ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রবন্ধ জালিয়াতি করে চাকরি স্থায়ীকরণের অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ও ভুল তথ্য দিয়ে পদোন্নতি নিয়ে চাকরি স্থায়ীকরণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি দেরিতে প্রবন্ধ প্রকাশ করেও সঠিক সময়ে প্রকাশ দেখিয়েছে।তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে পদান্নতি নিয়ে চাকরি স্থায়ী করতে সক্ষম হন। তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন একই বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বরাবর এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। অভিযোগপত্রে সঙ্গে তিনি বিভিন্ন প্রমাণাদিও যুক্ত করেছেন।
‘জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ও ভুল তথ্য দিয়ে ড. আব্দুল্লাহ আল মামুনের চাকরি স্থায়ীকরণ প্রসঙ্গে’ শীর্ষক ওই অভিযোগপত্রে জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, সম্প্রতি একটি ইমেইল এর মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে এর (প্রবন্ধ জালিয়াতি) সত্যতা জানতে পেরেছি। ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য সময়মতো লেখা প্রকাশ করতে না পেরে সংশ্লিষ্ট জার্নালের এডিটরের সঙ্গে যোগসাজশে অনৈতিক পন্থায় ভূয়া তারিখ দেখিয়ে ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লেখা প্রকাশিত হয়েছে’ এমন ভুল তথ্য দিয়ে চাকরিতে স্থায়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন। ড. মামুন জালিয়াতির মাধ্যমে তার প্রকাশনার ভূয়া তারিখ দেখিয়ে চাকরিতে স্থায়ী হন এবং তার সিনিয়রিটি ধরে রাখেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিতে স্থায়ীকরণের নিয়ম হলো- প্রার্থীর পদোন্নতির ঠিক এক বছরের মধ্যে ডিজিটাল অবজেক্ট আইডেন্টিফাইয়ার (ডিওআই) সম্বলিত জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশিত হতে হবে। উল্লেখ্য যে, জার্নালের ইস্যু, ভলিউম, মাস এখানে মুখ্য নয়। জার্নাল প্রকাশিত হতে হবে ওই নির্দিষ্ট প্রবেশন সময়ের মধ্যে। ড. মামুন ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পদোন্নতি পান এবং ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখের মধ্যে প্রকাশিত প্রবন্ধ জমা দেওয়ার কথা ছিল।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের তিনজন শিক্ষক একইদিনে সহযোগী অধ্যাপক হন এবং একই তারিখে সকলের প্রবেশন দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির নিয়ম অনুযায়ী চাকরি কনফার্মেশনের নির্দিষ্ট সময়ে যদি জ্যেষ্ঠ কেউ প্রবন্ধ প্রকাশনা করতে না পারেন এবং অন্যরা করে ফেলেন, তবে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক বাকিদের থেকে জুনিয়র হয়ে যাবেন। ড. মামুনের ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটেছে। ফলে তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তার সিনিয়রিটি অবৈধভাবে ধরে রেখেছেন।
অভিযোগপত্রে তিনি দাবি করেন, ২০২৩ সালের ২৯ মে স্থায়ীকরণ কমিটির সভা হয় এবং ড. মামুনের প্রবন্ধ বিলম্বে প্রকাশিত হওয়ায় তাকে বাকি দুইজন থেকে জুনিয়র করা হয়। এটা জেনে ড. মামুন জালিয়াতির আশ্রয় নেন এবং জার্নাল অব গভার্নেন্স, সিকিউরিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর এডিটরের যোগসাজশে একটি প্রবন্ধ প্রথমে অনলাইনে প্রকাশ করেন এবং সেখানে প্রকাশের তারিখ দেখান ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি। ওই ভুয়া তথ্য দিয়ে নতুন করে প্রবন্ধ জমা দিয়ে তিনি চাকরিতে স্থায়ী হন এবং বাকি দুইজন শিক্ষকের থেকে আবারো সিনিয়র হন।
তিনি বলেন, কিন্তু ড. মামুন জানেন না যে, ডিওআই এর জার্নালে ভুল তারিখ বসিয়ে বাঁচা যায় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ীকরণের সময় ডিওআই সম্বলিত প্রবন্ধ চাওয়া হয়, যেন কেউ প্রবন্ধ প্রকাশের তারিখ নিয়ে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন বা জালিয়াতি করতে না পারে। এখন প্রশ্ন হলো, ড. মামুনের এই প্রবন্ধ যদি ১ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখে প্রকাশিত হয়ে থাকে, তবে ২৯ মে, ২০২৩ তারিখে স্থায়ীকরণের আগে তিনি এই প্রবন্ধ জমা দিলেও কেন স্থায়ীকরণ হয় নি? কারণ তখন ঐ DOI দিয়ে অনলাইনে প্রকাশিতই হয় নি, যা Meta Data দেখলেই প্রমাণ পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, তিনি এই