পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা ৭-১৫ শতাংশ পুঁজি হারিয়েছে: এনবিআর চেয়ারম্যান

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, পুঁজিবাজারে আজ পর্যন্ত যত সুবিধাই দেওয়া হয়েছে, মার্কেটে তার বেনিফিট পাওয়া যায়নি। বরং গত ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে যারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে তারা ৭ থেকে ১৫ শতাংশ পুঁজি হারিয়েছে।
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে প্রাক বাজেট আলোচনায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান এমন মন্তব্য করেন।
বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ। সংগঠনগুলো পুঁজিবাজারে কর অব্যাহতির প্রস্তাব দেয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, সারাজীবন কর অব্যাহতি দিলাম, রেজাল্ট তো আসে না। আগেই কেন অব্যাহতির কথা আসে। সবার আগে কেন ট্যাক্স হলিডে লাগবে? কর অব্যাহতির সংস্কৃতিতে আর থাকতে চাই না। অব্যাহতি দিতে দিতে নিন্ম কর জিডিপি অনুপাত থেকে বের হতে পারছি না। আমাদের বদনাম হয়ে গেছে যে, রাজস্ব যা আদায় করি, তার সমপরিমাণ অব্যাহতি দেই।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে যত সুবিধা দেওয়া হয়েছে, মার্কেটে তার বেনিফিট পাওয়া যায়নি। গত ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে যারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে তাদের ৭ থেকে ১৫ শতাংশ ক্যাপিটাল হারিয়েছে। আমরা অব্যাহতি সংস্কৃতি থেকে বের হচ্ছি। আমরা পণ করেছি অব্যাহতি আর দেব না। অব্যাহতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি।
স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ লেনদেন থেকে কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি কর্তৃক মূলধনী মুনাফার উপর সম্পূর্ণ কর অব্যাহতি চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি।
এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের কাছ থেকে উৎসে কর সংগ্রহের হার হ্রাস, উৎসে লভ্যাংশ আয়ের উপর কর হ্রাস এবং চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হিসাবে বিবেচনা করা, তালিকাভুক্ত বন্ড থেকে অর্জিত আয় বা সুদের উপর কর অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে স্কয়ার ফার্মা

বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ এপ্রিল-৩০ এপ্রিল) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৪ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। তাতে সপ্তাহ শেষে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিটির গড়ে ২৮ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ অবদান স্কয়ার ফার্মার।
লেনদেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির সপ্তাহজুড়ে গড়ে ১৪ কোটি ১ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে আসা মিডল্যান্ড ব্যাংকের বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ার হাতবদল হয়েছে গড়ে ১৩ কোটি ৬৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এছাড়া, প্রতিদিন গড় লেনদেনে সাপ্তাহিক শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- লাভেলো, ব্র্যাক ব্যাংক, শাহজিবাজার পাওয়ার, বিএসসি, সিটি ব্যাংক, শাইনপুকুর সিরামিকস ও বেক্সিমকো ফার্মা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দীর্ঘ মন্দার বিশ্ব রেকর্ড এখনো বাংলদেশের পূঁজিবাজারেরই

