ব্যাংক
এসবিএসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদত্যাগ

বেসরকারি খাতের এসবিএসি ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
রবিবার (১৬ মার্চ) ব্যাংকটির পরিচালনা সভায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পর্ষদের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ব্যাংকটির সংশ্লিষ্টরা জানান, বিগত দিনে ব্যাংকটির বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির বের করতে কাজ শুরু করেছে। প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমডি নিজেও বিভিন্ন অনিয়মে সম্পৃক্ততার অভিযোগে চাপে রয়েছেন। এমন সময় হঠাৎ এমডি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। এখন পর্যন্ত হাবিবুর রহমানের মেয়াদ ছয় মাস বাকি আছে। তবে তার পদত্যাগপত্র এখনো গ্রহণ করা হয়নি।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে পদত্যাগ করা সাবেক চেয়ারম্যান আবু জাফর মোহাম্মদ শফিউদ্দিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল হাবিবুর রহমানের। তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তিন বছরের জন্য ব্যাংকটির এমডি ও সিইও হিসেবে যোগদান করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
নয় ব্যাংককে ২৯ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আমানতকারীরা কয়েকটি ব্যাংক থেকে আমানত তুলতে ভিড় করেন। এতে তীব্রতর হয় তারল্য সংকট। সংকটে টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ধার দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের আমলে ৯টি ব্যাংককে প্রায় সাড়ে ২৯ হাজার কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এরমধ্যে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংককে (এসআইবিএল) ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। টাকা ছাপিয়ে ন্যাশনাল ব্যাংককে ৫ হাজার কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংককে ২ হাজার কোটি টাকা, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা, আইসিবি ইসলামী ব্যাংককে ১০ কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংককে ২ হাজার কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংককে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং এবি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়েছে।
এসব ব্যাংককে টাকা ধার দেওয়া হয় জামানত ছাড়া। বিদায়ী বছরের শেষ দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর জানান, বলেছিলাম আমরা আর টাকা ছাপাব না। আগের সে অবস্থান থেকে সাময়িকভাবে সরে এসেছি, পুরোপুরিভাবে নয়। সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে যে পরিমাণ তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে সমপরিমাণ টাকা বাজার থেকে বন্ড ছাড়ার মাধ্যমে তুলে ফেলবো। অর্থাৎ এক হাতে টাকা দেবো, অন্য হাতে বাজার থেকে তুলে নেবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নতুন চারটি বিভাগ খুললো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

অর্থপাচার ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিভাগসহ প্রধান কার্যালয়ে নতুন চারটি বিভাগ খুলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, নতুন বিভাগ গঠনের উদ্দেশ্য ব্যাংক পরিদর্শন ও পরিপালন সংক্রান্ত কার্যক্রম অধিকতর গতিশীলকরণ; ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগসমূহের আওতাধীন ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয় ও তাদের শাখাসমূহের পরিদর্শন পরবর্তী পরিপালন সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পাদন করা। এছাড়া মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ এ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে সম্পাদন এবং ইসলামী ব্যাংকিং সংক্রান্ত প্রবিধি ও নীতি প্রণয়নসহ এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডসমূহ বাস্তবায়ন।
নতুন খোলা অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৯, পরিদর্শন পরিপালন বিভাগ, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিভাগ এবং ইসলামী ব্যাংকিং রেগুলেশন্স অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের বিষয়গুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের গঠিত আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেখভাল করতো। তবে আগস্ট পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিএফআইইউয়ের কাজের পরিমাণ এখন বেড়ে গেছে। আর এ কারণে নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার নতুন নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংকের

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণায় নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকখাতের মূলধন কাঠামোকে শক্তিশালী করতে শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ নীতিমালায় বেশকিছু কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। নতুন নীতিমালায়, যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১০ শতাংশের তারা দিতে পারবে না লভ্যাংশ।
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারে ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ২৩টি ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০২৪ এর ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিংখাতে খেলাপি ঋণের অনুপাত ২০ শতাংশেরও বেশি।
নতুন নীতিমালা ২০২৫ সালের লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।
আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশের নীতিমালা করে- তা পরিপালনের জন্য সকল তফসীলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠিয়েছে।
নতুন নীতিমালায় কেবলমাত্র পঞ্জিকাবষের্র মুনাফা হতে নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা যাবে; পূর্বের পূঞ্জীভূত মুনাফা হতে কোন নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করা যাবে না।
কোনো ব্যাংকের নগদ জমার হার (সিআরআর) ও সংবিধিবদ্ধ তারল্য অনুপাত (স্ট্যাচুটরি লিকুইডিটি রেশিও—এসএলআর) ঘাটতির কারণে দণ্ড সুদ ও জরিমানা অনাদায়ী থাকলে এমন ব্যাংকগুলোও লভ্যাংশ দিতে পারবে না।
এছাড়া ব্যাংকের ঋণ, বিনিয়োগ ও অন্যান্য সম্পদের বিপরীতে কোন প্রকার প্রভিশন ঘাটতি থাকা যাবে না।
একইসঙ্গে কোন ব্যাংকের প্রভিশন সংরক্ষণ ও অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোন প্রকার ডেফারেল সুবিধা গ্রহণ করলে তারাও লভ্যাংশ দিতে পারবে না।
লভ্যাংশের শর্তগুলো পুরোপুরি অনুসরণ করতে পারলেও একটি ব্যাংক শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষিত লভ্যাংশের পরিমাণ কোনক্রমেই পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশের অধিক হবে না। তবে যেসব ব্যাংক প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর পর, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ২.৫ শতাংশ ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১৫ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করতে পারবে—- তারা সামর্থ্য অনুসারে নগদ ও স্টক লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারবে।
সেক্ষেত্রে, তাদের লভ্যাংশ প্রদানের অনুপাত সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশের বেশি হবে না, এবং লভ্যাংশ বিতরণ পরবর্তী মূলধন পর্যাপ্ততার হার কোনভাবেই ১৩.৫ শতাংশের নিচে নামতে পারবে না।
কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১২.৫ শতাংশের বেশি, কিন্তু ১৫ শতাংশের কম মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে, সেসব ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে নগদ ও স্টক লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে, লভ্যাংশ প্রদানের অনুপাত সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ হতে পারবে, এবং লভ্যাংশ বিতরণ পরবর্তী মূলধন পর্যাপ্ততার হার কোন ভাবেই ১২.৫ শতাংশের নিচে নামতে পারবে না।
ব্যাংক ব্যবস্থায় বিপুল খেলাপি ঋণ আর মূলধন ঘাটতি নিয়ে অনেক বছর ধরেই আলোচনাস-সমালোচনা চলছে। এতে হুমকির মুখে ব্যাংকখাতের টেকসইতা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক এসব নির্দেশনা সেই প্রেক্ষাপটেই এসেছে।
ব্যাংকাররা বলছেন, এর ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি রয়েছে, এমন ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণা বন্ধ করা যাবে। নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তারা আশা করছেন, এ ধরনের কঠোর নীতিমালার ফলে ব্যাংকগুলো তাদের ব্যালেন্স শিট শক্তিশালী করতে উদ্যমী হবে এবং শেয়ারহোল্ডারদের রিটার্নের চেয়ে বেশি নজর দেবে আমানতের সুরক্ষায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ভেঙে দেওয়া তিন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন

বেসরকারি খাতের মেঘনা, এনআরবি ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে প্রতিটি ব্যাংকে ৭ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যানসহ পরিচালকদের অনেকেই এখন পলাতক রয়েছেন। সরকার পতনের পর থেকে এ নিয়ে মোট ১৪টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) নতুন করণীয় সম্পর্কে জানাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংক তিনটিতেই পরিচালক পদে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক, সাবেক ব্যাংকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, হিসাববিদ ও আইনজীবীর পাশাপাশি ব্যাংকের দুজন করে শেয়ারধারী পরিচালককে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, এ তিন ব্যাংকের মধ্যে মেঘনা ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার উজমা চৌধুরীকে। পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রতিনিধি পরিচালক (ক্যাসিওপিয়া ফ্যাশন লিমিটেডের পক্ষে) তানভীর আহমেদকে। স্বতন্ত্র পরিচালক করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. মামুনুল হক, মো. রজব আলী, যমুনা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (৭৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত) মো. নজরুল ইসলাম, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মো. আলী আক্তার রিজভীকে।
এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এনআরবি ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার ইকবাল আহমেদকে। স্বতন্ত্র পরিচালক করা হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ফেরদৌস আরা বেগম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক শেখ মো. সেলিম, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মতিউর রহমান, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শরীফ নুরুল আহকাম (তার বয়স ৭৫ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত) এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মিজানুর রহমানকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার মেঘনা ব্যাংক ও এনআরবি ব্যাংক নিজেরাই চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে নেবেন।
আর এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয়েছে কৃষি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী হোসেন প্রধানিয়াকে। স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক আবুল বশর ও মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সোনালী ব্যাংকের সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. শফিকুর রহমান, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাপক ডক্টর সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ (৭৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত) এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মোহাম্মদ এমদাদুল্লাহকে।
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এস আলম নিয়ন্ত্রণাধীন ইসলামী ব্যাংকসহ মোট ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে নতুন বোর্ড গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্বিতীয়বারের মতো অ্যাকশনে গিয়ে আরও তিন ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিলো আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই ব্যাংকিং খাতে বেশকিছু সাহসী পদক্ষেপ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। আর্থিক খাতকে ঢেলে সাজাতে একগুচ্ছ কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের হাত থেকে রাহুমুক্ত করা হয় ইসলামী, এসআইবিএল, ফার্স্ট সিকিউরিটিসহ আরও কয়েকটি ইসলামী ব্যাংক রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
এনআরবিসিসহ তিন ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

বেসরকারি খাতের এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির বোর্ড ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়াও, মেঘনা ও এনআরবি ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে নতুন করে কারা পর্ষদের দায়িত্ব পেয়েছেন সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
বুধবার (১২ মার্চ) রাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এসব ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ পরিচালকদের অনেকেই পলাতক। সরকার পতনের পর থেকে এ নিয়ে ১৪টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কাল বৃহস্পতিবার নতুন বোর্ড গঠন করা হবে।
উল্লেখ্য, সরকার পরিবর্তনের পর এস আলম নিয়ন্ত্রণাধীন ইসলামী ব্যাংকসহ মোট ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে নতুন বোর্ড গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্বিতীয় বারের মতো একশনে গিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এসএম