রাজনীতি
বিকেলে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও বিচারের দাবিতে আজ বিকেলে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ ও ফ্যাসিবাদের অংশীদারদের বিচার, দলের নিবন্ধন বাতিল এবং রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে শনিবার (২২ মার্চ) বিকেল ৩টায় শাহবাগ জাদুঘরের সামনে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, ঢাকা মহানগরের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে এনসিপির সব নেতাকর্মীকে সমাবেশে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হলো।
পরে মধ্যরাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আগামীকালের সমাবেশ।’
এদিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে আজ গণঅধিকার পরিষদ ঢাকাসহ সারাদেশে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি নুরুল হক নুর।
শুক্রবার (২১ মার্চ) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি এ ঘোষণা দেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
১৬ বছরে ভোট ও ২৩ বছরে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব রাখবে এনসিপি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর আর নির্বাচনে প্রার্থীর বয়স ২৩ বছর করার প্রস্তাব দেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বাংলামোটর রূপায়ণ সেন্টারে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।
তিনি বলেন, আগামীকাল (রোববার) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার সুপারিশমালা জমা দেওয়া হবে। সেখানে ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৩ বছর করার প্রস্তাব করবে এনসিপি।
সারোয়ার তুষার আরও বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর সংবিধান আর কার্যকর নেই। এনসিপি মনে করে আগামী নির্বাচন গণপরিষদ হওয়া উচিত। সংবিধান সংস্কারকাজ শেষ করে একটা নির্দিষ্ট সময় পর এই গণপরিষদই আইনসভায় রূপান্তরিত হবে।
এ সময় তিনি আওয়ামী লীগকে দেশবিরোধী শক্তি উল্লেখ করে বলেন, দলটি রাজনীতিতে ফিরলে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে।
এর আগে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ ও বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের সংস্কারবিষয়ক সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে এনসিপি। কমিটিতে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সারোয়ার তুষারকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মনিরা শারমিন, জাবেদ রাসিন, সালেহ উদ্দিন ও আরমান হোসাইন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ভোটার হয়ে ভোট দিতে ১৮ বছর হতে হয় একজনকে। আর নির্বাচনে প্রার্থী হতে ২৫ বছর পূর্ণ হতে হয়। যা এবার কমিয়ে আনার প্রস্তাব রাখতে যাচ্ছে এনসিপি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখতে হবে। কোনো মহলকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এজেন্ডা যেন সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
শনিবার (২২ মার্চ) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, সংস্কারের উদ্দেশ্য হলো জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন, জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান এবং জবাবদিহিতা ও আইনের শাসনের নিশ্চয়তা বিধান করা। সর্বোপরি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষিত করা।
সংস্কার না নির্বাচন—এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কার আগে- নির্বাচন পরে, কিংবা নির্বাচন আগে- সংস্কার পরে এ ধরনের অনাবশ্যক বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। যেহেতু সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া দুটোই একই সঙ্গে চলতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি (সংস্কার সনদ) তৈরি হতেই পারে, নির্বাচিত সরকার পরবর্তীতে যা বাস্তবায়ন করবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মূলত করণীয় হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা এবং নির্বাচিত সরকারের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করা। নির্বাচিত সরকার জনগণের কাঙ্ক্ষিত ঐকমত্যের সংস্কারসমূহ সম্পন্ন করবে। কেননা জনগণের নিকট দায়বদ্ধ এবং ন্যায়বিচার ও সুশাসন নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই গ্রহণযোগ্য সংস্কার সম্পাদন সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা ক্ষমতায় থেকে রাজনৈতিক দল গঠন প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত থাকায় জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করার নানা প্রকার লক্ষণ ও প্রমাণ ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে যা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য মোটেই সুখকর নয়।
সংস্কার কমিশন নিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক প্রেরিত স্প্রেডশিটে যে অপশন বা পছন্দগুলোর ঘরে টিক চিহ্ন দিতে বলা হয়েছে তাতে একটি বিষয় প্রতিভাত হয়েছে যে, যে বিষয়গুলো প্রস্তবাকারে আসতে পারত তা প্রস্তাব না রেখে এর পরিবর্তে হ্যাঁ, না, উত্তর দিতে বলা হয়েছে। যেমন, প্রস্তাবগুলো গণপরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন চাই কি না? হ্যাঁ অথবা না বলুন। কিন্তু প্রথমে সিদ্ধান্ত আসতে হবে যে, গণপরিষদের প্রস্তাবে আমরা একমত কি না? একইভাবে ‘গণভোট’, ‘গণপরিষদ এবং আইনসভা’ হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন চাই কি না ইত্যাদি হ্যাঁ – না বলুন।
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ উত্তর রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে নানা প্রস্তাব আর মতামত উঠে এসেছে সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের মাধ্যমে, যার মূল ভিত্তিটা রচনা করেছে বিএনপি ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের অনেক আগে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই। এক্ষণে গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহের অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাবসমূহ গৃহীত এবং বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী সংস্কার প্রস্তাবগুলোর সাংবিধানিক ও আইনি ভিত্তি প্রদানের জন্য একটি নির্বাচিত সংসদই কেবল উপযুক্ত ফোরাম।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আজ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে। বেলা ১১টায় দলটির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
