Connect with us

ধর্ম ও জীবন

যে কারণে রমজানে মহানবী (সা.) বেশি দান করতেন

Published

on

বিনিয়োগকারী

রাসূল সা. সব সময় দান করতেন। তবে রমজান মাসে তার দানের পরিমাণ বেড়ে যেতো। রমজানে রাসূল সা.-এর দান সম্পর্কে হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে—

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন মানুষের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা। রমজানে তার দানশীলতা (অন্য সময় থেকে) অধিকতর বৃদ্ধি পেত; যখন জিবরাঈল (আ.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। জিবরাঈল (আ.) রমজানের প্রতি রাতে আগমন করতেন এবং তারা পরস্পরকে কোরআন শোনাতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) তখন কল্যাণবাহী বায়ুর চেয়ে অধিক দানশীল ছিলেন।’ (বুখারি, হাদিস : ০৬; মুসলিম, হাদিস : ২৩০৮; মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২৬১৬)।

রমজানের সংস্পর্শ

রমজানের সংস্পর্শের কারণে তিনি এই মাসে বেশি বেশি দান দান করতেন। কারণ, এই বরকতময় মাস নেক আমলের সওয়াব বৃদ্ধি করে, মান-মর্যাদা উন্নীত করে, বান্দাকে আল্লাহ তায়ালার নিকটবর্তী করে নেক আমলের মাধ্যমে।

কোরআনের নির্দেশনা

রমজান মাসে রাসূল সা. বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করতেন। কোরআনের এমন অনেক আয়াত আছে যেখানে আল্লাহর রাস্তায় দান করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। দুনিয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। মানুষকে আখিরাতমুখী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব আয়াত তিলাওয়াত করলে আল্লাহর রাস্তায় দান-সদকার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। কোরআনের এসব আয়াত তিলাওয়াতের মাধ্যমে রাসূল সা. আল্লাহর রাস্তায় বেশি বেশি দানের প্রতি উদ্বুদ্ধ হতেন।

জিবরাঈল আ.-এর সংস্পর্শ

রমজানের প্রতি রাতে জিবরাঈল আ.-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতো মহানবী সা.-এর। এই সাক্ষাৎ ছিল সৎ ব্যক্তির সঙ্গে উঠাবসার মতো। আর সৎ ব্যক্তির সঙ্গে উঠাবসা আল্লাহর প্রতি ঈমান বৃদ্ধি করে এবং আনুগত্যের প্রতি আগ্রহী করে তোলে। এই সাক্ষাতের সংস্পর্শও রাসূল সা.-কে বেশি বেশি দান-সদকা করতে উদ্বুদ্ধ করতো।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ধর্ম ও জীবন

তাওয়াফের সময় যে দোয়া পড়বেন

Published

on

বিনিয়োগকারী

হজ ও ওমরার সময় পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করা হয়। হজ ছাড়াও নফল তাওয়াফের নিয়ম রয়েছে। পবিত্র কোরআনে একাধিক জায়গায় কাবাঘর তাওয়াফের কথা বলা হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে, ‘আর আমার ঘরকে পবিত্র রাখবে তাওয়াফকারী, নামাজ কায়েমকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য।’ (সূরা হজ, আয়াত : ২৬)

অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাঈলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে তোমারা আমার ঘরকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো।’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ১২৫)

তাওয়াফের ফজিলত সম্পর্কে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, বাইতুল্লাহর চারদিকে তাওয়াফ করা নামাজ আদায়ের অনুরূপ। তবে তোমরা এতে (তাওয়াফকালে) কথা বলতে পারো। সুতরাং তাওয়াফকালে যে ব্যক্তি কথা বলে সে যেন ভালো কথা বলে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬০)

তাওয়াফের সময় যার যেটা মনে চায় একান্তভাবে আল্লাহ তায়ালার সামনে পেশ করতে পারে। তবে হজরত আতা রহ. বলেন, আবু হুরায়রা রা. আমার নিকট হাদিস বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সা.–কে বলতে শুনেছেন,…যে ব্যক্তি সাতবার বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে এবং কোন কথা না বলে নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে

سُبْحَانَ اللّٰهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَاللّٰهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰه

উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লি-ল্লাহি ওয়ালা ইলাহা- ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার, লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ

তার দশটি গুনাহ মুছে যাবে। তার জন্য দশটি নেকী লেখা হবে এবং তার মর্যাদা দশগুণ বর্ধিত করা হবে। আর যে ব্যক্তি তাওয়াফ করে এবং এ অবস্থায় কথা বলে, (উপরোক্ত জিকির করে বা অন্য কোনো মাসনুন জিকির করে।) সে তার দুই পা রহমতের মধ্যে ডুবিয়ে রাখে; যেমন কারো পা পানিতে ডুবিয়ে রাখে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৯৫৭)