বাংলাদেশের পূঁজিবাজার ১৭ বছর যাবৎ মন্দাক্রান্ত। এটি দীর্ঘতম মন্দার বিশ্বরেকর্ড। এর আগে, এ রেকর্ডটি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘরে।সেখানে টানা ১০ বছর(১৯২৯-১৯৩৯)শেয়ার বাজারে মন্দাকাল ছিল। পরবর্তীতে বাজার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে। বাংলাদেশের পূঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবার নয়। যেন এটাই ভবিতব্য। অন্তবর্তী সরকারের ৯ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এটি নির্বাচিত সরকারের পাঁচ ভাগের প্রায় এক ভাগ। এ দীর্ঘ সময়েও পুঁজিবাজারসহ মেক্রো ইকনমিতে তেমন কোন উন্নতি নেই। তবে, বিদেশী ঋণ এসেছে। বিদেশী ঋণ পরিশোধে তা ব্যয়ও হয়েছে। রেমিটেন্স আসছে। তা জমা হচ্ছে। আমদানী খাত থেকেও বৈদেশিক মুদ্রা আসছে। সেটাও জমা হচ্ছে। তাতে রিজার্ভ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সরকারের উচিত ছিল শুরু থেকেই অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দেয়া। সরাকারী উদ্যোগে বিভিন্ন উন্নয়ন বান্ধব কর্মকাণ্ড শুরু করা। বাজার ব্যবস্থা প্রতিযোগিতামুলক করার স্বার্থে ক্ষুদ্রও মাঝারি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তদের সহযোগিতা দেয়া। বিনিয়োগের প্রধান ও বিকল্প উৎসের জন্য পুঁজিবাজার শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগী হওয়া। সরকার সে পথে হাটেনি। এর খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে।
দেশের ছোট ও মাঝারি শিল্প ও বাণিজ্য মন্দা চলছে গত দেড় দশক ধরে। কয়েকটি বড় শিল্পগোষ্ঠী ছোট ও মাঝারী ব্যবসায়ীদের বাজার গিলে খাচ্ছে। তাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসা কারখানা রুগ্ন হচ্ছে।এর নেতিবাচক প্রভাবে, সারা দেশে বিপুল সংখ্যক লোক কর্মচ্যুত হয়েছে। এখনো হচ্ছে। কর্ম সংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়নি।
পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের পরিধি ছোট হচ্ছে। কর্মকর্তা কর্মচারী ছাটাই অব্যাহত আছে। বেকারদের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। সার্বিক সমস্যা, সংকট আরও প্রকট ও ঘনীভূত হচ্ছে।
প্রাতিষ্ঠানিক দিক থেকে দেশের অর্থ ও পুঁজিবাজারে তারল্য খরা বহমান। সার্বিক বৈরী পরিস্থিতির দায় অর্থ উপদেষ্টা এড়াতে পারবেন না। তিনি সম্ভবনার সব দুয়ারই সঙ্কুচিত করেছেন। এর উৎকট ও বিভৎস চেহারা পুঁজিবাজারের আয়ানায় তাকালেই দৃশ্যমান হয়।
অর্থ নয়, প্রনোদনাও নয়। শুধুমাত্র নীতি সহয়তা ও সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমেই; তারল্য ও বিনিয়োগ পরিস্থিতির প্রভূত উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব ছিল। সে ধরণের প্রেক্ষিতও সৃষ্টি হয়েছিল। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে পূঁজিবাজারের প্রতিবন্ধকতার দেয়ালগুলো ভেঙ্গে দিলেই তারল্য প্লাবন ধরা দিতো। দেশী বিদেশী পূঁজি, পূঁজিবাজারের মাধ্যমেই ব্যাংকে প্রবেশ করতো।
ব্যাংকে জমা পড়া টাকায়, ব্যাংক গুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়তেই থাকতো। ব্যাংকগুলো স্বল্প ও মাঝারী মেয়াদী ঋণ সরবরাহ বাড়িয়ে অর্থনীতির অর্থনীতির চাকায় গতি সঞ্চার করতে পারতো। বড় ও মাঝরী প্রকল্পে পুঁজিবাজার সুদ বিহীন টেকসই বিনিয়োগ পূঁজির সরবরাহ করতে পারতো। পূঁজিবাজার শক্তিশালী হলে; সরকারী বেসরকারী মেগা প্রকল্পেও পুঁজি সরবারহ করার সামর্থ অর্জন করতো।
সরকার নীতি সহয়তার আওতায় বড় প্রকল্পগুলোর কিছু অংশ শেয়ার পুঁজিবাজারে ছাড়তে বাধ্য করতে পারতো। পূঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পথের কাঁটাগুলো উপরে ফেলা উচিৎ। তবেই দেশী বিদেশী ভালো উদ্যেক্তাগন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে নিজ থেকেই উৎসাহী হবে। অর্থ উপদেষ্টার মাথায় এসব চিন্তা আসেনি।