জানা গেছে, দেশের চলমান রাজনীতি ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান

পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, একটি মহল বর্তমানে সংস্কার এবং নির্বাচন যেভাবে মুখোমুখি করে ফেলেছে, এটি নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস্ ক্লাবে ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবীদের সম্মানে এ ইফতারের আয়োজন করে বিএনপি।
তিনি বলেন, যারা সংস্কার শেষ করার পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করার কথা বলছেন, তাদের বলতে চাই- যেটি শেষ হয়ে যায়, সেটি সংস্কার নয়। কারণ সংস্কার কখনো শেষ হয় না। সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
তারেক রহমান বলেন, দেশের বর্তমান সংবিধান যেটিকে ইচ্ছামতো কাঁটাছেড়া করে পতিত পলাতক স্বৈরাচার তাদের দলীয় সংবিধানে পরিণত করে ফেলেছিল। বিএনপি মনে করে, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে খেতাবি কিংবা পুঁথিগত সংস্কারের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার এবং আচরণের ব্যবহারিক প্রয়োগ। জনগণের গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্যে দিয়েই কেবল সংস্কার প্রক্রিয়া টেকসই, সফল এবং কার্যকর হয়ে উঠতে পারে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গণইস্যুকে মুখ্য ইস্যু বানাতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের সংশয় ও সন্দেহের জন্ম দেওয়া হচ্ছে। আমি অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবারও বলতে চাই, সরকারের এমন কোনো পক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না, যাতে রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পায়। এমন পরিস্থিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার অর্থ সারাদেশে ঘাপটি মেরে থাকা পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া। সুতরাং সবার আগে প্রয়োজন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান। কারণ নাগরিকরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী না হলে কোনো সংস্কারই কিন্তু টেকসই হবে না।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট মাফিয়া সরকারের পতনের পর দীর্ঘ দেড় দশকে অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় গণতান্ত্রিক, মানবিক বাংলাদেশ গড়ায় এক অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে আমাদের সামনে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনীতিবিদ এবং রাজনীতি কর্মীদের পাশাপাশি বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ এবং পেশাজীবীদের দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষায় আরো কার্যকর ভূমিকা পালনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্র এবং রাজনীতির স্বার্থেই পেশাজীবীদের সর্বোচ্চ দক্ষতা অর্জনে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া অত্যন্ত জরুরি। পেশাজীবী মেধা ও অভিজ্ঞতা রাষ্ট্র উন্নয়ন পরিকল্পনায় কাজে লাগানোর সুযোগ অবশ্যই রয়েছে। বর্তমান রাজনৈতিক সাংগঠনিক কাঠামোতে পেশাজীবীদের অনেকের পক্ষেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে অবদান রাখার সুযোগ হয়তো সীমিত। সেজন্য রাষ্ট্র, সরকার ও রাজনীতির গুনগত পরিবর্তনের লক্ষে বিশিষ্টজন এবং পেশাজীবীদের মেধা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য বিএনপি সংবিধানে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছে।
তারেক রহমান বলেন, বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বিধি ব্যবস্থায় শেষ পর্যন্ত রাজনীতিবিদদের হাতেই রাষ্ট্র পরিচালনায় ভার বর্তায়। তবে রাজনীতিবিদ সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষেত্রে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, সুশীল সমাজ এবং পেশাজীবীদের ভূমিকা ও অবদান অনস্বীকার্য।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আ.লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ২ জন

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ৬টায় উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের মোহিনীপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মোহিনীপুর এলাকার খোরশেদ মিয়ার ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী আমিন মিয়া (২৮) ও আব্দুল বারিকের ছেলে বাশার মিয়া (৩০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চাঁনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি সামসু মিয়ার অনুসারীদের সঙ্গে একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুস সালামের অনুসারীদের বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে তাদের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। সর্বশেষ গত ৫ মার্চ সামসু মিয়ার লোকজন হামলা চালিয়ে গ্রামে উঠলে তাদের সামনে টিকতে না পেরে গ্রামের বাইরে অবস্থান নেন আবদুস সালাম গ্রুপের লোকজন। পরে আজ ভোরে আবদুস সালাম গ্রুপের লোকজন গ্রামে ওঠার চেষ্টা করলে বাঁধা দেন সামসু মেম্বারের লোকজন। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আবদুস সালাম গ্রুপের দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
এর আগে, গত ৫ আগস্টের আগে সামসু মেম্বার ও তার লোকজন সালাম গ্রুপের সামনে টিকতে না পেরে প্রায় দুই বছর এলাকার বাইরে ছিলেন। সংঘর্ষের পর মোহিনীপুর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহত আমিন মিয়ার বাবা খোরশেদ মিয়া বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা বাড়ি ছাড়া। আজ ভোরে ঈদ করতে গ্রামে ওঠার চেষ্টা করলে সামসু মেম্বারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। আমার ছেলের পায়ে গুলি করে মাটিতে ফেলে তারপর গলা চেপে তাকে হত্যা করা হয়।
আব্দুস সালাম বলেন, গত ছয় মাস ধরে প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে আমার অনুসারীরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছিলেন। আজ যখন তারা বাড়িতে ফিরছিলেন, তখন সামসু মেম্বারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালাযন। এতে আমার পক্ষের দুইজন নিহত হয়েছেন।
সামসু মেম্বার বলেন, আমাদের গ্রুপের তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।