জাতীয়
ট্রেনে ঈদযাত্রা: ২৭ মার্চের টিকিট বিক্রি শুরু

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল থেকে শুরু হয়েছে। যারা আগামী ২৭ মার্চ ভ্রমণ করবেন তাদের জন্য অগ্রিম টিকিট বিক্রি আজ শুরু হলো।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ৮ টায় চতুর্থ দিনের মতো অগ্রীম টিকিট বিক্রি শুরু হয় ৷ অগ্রিম টিকিটের শতভাগই বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট সকাল ৮ টায় এবং পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে৷ সেই অনুযায়ী এই দুই সময়ে দুই অঞ্চলের টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
এর আগে গত রবিবার (৯ মার্চ) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অগ্রিম টিকিট বিক্রির তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ মার্চের টিকিট ১৭ মার্চ, ২৮ মার্চের টিকিট ১৮ মার্চ, ২৯ মার্চের টিকিট ১৯ মার্চ, ৩০ মার্চের টিকিট ২০ মার্চ পাওয়া যাবে।
এছাড়া চাঁদ দেখার ওপরে ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে৷ ঈদ যাত্রা সব টিকিট অনলাইনে ক্রয় করতে হবে। ঈদযাত্রায় এবার প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।
এছাড়া বিগত বছরগুলোতে ঈদযাত্রায় ৮ থেকে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাতো বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু এবার সেটি কমিয়ে ৫ জোড়া করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ২ নামে দুটি এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে; ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৩ ও ৪ নামে একজোড়া ট্রেন চালানো হবে; ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৫ ও ৬ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে; ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে এবং জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে পাবর্তীপুর ঈদ স্পেশাল ৯ ও ১০ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে।
এছাড়া ঈদে অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ৪৪টি (পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ২৮টি মিটারগেজ ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ৩৬টি ব্রডগেজ) যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ১৯টি (মিটারগেজ ১৪টি ও ব্রডগেজ থেকে ৫টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেন ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের ডে-অফ (সাপ্তাহিক ছুটি) বাতিল করা হয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেনের কোনো ডে-অফ থাকবে না। ঈদের পরে যথারীতি সাপ্তাহিক ডে-অফ কার্যকর থাকবে। এছাড়া ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।

জাতীয়
সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর নতুন বেতন নির্ধারণে কমিটি

সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে সরকার ‘সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি, ২০২৫’ গঠন করেছে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নয় সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. ফয়জুর রহমানকে। এই কমিটি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য যুগোপযোগী বেতন কাঠামো প্রণয়নের বিষয়ে সুপারিশ করবে বলে জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘প্রধান উপদেষ্টা প্রীত হয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যবৃন্দের জন্য (বেসামরিক কর্মকর্তা/কর্মচারী ব্যতীত) ‘সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি, ২০২৫’ নামে একটি বেতন কমিটি গঠনের জন্য সদয় অনুমোদন প্রদান করেছেন।’
কমিটিকে জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫ এর সঙ্গে সমন্বয় এবং নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে কাজ করতে বলা হয়েছে। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের সুপারিশের ২৫ কপি বই আকারে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে জমা দিতে বলা হয়েছে।
সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খানকে সভাপতি করে গত ২৭ জুলাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে ‘জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বেতন কমিটিতে মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ, রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জহির উদ্দিন, এয়ার ভাইস মার্শাল রুসাদ দীন আছাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং চ ছা মং, এয়ার কমডোর জামিল উদ্দিন আহম্মদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিলিয়া শারমিন এবং ক্যাপ্টেন মো. তৌহিদ সাগরকে সদস্য করা হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিশাদুল ইসলাম খানকে কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কমিটিকে সশস্ত্র বাহিনীর আওতাভুক্ত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের (এমওডিসি এবং ধর্মীয় পরামর্শদানকারী কর্মকর্তাসহ) বর্তমান বেতন-ভাতা, অবসরভাতা ও পারিবারিক অবসরভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সময়োপযোগী ও যথোপযুক্ত বেতন কাঠামো নির্ধারণে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এই কমিটিকে বিশেষায়িত চাকরিধারীদের বেতন কাঠামো নির্ধারণ; বেতন-ভাতার ওপর আরোপযোগ্য কর (আয়কর) জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক সরাসরি পরিশোধ করার ক্ষেত্রে বেতন কাঠামো স্থিরীকরণ; বেতনবহির্ভূত অন্যান্য সুবিধা যেমন- বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত, আপ্যায়ন, প্রেষণ, কার্যভার, মহার্ঘ, উৎসব এবং শ্রান্তিবিনোদন ভাতা নিরূপণ করতে বলা হয়েছে।
কমিটিকে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ের পদ্ধতি নিরূপণ; যথোপযুক্তবা সময়োপযোগী পেনশনসহ অবসর সুবিধা নির্ধারণ; কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মান নিরূপণ বা মূল্যায়ন করে বেতন-ভাতা কাঠামোয় প্রতিফলন; সরাসরি সেবা (টেলিফোন, গাড়ি, মোবাইল ফোন ইত্যাদি) সংক্রান্ত প্রাধিকার আর্থিক সুবিধায় নগদায়ন এবং রেশন সুবিধা যৌক্তিকীকরণ করার সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উচ্চতর গ্রেড ও ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্তিতে বেতনক্রম নিরীক্ষায় কোনো অসংগতি পরিলক্ষিত হলে তা দূরীকরণের সুপারিশ; বেতনক্রমের বিদ্যমান অসংগতি পুনঃপরীক্ষাপূর্বক বাহিনীগুলোর মধ্যে বিরাজমান বেতন-ভাতার বৈষম্য (যদি থাকে) তা দূরীকরণের সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
বেতন কমিটিকে বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে জীবনবেগী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরির বিষয়ে পদমর্যাদা ও পদবিন্যাস নির্ধারণ; বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট গুচ্ছভুক্ত করার পদ্ধতি নিরূপণ; উচ্চতর স্তরে পদায়ন করতে গিয়ে প্রতিযোগিতার সুযোগ নির্ধারণ; জীবনবেগী চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতার গুরুত্ব নিরূপণ করতে বলা হয়েছে।
পিতা-মাতাসহ অনূর্ধ্ব ছয়জনের একটি পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে কমিশনকে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া অনূর্ধ্ব দুই সন্তানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়; দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সরকারের সম্পদ পরিস্থিতি, প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য সম্পদের প্রয়োজনীয়তা; সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের অবস্থা; দারিদ্র্য নিরসনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সম্পদ জোগান ক্রমান্বয়ে স্বনির্ভরতা অর্জনের উপায়; মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ; কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও কর্মোদ্যোগ বৃদ্ধি করে সেবার মান উন্নয়ন; দেশের মৌলিক নীতিমালার সঙ্গে প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষ সম্পর্ক; জীবনযাত্রার ব্যয়ভার ও মান; জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫ এর প্রস্তাবিত স্কেলের সাথে ভারসাম্য রক্ষা; মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা আকৃষ্ট করার প্রয়োজনীয়তা; সশস্ত্র বাহিনীর অতীত কীর্তি ও ভাবমূর্তি; শান্তি ও যুদ্ধকালে দেশ ও জাতির প্রতি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য; প্রশিক্ষণ ও চাকরিকালে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিপদ সংকুল অবস্থা, কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগী জীবন; পরিবার হতে বিচ্ছিন্ন থেকে জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট সময় চাকরিতে ব্যয়; চাকরি জীবনে শারীরিক ও মানসিক যোগ্যতার আদর্শমান বজায় রাখা; দায়িত্ব কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করাণার্থে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকা; তুলনামূলক কম দীর্ঘ চাকরির কারণে অল্প বয়সে চাকরি হতে অবসর গ্রহণ; যুদ্ধাবস্থা ছাড়াও যে কোনো দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা মোকাবিলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্য পালনের বিষয়গুলো কমিটিকে বিবেচনায় রাখতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, কমিটি সুপারিশ প্রণয়নের ক্ষেত্রে নিজস্ব নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ করবে। প্রয়োজনবোধে দেশের যে কোনো সংস্থার কাছে যে কোনো তথ্য চাইতে পারবে এবং যে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার সহায়তা নিতে পারবে। এছাড়া কমিটি প্রয়োজনবোধে তিন বাহিনীর জন্য পৃথক পৃথক তিনটি সাব-কমিটি গঠন করে তাদের সুপারিশ বিবেচনা করতে পারবে। সশস্ত্র বাহিনীর যে কোনো সদস্যকে প্রয়োজনে এই কমিটি বা সাব-কমিটির সঙ্গে সংযোজন করতে পারবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
কাফি
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের সাক্ষাৎ

মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক টম অ্যান্ড্রুজ।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় তাদের এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেটিও অ্যান্ড্রুজ স্মরণ করিয়ে দেন।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের আশাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ড. ইউনূস এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি বিশ্ব কৃতজ্ঞ।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন যে, জাতিসংঘ সম্মেলন এই দীর্ঘস্থায়ী সংকট সমাধানের জন্য সুনির্দিষ্ট পথ প্রদান করবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য সাম্প্রতিক আর্থিক সহায়তা হ্রাসের ফলে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সেবায় বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। তিনি অ্যান্ড্রুজকে পর্যাপ্ত তহবিল নিশ্চিত করতে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে এ সমস্যার সমাধানের পথ বের হবে।
অ্যান্ড্রুজ সংকট সমাধানে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন। তবে তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, রাখাইনকে স্থিতিশীল করতে এবং শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগটি দুরভিসন্ধিমূলক প্রচারণার কারণে ব্যর্থ হয়েছে।
এমন বিপর্যয় সত্ত্বেও অ্যান্ড্রুজ আশাবাদী, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর অব্যাহত প্রচেষ্টা দ্রুত ও স্থায়ী সমাধান এনে দিতে পারে এবং এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূমিকা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
আগামী ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা ইস্যুতে কক্সবাজারে স্টেকহোল্ডার সংলাপে অংশ নিতে অ্যান্ড্রুজ বাংলাদেশ সফর করছেন। প্রধান উপদেষ্টা ওই সংলাপের উদ্বোধন করবেন।
কাফি
জাতীয়
মেহেরপুর সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

মেহেরপুরের কুতুবপুর সীমান্ত থেকে ইকবাল হোসেন (৩৮) নামের এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ইকবাল হোসেন কুতুবপুর গ্রামের জারাবাত হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে কুতুবপুর মাঠে ঘাস কাটার সময় ভারতের ৫৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের তেইনপুর ক্যাম্পের সদস্যরা আটক করে ধরে নিয়ে যান ইকবালকে।
ইকবালের স্ত্রী ফেরদৌসি আরা জানান, দুপুরে মাঠ থেকে ধান লাগানোর কাজ করে বাড়িতে আসে। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া সেরে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যায়। ঘাস কাটতে কাটতে ভারতীয় সীমানার মধ্যে ঢুকে পড়ে ইকবাল হোসেন। এসময় ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এখনও পর্যন্ত তাকে ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় সীমানায় অনুপ্রবেশের অপরাধে তাকে ধরে মারতে মারতে বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে গেছে। বিজিবি পতাকা বৈঠকের ডাক দিলেও বিএসএফ তাতে সাড়া দেয়নি।
কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মোর্শেদ রহমান বলেন, ইকবাল হোসেন ১৩২/১৫-আর সীমান্ত পিলারের কাছে কুতুবপুর মাঠ নামক স্থানে ঘাস কাটার সময় ভারতের ৫৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের তেইনপুর ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করেন।
বর্তমানে বিএসএফের হাতিশালা ক্যাম্পের হেফাজতে সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন আটককৃত ইকবাল হোসেন। তাকে ফেরত আনার ব্যাপারে কাথুলী কোম্পানি কমান্ডার কর্তৃক প্রতিপক্ষ ৫৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের রাউথবাড়ী কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে, আটককৃত বাংলাদেশিকে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হবে বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফেরত আনার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
কাফি
জাতীয়
পাকিস্তানের সঙ্গে বেশকিছু সমঝোতা স্বাক্ষর হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশকিছু সমঝোতা স্বাক্ষর হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে উপদেষ্টার অফিসকক্ষে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা উভয়পক্ষ খুব খোলামেলা আলোচনা করেছি। দুই দেশের বাণিজ্য বাড়াতে একমত হয়েছি। খাদ্য ও কৃষি উন্নয়নে আমরা কাজ করতে চাই। আমাদের ফল আমদানি ও রপ্তানি নিয়ে কথা হয়েছে। আনারস রপ্তানির কথা বলেছি। স্থানীয়ভাবে চিনি উৎপাদনে পাকিস্তানের সাহায্য চেয়েছি। তারা সব বিষয় আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।
তিনি বলেন, এর বাইরেও আমাদের পাকিস্তান হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড আমদানির ওপর এন্টি ডাপ্লিং ট্যাক্স আরোপ করেছিল আমরা সেটা সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেছি। তারা এটা রাখবে আশা করি। আমরা পাকিস্তান বাজারে ডিউটি ফ্রি ১ কোটি কেজি চা রপ্তানির কথা জানিয়েছি। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী আরও তিনদিন থাকবেন এটা নিয়ে আরও আলোচনা হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের বেশকিছু সমঝোতা সাক্ষর হবে।
তিনি বলেন, আমরা দুই দেশের মধ্যে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন করতে চাই। দুই দেশে ব্যবসার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ালে ভারতের সঙ্গে আরও বৈরীভাব বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করুন। এটা আমার কনসার্ন নয়। আমরা দেশের স্বার্থে কাজ করছি।
বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দেশের স্বার্থে অন্য যে যে দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানো প্রয়োজন হয় আমরা সেটা করবো।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের কাছে আমাদের অনেক পাওনা আছে। সে বিষয় আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না। হয়নি।
বাণিজ্য সচিব বলেন, প্রায় দেড় দশক বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য ছিল না বললেই চলে। তারা আমাদের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরাও বাণিজ্য বাড়াতে অসুবিধা দেখি না। আমরা উভয় দেশের স্বার্থ সমুন্নত রেখে এ বাণিজ্য বাড়ানো যায়। আমাদের উপদেষ্টা ধারণা দিয়েছেন পাকিস্তানে কি কি বিষয় রপ্তানি করতে পারে। আমরা পাকিস্তান থেকে বেশি আমদানি করি কিন্তু রপ্তানি করি কম। আমরা চাই এটা পরিবর্তন হোক। আমরাও যাতে বেশি রপ্তানি করতে পারি। এতে বাংলাদেশের জন্য লাভজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে এ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাইকমিশনের রাজনৈতিক কাউন্সিলর কামরান ধাংগাল, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক প্রতিনিধি জাইন আজিজ এবং বাণিজ্য সহকারী ওয়াকাস ইয়াসিন।
জাতীয়
রোহিঙ্গা বিষয়ে সম্মেলনে অংশ নিতে কক্সবাজার যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

আগামী ২৪ থেকে ২৬ আগস্ট কক্সবাজারে রোহিঙ্গা বিষয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বের ৪০ দেশের প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে অংশ নেবেন। সম্মেলনে অংশ নিতে আগামী ২৫ আগস্ট কক্সবাজার যাবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার রোহিঙ্গা ইস্যু খুব সিরিয়াসলি দেখছে। এ বিষয়ে সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও নিবিড়ভাবে কাজ করছে। সে আলোকেই রোহিঙ্গা ক্রাইসিস আবার যেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রধান আলোচনার বিষয় হয়- সেজন্য তিনটি বৃহৎ আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, কক্সবাজারের সম্মেলনের পর আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সবচেয়ে বৃহৎ সম্মেলনটি হবে জাতিসংঘে। সেখানে ১৭০ দেশ অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর কাতারের দোহায় আরও একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের নানান সমস্যার কথা বিভিন্ন জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠান তথা আন্তর্জাতিক মহলের কাছে তুলে ধরাই কক্সবাজারের সম্মেলনে মূল লক্ষ্য।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।