জাতীয়
তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য গুরুতর: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং ইসলামিক খিলাফতকে কেন্দ্র করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড যে মন্তব্য করেছেন সেটি ‘গুরুতর’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যে প্রতিক্রিয়া (তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্যের) জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান ওটাই। ওনার (তুলসী গ্যাবার্ড) বক্তব্য গুরুতর।
সোমবার (১৭ মার্চ) নয়াদিল্লিতে এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুলসী গ্যাবার্ড বলেছেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ক্যাথলিক ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে চলমান দুর্ভাগ্যজনক নিপীড়ন, হত্যা ও অন্যান্য নির্যাতন যুক্তরাষ্ট্র সরকার, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের উদ্বেগের একটি প্রধান ক্ষেত্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আলোচনা মাত্র শুরু হচ্ছে, কিন্তু এটি উদ্বেগের মূল জায়গার একটি হয়ে রয়েছে।
সোমবার রাতেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এক বিবৃতিতে সরকার বলেছে, আমরা গভীর উদ্বেগ ও হতাশার সঙ্গে তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য লক্ষ্য করেছি, যেখানে তিনি বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন ও হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বলেছেন, ইসলামপন্থি সন্ত্রাসীদের হুমকি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বৈশ্বিক তৎপরতা একই আদর্শ ও লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত হয়। সেই আদর্শ ও লক্ষ্য হলো ইসলামপন্থি খিলাফতের মাধ্যমে শাসন করা।
তুলসী গ্যাবার্ডের এই মন্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলাম চর্চার জন্য সুপরিচিত এবং চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে করা পশ্নে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নবনিযুক্ত মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস সরাসরি কোনো জবাব দেননি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
চিরকুটে শেষ ইচ্ছা: স্বর্ণ স্ত্রী নিক, বাকিটা মায়ের জন্য

চট্টগ্রামে র্যাবের এক সিনিয়র সহকারী পরিচালক নিজ কার্যালয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মারা গেছেন। নিহত কর্মকর্তার নাম পলাশ সাহা। তিনি ৩৭তম বিসিএস ব্যাচের সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা।
বুধবার (৭ মে) সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম শহরের চান্দগাঁও এলাকায় অবস্থিত র্যাব ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
চিরকুটে লেখা ছিল, “আমার মৃত্যুর জন্য মা কিংবা স্ত্রী কেউ দায়ী নন, দায়ী আমি নিজেই। কাউকে সুখ দিতে পারিনি। স্ত্রী যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাই নেবে, তারা যেন মাকে দেখাশোনা করে। স্বর্ণ বাদে যা কিছু আছে, সব মায়ের জন্য। দিদি যেন সবকিছু সমন্বয় করে।”
চান্দগাঁও র্যাব ক্যাম্পের একজন কর্মকর্তা জানান, পারিবারিক কিছু সমস্যা নিয়ে পলাশ সাহা মানসিক চাপে ছিলেন। সকাল ১১টার পর ক্যাম্পের অন্যান্য সদস্যরা একটি অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, এ সময় তিনি নিজের কক্ষে গিয়ে নিজ অস্ত্র দিয়ে গুলি করেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পলাশ সাহাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাবের চট্টগ্রাম বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এ. আর. এম. মোজাফফর হোসেন বলেন, পলাশ সাহা বহদ্দারহাট ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন করছিলেন। অভিযানের প্রস্তুতির সময় তিনি অস্ত্র গ্রহণ করে নিজের কক্ষে যান। কিছুক্ষণ পর গুলির শব্দ শুনে সহকর্মীরা তার কক্ষে ঢুকে তাকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পাশে তার সরকারি পিস্তল এবং একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়।
পলাশ সাহা গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ছিলেন এবং এর আগে তিনি ঢাকায় পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) কর্মরত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সীমান্ত জেলার পুলিশ সুপারদের সতর্ক থাকার নির্দেশ আইজিপির

ভারত ও পাকিস্তান সংঘাতকে কেন্দ্র করে কোনো জঙ্গি বা সন্ত্রাসীরা যেন দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশের সীমান্ত জেলাগুলোর পুলিশ সুপারদের সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
বুধবার (৭ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশান-১ এর বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনে বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক শুটিং প্রতিযোগিতা-২০২৪ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়, কোনো জঙ্গি বা সন্ত্রাসী যেন দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্ত জেলাগুলোর পুলিশ সুপারদের সতর্ক করা হয়েছে।
এসময় বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের সভাপতি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোস্তফা কামালসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে দুই দেশের সংঘাতময় পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঢাকা। পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ভারত ও পাকিস্তান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার পাশাপাশি সংযম দেখানোর অনুরোধ করছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার চেতনায় বাংলাদেশ আশাবাদী যে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে উত্তেজনা কমবে এবং এ অঞ্চলের মানুষের জন্য শেষপর্যন্ত শান্তি আসবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
খাগড়াছড়িতে ৬৬ ভারতীয়কে পুশইন করল বিএসএফ