প্রবন্ধে রেজিস্ট্রেশন করেছেন ২০২৩ সালের ১ জুন। তাই এর আগে অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ার সুযোগ নাই। ড. মামুন ২৯ মে স্থায়ীকরণ সভায় যখন দেখলেন, প্রকাশিত প্রবন্ধ জমা দিতে পারেননি এবং জুনিয়র হয়ে গেলেন, তখন তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নিলেন। ওই প্রবন্ধের Meta Data চেক করে দেখা যায় যে, তিনি ডিওআই এর জন্য আবেদন করেছেন ২০২৩ সালের ১ জুন এবং সেদিনই তার প্রবন্ধ অনলাইনে আসে। অর্থাৎ এই লেখা অনলাইনে তার স্থায়ীকরণ শর্তানুযায়ী ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারির প্রায় সোয়া ৩ মাস পর প্রকাশিত হয়।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই জার্নালের হার্ড কপিতেও এই একই ডিওআই নাম্বার দেওয়া আছে। এর অর্থ হলো- ১ জুন ডিওআই নাম্বার পাওয়ার পরই হার্ড কপি প্রিন্ট করা হয়েছে। এর আগে ডিওআই সম্বলিত জার্নাল প্রিন্ট করা অসম্ভব, কারণ হার্ড কপির পেজ নাম্বার (৩১-৫৪) ও অনলাইন কপির পেজ নাম্বারে (১-১৯) গরমিল আছে। এর মানে হলো- উক্ত জার্নালের অনলাইন ভার্সন বা হার্ড কপি দুটোই জুন মাসের ১ তারিখ বা তারপর প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং বাকি দুইজন শিক্ষক যদি নির্দিষ্ট সময়ে লেখা প্রকাশ করে থাকেন, তবে ড. মামুন তাদের চেয়ে জুনিয়র হতে বাধ্য- এটাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা।
জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, এর একটিই ব্যাখ্যা দাঁড়ায়, ড. মামুন ব্যক্তিগতভাবে তার লেখার ডিওআই নিয়ে পরে তিনি জার্নালে জমা দিয়েছেন এবং অন্য প্রবন্ধের ডিওআই করে দিয়েছেন। একই জার্নাল এবং এর প্রোডাকশন বিভাগ ডিওআই রেজিস্ট্রেশনের কাজ করলে তার প্রবন্ধের সিরিয়াল ও পৃষ্ঠা নাম্বার ঠিক থাকত।
তিনি বলেন, এ ধরনের ভুয়া তথ্য প্রদান করে চাকরি স্থায়ীকরণ অত্যন্ত অনৈতিক কর্মকাণ্ড, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি রাখে। এই ধরনের অনৈতিক কাজ একাডেমিক ক্ষেত্রে চরম নৈতিক স্খলন। ড. মামুন নিজে এ ধরনের হীন কাজ করার পাশাপাশি আরো কিছু শিক্ষকদের ভুয়া তারিখ দিয়ে ডিওআই করিয়ে দিয়েছেন বলেও চাউর রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি, কমিটি গঠন করে যথাযথ তদন্ত করলে ড. মামুনের দুর্নীতি ও জালিয়াতির বিষয় সামনে আসবে। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত বাকি দুইজন শিক্ষকের জ্যেষ্ঠতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। অভিযোগের বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা হলেও তিনি কোন প্রত্ত্যুত্তর দেননি।
জানতে চাইলে বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. দিলরুবা শারমিন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। উনি যে উপাচার্য স্যারের কাছে আবেদন করেছেন, সে বিষয়েও আমি কিছু জানি না।
চাকরি স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে ডিন অফিসের ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান বলেন, প্রমোশনসহ সবকিছু তো ডিপার্টমেন্ট থেকেই শুরু হয়। ডিপার্টমেন্টেও একটা কমিটি আছে। ওখানেই প্রথম ডিসিশন হয় যে, কারো ক্রাইটেরিয়া পূরণ হয়েছে কিনা।
তিনি বলেন, ডিন অফিসের রোল খুবই সীমিত। যখন প্রমোশন হয়, তখন একটা বোর্ড তো বসেই। ওখানে ডিন কমিটির একজন মেম্বার। সেই হিসাবে ওনার রোল তো ওই লেভেলের থাকেই। তবে কমিটির সবার মতামতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে ডিন বলেন, আমি আপনার মাধ্যমে এটা প্রথম জানলাম। জাহাঙ্গীর আলম স্যার যদি কোনো অভিযোগ উপাচার্য স্যারের কাছে করেন, তাহলে সেটা তো আগে ডিন অফিসে যাওয়ার কথা। কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ হলে ওটা আমার লেভেলে কোনো না কোনোভাবে আসবে। আমার দেখার সুযোগ হবে, তখন আমি নিশ্চয়ই দেখব।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এবং মুখপাত্র ও উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা উভয়ের সঙ্গেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবির ১৮ হলে ফার্স্ট এইড বক্স বিতরণ করলো ছাত্রশিবির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ফার্স্ট এইড বক্স বিতরণ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
