জাতীয়
বিআরটিসি বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আজ

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সারাদেশে চলাচল করা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) বাসগুলোর অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ)। ঘরমুখো মানুষের সহজ ও আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে বিআরটিসির ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ বাসগুলো যাত্রা শুরু করবে আগামী ২৫ মার্চ থেকে।
সম্প্রতি বিআরটিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অনুপম সাহা জানিয়েছেন, ঈদের সময় বিশেষ ব্যবস্থায় বাস চালানোর বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি আছে। এবার ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য ৭৭৫টি বাস প্রস্তুত করা হয়েছে। আর ঢাকার বাইরে চলাচল করবে ৪৭০টি বাস। বিআরটিসি’র মোট ১২৪৫টি গাড়ি ঈদ স্পেশাল সার্ভিস হিসেব কাজ করবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিআরটিসির অপারেশন বিভাগ জানায়, আজ ২০ মার্চ থেকে বিআরটিসির ডিপো থেকে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্তের বাসের টিকিট অগ্রিম বিক্রি করা হবে। ঢাকার মতিঝিল, জোয়ারসাহারা, কল্যাণপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, যাত্রাবাড়ি, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো (চাষাড়া) থেকে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাবে।
যে ডিপো থেকে যেসব রুটের বাস চলবে
রাজধানীর মতিঝিল বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট রুটের বাসের টিকিট।
কল্যাণপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে আরিচা, পাটুরিয়া, ভাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, বরিশাল রুটের বাসের টিকিট।
গাবতলী ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, বরিশাল, খুলনা, গোপালগঞ্জ, পাটুরিয়া, বগুড়া রুটের বাসের টিকিট।
জোয়ারসাহারা বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নওগাঁ, বরিশাল, বগুড়া, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল রুটের বাসের টিকিট।
মিরপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, মাওয়া, পাটুরিয়া, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গোপালগঞ্জ, ভাটিয়াপাড়া, ময়মনসিংহ রুটের বাসের টিকিট।
মোহাম্মদপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, বগুড়া, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, পাটুরিয়া, বরিশাল, গোপালগঞ্জ রুটের বাসের টিকিট।
গাজীপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে ময়মনসিংহ, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, খুলনা, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম রুটের বাসের টিকিট।
যাত্রাবাড়ি বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, ভাঙ্গা, ফরিদপুর, বরিশাল রুটের বাসের টিকিট।
নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, কুষ্টিয়া, জামালপুর, নওয়াগাঁ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজশাহী, ভাঙ্গা, নেত্রকোনা রুটের বাসের টিকিট।
নরসিংদী বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে স্বরূপকাঠী, রংপুর, নওগাঁ, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, বগুড়া রুটের বাসের টিকিট।
কুমিল্লা বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে সিলেট, সুনামগঞ্জ রুটের বাসের টিকিট।
সিলেট বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে ময়মনসিংহ, রংপুর, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম রুটের বাসের টিকিট।
দিনাজপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে ঢাকা-দিনাজপুর রুটের বাসের টিকিট।
সোনাপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে চট্টগ্রাম রুটের বাসের টিকিট।
বগুড়া বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে যশোর, রংপুর, বরিশাল রুটের বাসের টিকিট।
রংপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে পঞ্চগড়, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা রুটের বাসের টিকিট।
খুলনা বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, কিশোরগঞ্জ, ঢাকা রুটের বাসের টিকিট।
পাবনা বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে গাজীপুর, কুষ্টিয়া, ঢাকা রুটের বাসের টিকিট।
ময়মনসিংহ বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে গাইবান্ধা (সুন্দরগঞ্জ), ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, শেরপুর, ঘাটাইল, সিলেট, ঢাকা রুটের বাসের টিকিট।
চট্টগ্রাম বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, সিলেট, ভোলা রুটের বাসের টিকিট।
টুঙ্গীপাড়া বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে ঢাকা, চিলমারী, পাটগাতী রুটের বাসের টিকিট।
রিশাল বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে ঢাকা, রংপুর, কুয়াকাটা রুটের বাসের টিকিট।
বাস রিজার্ভ করতে চাইলে যোগাযোগ করতে হবে ম্যানেজার (অপা.) যথাক্রমে মতিঝিল বাস ডিপো— ০১৯১৬৭২১০৪৪, কল্যাণপুর বাস ডিপো— ০১৭১৫৬৫২৬৮৩, গাবতলী বাস ডিপো— ০১৭১২২৮১১২১, জোয়ারসাহারা বাস ডিপো— ০১৭১৪২৪০৬৫৩, মিরপুর বাস ডিপো— ০১৭৪০০৯৮৮৮৮, মোহাম্মদপুর বাস ডিপো— ০১৭১০৮১৫৮৫৬, গাজীপুর বাস ডিপো— ০১৫৫৩৩৪৯৫৬৭, যাত্রাবাড়ি বাস ডিপো— ০১৭৩৪১৫৫৩৮৪, নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো— ০১৭৩৬৯৮৪৯৩৫, কুমিল্লা বাস ডিপো— ০১৭১৭৭৬৩৮২০, নরসিংদী বাস ডিপো— ০১৭২৯৩৩৯৫১৯, দিনাজপুর বাস ডিপো— ০১৫৫২৪৪২৫৬৬, সোনাপুর বাস ডিপো— ০১৭৩৭৭২২৮৮২, বগুড়া বাস ডিপো— ০১৯১৩৭৪১২৩৪, রংপুর বাস ডিপো— ০১৭১২৩৮২১৪৪, খুলনা বাস ডিপো— ০১৭১১৭০৮০৮৯, পাবনা বাস ডিপো— ০১৯১৯৪৬৫২৬৬, ময়মনসিংহ বাস ডিপো— ০১৭৫৮৮৮০০১১, চট্টগ্রাম বাস ডিপো— ০১৭৯৮১৩১৩১৩, টুঙ্গীপাড়া বাস ডিপো— ০১৭১২৯০৪১২০, বরিশাল বাস ডিপো— ০১৭১১৯৯৮৬৪২ এবং সিলেট বাস ডিপো— ০১৭১৯৪০৯৪০৮ নম্বরে। সার্বিক যোগাযোগের জন্য কল করতে পারেন বিআরটিসি কন্ট্রোল রুম— ০২৪১০৫৩০৪২ নম্বরে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ

আজ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। দীর্ঘ ২৯ দিন সিয়াম সাধনার পর সোমবার সারাদেশের মুসলমানরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।
রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পরই ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় নিশ্চিত করা হয় যে, সোমবার সারাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে।
ঈদ জামাতের আয়োজন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল হলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে:
সকাল ৭টা, সকাল ৮টা, সকাল ৯টা, সকাল ১০টা, সকাল পৌনে ১১টা
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
নিরাপত্তা ও অন্যান্য ব্যবস্থা ঢাকা মহানগরীতে এক হাজার ৭৩৯টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদগাহ মাঠ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, সোয়াট ও বোম্ব স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঈদগাহ এলাকায় নজরদারি করা হবে।
সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বিনামূল্যে বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতাল, বৃদ্ধনিবাস, কারাগার ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। এখানে প্রায় তিন লাখেরও বেশি মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করবেন। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঈদের আনন্দ ঈদের দিন সরকারি ও বেসরকারি ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করেছে।
শুভেচ্ছা বার্তা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন এবং মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেছেন।
সকলের জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতর আনন্দময় হোক। ঈদ মোবারক!
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মিয়ানমারে ত্রাণ পাঠালো বাংলাদেশ

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে অবস্থিত মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়তেই ১৫ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসে পড়া ঘরবাড়ির নিচে চাপা পড়া মানুষের খোঁজে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে অনেক জায়গায়।
এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১ হাজার ৬৪৪ জন নিহত এবং ৩ হাজার ৪০৮ জন আহত হয়েছে। দরিদ্র ও যুদ্ধকবলিত দেশটির সামরিক শাসকরা শনিবার কয়েক শ বিদেশি উদ্ধারকর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন।
এ অবস্থায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে জরুরি ভিত্তিতে মিয়ানমারে ১৬ দশমিক ৫ টন ওষুধ, তাঁবু ও ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্ল্যানিং) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আলিমুল আমীন।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্পের ফলে খাদ্য, পানি ও বাসস্থান সংকট এবং জরুরি চিকিৎসার অভাবে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের এই মানবিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত মর্মাহত।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণসামগ্রী হিসেবে ওষুধ, তাঁবু, শুকনা খাবার এবং উদ্ধার ও চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা সহায়তা দল প্রেরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুটি পরিবহন বিমান জরুরি এসব ত্রাণসামগ্রীসহ মিয়ানমারের ইয়াংগুনের উদ্দেশে রওনা দেয়।
উল্লেখ্য, আজ যে ত্রাণসামগ্রী মিয়ানমারে পাঠানো হচ্ছে তা পরিকল্পিত ত্রাণ সহায়তার একটি অংশমাত্র। পরবর্তীতে, মিয়ানমার সরকারের অনুমতি প্রাপ্তি সাপেক্ষে আরও ত্রাণসহায়তা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দল পাঠানো হবে।
উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ২৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে ১০ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এ ছাড়া চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ১০ সদস্য এবং অসামরিক চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ১১ সদস্যের দুটি মেডিকেল টিমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকায় কখন কোথায় ঈদের জামাত

