অন্যান্য
স্টার্লিংক বনাম বাংলাদেশ স্যাটেলাইট: ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা

রাতের আকাশে যখন তাকানো হয়, তখন অসংখ্য তারা দেখা যায়। কিন্তু কিছু তারা যেন অন্যদের চেয়ে আলাদা—তারা স্থির নয়, বরং পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে চলেছে নিরন্তর। এগুলো আসলে সাধারণ তারা নয়, স্যাটেলাইট। মানুষ এখন তথ্য আদান-প্রদানের জন্য মহাকাশের এই ছোট্ট ধাতব বস্তুগুলোর উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
একদিকে স্টার্লিংক, যা সারা বিশ্বে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে মহাকাশে বিশাল এক নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১, বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব কৃত্রিম উপগ্রহ, যা দেশের সম্প্রচার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
কিন্তু প্রযুক্তির জগতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসছে। স্টার্লিংক ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, এবং এতে প্রশ্ন ওঠে—বাংলাদেশে স্টার্লিংকের বিস্তার কি বাংলাদেশ স্যাটেলাইটের ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলবে? নাকি এই দুটি প্রযুক্তি পাশাপাশি টিকে থাকতে পারবে?
স্টার্লিংক: উচ্চগতির ইন্টারনেটের নতুন দিগন্ত
স্টার্লিংক মূলত একটি স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা, যা স্পেসএক্স কোম্পানি পরিচালনা করছে। এটি পৃথিবীর কক্ষপথে হাজার হাজার লো-আর্থ অরবিট (LEO) স্যাটেলাইট স্থাপন করে, যা ব্যবহারকারীদের দ্রুতগতির ইন্টারনেট সরবরাহ করে। স্টার্লিংকের ইন্টারনেট সংযোগ তৈরি হয় খুবই সহজভাবে—সিগন্যাল প্রথমে মহাকাশে থাকা স্যাটেলাইট থেকে ব্যবহারকারীর ডিশ অ্যান্টেনার মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়, তারপর সেই সংকেত রাউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগে রূপান্তরিত হয়। এর ফলে দূরবর্তী কিংবা দুর্গম স্থানেও সহজেই ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়।
এই প্রযুক্তির অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো বিশ্বব্যাপী কাভারেজ। যেখানে ভূ-ভিত্তিক ইন্টারনেট অবকাঠামো পৌঁছাতে পারে না, সেখানে স্টার্লিংক পৌঁছে যায়। তাছাড়া, এটি প্রচলিত ভূ-স্থির কক্ষপথের স্যাটেলাইটের তুলনায় অনেক কম উচ্চতায় থাকে, ফলে ইন্টারনেট সেবার গতি বেশি এবং ল্যাটেন্সি কম হয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এটি অত্যন্ত দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে—স্পেসএক্স ক্রমাগত নতুন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করছে, যা নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করছে।
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট: সংকট ও সম্ভাবনা
২০১৮ সালে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়, যা বাংলাদেশের প্রথম যোগাযোগ উপগ্রহ। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে অনেক দূরে, Geostationary Earth Orbit (GEO)-তে স্থিতিশীল অবস্থানে রয়েছে। এই স্যাটেলাইট মূলত টেলিভিশন সম্প্রচার, টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা, সরকারি ও সামরিক যোগাযোগ এবং দুর্যোগকালীন জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলগুলো বিদেশি স্যাটেলাইটের ওপর নির্ভর না করে বাংলাদেশ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার চালাতে পারে, এবং দূরবর্তী এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনের জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো, স্টার্লিংক যদি বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশ স্যাটেলাইটের ভবিষ্যৎ কী হবে?
