও অবৈধভাবে পোশাক আসছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। এ দেশের তৈরি পোশাক বিক্রি হচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকার নামীদামি ব্র্যান্ডের বিক্রয়কেন্দ্রে। দেশেও পোশাকের বড় বড় ব্র্যান্ড গড়ে উঠেছে। দেশীয় এই খাতকে সুরক্ষা দিতে পোশাক আমদানিতে উচ্চ শুল্ক–কর রয়েছে। তবে অবৈধপথে আনা পোশাকে রাজস্ব দিতে হয় না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
ভিয়েতনাম থেকে এলো ২৯ হাজার টন চাল

ভিয়েতনাম থেকে ২৯ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে এভি ওবিই ডিনারেস জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। আজ শনিবার (২২ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জিটুজি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থাকে তৃতীয় চালানের আতপ চাল নিয়ে এমভি ডিনারেস শিপ বন্দরে নোঙরে করে।
ভিয়েতনাম থেকে জি টু জি ভিত্তিতে মোট এক লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে দুটি চালানে মোট ৩০ হাজার তিনশ টন চাল ইতোমধ্যে দেশে পৌঁছেছে।
জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আট মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৫৮ হাজার কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব আদায়ে পিছিয়ে আছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার বেশি আদায় করতে পরেনি। প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এর আগে ৬ মাস শেষেও ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘাটতি ছিল প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ডলারের মূল্য বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি কারণে আদায় কমে গেছে।
এনবিআরের পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮০ হাজার ৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ৮১৭ কোটি ৯ লাখ টাকা। ওই রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ২৪২ ০কোটি টাকা। ওই একই সময়ে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২ লাখ ১৭ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। তবে অর্থবছরের মাঝপথে এসে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি করা হয়।
গবেষণা ও পরিসংখ্যানের হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৪ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা; গত অর্থবছরের একই সময়ে আদায় হয়েছে ৬৫ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ আদায় কমেছে ১.৩০ শতাংশ কম।
স্থানীয় পর্যায়ে মূসক ও আবগারি শুল্ক খাতে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮৪ হাজার ২২৩ কোটি টাকা; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮২ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় বেড়েছে ২.২১ শতাংশ।
অপরদিকে আয়কর ও ভ্রমণ খাতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে আদায় হয়েছে ৭৩ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা; যা আগের অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৭০ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এ হিসাবে আদায় বেড়েছে ৪.০৯ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেটে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়। যা জিডিপির ৯.৭ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। আর অন্যান্য উৎস হতে ৬১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এক সপ্তাহে হিলি দিয়ে এলো ২৫শ টন পাট বীজ

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাটের বীজ আমদানি শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহে দুই হাজার ৫০০ মেট্রিক টন বীজ আমদানি হয়।
শুক্রবার (২১ মার্চ) হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ সঙ্গ নিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মেসার্স মমিনুল এন্টারপ্রাইজ নামের এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে বীজগুলো আমদানি করছেন। ১৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) থেকে ভারত থেকে পাট বীজ আমদানি শুরু হয়।
স্থলবন্দর সূত্র জানায়, ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার ভারতীয় ২৯ গাড়িতে ৭২৮ মেট্রিক টন, রোববার ৩২ ট্রাকে ৭৩৬ মেট্রিক টন, সোমবার ৯ ট্রাকে ২১৬ মেট্রিক টন, মঙ্গলবার ১৬ ট্রাকে ৩৭৯ মেট্রিক টন, বুধবার ১২ ট্রাকে ২৪৯ মেট্রিক টন এবং গতকাল বৃহস্পতিবার ৮ ট্রাকে ২১২ মেট্রিক টন পাট বীজ আমদানি করা হয়েছে।
আমদানিকারক মমিনুল ইসলাম জানান, দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় প্রায় বছরখানেক পর এ বন্দর দিয়ে আবারও পাট বীজ আমদানি শুরু হয়েছে। বীজগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ বাড়ছে

