Connect with us

আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ক্ষুব্ধ জাতিসংঘ মহাসচিব

Published

on

করোনা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রাণঘাতী বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে চালানো এই হামলায় গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়।

এ ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় ইসরায়েলের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ক্ষুব্ধও হন মহাসচিব। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আমি ক্ষুব্ধ।

তিনি যুদ্ধবিরতি মেনে চলা, নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং আটক থাকা অবশিষ্ট বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জন্য জোরালোভাবে আহ্বান জানান।

বুধবার (১৯ মার্চ) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গুতেরেসের এই বক্তব্যে তিনি ইসরায়েলের হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও মানবিক সংস্থাগুলো গাজায় ইসরায়েলের নতুন করে বোমাবর্ষণের নিন্দা জানিয়েছে।

গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র নিন্দা ও হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হচ্ছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক

ক্রিকেটার সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা, ১৫ বাংলাদেশি আটক

Published

on

করোনা

টুর্নামেন্টের ভুয়া কাগজ দেখিয়ে ও ক্রিকেটার সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টাকালে ১৫ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম মালয় মালি মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, গতকাল কুয়ালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে।

মালয়েশিয়ার বর্ডার কন্ট্রোল ও প্রটেকশন এজেন্সি (একেপিএস) জানিয়েছে, ১৫ সদস্যের এ দলটি প্রতারণা করতে ক্রিকেটের জার্সি পরে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়। এছাড়া তারা টুর্নামেন্ট আয়োজকদের একটি কাগজও উপস্থাপন করে। যেটিতে বলা হয়েছে, পেনাং ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের টুর্নামেন্টে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় এসেছেন তারা। তবে বর্ডার কন্ট্রোলের কর্মকর্তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে পান এই কাগজটি আসলে ভুয়া। কাগজটিতে বলা আছে ২১ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত এ টুর্নামেন্টটি হবে। তবে ওই সময় কোনো ম্যাচই নেই।

বর্ডার কন্ট্রোলের কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, এই কথিত ক্রিকেটাররা একজন স্পন্সরকে তাদের গ্যারান্টর হিসেবে পাওয়ার চেস্টা করছিল। কিন্তু ওই স্পন্সর জানান, তিনি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সম্পর্কে কিছু জানেন না এবং তিনি কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন।

পরবর্তীতে আরও তদন্ত করা হয়। এরপর স্পষ্ট হয় এই বাংলাদেশিরা আসলে কোনো ক্রিকেটারই নয়। তারা আসলে একটি সিন্ডিকেটের অংশ যারা ক্রিকেটার সেজে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করছিল।

এরপর তাদের মালয়েশিয়ায় আর প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এখন তাদের বিরুদ্ধে দেশের আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বর্ডার কন্ট্রোল জানিয়েছে, যে বা যারা খেলোয়াড় ভিসা নিয়ে সেটির অপব্যবহার করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

অর্থনীতি চাঙ্গা করতে চীনের নতুন পদক্ষেপ

Published

on

করোনা

চীনের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। গত ১৬ মার্চ প্রকাশিত একটি ‘বিশেষ কর্মপরিকল্পনা’র মাধ্যমে ভোগব্যয় বাড়ানোর বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বহুতল ভবনে অতিরিক্ত লিফট স্থাপন, শিশুদের চিকিৎসা ক্লিনিকের সময়সীমা বাড়ানো এবং ক্যাম্পিংয়ের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করাসহ নানা পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এই পরিকল্পনাটি বেশ প্রত্যাশিত ছিল। এর প্রকাশের সম্ভাবনার খবরেই গত ১৪ মার্চ চীনের প্রধান শেয়ারবাজার সূচক ২ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়।

অর্থনীতিবিদদের মতে, চীন যদি সরকার ঘোষিত পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন করতে চায়, তবে মোট প্রবৃদ্ধির ৬০ শতাংশের বেশি আসতে হবে ভোগব্যয় থেকে। ২০২৪ সালে এই খাতের অবদান ছিল ৪৫ শতাংশের কম।

ভোক্তাদের মনোভাব ও ব্যয় প্রবণতা
ভোক্তারা বছরটি কিছুটা ইতিবাচকভাবে শুরু করেছেন। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে খুচরা বিক্রি আগের বছরের তুলনায় চার শতাংশ বেড়েছে, যদিও এটি এখনো মহামারির আগের ধারা থেকে অনেক পিছিয়ে। বসন্ত উৎসবের আট দিনে ১৮ কোটি ৭০ লাখ মানুষ সিনেমা দেখেছে, যেখানে মূল আকর্ষণ ছিল অ্যানিমেটেড ছবি ‘নে ঝা ২’।