অর্থ উপদেষ্টা শুরু থেকেই উল্টো পথে হেটেছেন । তিনি পূঁজিবাজারকে ঠেলে দিয়েছেন বিপর্যয়ের দিকে। পূঁজিবাজারের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের, শীর্ষ পদে বসিয়েছেন; বিগত মাফিয়া সরকারের দোসর, স্যডিস্ট প্রকৃতির এক অযোগ্য ব্যাক্তিকে। শীর্ষ কর্মকতার এক মাত্র যোগ্যতা সে অর্থ উপদেষ্টার বন্ধুর জামাই। নিয়োগ প্রাপ্তির শুরু থেকেই পূঁজবাজারে আতঙ্কের বিস্তার ঘটাতে থাকেন। ইতোমধ্যেই সে নিজ প্রতিষ্ঠান বিএসইসি’র ভিতরে ও বাইরে সমানভাবে বিতর্কিত ও নিন্দিত। জরিমানার খড়গ উঁচিয়ে ইতোমধ্যেই আদায় অযোগ্য ৯০০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। প্রায় এক কোটিরও বেশী লোককে সীমাহীন দুর্ভোগের অতলে ডুবিয়েছে। বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের রাশেদ মাকসুদের উপর বিন্দুমাত্র আস্থা নেই।
আস্থাহীন এ ব্যক্তিটিরই উপরই অর্থ উপদেষ্টার সবচেয়ে বেশী আস্থা! তার চোখে সে যোগ্য। কারণ, সে ‘চোর ধরতে পারে’।
আমার জানা মতে; পূঁজিবাজারে চোর নেই। আছে, জুয়ারী, কারসাজি আশ্রয়ী লেনদেনকারী, ইনসাইড ট্রেডার, ফ্রন্ট রানার, শর্ট সেলার, মেনুপেলুটার, লুটেরা ইত্যকার লোকজন।আরও আছে মারজিন ক্যান্সারসৃষ্ট ফোর্সসেল।
উল্লিখিত বিষয়গুলো সেকেন্ডারী মার্কেটের মন্দ উপসর্গ। এ উপসর্গ সনাক্ত ও প্রতিকারের সর্বাধুনিক সার্ভেলেন্স সফটওয়্যার বিএসইসি’র আছে। ট্রেড চলাকালীন সময়েই সব অসঙ্গতি ঐ সফটওয়্যারে ধরা পড়ে। তাৎক্ষণিক সংকেত দেয়। অসঙ্গতির তাৎক্ষণিক সমাধানও সম্ভব।
সনাক্ত সিকিউরিটিজের ট্রেড স্থগিত করে, সংশ্লিষ্ট ব্রোকার হাউজের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার অসঙ্গতির কারণ ও ব্যাখ্যা চাইতে পারেন,বিএসইসির অনডিউটি কর্মকর্তা। ব্যাখ্যায় সন্তোষ্ট হলে রেহাই। সন্তোষ্ট না হলে- লেনদেন স্থগিত, জরিমানা অথবা সর্তকীকরণ সিদ্ধান্ত দিতেই পারেন। এব্যবস্থায় ৯০ ভাগ অসঙ্গতির নিষ্পত্তি অথবা শাস্তি তাৎক্ষণিক ভাবেই দেয়া সম্ভব। বাকি দশ ভাগের অপরাধ গুরুতর হলে তদন্তে কমিটি গঠিত হতেই পারে।
তদন্তে, অপরাধ প্রমানিত হলে- অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী শাস্তি দেয়া যেতেই পারে। এধরণের আ্যকশন বিএসইসি’র নিয়মিত কাজের অংশের মধ্যেই পড়ে। বিএসইসি তা না করে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেগুলো জমিয়ে একসাথে শাস্তির ঘোষণা দিয়ে,প্রেস রিলিজ ইস্যু করে বাজারকে আতঙ্কগ্রস্ত করে। এ ব্যবস্থায় নিরাপরাধ বিপুল সংখ্যক বিনিয়োগকারীও শাস্তি ভোগ করে।
প্রাসঙ্গিক উদাহরন হিসাবে মারজিন ব্যবস্থা আসতেই পারে। মার্জিন ব্যবস্থার প্রবর্তক, শতভাগ মার্জিন, ১২০ পিইতেও মার্জিন, ফোর্স সেল সবই বিএসইসি জবরদস্তী চাপিয়ে দিয়েছে। ফোর্স সেল না করার মৌখিক সিদ্ধান্তও বিএসইসিইর কর্তা ব্যক্তিরাই চাপিয়ে দেয়।
মার্জিন ব্যবস্থায় ইতোমধ্যেই লাখো বিনিয়োগকারী ইকুইটি মাইনাসের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে। যারা মার্জিন নেয়নি তারাও এ ব্যবস্থায় নি:স্ব হয়েছে। এখনো হচ্ছে।
পরিসংখ্যান জানান দেয়; গত ১৬ মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে মাকসুদ আমলের ৮ মাসে বাজার মূলধন কমেছে ৩৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ডিএসই’র দিনের লেনদেন সর্বনিম্ন ২০০ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে গত এপ্রিল ৩০,২০২৫ পর্যন্ত ডিএসইএক্স সূচক কমেছে এক হাজার ৮২ পয়েন্ট। গত বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স সূচক ৪৯১৭.৯২ পয়েন্টের ঘরে নেমে আসে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে ১৫৮ টি কোম্পানির সিকিউরিটজের দাম বাড়ে, দাম অপরিবর্তিত থাকে ১৭টি কোম্পানির সিকিউরিটিজের। লেনদেন হয়নি ১৯ কোম্পানির সিকিউরিটিজের। মোট ২১৪টি কোম্পানির সিকিউরিটিজ পতন ধারায় ছিল না। এ ২১৪টি কোম্পানির মিলিত শক্তিও বাজার ধনাত্মক ধারায় টানতে পারেনি। গত সপ্তাহে ডিএসইর তিন সূচকেরই ঋণাত্মক পরিবর্তন ঘটে।
উল্লিখিত চিত্র চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কী পরিমান আইপিও গার্ভেজ পুঁজিবাজারে যুক্ত হয়েছে।এসবই বিএসইসির চাপিয়ে দেয়া আইপিও।
ফজলুল বারী
