ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রবন্ধ জালিয়াতি করে চাকরি স্থায়ীকরণের অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ও ভুল তথ্য দিয়ে পদোন্নতি নিয়ে চাকরি স্থায়ীকরণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি দেরিতে প্রবন্ধ প্রকাশ করেও সঠিক সময়ে প্রকাশ দেখিয়েছে।তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে পদান্নতি নিয়ে চাকরি স্থায়ী করতে সক্ষম হন। তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন একই বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বরাবর এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। অভিযোগপত্রে সঙ্গে তিনি বিভিন্ন প্রমাণাদিও যুক্ত করেছেন।
‘জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ও ভুল তথ্য দিয়ে ড. আব্দুল্লাহ আল মামুনের চাকরি স্থায়ীকরণ প্রসঙ্গে’ শীর্ষক ওই অভিযোগপত্রে জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, সম্প্রতি একটি ইমেইল এর মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে এর (প্রবন্ধ জালিয়াতি) সত্যতা জানতে পেরেছি। ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য সময়মতো লেখা প্রকাশ করতে না পেরে সংশ্লিষ্ট জার্নালের এডিটরের সঙ্গে যোগসাজশে অনৈতিক পন্থায় ভূয়া তারিখ দেখিয়ে ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লেখা প্রকাশিত হয়েছে’ এমন ভুল তথ্য দিয়ে চাকরিতে স্থায়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন। ড. মামুন জালিয়াতির মাধ্যমে তার প্রকাশনার ভূয়া তারিখ দেখিয়ে চাকরিতে স্থায়ী হন এবং তার সিনিয়রিটি ধরে রাখেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিতে স্থায়ীকরণের নিয়ম হলো- প্রার্থীর পদোন্নতির ঠিক এক বছরের মধ্যে ডিজিটাল অবজেক্ট আইডেন্টিফাইয়ার (ডিওআই) সম্বলিত জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশিত হতে হবে। উল্লেখ্য যে, জার্নালের ইস্যু, ভলিউম, মাস এখানে মুখ্য নয়। জার্নাল প্রকাশিত হতে হবে ওই নির্দিষ্ট প্রবেশন সময়ের মধ্যে। ড. মামুন ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পদোন্নতি পান এবং ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখের মধ্যে প্রকাশিত প্রবন্ধ জমা দেওয়ার কথা ছিল।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের তিনজন শিক্ষক একইদিনে সহযোগী অধ্যাপক হন এবং একই তারিখে সকলের প্রবেশন দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির নিয়ম অনুযায়ী চাকরি কনফার্মেশনের নির্দিষ্ট সময়ে যদি জ্যেষ্ঠ কেউ প্রবন্ধ প্রকাশনা করতে না পারেন এবং অন্যরা করে ফেলেন, তবে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক বাকিদের থেকে জুনিয়র হয়ে যাবেন। ড. মামুনের ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটেছে। ফলে তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তার সিনিয়রিটি অবৈধভাবে ধরে রেখেছেন।
অভিযোগপত্রে তিনি দাবি করেন, ২০২৩ সালের ২৯ মে স্থায়ীকরণ কমিটির সভা হয় এবং ড. মামুনের প্রবন্ধ বিলম্বে প্রকাশিত হওয়ায় তাকে বাকি দুইজন থেকে জুনিয়র করা হয়। এটা জেনে ড. মামুন জালিয়াতির আশ্রয় নেন এবং জার্নাল অব গভার্নেন্স, সিকিউরিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর এডিটরের যোগসাজশে একটি প্রবন্ধ প্রথমে অনলাইনে প্রকাশ করেন এবং সেখানে প্রকাশের তারিখ দেখান ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি। ওই ভুয়া তথ্য দিয়ে নতুন করে প্রবন্ধ জমা দিয়ে তিনি চাকরিতে স্থায়ী হন এবং বাকি দুইজন শিক্ষকের থেকে আবারো সিনিয়র হন।