তবে চীনা পরিবারগুলোর আত্মবিশ্বাস এখনো পুরোপুরি ফিরে আসেনি। কঠোর কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের পর তারা এখনো তুলনামূলক বেশি সঞ্চয় করছে। অধিকাংশ সঞ্চয় ব্যাংক জমা ও আর্থিক সম্পদে বিনিয়োগ করা হচ্ছে, নতুন বাড়ি কেনার পরিবর্তে। এই প্রবণতা ভোগব্যয় কমিয়ে দিচ্ছে এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থবিরতা তৈরি করছে।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং গত ৫ মার্চ পার্লামেন্টে দেওয়া বার্ষিক ভাষণে ‘জোরালোভাবে ভোগব্যয় বৃদ্ধি’কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

সরকার পুরোনো গাড়ি, গৃহস্থালি সামগ্রী ও গ্যাজেট বদলে নতুন কেনার জন্য ভর্তুকি দ্বিগুণ করেছে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যবিমার জন্য সরকারি সহায়তা বাড়ানো এবং গ্রাম ও শহরের কর্মহীনদের মাসিক পেনশন ১২৩ ইউয়ান থেকে ১৪৩ ইউয়ানে উন্নীত করা হয়েছে। তবে দুই শতাংশ জিডিপির সমান এই অর্থনৈতিক উদ্দীপনা প্রত্যাশিত মাত্রার চেয়ে কম।

কীভাবে বাড়বে ভোগব্যয়?
সরকার তিনটি প্রধান উপায়ে ব্যয় বাড়ানোর চেষ্টা করবে—

১. আয় বৃদ্ধি: ন্যূনতম মজুরি বাড়ানো, কর্মসংস্থানমূলক কর্মসূচি সম্প্রসারণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি।
২. সঞ্চয়ের প্রবণতা কমানো: ভোক্তা ঋণে ভর্তুকি প্রদান, শেয়ারবাজার ও আবাসন খাত স্থিতিশীল করার প্রতিশ্রুতি।
৩. আয়ের পুনর্বণ্টন: নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের হাতে বেশি অর্থ সরবরাহ করা, যারা তুলনামূলকভাবে বেশি ব্যয় করে।

এছাড়া, কর্মীদের অবকাশকালীন ছুটি নেওয়ার নিয়ম কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা বেশি সময় ভোগ করতে পারে।

সফলতা কতটা সম্ভব?
এই পরিকল্পনায় কিছু উদ্ভট ও অস্পষ্ট বিষয়ও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ভোগব্যয় কীভাবে বাড়বে তা স্পষ্ট করা হয়নি। শিল্পীদের জন্য একক অনুমোদন ব্যবস্থা চালু করলেও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া অনিশ্চিত।

এছাড়া, ড্রোন শিল্প, প্রবীণদের অর্থনীতি ও শীতকালীন ক্রীড়া খাত নিয়ে সরকার আগেও পরিকল্পনা করেছিল, যা নতুন পরিকল্পনাতে পুনরাবৃত্তি হয়েছে। কিন্তু যথাযথ সরকারি ব্যয় বরাদ্দ ছাড়া এই পরিকল্পনাগুলো সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে উৎপাদন অনেক বেশি। কিন্তু ভোগব্যয় বাড়ানোর প্রচেষ্টাগুলো বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। নতুন এই ৩০ দফা পরিকল্পনা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ভারতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নামাজ পড়ায় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

Published

on

করোনা

ভারতে নামাজ পড়ার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা জায়গায় নামাজ পড়েছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারও করেছে।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দেশটির উত্তর প্রদেশের মিরাটে। রবিবার (১৬ মার্চ) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর প্রদেশের মিরাটে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা জায়গায় নামাজ পড়ার অভিযোগে পুলিশ এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে বলে রোববার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম খালিদ প্রধান। হোলি উদযাপন ঘিরে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে স্থানীয় হিন্দু গোষ্ঠীগুলোর বিক্ষোভের পর খালিদ প্রধান (খালিদ মেওয়াতি)-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় একদল ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নামাজ পড়ছে।

এনডিটিভি বলছে, এই ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খালিদ প্রধান এবং তিনজন নিরাপত্তা কর্মীকে বরখাস্ত করেছে এবং ভিডিওটি আপলোডকারী খালিদ প্রধানের বিরুদ্ধে পুলিশি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