সাংবাদিক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমলো আরও ৬ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের বড় পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বা বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে প্রায় ৬ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৮৮০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ০৪ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহে কমেছে ডিএসইর সব কয়টি সূচক। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫৪ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১০ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২২ দশমিক ১২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২০ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ১০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪১০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭১৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৩০৮ কোটি ০৩ লাখ টাকা।
তবে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৫২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৩৪৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৮টি কোম্পানির, কমেছে ১৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিনিয়োগকারীরা কিছুদিন পরে পরে পথে বসতে পারেনা, এটা থামাতে হবে এখুনি: পিনাকী

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে এখনই গভীর ও কার্যকর সংস্কার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন লেখক, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য।
শুক্রবার (২ মে) রাতে তাঁর অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পুজিবাজারে সিরিয়াস সংস্কার দরকার।। কয়েকদিন পরপর বিনিয়োগকারীরা সর্বস্ব হারাচ্ছেন, যা চলতে দেওয়া যায় না। তার মতে, দেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি হওয়ার কথা পুঁজিবাজার, অথচ এটি এখন এক প্রকার ‘অর্থনৈতিক কৃষ্ণগহ্বর’—যেখানে টাকা ঢোকে, কিন্তু আর ফেরে না।
পিনাকী ভট্টাচার্য বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ দিয়ে বলেন, নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিনিয়োগ করবেন না। এটি অত্যন্ত জটিল একটি বাজার। ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইজরি সার্ভিস গ্রহণ করুন। সম্ভব হলে পোর্টফোলিও ম্যানেজারের সহায়তা নিন, যাতে আপনার বিনিয়োগ নিরাপদ থাকে।
সরকারের উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানান, পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে দ্রুত বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিতে হবে। প্রয়োজনে তিনি নিজে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তার ভাষায়, এই পুঁজিবাজার যদি ঠিক না করা হয়, আমাদের অর্থনীতি ‘জয় বাংলা’ হতে সময় নেবে না। এই অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না—এখনই থামাতে হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এপেক্স স্পিনিংয়ের আয় কমেছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি এপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস লিমিটেড গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ১ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৩ পয়সা আয় হয়েছিল।
অন্যদিকে, তিন প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ২ পয়সা। গতবছর একই সময়ে ২ টাকা ৯৪ পয়সা আয় হয়েছিল।
প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল ২১ টাকা ২১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৮ টাকা ৪৬ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৬২ টাকা ৯৩ পয়সা।
এসএম