আজ বুধবার (২ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিটি হলের প্রতিনিধিদের হাতে এসব ফার্স্ট এইড বক্স তুলে দেন ঢাবি শাখা সভাপতি এস এম ফরহাদ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শাখা সেক্রেটারি মুহিউদ্দিন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান, বিজ্ঞান সম্পাদক ইকবাল হায়দারসহ শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
শাখা সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতেই ফার্স্ট এইড বক্স সরবরাহ করেছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়বদ্ধতা ও মৌলিক দায়িত্ববোধ থেকেই ছাত্রশিবির তার ছাত্রকল্যাণমূলক কাজ অব্যাহত রাখবে ইনশাআল্লাহ।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৮তম বিশেষ বিসিএসের তারিখ ঘোষণা

৪৮তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, আগামী ১৮ জুলাই (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই পরীক্ষা ওইদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
বুধবার (২ জুলাই) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার হল, আসনবিন্যাস ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা যথাসময়ে পিএসসির ওয়েবসাইট (www.bpsc.gov.bd) এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে (http://bpsc.teletalk.com.bd) প্রকাশ করা হবে।
অনুষ্ঠিতব্য এই বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে মোট তিন হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ দেওয়া হবে ২ হাজার ৭০০ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে নিয়োগ দেওয়া হবে ৩০০ জন।
এর আগে, ২০২৩ সালে ৪২তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশেষ বিসিএসের আওতায় ৩৯তম ও ৪২তম বিসিএসে নিয়োগ পেয়েছিলেন প্রায় ৯ হাজার চিকিৎসক।
৪৮তম বিশেষ বিসিএসে অংশগ্রহণের জন্য অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানের সময়সীমা ছিল ১ জুন সকাল ১০টা থেকে ২৫ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বিশেষ এই বিসিএসে লিখিত পরীক্ষা হবে মোট ৩০০ নম্বরের। এর মধ্যে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে এবং ১০০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে মৌখিক পরীক্ষার জন্য।
এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রার্থীরা দুটি ভাগে পরীক্ষা দেবেন। পেশাগত বিষয়ে থাকবে ১০০ নম্বর, আর সাধারণ বিষয়ে থাকবে বাকি ১০০ নম্বর। সাধারণ বিষয়ের নম্বর বণ্টন হলো— বাংলা ২০, ইংরেজি ২০, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ২০, গাণিতিক যুক্তি ১০ ও মানসিক দক্ষতা ১০ নম্বর।
দুই ঘণ্টায় অনুষ্ঠিত হবে এই পরীক্ষা। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর এবং ভুল উত্তরের জন্য ০ দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে। আর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে প্রার্থীকে অন্তত ৫০ নম্বর পেতে হবে।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ছাত্রীর রুমে দাওয়াত চাইলেন শিক্ষক, যৌন হয়রানিসহ নানা অভিযোগ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন, অশ্লীল মেসেজ প্রদান ও ইচ্ছাপ্রণোদিতভাবে নম্বর কমিয়ে ফেল করানোর মতো ঘটনা’সহ নানান অভিযোগ করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বিভাগের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বলেন, দ্বিতীয় বর্ষে আজিজ স্যারের টিটোরিয়ালে ভালো মার্কস পাওয়ার পর উনি ফোন দেন এবং জিজ্ঞেস করেন ‘এতোদিন আমার চোখে পড়ো নাই কেনো?’ ক্যাম্পাসে হাত ধরে হাঁটার মানুষ আছে? তারপর বলেন তোমাকে তো দেখি ক্লাসে চুপ থাকতে, তুমি কি হাসতে পারো? একটু হেসে শুনাও তো। তারপর আমাকে আরও কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন এবং আমি ফোন রেখে দিই আর তার ইফেক্ট তাঁর টিউটোরিয়ালের মার্কসে দেখতে পাই।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, ট্যুরে স্যার যাবেন কিনা শিক্ষার্থীরা জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি সাঁতার পারো? আমি উত্তর দেই, ‘পারি না’ তখন তিনি বলেন, সাঁতারই তো পারো না, কক্সবাজার যেয়ে কি হবে। একসাথে সমুদ্রে নেমে তো গোসল করতে পারবো না।
ভুক্তভোগী অপর ছাত্রী জানান, তোমার কি কোনো সেক্সুয়াল ইচ্ছে নেই? তুমি কি asexual? যেটা উনি (শিক্ষক) আমাকে বুঝিয়ে বলতে থাকেন। তোমার বাসা লাগবে? তোমার তো একরুমের বাসা হলেই হয়। শেখপাডায় অনেক ভালো বাসা আছে একরুমের। তুমি বাসা পেলে আমাকেও একদিন দাওয়াত দাও তোমার রুমে।