স্টার্লিংক যেহেতু উচ্চগতির ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহ করে এবং এতে ল্যাটেন্সি কম, তাই যারা দ্রুতগতির সংযোগ চায়, তারা সহজেই এটি বেছে নিতে পারে। বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১ যেহেতু একটি GEO স্যাটেলাইট, তাই এর উচ্চ ল্যাটেন্সি একটি বড় সীমাবদ্ধতা। স্টার্লিংক যদি বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং সহজলভ্য হয়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশ স্যাটেলাইটের ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে আয় কমে যেতে পারে।
তবে, বাংলাদেশ স্যাটেলাইটের গুরুত্ব পুরোপুরি হারিয়ে যাবে না। কারণ এটি শুধু ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য নয়, বরং সামরিক ও সরকারি নিরাপদ যোগাযোগ, টেলিভিশন সম্প্রচার, এবং দুর্যোগকালীন ব্যাকআপ পরিষেবা দেওয়ার জন্যও ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সামরিক বাহিনী এখনও এই স্যাটেলাইটের ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া, স্টার্লিংকের সেবার খরচ তুলনামূলক বেশি, যা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জন্য সহজলভ্য নাও হতে পারে।
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট: অর্থনৈতিক বাস্তবতা
এই স্যাটেলাইট নির্মাণে বাংলাদেশ প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত এটি প্রত্যাশিত পরিমাণে রাজস্ব আয় করতে পারেনি। বাংলাদেশের বেশিরভাগ টিভি চ্যানেল এখনও বিদেশি স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে, এবং আন্তর্জাতিক বাজারে স্যাটেলাইটের ব্যান্ডউইথ বিক্রির পরিকল্পনা থাকলেও তেমন সাফল্য আসেনি। ফলে, এটি এখনো লাভজনক হতে পারেনি, বরং এটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আরও অর্থের প্রয়োজন হচ্ছে, যা সরকারের জন্য আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে। যদি নতুন বাণিজ্যিক পরিকল্পনা তৈরি করা না হয়, তাহলে এটি দীর্ঘমেয়াদে ঋণের বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
নামের রাজনীতি ও বাস্তবতা
শুধু বাংলাদেশ স্যাটেলাইট নয়, বাংলাদেশের অনেক বড় প্রকল্পই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নামে নামকরণ করা হয়। এটি শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই দেখা যায়। মূলত, সরকার বা ক্ষমতাসীন দল তাদের কৃতিত্বকে জনগণের মনে গেঁথে রাখতে চায়। তবে প্রকল্পের নামের চেয়ে এর কার্যকারিতা এবং টেকসই পরিকল্পনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে শুধু নাম নয়, কার্যকর নীতিমালার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। নামের চেয়ে কর্মদক্ষতা এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ—সেটিই হতে হবে মূল লক্ষ্য।
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কি টিকে থাকতে পারবে?
শেষ পর্যন্ত, স্টার্লিংক ও বাংলাদেশ স্যাটেলাইট একে অপরের সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, তবে স্টার্লিংকের জনপ্রিয়তা বাংলাদেশ স্যাটেলাইটের কিছু পরিষেবা থেকে রাজস্ব কমিয়ে দিতে পারে। তাই, সরকার যদি বাংলাদেশ স্যাটেলাইট প্রকল্পকে লাভজনক করতে চায়, তাহলে—
• দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এর পরিষেবা গ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে।
• আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যান্ডউইথ বিক্রির কৌশল তৈরি করতে হবে।
• দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের আগে প্রথম স্যাটেলাইটকে লাভজনক করার পরিকল্পনা নিতে হবে।
প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশ কি বাংলাদেশ স্যাটেলাইটকে লাভজনক করতে পারবে, নাকি এটি কেবলমাত্র একটি রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবেই থেকে যাবে?
রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন। rahman.mridha@gmail.com
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য
শর্তসাপেক্ষে প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ বাড়ালো বিএসইসি

পুঁজিবাজারে মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকারগুলোর ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের গ্রাহকের মার্জিন ঋণ হিসাবের আদায় না হওয়া লোকসানের (নেগেটিভ ইক্যুইটি) বিপরীতে প্রভিশন রাখার মেয়াদ বাড়িয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫৩তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের গ্রাহকের মার্জিন অ্যাকাউন্টে আনরিয়েলাইজড লস বা সৃষ্ট নেগেটিভ ইক্যুইটির বিপরীতে রাখা প্রভিশন সংরক্ষণ করতে পারেনি, সেসব স্টক ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকদের তা সংরক্ষণের জন্য ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হলো।
এতে আরও বলা হয়, এ সুবিধা গ্রহণ করার জন্য যে সকল স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারের নেগেটিভ ইক্যুইটি বা আনরিয়েলাইজড লস রয়েছে তাদের প্রত্যেককে নেগেটিভ ইক্যুইটি বা আনরিয়েলাইজড লসের উপর প্রভিশন সংরক্ষণের সুনির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনসহ ৩০ জুরে মধ্যে কমিশনে জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) জানানো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে প্রভিশন রাখার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানায় বিএসইসি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
নতুন রাজনৈতিক দল আনছেন ইলিয়াস কাঞ্চন

চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। আগামী ২৫ এপ্রিল সকাল ১০টায় শাহবাগস্থ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে (নিচতলা) সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে তিনি তার রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করবেন।
জানা গেছে, দলটির নাম হতে যাচ্ছে জনতার পার্টি বাংলাদেশ। নিড়াপদ সড়ক চাই আন্দোলনের (নিসচা) ভাইস চেয়ারম্যান লিটন আরশাদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
দীর্ঘদিন ধরে দেশের সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে জনমত গঠনে সক্রিয় ইলিয়াস কাঞ্চন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৯৩ সালে স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর থেকে তিনি এ বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছেন।
বিভিন্ন সময়ে তাকে নির্বাচন করার আহ্বান জানানো হলেও এবারই প্রথম সরাসরি রাজনীতিতে প্রবেশ করছেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় ফিরলেন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীরা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় অভিবাসী বাংলাদেশিদের বহন করা প্রথম ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে।
ঢাকার একাধিক কূটনৈতিক সূত্র কালবেলাকে নিশ্চিত করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অবৈধ নাগরিকদেরও ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথম ধাপে ৫ জন অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রিফন এয়ারের (জিআরপি-২৬) একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে ঢাকায় পাঠায়। গ্রিফন এয়ার মূলত মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য চার্টার পরিসেবা প্রদানকারী একটি আমেরিকান বিমান সংস্থা।
সম্প্রতি তারা অবৈধ নেপালি অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানোর কাজে যুক্ত ছিল। একই সূত্র কালবেলাকে জানায়, ফ্লাইটটি গত শুক্রবার ফেরার কথা থাকলেও তা শনিবার দুপুরে ঢাকায় পৌঁছায়। বিশেষ ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে কুমিল্লা জেলার ১ জন, নোয়াখালীর ২ জন, চট্রগ্রামের ১ জন এবং সিলেট জেলার ১ জন বাসিন্দা রয়েছে। ফেরত আসা দলে একজন অবৈধ বাংলাদেশি নারী প্রবাসীও রয়েছেন।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র থেকে এভাবে বাংলাদেশিদের ফেরানো হলো। একই সূত্র কালবেলাকে আরও জানায়, দেশটিতে বসবাসরত আরও অবৈধ অভিবাসীকে পর্যায়ক্রমে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