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ির ৩টি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ৬৬ ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ (পুশইন) করিয়েছে ভারতীয় সীমন্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
আজ বুধবার (০৭ মে) ভোরে জোর করে তাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয়।
এদিন ভোরে জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার গুমতি ইউনিয়নের দক্ষিণ শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন ৩টি পরিবারের আনুমানিক ২৭ জন ভারতীয় নাগরিক। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ভারতীয় নাগরিকরা উঠেন সীমান্তবর্তী জনৈক আবু তাহেরের বাড়িতে।
আবু তাহের জানান, বর্তমানে ভারতীয় নাগরিকরা আবুল হোসেন মেম্বারের বাড়িতে রয়েছেন।
একইভাবে বুধবার রাতে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং সীমান্ত দিয়ে ১৫ জন এবং পানছড়ির লোগাং সীমান্ত দিয়ে আরও ২৪ জন ভারতীয় নাগরিককে পুশ করা হয়েছে। তারাও বিজিবির জিম্মায় রয়েছেন।
এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ির ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা জানান, ভারতীয় নাগরিকদের পুশইন করার খবরটি সঠিক। এখন পর্যন্ত জেলার তিনটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ৬৬ জন ভারতীয় নাগরিককে পুশইন করার খবর পাওয়া গেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: সংযম ও শান্তির আহ্বান বাংলাদেশের

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি উভয় দেশকে শান্ত থাকা এবং সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
আজ বুধবার (৭ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ভারত ও পাকিস্তান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার পাশাপাশি সংযম দেখাতে অনুরোধ। এ ছাড়া পরিস্থিতি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ আঞ্চলিক শান্তি, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করে। কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই উত্তেজনা প্রশমিত হবে এবং শেষ পর্যন্ত জনগণের মঙ্গলার্থে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে বলে বাংলাদেশ আশা করে।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’ ধ্বংসের লক্ষ্যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এই হামলা পরিচালিত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। এই হামলায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ ২৬ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ৪৬ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। তার মধ্যে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরে তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সরকারের একাধিক সূত্র।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হন। যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। হামলার পর দিল্লি সোজাসুজি এর দায় চাপিয়েছে ইসলামাবাদের ঘাড়ে। দু’দেশ থেকে নেয়া হয় বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপ। উত্তপ্ত পরিস্থিতি থামাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয় ইরান ও রাশিয়া। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে জম্মু-কাশ্মিরে হামলার দুই সপ্তাহ পর পাকিস্তানে হামলা চালাল ভারত।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হাসিনা ও সাবেক বিমান সচিব মোকাম্মেলকে দুদকে তলব

বিগত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোকাম্মেল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত ৫ মে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো পৃথক চিঠিতে তাদের আগামী ৮ মে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া তলবি চিঠি ধানমন্ডির সুধাসদন ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
অন্যান্য তলবি চিঠিও তাদের ঢাকা ও নিজ বাড়ির ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
তলবকৃতদের মধ্যে মাহবুব আলী গ্রেপ্তার হলেও শেখ হাসিনা ভারতে এবং মোকাম্মেল হোসেন কাগজে-কলমে পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমানসহ শীর্ষ ৮ কর্তার দুর্নীতি অনুসন্ধানে সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তারা প্রতারণা, জাল জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিগত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও আত্মসাৎ করেছেন।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর প্রথমে পাঁচ সদস্য অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়। পরবর্তীতে দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্ব ৭ সদস্যদের টিম পুনর্গঠন করা হয়েছে।
টিমের অপর সদস্যরা হলেন- সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, মুবাশ্বিরা আতিয়া তমা, এস. এম. রাশেদুল হাসান, এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
যাদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে তারা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক ও সাবেক যুগ্মসচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার,বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক, সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান ও মাহবুব আনাম ও অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার লুৎফুল্লাহ মাজেদ।
পৃথক ঘটনায় গত ২৭ জানুয়ারি তিন বিমানবন্দরের চার উন্নয়ন প্রকল্পের ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমানসহ ১৯ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চার মামলা করে দুদক।
২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের পর থেকে তারিক আহমেদ সিদ্দিক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও গুমসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদের মধ্যে গত ২০ নভেম্বর যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।