গত ২৩ জুন বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেন। এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরাও নানান অভিযোগ দেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কোনো শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করিনি। হয়তো আমার কথা তারা ভুলভাবে নিয়েছে। কখন কী বলছি এখন বলতে পারছি না। তবে এটি পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক মনে করছি।’
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. একে এম নাজমুল হুদা বলেন, বেশ কিছুদিন আগে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দেয়। গত ২৯ তারিখ আমরা একাডেমিক কমিটির সভায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত আপাতত তিনি বিভাগের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন। পরে তদন্ত কমিটি হবে, কখন কোন সেকশন পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা দেখে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষক আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ল্যাব ভাইভায় অপমান করা, হোয়াটসঅ্যাপে কুরুচিপূর্ণ মেসেজ প্রদান, ইচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে দেওয়া, রুমে ডেকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন নিয়ে আপত্তিকর জিজ্ঞাসা, ক্লাসে সবার সামনে আজেবাজে ইঙ্গিত করা, মানসিক নির্যাতন করা, ছাত্রীদের ভিডিও কল দেওয়া, কল না ধরলে রেজাল্ট খারাপ করানোর হুমকি, বিবাহিত ছাত্রীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, নিজের অধীনে প্রজেক্ট করতে পছন্দের ছাত্রীদের বাধ্য করা, বডি শেমিং করাসহ নানাভাবে হেনস্তার অভিযোগ করেন বিভাগটির বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা। পরে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে বিভাগের কার্যক্রম থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব আসলাম/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৪তম বিসিএসের ফল প্রকাশ, ক্যাডার হলেন ১৬৯০ জন

৪৪ তম বিসিএসে ১ হাজার ৬৯০ জনকে ক্যাডার পদে মনোনয়ন দিয়ে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন কর্তৃক গৃহীত ৪৪তম বি.সি.এস. পরীক্ষা-২০২১ এর বিভিন্ন ক্যাডারে ১,৭১০টি শূন্য পদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ১৬৯০জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য কমিশন সাময়িকভাবে মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে। যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী না পাওয়ায় কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের ২০টি পদে প্রার্থী মনোনয়ন করা সম্ভব হয়নি। মনোনয়ন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.bpsc.gov.bd) এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে (http://bpsc.teletalk.com.bd) পাওয়া যাবে।
কর্ম কমিশন জানিয়েছে, প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তিসংগত কারণে কোন সংশোধনের প্রয়োজন হলে কমিশন তা সংশোধনের অধিকার সংরক্ষণ করে। লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেও সকল প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন করা সম্ভব হয়নি। যে সকল প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন করা সম্ভব হয়নি তাদেরকে নন-ক্যাডার পদে পর্যায়ক্রমে মেধাক্রম অনুসরণ করে সুপারিশের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে পিএসসি জানিয়েছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এনআরবি ব্যাংকের আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস উদযাপন

আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস উপলক্ষে এনআরবি ব্যাংক পিএলসি’র আশুলিয়া শাখায় সম্প্রতি আয়োজিত হয় ‘এসএমই গ্রোথ পার্টনারশিপ অনুষ্ঠান’।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও তারেক রিয়াজ খান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহীন হাওলাদার, এসএমই ও কৃষি ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান এ. এম. জাহেদ এবং আশুলিয়া শাখা প্রধান মো. রুহুল আমিন উদ্দিন।
স্থানীয় উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে আয়োজনটি ছিল একটি সফল সহযোগিতামূলক উদ্যোগ।