মগবাজার ও শান্তিনগরে জামাতের গণসংযোগ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষের ৮ম দিনে রমনা ও পল্টন থানার উদ্যোগে মগবাজার ও শান্তিনগর এলাকায় গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (১৮ই এপ্রিল) সকাল থেকে দিন ব্যাপী পরিচালিত গণসংযোগ শেষে দাওয়াতী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর জননেতা এডভোকেট ড. মোঃ হেলাল উদ্দিন।
এ সময় ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গত ১১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পর্যন্ত দাওয়াতী গণসংযোগ পক্ষের ঘোষণা দিয়েছে। এই কর্মসূচী উপলক্ষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। মগবাজার রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি প্রসিদ্ধ ব্যবসায়িক ও আবাসিক এলাকা। এখানে এর একদিকে যেমন রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান একই সাথে রয়েছে আবাসিক এলাকা। একই সাথে এখানে রয়েছে বাংলাদেশ জামাত ইসলামের কেন্দ্রীয় অফিস।প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক ব্যবসায়ীর পদচারণায় মুখরিত থাকে এই মগবাজার অঞ্চল। এই এলাকার মানুষ চায় নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনা করতে। একই সাথে শান্তিতে বসবাস করতে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনো পূর্বের ফ্যাসিবাদ আমলের মতো চাঁদাবাজি অব্যাহত আছে। নেতৃবৃন্দ ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়ের একপর্যায়ে বিষয়গুলো ফুটে ওঠে। নেতৃবৃন্দ তাদেরকে আশ্বস্ত করেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের পাশে দাঁড়াবে, তাদেরকে নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনা করতে সহায়তা করবে। একই সাথে এলাকার সকল ধরণের চাঁদাবাজকে দূর করতে বলিষ্ঠ পদক্ষে গ্রহণ করবেন। এবং আগামী দিনে একটি বৈষম্যমুক্ত দেশ পরিচালনা করতে ভূমিকা রাখবে। নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন মার্কেটে জামায়াতের প্রচারপত্র বিলি, ইসলামী সাহিত্য এবং সহযোগী ফরম বিতরণ করেন এ সময় শতাধিক বাবোসায়ী ফরম ফিলাপ করেন সবশেষে শান্তিনগর ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটের সামনে শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে একটি দাওয়াতী সভায় মিলিত হন।
উক্ত সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আল্লাহর আইন এবং সৎ লোকের শাসন ছাড়া দেশ থেকে চাঁদাবাজ দূর হবে না। ৫ই আগস্টে যে ছাত্র জনতার বিপ্লব অনুষ্ঠিত হলো সেখানে ছাত্রদের তিনটি স্লোগান ছিল, “উই ওয়ান্ট জাস্টিস, নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার এবং দিল্লি নয়, ঢাকার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।” ড. হেলাল বলেন, “ছাত্র জনতার রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হলে গঠনমূলক সংস্কার, ফ্যাসিবাদের দোসরদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।” তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মহানগরীর সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও পল্টন থানা আমি জননেতা শাহিন আহমেদ খান রমনা থানার সাবেক আমির আব্দুস সাত্তার সুমন রমনা থানার বর্তমান আমি জননেতা আতিকুর রহমান এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

সারাদেশে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে সবখানে উৎসবমুখর পরিবেশ। সকাল ৯টায় শুরু হয় বর্ষবরণ ও আনন্দ শোভাযাত্রা। বর্ষবরণ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ক্রীড়া উপদেষ্টা শুভ নববর্ষ লিখে একটি পোস্ট করেছেন। তিনি অবশ্য নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার দিয়েছে ফিফার জানানো শুভেচ্ছা বার্তাটি। বর্ষবরণে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানানো ফিফাকে ধন্যবাদ দেন আসিফ।
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে বাংলাদশের ফুটবল ভক্তদের আনন্দের মাত্রা আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছে ফিফা। নববর্ষের মূল আকর্ষণ শোভাযাত্রা। ব্যানার, ফেস্টুনে বাঙালি সাজে আনন্দ সাজ। ফিফাও সেভাবেই বরণ করেছে বাংলা ১৪৩২ সালকে।
ফিফার ছবিতে দেখা যায়, শুভ নববর্ষ ১৪৩২, এসো হে বৈশাখ, এসো এসো লেখা ব্যানার। মিছিলের পেছনে ফেস্টুন। আর ব্যানারের সামনে দাঁড়ানো দেশের ফুটবলের তারকারা। হামজা চৌধুরী, জামাল ভূঁইয়া, তারিক কাজীদের সঙ্গে আছেন আরও দুই ফুটবলার। সঙ্গে লাল-সবুজের পতাকা। ক্যাপশনে লিখেছে, ‘আইলো আইলো আইলো রে, রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে।’