জাতীয়
পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা

আইন না থাকলে সরকার, গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার কিছুই থাকবে না। আর পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে পুলিশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন অধ্যাপক ইউনূস।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আইন না থাকলে সরকার, গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার কিছুই থাকবে না। আর পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া যাবে না। আইন যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি, শৃঙ্খলা যদি প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তাহলে সব যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব।
অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে বেশি সময় নেই জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা এরইমধ্যে সাত মাস পার করে এসেছি। আমরা বলেছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। কাজেই এর মধ্যেই আমাদের যে সামর্থ্য রয়েছে, যা যা সংস্কারের প্রয়োজন সেগুলো করতে হবে। কারো জন্য অপেক্ষায় থাকলে আমাদের কোনো লাভ হবে না। সংস্কার করতে হবে এবং সেটি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নির্বাচনের সময়ে অনেক চাপ আসবে, সে সময়ে পুলিশ বাহিনীকে শক্ত থাকতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ ও রাজশাহীর পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
গুম তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ মাস

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সংঘঠিত ‘গুমের’ ঘটনা তদন্তে যে কমিশন হয়েছে সেটির মেয়াদ আরও ৩ মাস বাড়িয়েছে সরকার।
সোমবার (১৭ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সময় বাড়ানোর এ প্রজ্ঞাপন জারি করে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের বাড়তি মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। এটি গত ১৫ মার্চ থেকেই কার্যকর হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
এ নিয়ে কয়েক ধাপে কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হলো।
এর ফলে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিশন ৩০ জুন পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় পাবে। পাঁচ সদস্যের এ কমিটির প্রথমে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ২৭ আগস্ট গঠিত এ কমিশন কাজ শুরুর পর থেকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। গত ৫ নভেম্বর কমিশন সংবাদ সম্মেলনে বলেছিল, কমিশনে গুমের ১ হাজার ৬০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে তারা ৩৮৩টি অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক যাচাই করেছেন। এসব অভিযোগের মধ্যে র্যাবের বিরুদ্ধেই ছিল সবচেয়ে বেশি ১৭২টি অভিযোগ। অভিযোগের বিষয়ে কমিশন ইতোমধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ট্রেনে ঈদযাত্রা: ২৮ মার্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ১৪ মার্চ থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ (১৮ মার্চ) ঈদের আগে ২৮ মার্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ৮টায় পঞ্চম দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এবারও অগ্রিম টিকিটের শতভাগই বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে।
সবাই যেন ঠিকঠাকভাবে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন সেজন্য দুই অঞ্চলের টিকিট দুই সময়ে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি শুরু হবে দুপুর ২টায়।
এর আগে, ট্রেনের ২৪ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে গত ১৪ মার্চ, ২৫ মার্চের ১৫ মার্চ, ২৬ মার্চের ১৬ মার্চ এবং ২৭ মার্চের টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৭ মার্চ।
এ ছাড়া ২৯ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৯ মার্চ এবং ৩০ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ২০ মার্চ। তবে, চাঁদ দেখার ওপরে ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদযাত্রায় এবার প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।
এদিকে, ঈদ পরবর্তী ফিরতি ট্রেনের ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৪ মার্চ, ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৫ মার্চ, ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৬ মার্চ, ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৭ মার্চ, ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যমুনা রেলসেতুর দ্বার খুলছে আজ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবেশেষে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম ‘যমুনা রেলসেতু’ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) উদ্বোধন করা হবে। এর ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের রেল চলাচল আরও সহজ হবে।
উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে রেলপথ বিভাগ। যমুনা রেলসেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। কর্মসূচির মধ্যে যমুনা রেল সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তে সায়েদাবাদ রেল স্টেশন পর্যন্ত উদ্বোধনী ট্রেনে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা যমুনা রেলসেতু পারাপার হবেন। সেখানে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সায়েদাবাদ রেল স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করবেন। পরে দুপুর ১২টায় ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন পূর্ব প্রান্তে ফেরত আসবেন।
সেতু দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। তবে উদ্বোধনের দিন থেকে প্রথম পর্যায়ে সেতু নিয়ে ৯০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এতে সময় লাগবে সাড়ে ৩ মিনিট। এর আগে যমুনা সেতু দিয়ে ট্রেন পার হতে ২০ মিনিট লাগতো।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরে ২ বছর বাড়ানো হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়। যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থয়ান এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে।
১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন পারাপার হতো। এই সমস্যা সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এই সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেল সেতু দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্রাকের ডুয়েল গেজের সেতু। এটি ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যানে নির্মিত হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের বক্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই: প্রেস উইং

বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড আজ সোমবার এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সবেমাত্র আলোচনা শুরু করেছে। কিন্তু এটি (চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসী উপাদানের উত্থান) এখনো উদ্বেগের একটি কেন্দ্রীয় বিষয়। তার এ মন্তব্যে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার গভীর উদ্বেগ ও মর্মাহত।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে সরকারের প্রতিক্রিয়া জানান।
এতে বলা হয়, তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন ও হত্যা এবং দেশে ইসলামী সন্ত্রাসীদের হুমকি, একটি ইসলামী খেলাফতের সঙ্গে শাসন করার মতাদর্শ এবং উদ্দেশ্যের মূলের মধ্যে নিহিত বলে অভিযোগ করেছেন।
তার এ বিবৃতি বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামের জন্য ক্ষতিকর।
গ্যাবার্ডের মন্তব্য কোনো প্রমাণ বা নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নয়। তারা একটি সম্পূর্ণ জাতিকে বিস্তৃত এবং অযৌক্তিকভাবে চিত্রিত করে। বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও চরমপন্থার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, তবে আইন প্রয়োগ, সামাজিক সংস্কার এবং অন্যান্য সন্ত্রাসবাদবিরোধী প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ক্রমাগত কাজ করে চলেছে।
প্রেস উইং জানিয়েছে, দেশকে যেকোনো ধরনের ইসলামী খেলাফতের সঙ্গে যুক্ত করার প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানায়।
চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের যৌথ বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার সমর্থনে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এবং সমস্ত জাতির সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শফিকুল আলম বলেছেন, তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ বা অভিযোগের ভিত্তিতে দেওয়া হয়নি। এটি একটি গোটা দেশকে অন্যায়ভাবে ভুলভাবে উপস্থাপন করে। বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও চরমপন্থার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। তবে এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সামাজিক সংস্কার ও অন্যান্য সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ইসলামি খিলাফতের ধারণার সঙ্গে ভিত্তিহীনভাবে যুক্ত করা দেশটির অসংখ্য নাগরিক ও বিশ্বব্যাপী তাদের বন্ধু ও অংশীদারদের কঠোর পরিশ্রমকে খাটো করে। যারা শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে যেকোনো ধরনের ইসলামি খিলাফত ধারণার সঙ্গে দেশকে যুক্ত করার প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করলেই কঠোর শাস্তি: আসিফ নজরুল

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (২০০০) সংশোধনীতে ধর্ষণের মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগে বিধান ছিল মিথ্যা মামলার যারা ভিকটিম তাদের অভিযোগ জানাতে হতো। বর্তমান সংশোধিত আইনে ধর্ষণের বিচারের মামলার রায় ঘোষণার পর বিচারকের যদি মনে হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা দেয়া হয়েছে তাহলে তিনি (বিচারক) স্বতপ্রণোদিতভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, আদালত চাইলে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই ধর্ষণ মামলার বিচার করতে পারবে। এক্ষেত্রে আইনের অপব্যবহার হতে পারে। সে রকমটা হলে পরবর্তীতে আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।’
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘নতুন সংশোধনী অনুযায়ী আমি আগেই বলেছিলাম বিচার ও তদন্তের সময় কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যাপারে নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদ।’
তিনি জানান, শুধু শিশু ধর্ষণ মামলার আলাদাভাবে বিচার করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া আমরা ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে কিছু ডেফিনেশন এনেছি। শুধু পুরুষ কর্তৃক না যেকোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য করা হচ্ছে। যেকোনো ফর্মে ধর্ষণকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘তৃতীয় যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হচ্ছে সেটা হচ্ছে ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় অনেক মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকত। আমরা এই আইনে বিধান করেছি ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই আদালত যদি মনে করে মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচার সম্ভব, তাহলে আদালত ডিএনএ সার্টিফিকেট ছাড়াই মামলা দ্রুত বিচার করবে। এছাড়া আমরা ভিকটিমদের প্রটেকশনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা করেছি। ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছি এবং ধর্ষণকালে জখমের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেছি।’
আসিফ নজরুল জানান, আগামী বৃহস্পতিবার এটা চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাবে আশা করছি। এরপর খুব দ্রুত গেজেট নোটিফিকেশনও হয়ে যাবে। তবে ক্লিয়ার করি, এর সঙ্গে মাগুরা হত্যা ও ধর্ষণ মামলার বিচারের সম্পর্ক নেই। ওই বিচার এগিয়ে চলেছে নিজস্ব গতিতে এবং আমরা মনে করি খুবই দ্রুততার সাথে এই মামলার বিচার হবে। ওই মামলার ডিএনএ রিপোর্ট আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই মামলার বিচার শুরু হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।