সাধারণত অর্থবছরের শেষ দিকে সরকারের ঋণ বেড়ে থাকে। তবে সরকারের এখন পর্যন্ত নেওয়া ঋণ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক কম। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৯৯ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, সরকারের ঋণ ৯০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সীমিত রাখা হবে। এদিকে, হঠাৎ করেই ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ বাড়তে শুরু করেছে। অর্থবছরের শুরু থেকে গত ১০ মার্চ পর্যন্ত নিট ৩৮ হাজার ৫১০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার।
যেখানে গত জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের ব্যাংক ঋণ ছিল ১৩ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। অর্থাৎ, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে সরকার যে পরিমাণ ঋণ নিয়েছিল, শেষ এক মাস ১০ দিনে তা দ্বিগুণ হয়েছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ বাড়ার কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, বিদেশি উৎস থেকে ঋণছাড় কমে যাওয়া এবং সঞ্চয়পত্র থেকে প্রত্যাশিত ঋণ না পাওয়া।
গত ১০ মার্চ সার্বিকভাবে ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের ঋণস্থিতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। যা গত জুন শেষে ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণস্থিতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। গত জুন শেষে এর পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থিতি কমে এক লাখ ৮ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা হয়েছে। যেখানে গত জুন শেষে ছিল এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিগত সরকারের সময়ে গোপনে ‘ওভার ড্রাফট’ খাতে নেওয়া ৪৮ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা সমন্বয় করে বর্তমানে ৬ হাজার ৭৪২ কোটি টাকায় নেমেছে।
দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলা উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের সঞ্চয় ক্ষমতা কমেছে। গত বছর আমানত বেড়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আলোচিত সময়ে ট্রেজারি বিল এবং বন্ডের বিপরীতে ঋণ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আগের দায় শোধ করা হচ্ছে। এতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে নেমেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম, চড়া চালের বাজার

কয়েকদিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। এরমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের মুরগির দাম। তবে স্থিতিশীল রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। আর গত দুই সপ্তাহে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর কাপ্তান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিবছরই ঈদের আগে দাম বাড়ে মুরগির। ঈদুল ফিতরের আগে মুরগির দাম কিছুটা বাড়ে। এ জন্য পাইকারি বাজারে কম পরিমাণে মুরগি ছাড়ছেন খামারিরা। আর চাহিদার তুলনায় মুরগি কম আসায় দাম বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর আগে ১৯০-২০০ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল। তবে কিছুটা কমেছে সোনালি মুরগির দাম। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকা। আগের সপ্তাহে কেজিতে ১০-২০ টাকা বেশি ছিল।
এ ছাড়া দেশি মুরগি ৬৫০-৬৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।
এদিকে মুরগির দাম বাড়লেও বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা কাহহার বলেন, চাল, তেল মুরগির দাম বাড়তেই আছে। সরকারের এই বিষয়টা দেখা উচিত।
এ বছর রোজার শুরুতেই বিভিন্ন সবজিপণ্যের মধ্যে লেবু, বেগুন ও শসার দাম বেড়ে যায়। পরে দাম কিছুটা কমলেও তা এখনো চড়া রয়েছে। রোজার শুরুর দিকে আকারভেদে এক হালি লেবু ৫০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। পরে সেই দাম কিছুটা কমে ৪০-৭০ টাকা হয়। বেগুন ও শসারও একই অবস্থা। বর্তমানে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-১০০ টাকা ও হাইব্রিড শসা ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহেও একই দামে ছিল।
এ ছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ২০-২৫ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আলু ও পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই কম। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ২০-২৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে আলু ও পেঁয়াজের মৌসুম থাকায় সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। এ কারণে দাম কম।
এখনও অস্থির রয়েছে মাছের বাজার। বর্তমানে প্রতি কেজি চাষের রুই (দুই কেজি আকারের) ৩৫০-৩৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, কই ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, শিং ৪৫০ টাকা ও চিংড়ি ৬৫০-৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১২০০ টাকায়।
বাজারে এখনও চালের দাম বাড়তি। গত দুই সপ্তাহে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা দোকানে প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম ৮৫ টাকা ৮৮ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে মিনিকেট চালের মজুত কম। সরবরাহ কমায় ও ধানের দাম বাড়ায় মিনিকেট চালের দামও বেড়েছে। তবে মাঝারি ও মোটা চালের দাম বাড়েনি।