তিনি বলেন, কিন্তু ড. মামুন জানেন না যে, ডিওআই এর জার্নালে ভুল তারিখ বসিয়ে বাঁচা যায় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ীকরণের সময় ডিওআই সম্বলিত প্রবন্ধ চাওয়া হয়, যেন কেউ প্রবন্ধ প্রকাশের তারিখ নিয়ে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন বা জালিয়াতি করতে না পারে। এখন প্রশ্ন হলো, ড. মামুনের এই প্রবন্ধ যদি ১ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখে প্রকাশিত হয়ে থাকে, তবে ২৯ মে, ২০২৩ তারিখে স্থায়ীকরণের আগে তিনি এই প্রবন্ধ জমা দিলেও কেন স্থায়ীকরণ হয় নি? কারণ তখন ঐ DOI দিয়ে অনলাইনে প্রকাশিতই হয় নি, যা Meta Data দেখলেই প্রমাণ পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, তিনি এই প্রবন্ধে রেজিস্ট্রেশন করেছেন ২০২৩ সালের ১ জুন। তাই এর আগে অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ার সুযোগ নাই। ড. মামুন ২৯ মে স্থায়ীকরণ সভায় যখন দেখলেন, প্রকাশিত প্রবন্ধ জমা দিতে পারেননি এবং জুনিয়র হয়ে গেলেন, তখন তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নিলেন। ওই প্রবন্ধের Meta Data চেক করে দেখা যায় যে, তিনি ডিওআই এর জন্য আবেদন করেছেন ২০২৩ সালের ১ জুন এবং সেদিনই তার প্রবন্ধ অনলাইনে আসে। অর্থাৎ এই লেখা অনলাইনে তার স্থায়ীকরণ শর্তানুযায়ী ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারির প্রায় সোয়া ৩ মাস পর প্রকাশিত হয়।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই জার্নালের হার্ড কপিতেও এই একই ডিওআই নাম্বার দেওয়া আছে। এর অর্থ হলো- ১ জুন ডিওআই নাম্বার পাওয়ার পরই হার্ড কপি প্রিন্ট করা হয়েছে। এর আগে ডিওআই সম্বলিত জার্নাল প্রিন্ট করা অসম্ভব, কারণ হার্ড কপির পেজ নাম্বার (৩১-৫৪) ও অনলাইন কপির পেজ নাম্বারে (১-১৯) গরমিল আছে। এর মানে হলো- উক্ত জার্নালের অনলাইন ভার্সন বা হার্ড কপি দুটোই জুন মাসের ১ তারিখ বা তারপর প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং বাকি দুইজন শিক্ষক যদি নির্দিষ্ট সময়ে লেখা প্রকাশ করে থাকেন, তবে ড. মামুন তাদের চেয়ে জুনিয়র হতে বাধ্য- এটাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা।
জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, এর একটিই ব্যাখ্যা দাঁড়ায়, ড. মামুন ব্যক্তিগতভাবে তার লেখার ডিওআই নিয়ে পরে তিনি জার্নালে জমা দিয়েছেন এবং অন্য প্রবন্ধের ডিওআই করে দিয়েছেন। একই জার্নাল এবং এর প্রোডাকশন বিভাগ ডিওআই রেজিস্ট্রেশনের কাজ করলে তার প্রবন্ধের সিরিয়াল ও পৃষ্ঠা নাম্বার ঠিক থাকত।
তিনি বলেন, এ ধরনের ভুয়া তথ্য প্রদান করে চাকরি স্থায়ীকরণ অত্যন্ত অনৈতিক কর্মকাণ্ড, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি রাখে। এই ধরনের অনৈতিক কাজ একাডেমিক ক্ষেত্রে চরম নৈতিক স্খলন। ড. মামুন নিজে এ ধরনের হীন কাজ করার পাশাপাশি আরো কিছু শিক্ষকদের ভুয়া তারিখ দিয়ে ডিওআই করিয়ে দিয়েছেন বলেও চাউর রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি, কমিটি গঠন করে যথাযথ তদন্ত করলে ড. মামুনের দুর্নীতি ও জালিয়াতির বিষয় সামনে আসবে। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত বাকি দুইজন শিক্ষকের জ্যেষ্ঠতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। অভিযোগের বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা হলেও তিনি কোন প্রত্ত্যুত্তর দেননি।
জানতে চাইলে বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. দিলরুবা শারমিন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। উনি যে উপাচার্য স্যারের কাছে আবেদন করেছেন, সে বিষয়েও আমি কিছু জানি না।
চাকরি স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে ডিন অফিসের ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান বলেন, প্রমোশনসহ সবকিছু তো ডিপার্টমেন্ট থেকেই শুরু হয়। ডিপার্টমেন্টেও একটা কমিটি আছে। ওখানেই প্রথম ডিসিশন হয় যে, কারো ক্রাইটেরিয়া পূরণ হয়েছে কিনা।
