জাতীয়
দেশের দীর্ঘতম রেলসেতুর উদ্বোধন মঙ্গলবার

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ)। এর মধ্য দিয়ে ঢাকার সঙ্গে আরও সহজ হচ্ছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ।
৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যানে নির্মিত ডাবল লেনের এ সেতু দিয়ে মাত্র সাড়ে তিন মিনিটের মধ্যেই যমুনা অতিক্রম করতে পারবে ট্রেন। অবশ্য, ডাবল লেনের হলেও বর্তমানে শুধু সিঙ্গেল লেন চালু হওয়ায় সেতুটির পুরোপুরি সুফল সহসাই মিলবে না যাত্রীদের।
বিষয়টি স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে ডাবল লেনের রেললাইন তৈরি করা হবে। এর ফলে যোগাযোগ, বাণিজ্য ও অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
এদিকে সেতুর উদ্বোধন ঘিরে সবরকম প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে রেলপথ বিভাগ। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম।
কর্মসূচির অনুযায়ী, এদিন যমুনা রেল সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তে সয়দাবাদ রেলস্টেশন পর্যন্ত উদ্বোধনী ট্রেনে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা যমুনা রেল সেতু পারাপার হবেন। সেখানে ১১টা ৪০ মিনিটে সয়দাবাদ রেল স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করবেন। পরে দুপুর ১২টায় ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন পূর্ব প্রান্তে ফেরত আসবেন তারা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন জানান, নবনির্মিত যমুনা রেল সেতু দিয়ে ট্রেন পারাপারে আগের তুলনায় অনেক কম সময় লাগবে। এতে দুই পাড়েই সময় সাশ্রয় হবে। অবশ্য, ডাবল লেনের সুবিধা পেতে হলে আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে চিফ ইঞ্জিনিয়ার তানভীরুল ইসলাম বলেন, রেল সেতুতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে রেল সেতুতে পরবর্তীতে রং করার প্রয়োজন হবে না। ৪.৮ কিলোমিটার ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ সেতুটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে ঢাকার সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
এ ব্যাপারে ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার শাহীন মিয়া বলেন, সেতু দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। তবে উদ্বোধনের দিন থেকে প্রথম পর্যায়ে সেতু নিয়ে ৯০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এতে সময় লাগবে সাড়ে ৩ মিনিট। এর আগে যমুনা সেতু দিয়ে ট্রেন পাড়ি দিতে ২০ মিনিট সময় লাগতো।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২ বছর বাড়ানো হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়। যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থয়ান এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে।
১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন পারাপার হতো। এই সমস্যার সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেল সেতু দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্রাকের ডুয়েল গেজের সেতু। এটি ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যানে নির্মিত হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
ট্রেনে ঈদযাত্রা: ২৮ মার্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ১৪ মার্চ থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ (১৮ মার্চ) ঈদের আগে ২৮ মার্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ৮টায় পঞ্চম দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এবারও অগ্রিম টিকিটের শতভাগই বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে।
সবাই যেন ঠিকঠাকভাবে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন সেজন্য দুই অঞ্চলের টিকিট দুই সময়ে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি শুরু হবে দুপুর ২টায়।
এর আগে, ট্রেনের ২৪ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে গত ১৪ মার্চ, ২৫ মার্চের ১৫ মার্চ, ২৬ মার্চের ১৬ মার্চ এবং ২৭ মার্চের টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৭ মার্চ।
এ ছাড়া ২৯ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৯ মার্চ এবং ৩০ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ২০ মার্চ। তবে, চাঁদ দেখার ওপরে ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদযাত্রায় এবার প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।
এদিকে, ঈদ পরবর্তী ফিরতি ট্রেনের ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৪ মার্চ, ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৫ মার্চ, ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৬ মার্চ, ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৭ মার্চ, ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যমুনা রেলসেতুর দ্বার খুলছে আজ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবেশেষে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম ‘যমুনা রেলসেতু’ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) উদ্বোধন করা হবে। এর ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের রেল চলাচল আরও সহজ হবে।
উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে রেলপথ বিভাগ। যমুনা রেলসেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। কর্মসূচির মধ্যে যমুনা রেল সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তে সায়েদাবাদ রেল স্টেশন পর্যন্ত উদ্বোধনী ট্রেনে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা যমুনা রেলসেতু পারাপার হবেন। সেখানে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সায়েদাবাদ রেল স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করবেন। পরে দুপুর ১২টায় ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন পূর্ব প্রান্তে ফেরত আসবেন।
সেতু দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। তবে উদ্বোধনের দিন থেকে প্রথম পর্যায়ে সেতু নিয়ে ৯০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এতে সময় লাগবে সাড়ে ৩ মিনিট। এর আগে যমুনা সেতু দিয়ে ট্রেন পার হতে ২০ মিনিট লাগতো।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরে ২ বছর বাড়ানো হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়। যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থয়ান এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে।
১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন পারাপার হতো। এই সমস্যা সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এই সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেল সেতু দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্রাকের ডুয়েল গেজের সেতু। এটি ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যানে নির্মিত হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের বক্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই: প্রেস উইং

বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড আজ সোমবার এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সবেমাত্র আলোচনা শুরু করেছে। কিন্তু এটি (চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসী উপাদানের উত্থান) এখনো উদ্বেগের একটি কেন্দ্রীয় বিষয়। তার এ মন্তব্যে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার গভীর উদ্বেগ ও মর্মাহত।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে সরকারের প্রতিক্রিয়া জানান।
এতে বলা হয়, তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন ও হত্যা এবং দেশে ইসলামী সন্ত্রাসীদের হুমকি, একটি ইসলামী খেলাফতের সঙ্গে শাসন করার মতাদর্শ এবং উদ্দেশ্যের মূলের মধ্যে নিহিত বলে অভিযোগ করেছেন।
তার এ বিবৃতি বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামের জন্য ক্ষতিকর।
গ্যাবার্ডের মন্তব্য কোনো প্রমাণ বা নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নয়। তারা একটি সম্পূর্ণ জাতিকে বিস্তৃত এবং অযৌক্তিকভাবে চিত্রিত করে। বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও চরমপন্থার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, তবে আইন প্রয়োগ, সামাজিক সংস্কার এবং অন্যান্য সন্ত্রাসবাদবিরোধী প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ক্রমাগত কাজ করে চলেছে।
প্রেস উইং জানিয়েছে, দেশকে যেকোনো ধরনের ইসলামী খেলাফতের সঙ্গে যুক্ত করার প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানায়।
চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের যৌথ বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার সমর্থনে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এবং সমস্ত জাতির সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শফিকুল আলম বলেছেন, তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ বা অভিযোগের ভিত্তিতে দেওয়া হয়নি। এটি একটি গোটা দেশকে অন্যায়ভাবে ভুলভাবে উপস্থাপন করে। বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও চরমপন্থার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। তবে এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সামাজিক সংস্কার ও অন্যান্য সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ইসলামি খিলাফতের ধারণার সঙ্গে ভিত্তিহীনভাবে যুক্ত করা দেশটির অসংখ্য নাগরিক ও বিশ্বব্যাপী তাদের বন্ধু ও অংশীদারদের কঠোর পরিশ্রমকে খাটো করে। যারা শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে যেকোনো ধরনের ইসলামি খিলাফত ধারণার সঙ্গে দেশকে যুক্ত করার প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করলেই কঠোর শাস্তি: আসিফ নজরুল

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (২০০০) সংশোধনীতে ধর্ষণের মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগে বিধান ছিল মিথ্যা মামলার যারা ভিকটিম তাদের অভিযোগ জানাতে হতো। বর্তমান সংশোধিত আইনে ধর্ষণের বিচারের মামলার রায় ঘোষণার পর বিচারকের যদি মনে হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা দেয়া হয়েছে তাহলে তিনি (বিচারক) স্বতপ্রণোদিতভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, আদালত চাইলে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই ধর্ষণ মামলার বিচার করতে পারবে। এক্ষেত্রে আইনের অপব্যবহার হতে পারে। সে রকমটা হলে পরবর্তীতে আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।’
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘নতুন সংশোধনী অনুযায়ী আমি আগেই বলেছিলাম বিচার ও তদন্তের সময় কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যাপারে নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদ।’
তিনি জানান, শুধু শিশু ধর্ষণ মামলার আলাদাভাবে বিচার করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া আমরা ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে কিছু ডেফিনেশন এনেছি। শুধু পুরুষ কর্তৃক না যেকোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য করা হচ্ছে। যেকোনো ফর্মে ধর্ষণকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘তৃতীয় যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হচ্ছে সেটা হচ্ছে ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় অনেক মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকত। আমরা এই আইনে বিধান করেছি ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই আদালত যদি মনে করে মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচার সম্ভব, তাহলে আদালত ডিএনএ সার্টিফিকেট ছাড়াই মামলা দ্রুত বিচার করবে। এছাড়া আমরা ভিকটিমদের প্রটেকশনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা করেছি। ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছি এবং ধর্ষণকালে জখমের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেছি।’
আসিফ নজরুল জানান, আগামী বৃহস্পতিবার এটা চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাবে আশা করছি। এরপর খুব দ্রুত গেজেট নোটিফিকেশনও হয়ে যাবে। তবে ক্লিয়ার করি, এর সঙ্গে মাগুরা হত্যা ও ধর্ষণ মামলার বিচারের সম্পর্ক নেই। ওই বিচার এগিয়ে চলেছে নিজস্ব গতিতে এবং আমরা মনে করি খুবই দ্রুততার সাথে এই মামলার বিচার হবে। ওই মামলার ডিএনএ রিপোর্ট আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই মামলার বিচার শুরু হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঈদ উপলক্ষে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির নির্দেশনা

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর পান্থপথ এবং নিউমার্কেটসহ বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে ডিএমপি।
আজ সোমবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে ঈদ কেনাকাটায় আগত জনসাধারণ এবং মার্কেট এলাকা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের সুবিধার্থে নিম্নোক্ত ক্রসিংসমূহে আগামী ২১ ও ২২ মার্চ এবং ২৬ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকায় বা সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি হলে উক্ত এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য তথা মহানগরের অন্যান্য রাস্তা চলমান রাখার জন্য প্রয়োজনবোধে মাঝে মাঝে কিছু ডাইভারসন দেওয়া হবে।
ক্রসিংগুলো হলো-
১. পান্থপথ এলাকা, নিউমার্কেট এলাকা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, ঝিগাতলা এবং মিরপুর- এসব এলাকায় যাওয়ার জন্য যানবাহনকে সোনারগাঁও ক্রসিং থেকে শাহবাগ ঘুরে আসতে হবে ।
২. পান্থপথ, গ্রীণ রোড ক্রসিং থেকে সোনারগাঁও ক্রসিংগামী যানবাহনকে (পান্থপথে ইউটার্নকারী যানবাহনসহ) গ্রিন রোডে, রাসেল স্কয়ার বা ফার্মগেইটের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
৩. মিরপুর রোড ও ধানমন্ডি থেকে আসা নিউমার্কেটগামী যানবাহনকে সাইন্সল্যাব ক্রসিং হতে বামে মোড় নিয়ে এলিফ্যান্ট রোড বা কাটাবন রোড অথবা পলাশী ক্রসিং হয়ে চলাচলের জন্য ডাইভারসন দেওয়া হবে।
৪. নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে মিরপুর সড়কগামী যানবাহনকে (সিটি বাস ছাড়া) নিউমার্কেট ক্রসিং হতে নীলক্ষেত ক্রসিং বা আজিমপুর ক্রসিং বা নিউমার্কেট-পিলখানা সড়কের দিকে ডাইভারসন দেওয়া হবে ।
এ ছাড়া নিউমার্কেট ক্রসিং থেকে সাইন্সল্যাব ক্রসিং পর্যন্ত মিরপুর রোডের উভয় পাশে রিকশা চলাচলের জন্য আলাদা লেন (যে লেন দিয়ে কমপক্ষে ৩টি রিকশা পাশাপাশি চলতে পারবে) তৈরি করা হচ্ছে।
সকল রিকশা চালক ও যাত্রীদের ওই লেনে চলাচল করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। যারা কেনাকাটা করবেন না তাদেরকে ওই দিনগুলোয় মার্কেট সংলগ্ন রাস্তা যথাসম্ভব পরিহার করে বিকল্প পথে চলাচলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।