সারাদেশ
ভোলা-চট্টগ্রাম সরাসরি জাহাজ চালু

ভোলা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীদের জন্য চালু হলো বিলাসবহুল দুটি জাহাজ। এতে করে এই নৌরুটে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হয়ে উঠলো।
শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে ‘এমভি বার আউলিয়া’ নামে জাহাজ ছেড়ে যায়।
পথে ভোলার লালমোহন, তজুমদ্দিন ও মনপুরা ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে নোয়াখালীর হাতিয়ার ঘাট হয়ে চট্টগ্রামে যাবে এটি। বিকেল ৫টার মধ্যে চট্টগ্রামের সদরঘাটে পৌঁছবে।
অপরদিকে সকালে ৮টার দিকে চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে হাতিয়া, মনপুরা, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ‘এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ নামে আরেকটি জাহাজ।
চরফ্যাশনের বেতুয়া ঘাট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করা যাত্রী মো. মহসিন মিয়া, ফিরোজ কবীর জানান, তারা আগে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ঘাট দিয়ে ফেরি ও সি সার্ভিসে করে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী ঘাট হয়ে বাসে করে যেতেন। এতে তাদের প্রায় ১২-১৪ ঘণ্টা সময় লাগতো। এখন নৌপথে ভোলা থেকে চট্টগ্রাম যেতে মাত্র ৮ ঘণ্টা সময় লাগবে।
লালমোহন মঙ্গল শিকার থেকে চট্টগ্রামের যাত্রী মো. আহসান কবীর, রাবেয়া বেগম ও হারুন অর রশিদ বলেন, জাহাজ চালু হওয়ায় আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। আগের তুলনায় এখন খরচও কমে যাবে। আমরা চাই জাহাজগুলো যাতে নিয়মিত চলাচল করে।
তজুমদ্দিন ঘাট থেকে হাতিয়া রওনা করা যাত্রী সঞ্চয় কুমার দে, মো. সৈকত হোসেন ও লোকমান হোসেন বলেন, আমাদের ভোলা থেকে কখনই হাতিয়া যাওয়ার জন্য দিনের বেলায় নৌযান ছিল না। ঢাকা থেকে আসা লঞ্চে করে গভীর রাতে হাতিয়া যেতে হতো। তাও আবার প্রতিদিন একটাই লঞ্চ ছিল। দিনে হাতিয়া যাওয়ার কোনো মাধ্যম ছিল না। জাহাজ চালু হওয়ার আমাদের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। আমাদের এখন আর লঞ্চে করে অধিক টাকা খরচ করে হাতিয়া যেতে হবে না। খুব কম খরচে ও কম সময়ে হাতিয়া যাতায়াত করতে পারবো।
লালমোহন মঙ্গল শিকদার ঘাটের টিকিট কাউন্টার এজেন্ট মো. জমিস জনি বলেন, ভোলার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও হাতিয়ার সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না। এই প্রথম জাহাজ চালু হওয়ায় ভোলাবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। জাহাজে যাত্রীরা ইকোনোমি চেয়ারের সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা, এবং বিভিন্ন ধরনের কেবিন ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজই প্রথম চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করেছে জাহাজটি। যদিও যাত্রী কিছু কম ছিল। তবে আগামীতে বাড়বে।
এমভি বার আউলিয়া জাহাজের ক্যাপ্টেন মো. ফরিদ হোসাইন তালুকদার বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় আমরা চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে জাহাজ থেকে হাতিয়া, মনপুরা, তজুমদ্দিন, লালমোহন ঘাট হয়ে চরফ্যাশনের বেতুয়া ঘাটে এসে পৌঁছেছি বিকেল ৫টার দিকে। আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় আমরা বেতুয়া ঘাট থেকে যাত্রা শুরু করেছি। পথে ওই ঘাটগুলো হয়ে বিকেল ৫টার মধ্যেই আমরা চট্টগ্রামের সদরঘাটে যাত্রী নিয়ে পৌঁছে যাবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের জাহাজে ৮৫০ যাত্রী ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। প্রথম দিন চট্টগ্রাম থেকে বেতুয়া পর্যন্ত প্রায় শতাধিক যাত্রী পরিবহন করেছি। আজও কিছুটা বেড়েছে। আগামীতে আরও যাত্রী বাড়বে।