হাদিসে উত্তম কথা ছাড়া কোনো কথা না বলতে নির্দেশ করা হয়েছে। তাছাড়া যেহেতু বিধানগতভাবে তাওয়াফও আংশিক নামাজের অন্তর্ভুক্ত তাই তাতে উত্তম কথা (জিকির, তিলাওয়াত এবং সৎকাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ ছাড়া) অন্য কোনো কাজ ও কথা বলা উচিত নয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৯ হাজার ৫৪৯ জন হজযাত্রী

Published

on

বিনিয়োগকারী

পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৯ হাজার ৫৪৯ জন হজযাত্রী। তারা মোট ২৩টি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হজ বুলেটিনের আইটি হেল্প ডেস্ক জানায়, এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস (ঢাকা) ও সৌদি আরবের বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, বুধবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা পর্যন্ত ৯ হাজার ৫৪৯ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ২ হাজার ৮৯৩ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৬ হাজার ৬৫৬ জন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০টি ফ্লাইটে সৌদি আরবে গেছেন ৪ হাজার ১৩৬ জন। একই সময়ে, সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের ৬টি ফ্লাইটে ২ হাজার ৪৫৩ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ৭টি ফ্লাইটে ২ হাজার ৯৫০ জন হজযাত্রী গন্তব্যে পৌঁছান।

হজ বুলেটিনে আরও জানানো হয়, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজে অংশ নেবেন। এর মধ্যে ৫ হাজার ২০০ জন যাবেন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৮১ হাজার ৯০০ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১১৮টি প্রাক-হজ ফ্লাইটে ৪৪ হাজার ৩০৭ জন, সাউদিয়া ৮০টি ফ্লাইটে ৩২ হাজার ৭৪০ জন এবং ফ্লাইনাস ৩৪টি ফ্লাইটে ১৩ হাজার ৬৫ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে।

উল্লেখ্য, ২৯ এপ্রিল থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে এবং এটি চলবে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

জুমার দিন রোজা রাখার বিধান

Published

on

বিনিয়োগকারী

বিশেষ ফজিলতপূর্ণ মনে করে জুমার দিন নফল রোজা রাখা বা জুমার দিনকে বিশেষভাবে রোজার জন্য নির্দিষ্ট করা মাকরুহ বা অপছন্দনীয়। ইসলামে জুমার দিনে রোজা রাখার বিশেষ কোনো ফজিলত নেই। বরং নবিজি (সা.) জুমার দিনকে বিশেষভাবে রোজার জন্য নির্দিষ্ট করতে নিষেধ করেছেন। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,

لاَ تَخْتَصُّوا لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ بِقِيَامٍ مِنْ بَيْنِ اللَّيَالِي وَلاَ تَخُصُّوا يَوْمَ الْجُمُعَةِ بِصِيَامٍ مِنْ بَيْنِ الأَيَّامِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ فِي صَوْمٍ يَصُومُهُ أَحَدُكُمْ

রাতসমূহের মধ্যে তোমরা শুধু জুমার রাতকে নামাজ ও ইবাদতের জন্য নির্ধারন করে নিও না। একইভাবে দিনসমূহের মধ্যে শুধু জুমার দিনকে রোজা রাখার জন্য নির্দিষ্ট করে নিও না। তবে জুমার দিন যদি কারো নিয়মিত রোজা রাখার দিনে পড়ে তাহলে সে রোজা রাখতে পারবে। (সহিহ মুসলিম)

এ হাদিস থেকে বোঝা যায় জুমার দিনকে বিশেষভাবে রোজার জন্য নির্দিষ্ট করা ঠিক নয়। তবে জুমার দিন রোজা রাখা ইদ বা তাশরিকের দিনগুলোতে রোজা রাখার মতো নিষিদ্ধ নয়। অন্য কোনো ফজিলতপূর্ণ দিন বা নিয়মিত রোজা রাখার দিন যদি জুমার দিন হয়, তাহলে জুমার দিন রোজা রাখা যেতে পারে। যেমন কারো যদি প্রতি মাসে আইয়ামে বীজের তিনটি রোজা রাখার অভ্যাস থাকে, কোনো মাসে এই তিন দিনের মধ্যে জুমার দিনও পড়ে যায়, তাহলে সে জুমার দিন রোজা রাখতে পারে।

কেউ যদি প্রতি সপ্তাহে নফল রোজা রাখতে চায়, তাহলে সে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতে পারে। আল্লাহর রাসুল (সা.) প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার তিনি রোজা রাখতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। (সুনানে তিরমিজি)

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

تُعْرَضُ الْأَعْمَالُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ فَأُحِبُّ أَنْ يُعْرَضَ عَمَلِي وَأَنَا صَائِمٌ

প্রতি বৃহস্পতি ও সোমবার আল্লাহ তাআলার কাছে বান্দার আমলসমূহ পেশ করা হয়। আমি চাই আমার আমলসমূহ যেন রোজা রাখা অবস্থায় পেশ করা হয়। (সুনানে তিরমিজি, সুনানে নাসাঈ)

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

পরিবারের একাধিক ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হলে করণীয়

Published

on

বিনিয়োগকারী

মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদতের নাম কোরবানি। যা প্রতিটি সামর্থ্যবান নর-নারীর ওপর ওয়াজিব।