তিনি বলেন, ডিন অফিসের রোল খুবই সীমিত। যখন প্রমোশন হয়, তখন একটা বোর্ড তো বসেই। ওখানে ডিন কমিটির একজন মেম্বার। সেই হিসাবে ওনার রোল তো ওই লেভেলের থাকেই। তবে কমিটির সবার মতামতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে ডিন বলেন, আমি আপনার মাধ্যমে এটা প্রথম জানলাম। জাহাঙ্গীর আলম স্যার যদি কোনো অভিযোগ উপাচার্য স্যারের কাছে করেন, তাহলে সেটা তো আগে ডিন অফিসে যাওয়ার কথা। কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ হলে ওটা আমার লেভেলে কোনো না কোনোভাবে আসবে। আমার দেখার সুযোগ হবে, তখন আমি নিশ্চয়ই দেখব।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এবং মুখপাত্র ও উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা উভয়ের সঙ্গেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রশাসন ভবন অবরুদ্ধ, দাবি পূরনের আশ্বাস ইবি উপাচার্যের

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিভাগের নাম পরিবর্তন ও সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে বর্তমান একাডেমিক কমিটি বাতিলের দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আগামী সিন্ডিকেটে এ বিষয়ে বসে সমাধানের আশ্বাস ও বর্তমান পরীক্ষা কমিটি বাতিল করে সমাধান করবেন ইবি উপাচার্য এমনটা জানান ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে অন্যদিকে বিভাগের নাম পরিবর্তন না করার দাবিতে প্রশাসন ভবনের অন্য অংশে অবস্থান করতে দেখা যায় বিভাগটির অপর একাংশ শিক্ষার্থীদের।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে তালা ঝুলিয়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা অবরোধ করার পরে দুপুর দুই টার দিকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধির সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলোচনা হয়। আলোচনায় পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীরা।
বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘ ৮ মাস যাবত আমরা দাবি আদায়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। বারবার আমাদেরকে আশ্বাস দিলেও সুরাহা মিলছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে আমাদের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি উত্থাপিত হলে উপাচার্যের একটি এক্সপার্ট কমিটি গঠন করেন। সেই একডেমিক কাউন্সিল পরবর্তী সিন্ডিকেটে আমাদের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত প্রশাসন হতে আসেনি। আমরা প্রশাসনের দীর্ঘসূত্রিতা ছাড়া এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেননি। আমরা নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনোরুপ আপডেট পাইনি এবং সেই এক্সপার্ট কমিটির রিপোর্ট এর সিদ্ধান্ত আমরা পাইনি। আমাদের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে প্রশাসন ভবনে তালা দিতে বাধ্য হয়েছি। আমরা আজকে বিভাগের নাম পরিবর্তনের জন্যে গঠিত এক্সপার্ট কমিটির রিপোর্ট সাবমিট এবং নাম পরিবর্তন করে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি করার চূড়ান্ত আপডেট নিয়েই এখান থেকে অবরোধ বন্ধ করবো।
অপরদিকে বিভাগের নাম পরিবর্তন না করার দাবিতে প্রশাসন ভবনের অন্য অংশে অবস্থান গ্রহণ করে বিভাগটির অপর একাংশ শিক্ষার্থীরা। তবে বিভাগের শিক্ষকরা তাদের বুঝালে তারা অবস্থান ছেড়ে চলে যায়। তাদের দাবি হলো- বিভাগের পূর্ব নাম ছিলো এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড জিওগ্রাফি। পরে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মিলেয়ে বিভাগের নাম জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট করার দাবি জানিয়েছি। সকল চাকরিতে জিওগ্রাফির গুরুত্ব একটু বেশি। আর জিওগ্রাফি মূল সাবজেক্ট। তাই আমরা কখনো মূল সাবজেক্ট হারাতে চান না তারা।
উপাচার্যের সাথে আলোচনা করে প্রতিনিধি শিক্ষার্থীরা জানান, স্যার পরবর্তী সিন্ডিকেটে বসে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। সেটা আগামী মাসের শেষের দিকে হতে পারে। বর্তমান পরীক্ষা কমিটিটা বাতিল করে স্যার নিজে বিভাগে গিয়ে সমাধান করে দিবেন। আমরা এতে সন্তুষ্ট।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। তাদের দাবি শুনেছি। এ বিষয়ে গঠিত কমিটি আগামী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবে। সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি টিমের সাথে ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি, ইবি শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলনের যৌক্তিক দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন তারা।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বুধ-বৃহস্পতিবার সিটি কলেজ বন্ধ ঘোষণা

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় পালটাপালটি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ ও সহিংসতা এড়াতে বুধ এবং বৃহস্পতিবার ঢাকা সিটি কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৩টা ২৪ মিনিটে কলেজটির অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এফ এম মোবারক হোসাইন এ ঘোষণা দেন।
এফ এম মোবারক হোসাইন বলেন, কোনো ধরনের সংঘাতে না জড়িয়ে পুরো বিষয়টি এখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ছেড়ে দিতে হবে। সিটি কলেজের অবকাঠামোগত যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য প্রশাসনের কাছে আমরা বিচার দিয়েছি। তারাই আমাদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করবেন।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে যেন কোনো ধরনের সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য আগামীকাল এবং পরদিন কলেজ বন্ধ থাকবে। এ সময় শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পালটাপালটি ধাওয়া শুরু হয়। দুপুর একটার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। দুইটার দিকে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের দিক থেকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের সামনে এসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পারভেজ হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন

সম্প্রতি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকলের তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা। এসময় মানববন্ধনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্লাটফর্মকে বিলুপ্ত ঘোষণার জন্য সরকারকে আহ্বান জানান তারা।
আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে এ মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, আহসান হাবীব, আনারুল ইসলাম, রোকন উদ্দিন, সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, উল্লাস, রোকন, সাক্ষর, সাবিক, রিয়াজ, আলিনুর প্রমুখ।
শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব বলেন, জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে যারা হত্যা করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানতে পেরেছি হত্যাকারীরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত। বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা ২৪ শে আন্দোলনের সময় বলেছিলো জুলাই বিপ্লবে সফলতার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দাড়িয়ে সংগঠনটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হবে কিন্তু তারা বিলুপ্ত ঘোষণা না করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। জুলাই বিল্পবের পর বাংলাদেশ থেকে ছাত্রলীগ যেমন নিষিদ্ধ করা হয়েছে তেমনি এই প্লাটফর্মকে বিলুপ্ত ঘোষণা করার জন্য যা যা করণীয় সরকার যেন সে সকল ব্যবস্থা নেয়।
মানববন্ধনে ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সাহেদ আহমেদ বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামধারী কিছু কর্মী দ্বারা দিবালোকে পারভেজকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু এখনো তাদের গ্রেপ্তারের করা হয়নি। শুধু হত্যাকারীদের বিচার করলে হবে না তাদের পিছনে কারা আছে সেটাও তদন্ত করে বিচার করতে হবে।