সারাদেশ
কুমিল্লায় একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানার কড়াইবাড়ি গ্রামে মাদক সংশ্লিষ্টতার জের ধরে নারীসহ একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে উপজেলার বাঙ্গরা থানার আকবপুর ইউনিয়নের কড়াইবাড়ি গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
এ দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঙ্গুরা বাজার থানার উপ-পরিদর্শক মো. নাহিদ জানান, এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন রুবি বেগম (৫৮), তার ছেলে রাসেল (৩৫) ও মেয়ে জোনাকি আক্তার (২৭)।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, এ তিনজন দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা তাদের পিটিয়ে হত্যা করেছেন। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। এ নিয়ে এলাকায় সামান্য উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়ন রয়েছে বলেও জানান ভাঙ্গরা বাজার থানার ওসি।
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, কড়াইবাড়ি গ্রামে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লার পুলিশ সুপার নজির আহম্মেদ খান এরই মধ্যে ঘটাস্থলে পৌঁছেছেন।
কাফি
সারাদেশ
চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি মিঠু কাজী গ্রেফতার

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আজাদ সরকার হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. মনির হোসেন মিঠু ওরফে কাজী মিঠুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১১ মাস আত্মগোপনে থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি তার।
বুধবার (২ জুলাই) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে আলোচিত এ হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড় এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মিঠুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী একই ওয়ার্ড ছাত্রদল সভাপতি আহমেদ কবির হিমেলের বাবা আজাদ সরকারকে (৬০) (৪ আগস্ট) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ১৪ আগস্ট হাজীগঞ্জ থানায় কাজী মিঠুসহ (৫২) ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন আজাদ সরকারের ছেলে ছাত্রদল নেতা হিমেল।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে গত প্রায় ১১ মাস আত্মগোপনে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মিঠু। এরইমধ্যে পুলিশ গোপন সংবাদে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়। বুধবার হাজীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. সাজ্জাদ একদল পুলিশ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আত্মগোপনে থাকা কাজী মিঠুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
সারাদেশ
সিনিয়র সাংবাদিক কামরুজ্জামান হিরুর পিতার জানাজায় ড. হেলাল

দৈনিক সংগ্রামের সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক ও বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) সদস্য একেএম কামরুজ্জামান হিরুর বাবা বিশিষ্ঠ সমাজসেবক একেএম শামসুল হকের নামাজে জানাজায় উপস্থিত থেকে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে শান্তনা এবং দোয়া করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমীর, বাংলাদেশ পাবলিকেশন্স লিমিটেড পরিচালক এবং ঢাকা ৮ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। আজ রবিবার (২৯ জুন) এশার নামাজের পর রাত সোয়া ৯টায় ফকিরাপুল বড় মসজিদে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত।
রবিবার বিকেলে রাজধানীর ফকিরাপুলের কোমরগলির নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। শামসুল হক ৩ ছেলে ২ মেয়ে এবং স্ত্রীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
বাদ মাগরিব দৈনিক সংগ্রাম কার্যালয়ে কামরুজ্জামান হিরুর বাবার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেছেন সহকর্মীরা। দোয়া অনুষ্ঠানে সংগ্রামের সম্পাদক আযম মীর শাহিদুল আহসান, বার্তা সম্পাদক সা’দাত হোসাইন, চিফ রিপোর্টার সামছুল আরেফীনসহ সংগ্রাম পরিবারের অংশগ্রহণ করেন।
জানাজার পূর্বে বক্তব্য রাখেন মরহুমের ছেলে একেএম কামরুজ্জামান হিরু। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, দৈনিক সংগ্রামের চিফ রিপোর্টার সামছুল আরেফীন, বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) সভাপতি রেজওয়ানুজ্জামান রাজিব, সাবেক সভাপতি সারোয়ার হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। জানাজা শেষে আজিমপুর গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে কামরুজ্জামান হিরুর বাবার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) ও জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (জেডব্লিউএফ)।
সারাদেশ
কবর খোঁড়া সেই মনু মিয়া মারা গেছেন

বিনা পারিশ্রমিকে ৩ হাজারের বেশি কবর খনন করা সেই মনু মিয়া মারা গেছেন। কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জয়সিদ্দি ইউনিয়নের আলগা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে দীর্ঘদিন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মনু মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়সিদ্দি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম।
কবর খুঁড়ে তিনি পার করে দিয়েছেন তার ৬৭ বছরের জীবনের সুদীর্ঘ ৪৯টি বছর। কোনো ধরনের পারিশ্রমিক কিংবা বখশিস না নিয়ে এ পর্যন্ত খনন করেছেন ৩ হাজার ৫৭টি কবর।
দূরের যাত্রায় দ্রুত পৌঁছাতে নিজের ধানী জমি বিক্রি করে বেশ কয়েক বছর আগে কিনেছেন একটি ঘোড়া। এই ঘোড়ার পিঠে তিনি তুলে নেন তার যাবতীয় হাতিয়ার-যন্ত্র। সেই ঘোড়ায় সওয়ার হয়েই শেষ ঠিকানা সাজাতে মনু মিয়া ছুটে চলতেন গ্রাম থেকে গ্রামে। তবে সে ঘোড়াটিও মারা যায় এ বছর ১৬ মে।
সারাদেশ
পশুর নদীতে ডুবে গেলো কার্গো জাহাজ

বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পশুর নদীর চরে ডুবে গেছে ফ্লাইঅ্যাশ (সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল) বোঝাই কার্গো জাহাজ। শুক্রবার (২৭ জুন) ভোর ৬টার দিকে মোংলা নদী ও পশু নদীর ত্রিমোহনা সংলগ্ন চরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ এমভি মিজান-০১ এর ড্রাইভার শওকত শেখ জানান, তাদের জাহাজটি পশুর চ্যানেলে নোঙর করা অবস্থায় ছিল। শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে এমভি কে আলম গুলশান-০২ নামক লাইটার কার্গো জাহাজ অ্যাংকর করে থাকা এমভি মিজান-০১ কার্গো জাহাজের ওপর উঠিয়ে দেয়। এ সময় লাইটার কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ওই কার্গো জাহাজটি ডুবে যায়। এতে ৯১৪ মেট্টিক টন ফ্লাইঅ্যাশ ছিল। ভারতের কলকাতার ভেন্ডেল এলাকা থেকে এ ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই করেছিল মিজান-১। ঢাকার নারায়ণগঞ্জের বসুন্ধরার ঘাটে যাওয়ার পথিমধ্যে যাত্রাবিরতিকালে মোংলা বন্দরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ড্রাইভার শওকত আরও বলেন, লাইটার জাহাজের ধাক্কায় তাদের কার্গো জাহাজের পাশ ও তলা ফেটে নদীতে ডুবে গেছে। ওই জাহাজে থাকা ১০জন স্টাফই সাঁতরিয়ে কুলে উঠে এখন নিরাপদ রয়েছেন।
এদিকে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের চরে এ নৌযান দুর্ঘটনা ঘটলেও বন্দর চ্যানেল পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছ বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ মোঃ মাকরুজ্জামান বলেন, কার্গো জাহাজ এমভি মিজান-১ অপর একটি লাইটার জাহাজ এমভি কে আলম গুলশান-০২ এর ধাক্কায় পশুর নদীর চরে ডুবে গেছে। তবে বন্দর চ্যানেল সুরক্ষিত রয়েছে। বন্দর চ্যানেল দিয়ে সব ধরনের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।