রবিবার সার্কেল অফিসার সদর দেহাত শিব প্রতাপ সিং বার্তাসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, আইআইএমটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নামাজ পড়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছিল। এরপর খালিদ প্রধানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার গঙ্গানগর থানার এসএইচও অনুপ সিং বলেন, কার্তিক হিন্দু নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) ধারা ২৯৯ (ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননা করে যেকোনও শ্রেণীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত এবং বিদ্বেষপূর্ণ কাজ) এবং তথ্য প্রযুক্তি (সংশোধন) আইন, ২০০৮ এর প্রাসঙ্গিক বিধান অনুসারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে আইআইএমটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র সুনীল শর্মা দাবি করেন, খোলা জায়গায় নামাজ পড়া হয়েছে এবং ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার’ সেই নামাজের ভিডিও আপলোড করা হয়েছে বলে অভ্যন্তরীণ তদন্তে দেখা গেছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

সৌদিতে এক সপ্তাহে ২৩ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

Published

on

করোনা

আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সৌদি আরবে ২৩ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

রবিবার সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজ।

এতে বলা হয়েছে, গত ৬ মার্চ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে ২৩ হাজার ৮৬৫ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবাসন আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় ১৬ হাজার ৬৪৪ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনে ৩ হাজার ৮৯৬ জন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৩ হাজার ৩২৫ জন রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারি সংস্থা যৌথ অভিযান চালিয়ে এই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে।

এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার সময় এক হাজার ৪৩২ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ইথিওপিয়ান ৬৭ শতাংশ, ইয়েমেনি ২৯ শতাংশ এবং অন্যান্য দেশের ৪ শতাংশ নাগরিক রয়েছেন।

একই সময়ে অবৈধ উপায়ে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টা করায় আরও ৯৭ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি আবাসন ও কর্মবিধি লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন এবং আশ্রয় দেওয়ায় সৌদিতে বসবাসরত ১৩ ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বর্তমানে দেশটিতে ৩৯ হাজার ৯৭৬ জন প্রবাসীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৬ হাজার ৩০৭ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৩০৭ জন নারী। গ্রেপ্তারকৃত প্রবাসীদের মধ্যে ৩২ হাজার ৮২৫ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে।

পাশাপাশি আরও ২ হাজার ৩১১ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১০ হাজার ৩৩১ জনকে ইতোমধ্যে সৌদি আরব থেকে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।

মরু অঞ্চলের দেশ সৌদি আরবে বর্তমানে প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের বসবাস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের আটকের খবর প্রকাশ করছে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড যুক্তরাষ্ট্র, নিহত অন্তত ৩৩

Published

on

করোনা

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী টর্নেডো ও ভয়াবহ ঝড়ে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বংসী এই ঝড়ে মিসৌরিতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে, যেখানে ১২ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

মিসৌরি ছাড়াও কানসাসে আটজন, আরকানসাসে তিনজন, মিসিসিপিতে ছয়জন, টেক্সাসে তিনজন এবং ওকলাহোমায় একজনের প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর এক টর্নেডো ও ঝড় আঘাত হানে।

মিসৌরিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতভর তাণ্ডব চালায় একাধিক টর্নেডো, এতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। আরকানসাসে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।

গভর্নর সারা হাকাবি স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, জরুরি উদ্ধারকর্মীরা মাঠে নেমেছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। টেক্সাসেও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

অ্যামারিলো এলাকায় ধূলিঝড়ের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দুর্যোগের কেবল শুরু।

সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরো টর্নেডোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে লুইসিয়ানা, মিসিসিপি, আলাবামা ও জর্জিয়ায় আঘাত হানতে পারে। একই সঙ্গে, উত্তরাঞ্চলে তুষারঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বাতাসের গতিবেগ কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ১০০ মাইল ছাড়িয়ে যেতে পারে। ওকলাহোমায় এতটাই শক্তিশালী বাতাস বইছে যে একাধিক ট্রাক উল্টে গেছে। প্রবল ঝড়ের পাশাপাশি, টেক্সাস, কানসাস, মিসৌরি ও নিউ মেক্সিকোতে দাবানলের ঝুঁকিও বেড়েছে।

এদিকে দুই লাখের বেশি বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জর্জিয়া ও আরকানসাসে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

করোনা করোনা
পুঁজিবাজার30 minutes ago

করোনার ভ্যাকসিন ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান বেক্সিমকো ফার্মার

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (বেক্সিমকো ফার্মা) বিরুদ্ধে করোনার ভ্যাকসিন কেনাকাটায় দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তা প্রত্যাখ্যান...

করোনা করোনা
পুঁজিবাজার48 minutes ago

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা...

করোনা করোনা
পুঁজিবাজার6 hours ago

ব্লকে ২৬ কোটি টাকার লেনদেন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ২৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর...