বাংলাদেশের আকাশে আজ রবিবার সন্ধ্যায় পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল সোমবার সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এক মাস সিয়াম সাধনার পর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
এবারও রাজধানীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান জামাতে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম হিসেবে এ জামাতে দায়িত্ব পালন করবেন। ক্বারি হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। প্রধান ঈদ জামাতের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠ। সেখানে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। আবহাওয়া প্রতিকূল হলে বা অন্য কোনো কারণে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
মসজিদটিতে এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, এর এক ঘণ্টা পর পর তিনটি জামাত এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত
প্রথম জামাত: সকাল ৭টায়
সকাল ৭টায় প্রথম ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
দ্বিতীয় জামাত: সকাল ৮টায়
সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাতে ইমাম থাকবেন সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন প্রধান খাদেম মো. নাসিরউল্লাহ।
তৃতীয় জামাত: সকাল ৯টায়
সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতে ইমাম থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. মাওলানা মুফতি ওয়ালিউর রহমান খান। মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. আব্দুল হাদী।
চতুর্থ জামাত: সকাল ১০টায়
সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমাম থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের সম্পাদক ড. মুশতাক আহমদ। মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. আলাউদ্দীন।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত: সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে
সকাল পৌনে ১১টায় পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মো. আব্দুল্লাহ। মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. রুহুল আমিন।
এদিকে, প্রতিবছর দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের আয়োজন হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠে। এবার সেখানে হবে ঈদুল ফিতরের ১৯৮তম জামাত। সকাল ১০টায় এ জামাতে ইমামতি করবেন বড় বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল খায়ের মো. সাইফুল্লাহ।
ঢাকায় যেসব স্থানে ঈদে জামাত হবে
এবার ঢাকার ১ হাজার ৪৩৫টি মসজিদ ও ১৮৯টি ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সে অনুযায়ী নিরাপত্তাব্যবস্থা সাজিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার বাসিন্দাদের ঈদের জামাতের জন্য এবার প্রস্তুত করা হয়েছে আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ। সেখানে ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে একসঙ্গে ১০ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামি’আয় পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদের সিনিয়র ইমাম খতিব হাফেজ মাওলানা নাজীর মাহমুদ এবং দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদের সিনিয়র মোয়াজ্জিন এম এ জলিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় জমিয়তে আহলে হাদিসের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন বংশাল বড় জামে মসজিদের খতিব এবং বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের সেক্রেটারি জেনারেল শায়খ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী।
এছাড়া সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদ ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল লন মসজিদ এবং ঢাবির আবাসিক এলাকার বায়তুন নূর জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদ জামাত হবে।
সকাল সোয়া ৭টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে খেলার মাঠের পরিবর্তে নামাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে প্রথম জামাত বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত বকসি বাজার বায়তুস সালাম মসজিদে সকাল ৮টায় এবং আজাদ আবাসিক এলাকা মসজিদে সকাল ৮টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ঈদ জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। এ ছাড়া মগবাজারের বিটিসিএল (সাবেক টিঅ্যান্ডটি) কলোনির জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এ জামাত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এছাড়া গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদে সকাল সাড়ে ৬টা, সাড়ে ৭টা ও ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। লালবাগ শাহী মসজিদে সকাল ৮টা ও ৯টায় ঈদের দুটি জামাত হবে। পুরান ঢাকার তারা মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ও ৯টায় হবে ঈদের জামাত। সোবহানবাগ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় হবে ঈদ জামাত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বঙ্গভবনে ঈদের নামাজ পড়বেন রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে জাতীয় ঈদগাহ আসবেন না। তিনি বঙ্গভবনে ঈদের নামাজ পড়বেন।
রবিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত তুলে ধরার সময় ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।
দেশের আকাশে রবিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সোমবার (৩১ মার্চ) মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। রাষ্ট্রপতি সাধারণত জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত আদায় করে থাকেন। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি বাইরের কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন না।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা কোথায় ঈদের নামাজ পড়বেন- জানতে চাইলে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়বেন। রাষ্ট্রপতি ঈদের নামাজ পড়বেন বঙ্গভবনে।
উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আকাশে যদি মেঘ দেখা দেয় বা কোন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়, তবে প্রধান জামাত সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররমে হবে। ইতোমধ্যে সমস্ত প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। আমরা ইনশাআল্লাহ আগামীকালকে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করব।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে। এ বিষয়ে আপনারা কোন হস্তক্ষেপ করবেন কি না- জানতে চাইলে খালিদ হোসেন বলেন, ‘না, এই ব্যাপারে আমরা কোন সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখি, চাঁদ দেখে ঈদ করি।’
তিনি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করার বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। বিতর্কে হাত দিতে চাচ্ছি না। শুধু চাঁদ দেখা নয়, এখানেই বিতর্ক তৈরি হবে সেটি আমরা সযত্নে পরিহার করতে চাই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার ঈদ

দেশের আকাশে হিজরি শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসেবে আগামীকাল সোমবার (৩১ মার্চ) থেকে পবিত্র শাওয়াল মাস গণনা করা হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
রবিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব চত্বরে আয়োজিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ রোববার ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে সৌদি, ফিলিস্তিন ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন ও কুয়েতসহ ১১টি মুসলিম দেশ। এসব দেশে শনিবার সন্ধ্যায় শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে।