আন্তর্জাতিক
টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড যুক্তরাষ্ট্র, নিহত অন্তত ৩৩

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী টর্নেডো ও ভয়াবহ ঝড়ে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বংসী এই ঝড়ে মিসৌরিতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে, যেখানে ১২ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
মিসৌরি ছাড়াও কানসাসে আটজন, আরকানসাসে তিনজন, মিসিসিপিতে ছয়জন, টেক্সাসে তিনজন এবং ওকলাহোমায় একজনের প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর এক টর্নেডো ও ঝড় আঘাত হানে।
মিসৌরিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতভর তাণ্ডব চালায় একাধিক টর্নেডো, এতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। আরকানসাসে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।
গভর্নর সারা হাকাবি স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, জরুরি উদ্ধারকর্মীরা মাঠে নেমেছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। টেক্সাসেও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
অ্যামারিলো এলাকায় ধূলিঝড়ের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দুর্যোগের কেবল শুরু।
সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরো টর্নেডোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে লুইসিয়ানা, মিসিসিপি, আলাবামা ও জর্জিয়ায় আঘাত হানতে পারে। একই সঙ্গে, উত্তরাঞ্চলে তুষারঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বাতাসের গতিবেগ কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ১০০ মাইল ছাড়িয়ে যেতে পারে। ওকলাহোমায় এতটাই শক্তিশালী বাতাস বইছে যে একাধিক ট্রাক উল্টে গেছে। প্রবল ঝড়ের পাশাপাশি, টেক্সাস, কানসাস, মিসৌরি ও নিউ মেক্সিকোতে দাবানলের ঝুঁকিও বেড়েছে।
এদিকে দুই লাখের বেশি বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জর্জিয়া ও আরকানসাসে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক
সৌদিতে এক সপ্তাহে প্রায় ২২ হাজার প্রবাসী গ্রেপ্তার

আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সৌদি আরবে এক সপ্তাহে প্রায় ২২ হাজার প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৭ থেকে ১৩ আগস্ট জানুয়ারি পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ওই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে বলে রোববার খবর দিয়েছে গালফ নিউজ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদিজুড়ে চলমান ধরপাকড় অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে ২১ হাজার ৯৯৭ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবাসন আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় ১৩ হাজার ৪৩৪ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনে ৪ হাজার ৬৯৭ জন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৩ হাজার ৮৬৬ জন রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারি সংস্থা যৌথ অভিযান চালিয়ে এই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন এক হাজার ৭৮৭ জন। তাদের মধ্যে ইয়েমেনি ৩৫ শতাংশ, ইথিওপিয়ান ৬৪ শতাংশ এবং অন্যান্য দেশের ১ শতাংশ নাগরিক রয়েছেন। এছাড়া অবৈধ উপায়ে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টার সময় আরও ২৭ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একই সময়ে আবাসন ও কর্মবিধি লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন এবং আশ্রয় দেওয়ায় সৌদিতে বসবাসরত ১৮ ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে ২৫ হাজার ৪৩৯ জন প্রবাসীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে ২২ হাজার ৮৩৭ জন পুরুষ এবং দুই হাজার ৬০২ জন নারী।
গ্রেপ্তারকৃত প্রবাসীদের মধ্যে ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ২ হাজার ৯৭৩ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১২ হাজার ৮৬১ জনকে ইতোমধ্যে সৌদি আরব থেকে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।
প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের আটকের খবর প্রকাশ করছে। সূত্র: গালফ নিউজ।
আন্তর্জাতিক
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬। এতে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। রোববার (১৭ আগস্ট) ভোরে দেশটির সুলাওয়েসিতে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।
রবিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, রোববার ভোরে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ৬ দশমিক শূন্য মাত্রার ভূমিকম্পে কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন বলে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনবিপি) জানিয়েছে।
ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার (৬ দশমিক ২১ মাইল) গভীরে আঘাত হানে। এর প্রভাবে পসো অঞ্চলে প্রচণ্ড কম্পন অনুভূত হয় এবং আশপাশের এলাকাও কেঁপে ওঠে। সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এতে ২৯ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তবে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিএনবিপি।
উল্লেখ্য, এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপদেশ ইন্দোনেশিয়ার জন্যসংখ্যা সাড়ে ২৭ কোটির বেশি। ভূতাত্ত্বিক অবস্থার কারণে নিয়মিতই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে থাকে।
২০০৯ সালে দেশটির পাদাংয়ে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেই সময় প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে এক হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং আহত হন আরও অনেকে। এছাড়া ভূমিকম্পে বাড়িঘর ও বিভিন্ন স্থাপনাও ধ্বংস হয়ে যায়।
তারও আগে ২০০৪ সালে সুমাত্রার উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার মাত্রার ভয়াবহ একটি ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের পরপর আঘাত হানে সুনামি। তখন ওই অঞ্চলে ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে ইন্দোনেশিয়ায় ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল।
মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের তথাকথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা দেখা যায়। এখানে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষ ঘটে।
অবশ্য শুধু ইন্দোনেশিয়া নয়, জাপানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব দেশই এ কারণে ভূমিকম্পের অত্যধিক ঝুঁকিতে আছে।
আন্তর্জাতিক
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দলের ভারত সফর বাতিল করা হয়েছে। শুল্ক ইস্যুতে টানাপোড়েনের মধ্যেই আলোচনার জন্য চলতি মাসেই মার্কিন ওই প্রতিনিধিদের নয়াদিল্লি সফরের কথা ছিল।
অবশ্য মার্কিন প্রতিনিধিদের সফরের জন্য পরে নতুন তারিখ দেওয়া হতে পারে বলে ভারতীয় বেশ কিছু সূত্র দাবি করেছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক ইস্যুতে টানাপোড়েনের মধ্যেই ২৫ থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারিত যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক দলের ভারত সফর বাতিল করা হয়েছে। তবে এই বৈঠক পরে নতুন তারিখে আয়োজন করা হতে পারে বলে শনিবার এনডিটিভি প্রফিটকে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এই সফরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি রাশিয়ান তেল আমদানির কারণে ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর এই বৈঠকের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। এর আগে তিনি ভারতের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন।
এনডিটিভি বলছে, মার্কিন প্রতিনিধিদলের ওই সফরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ষষ্ঠ দফা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সময়টিও ছিল গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আগামী ২৭ আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা। একইসঙ্গে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সময়সীমার মধ্যেই চুক্তি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে আলোচনার প্রস্তুতি চলছিল। তবে সূত্রের মতে, এই আলোচনা পরে অনুষ্ঠিত হওয়ার ‘সম্ভাবনা’ রয়েছে।
মূলত ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তির একটি বড় বাধা হলো ভারতীয় কৃষি ও দুগ্ধখাতের বাজার যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকারের জোর দাবি। তবে ভারত বলেছে, এতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। দুধ আমদানির ক্ষেত্রে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতার কথাও বিবেচনা করছে ভারত।
ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘স্বদেশি’ পণ্যের ওপর জোর দেন এবং স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে কৃষক ও জেলেদের প্রতি দৃঢ় সমর্থনের বার্তা দেন।
এদিকে শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক হয়েছে। আশা করা হচ্ছিল, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কের বরফ গললে ভারতের ওপর বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্কের চাপ কিছুটা হালকা হতে পারে।
তবে এই বৈঠক থেকে তেমন কোনও সমাধানসূত্র আসেনি। যদিও ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা ব্যর্থ হলে ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্র আরও শুল্ক চাপাবে বলে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গত বুধবার ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেসেন্ট বলেন, রুশ তেল কেনার কারণে আমরা ইতোমধ্যেই ভারতের ওপর সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করেছি। যদি আলোচনার ফল ভালো না হয়, তাহলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বা শুল্ক আরও বাড়তে পারে।
আন্তর্জাতিক
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় একদিনে নিহত অন্তত ৭০

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৬ জন ছিলেন ত্রাণের সন্ধানে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেড়ে চলা খাদ্য সংকটের মধ্যে একই দিনে অনাহার ও অপুষ্টিতে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬১ হাজার ৮৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার এ তথ্য জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আটটি মরদেহ। একই সময়ে আহত হয়েছেন ৩৮৫ জন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৬৬০ জনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহার ও অপুষ্টিজনিত কারণে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। এ নিয়ে দুর্ভিক্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫১ জনে, এর মধ্যে ১০৮ জনই শিশু।
অবিরাম বিমান হামলার কারণে উদ্ধারকাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সরঞ্জামের ঘাটতিতে সীমান্তরক্ষী ও সিভিল ডিফেন্স টিম অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপে বা রাস্তায় ফেলে রাখতে বাধ্য হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি ভঙ্গ করে ইসরায়েল ফের হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৩৬২ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৬১৯ জন।
এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী মানবিক সহায়তা নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও হামলা চালাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ধরনের ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ১৭৫ জন আহত হয়েছেন। ২৭ মে থেকে এ পর্যন্ত মানবিক সহায়তা সংগ্রহে যাওয়ার পথে ইসরায়েলি হামলায় ১ হাজার ৯২৪ জন নিহত এবং ১৪ হাজার ২৮৮ জন আহত হয়েছেন।
চলতি বছরের মার্চের শুরু থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকাকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এর ফলে ২৪ লাখ মানুষের জীবন ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে নিমজ্জিত হয়েছে। ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ, মহামারি আর ন্যূনতম অবকাঠামোর ভাঙন গাজাকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে।
গত বছরের নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়া গাজায় গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও বিচারের মুখোমুখি হয়েছে ইসরায়েল।
আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম

বিশ্ববাজারে কয়েক ধরনের ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। এ তালিকায় রয়েছে সয়াবিন বীজ, পাম তেল ও সূর্যমুখী তেলের দাম। বাড়তে পারে সানফ্লাওয়ার ও পাম তেলের দামও। তবে আরেক ধরনের তেলের দাম কমেছে।
ট্রেড ইকোনোমিকসের তথ্যমতে, শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে প্রতি বুশেল সয়াবিনের বীজ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২২ ডলার ৭৫ সেন্টে। মাস ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রায় ১ শতাংশ। অপরদিকে পাম তেলের দামও মাস ব্যবধানে প্রায় ৭ শতাংশ বেড়ে বর্তমানে প্রতি টন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭২ ডলার ১৬ সেন্টে। আর প্রতি টন সূর্যমুখীর তেল বিক্রি হচ্ছে ৮২ ডলারে। সপ্তাহ ব্যবধানে ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ আর মাস ব্যবধানে ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে ।
অপরদিকে ক্যানোলার দাম কমেছে। পূর্বাভাস বলছে, ক্যানোলার দাম নিম্নমুখী থাকতে পারে। সর্বশেষ তথ্যমতে, মাস ব্যবধানে ২ দশমিক ৩১ শতাংশ দাম কমে প্রতি টন এই তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৭৭ ডলার ৫৯ সেন্টে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) প্রায় ২ শতাংশ বেড়ে এক সপ্তাহের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর পেছনে দুটি বড় কারণ- আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক ঘিরে উত্তেজনা।
ব্রেন্ট ক্রুড বেড়ে ১ দশমিক ২১ ডলার বা ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৬ দশমিক ৮৪ ডলারে এবং মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) বেড়ে ১ দশমিক ৩১ ডলার বা ২ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৩ দশমিক ৯৬ ডলারে লেনদেন শেষ করেছে।