করোনা করোনা
পুঁজিবাজার6 hours ago

লভ্যাংশ পাঠিয়েছে দুই কোম্পানি

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি সমাপ্ত অর্থবছরের ঘোষিত নগদ ও বোনাস লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রেরণ করেছে।...

করোনা করোনা
পুঁজিবাজার6 hours ago

শেয়ার বিক্রয় করবে লাফার্জহোলসিমের কর্পোরেট উদ্যোক্তা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসির এক কর্পোরেট উদ্যোক্তা শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছে। ডিএসই...

করোনা করোনা
পুঁজিবাজার7 hours ago

বন্ড মার্কেটকে ডেভেলপমেন্ট স্টেজে নিয়ে আসতে চাই: ফারজানা লালারুখ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বন্ড মার্কেট ছাড়া বৈচিত্রপূর্ণ পুঁজিবাজার সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের...

করোনা করোনা
পুঁজিবাজার7 hours ago

তাল্লু স্পিনিংয়ের সর্বোচ্চ দরপতন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫টি কোম্পানির...

Advertisement
Advertisement

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়া

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
করোনা
জাতীয়7 minutes ago

ঈদে ঢাকাবাসীদের জন্য ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা

করোনা
পুঁজিবাজার30 minutes ago

করোনার ভ্যাকসিন ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান বেক্সিমকো ফার্মার

করোনা
পুঁজিবাজার48 minutes ago

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

করোনা
রাজনীতি1 hour ago

মানুষের কল্যাণে আইনজীবীদের কাজ করতে হবে: জামায়াত আমির

করোনা
অর্থনীতি1 hour ago

আগামী বাজেটের আকার বেশি বড় হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

করোনা
অর্থনীতি2 hours ago

সরকারের হস্তক্ষেপে বিমানের টিকিটের দাম কমেছে ৭৫ শতাংশ

করোনা
জাতীয়2 hours ago

গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানাল বাংলাদেশ

করোনা
রাজনীতি2 hours ago

ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচিত হবে: তারেক রহমান

করোনা
আইন-আদালত2 hours ago

ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হাইকোর্টে স্থগিত

করোনা
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার3 hours ago

এসএসসির নতুন রুটিন প্রকাশ, পেছালো গণিত পরীক্ষা

করোনা
জাতীয়7 minutes ago

ঈদে ঢাকাবাসীদের জন্য ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা

করোনা
পুঁজিবাজার30 minutes ago

করোনার ভ্যাকসিন ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান বেক্সিমকো ফার্মার

করোনা
পুঁজিবাজার48 minutes ago

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

করোনা
রাজনীতি1 hour ago

মানুষের কল্যাণে আইনজীবীদের কাজ করতে হবে: জামায়াত আমির

করোনা
অর্থনীতি1 hour ago

আগামী বাজেটের আকার বেশি বড় হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

করোনা
অর্থনীতি2 hours ago

সরকারের হস্তক্ষেপে বিমানের টিকিটের দাম কমেছে ৭৫ শতাংশ

করোনা
জাতীয়2 hours ago

গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানাল বাংলাদেশ

করোনা
রাজনীতি2 hours ago

ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচিত হবে: তারেক রহমান

করোনা
আইন-আদালত2 hours ago

ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হাইকোর্টে স্থগিত

করোনা
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার3 hours ago

এসএসসির নতুন রুটিন প্রকাশ, পেছালো গণিত পরীক্ষা

করোনা
জাতীয়7 minutes ago

ঈদে ঢাকাবাসীদের জন্য ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা

করোনা
পুঁজিবাজার30 minutes ago

করোনার ভ্যাকসিন ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান বেক্সিমকো ফার্মার

করোনা
পুঁজিবাজার48 minutes ago

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

করোনা
রাজনীতি1 hour ago

মানুষের কল্যাণে আইনজীবীদের কাজ করতে হবে: জামায়াত আমির

করোনা
অর্থনীতি1 hour ago

আগামী বাজেটের আকার বেশি বড় হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

করোনা
অর্থনীতি2 hours ago

সরকারের হস্তক্ষেপে বিমানের টিকিটের দাম কমেছে ৭৫ শতাংশ

করোনা
জাতীয়2 hours ago

গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানাল বাংলাদেশ

করোনা
রাজনীতি2 hours ago

ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচিত হবে: তারেক রহমান

করোনা
আইন-আদালত2 hours ago

ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হাইকোর্টে স্থগিত

করোনা
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার3 hours ago

এসএসসির নতুন রুটিন প্রকাশ, পেছালো গণিত পরীক্ষা