এসময় তিনি অন্তর্বতীকালীন সরকারকে ইঙ্গিত করে আরো বলেন, আপনারা কৌশলে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করেতে চেষ্টা করছেন, স্বৈরাচারের দোসর বসুন্ধরা গ্রুপের সাথে লেনদেন করে নিজেদের দল গঠনে ব্যস্ত আছেন। অথচ এসব দোসর আগস্ট পূর্ববর্তী সময়ে খুনি হাসিনার সফর সঙ্গী হয়ে বিদেশ ভ্রমন করত। দেশে বর্তমানে দখলদারিত্বের রাজনীতি চলছে, প্রশাসন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাদের কথায় চলছে। আমরা কালক্ষেপণ না করে ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার অতিদ্রুত বিচার চায় এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন

চলমান গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে র্যালি ও মানববন্ধন করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসর, ইবি শাখা।
আজ রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে ফুলকড়ি আসরের পরিচালক আহমদ আবদুল্লাহ’র নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে একটি র্যালি বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হয়।
এসময় র্যালিতে শিশুদের হাতে প্রতীকী লাস, ফিলিস্তিনের পতাকা ও বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এছাড়া ফ্রম দা রিভার টু দা সি’ প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি, ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, ওয়ান টু থ্রি ফোর ইজরায়েল নো মোর ইত্যাদি স্লোগান দেয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হাতে ‘স্টান্ড আপ ফর গাজা’, ‘স্টপ কিলিং’, স্টপ কিলিং চিলড্রেন ইন প্যালেস্টাইন’, ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’ প্রতীকী প্লেকার্ড দেখা যায়।
মানববন্ধনে সাকসেস বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং এর পরিচালক রায়হান জামিল বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি মুসলমানেরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ, বৃটেন ও আমেরিকার ষড়যন্ত্র ও প্রতারনার শিকার। এছাড়া ১৯৪৮ সালে অবৈধ ইসরায়েলের গণহত্যার শিকার। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরায়েলের গণহত্যায় নারী ও শিশুসহ প্রায় ৫০ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি শাহাদাত হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের রক্ত নিয়ে হলি খেলায় মেতে উঠেছে। ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে তবুও তাদেরকে নগ্ন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা শক্তি সহ আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র আগ্রাসী ভারত। ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য মুসলিম হওয়ার প্রয়োজন নাই, ন্যূনতম মনুষ্যত্ববোধ থাকলেই প্রতিবাদ করা সম্ভব। কিন্তু আমরা যাদেরকে আমরা মানবতার ফেরিওয়ালা বলে থাকি তাদের মনুষ্যত্ব, মানবিকতা মৃত দেখতে পাচ্ছি।
সমাবেশে ফুলকড়ি আসরের পরিচালক আহমদ আবদুল্লাহ বলেন, ফিলিস্তিন একদিন স্বাধীন হবে যেটা মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বর্ননা করেছেন। ফিলিস্তিনের বিজয় সুনিশ্চিত, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর সহ গাজা ও রাফায় ইহুদিবাদী ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে সেটা তাদের একটি ভুল সিদ্ধান্ত, কারন মুসলমানদের বিজয় এখান থেকেই শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, মানববন্ধনে শিশুদের ফিলিস্তিনি শিশুদের লাশের প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৬তম বিসিএস নিয়ে পিএসসির নতুন বিজ্ঞপ্তি

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। রবিবার (২০ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, প্রার্থীকে পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের পর কাউকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
প্রবেশপত্রে উল্লেখিত নির্দেশনা এবং পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পরীক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথভাবে প্রতিপালনেরও অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রসঙ্গত, ৪৬তম বিসিসিএসের লিখিত পরীক্ষা (আবশিক বিষয়) আগামী ৮ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।