কিন্তু কোরবানি সম্পর্কে আমাদের পরিপূর্ণ জ্ঞান না থাকার কারণে বিভিন্ন সময়ে এর সঙ্গে অনেক ভুল ধারণাকেও গুলিয়ে ফেলি। তার মধ্যে একটি হলো গৃহকর্তার নামেই কোরবানি দিতে হবে বা সংসারের পুরুষদের নামেই কোরবানি দিতে হবে।

বাংলাদেশে অনেক পরিবার এমন আছে, যাদের ঘরের নারী/মেয়েদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়ে আছে, অথচ তাদের নামে কোরবানি করা হয় না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যার পক্ষ থেকে কোরবানি করা হয়েছে, তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়নি। আবার অনেক পরিবারে মা-বাবার নামে কোরবানি দেওয়া হলেও তাদের অবিবাহিত ছেলে-মেয়ের (যারা শিক্ষা/বিয়ের জন্য রাখা টাকা/সোনা দিয়ে জাকাতযোগ্য হয়ে গেছেন) নামে কোরবানি দেওয়া হয় না। অথচ তাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব।

অনেক আছেন চল্লিশ-পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ করে পরিবারের দুয়েকজনের নামে কোরবানি করেন, অথচ এই টাকায় কোরবানির উপযুক্ত একটি পশু কিনে পরিবারে সাত সদস্যের নামেও কোরবানি করার সুযোগ ছিল। অথচ এই সহজ সমাধানটি অনেকেই মেনে নিতে চান না।

এর কারণ হলো, কোরবানির বিধান সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট ধারণা নেই। কোরবানি করার সময় আমরা চিন্তা করি না যে আমাদের পরিবারের কজন সদস্যের ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়েছে।

কিংবা একটি মানুষের কাছে কী পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়ে যায়। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কোন কোন কারণে মানুষের ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়।

কার ওপর কোরবানি ওয়াজিব : এক বাক্যে বলতে গেলে, যার ওপর জাকাত ওয়াজিব, তার ওপর কোরবানিও ওয়াজিব। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন ওই মুসলিম নর-নারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব। যে ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে।

নিসাব কী : সোনার ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭ দশমিক ৫) ভরি সোনার মালিক হলেই তাকে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক বলে গণ্য করা হবে আর রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২ দশমিক ৫) ভরি। টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ বা এমন প্রয়োজনাতিরিক্ত জিনিস যার মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ বা বেশি হয়।

কারো কাছে যদি সোনা বা রুপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি পৃথকভাবে নিসাব পরিমাণ নাও থাকে, কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। (আল মুহিতুল বুরহানি : ৮/৪৫৫)

যেমন—কারো কাছে এক ভরি সোনা ও সামান্য কিছু টাকা আছে, যার কোনো একটিও পৃথকভাবে নিসাব পরিমাণ নয়। কিন্তু এক ভরি সোনার মূল্য ও সামান্য টাকাকে একত্র করলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের বেশি হয়ে যায়। যেহেতু এখন সোনার মূল্য অনেক বেশি, তাই কারো কাছে এক ভরির কিছু কম সোনা ও সঙ্গে কিছু টাকা থাকলেই সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমপরিমাণ হয়ে যায়। ফলে তিনি নিসাবের মালিক বলে গণ্য হবেন এবং তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে।

সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্য কত : বর্তমানে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার দাম প্রায় ৯০ হাজার টাকার মতো।

উল্লিখিত আলোচনা দ্বারা বোঝা যায়, আমাদের দেশে অনেক নারীর ওপরই কোরবানি ওয়াজিব, যেহেতু তাদের সবার কাছে কমবেশি গহনা থাকে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোরবানি দেওয়া হয় না। আবার এমন অনেক পুরুষ আছেন, যার ওপর মূলত কোরবানি ওয়াজিব নয় (ওয়াজিব তার স্ত্রী/কন্যার ওপর)। কিন্তু তার পক্ষ থেকেই কোরবানি দেওয়া হয়।

কোরবানি করতে না পারলে করণীয়
কেউ যদি কোরবানির দিনগুলোতে ওয়াজিব কোরবানি দিতে না পারে, তাহলে কোরবানির পশু ক্রয় না করে থাকলে তার উপর কোরবানির উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করেছিল, কিন্তু কোনো কারণে কোরবানি দেওয়া হয়নি, তাহলে ওই পশু জীবিত সদকা করে দেবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৪; ফাতাওয়া কাজিখান: ৩/৩৪৫)

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

মুসাফিরের জন্য জুমার নামাজের করণীয়

Published

on

বিনিয়োগকারী

ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী যিনি মুসাফির অর্থাৎ যিনি নিজের আবাস থেকে ৪৮ মাইল বা ৭৮ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার নিয়ত করে নিজের এলাকা থেকে বের হয়েছেন, তার ওপর জুমার নামাজ আদায় করা ওয়াজিব নয়। সফরের ব্যস্ততার কারণে তার জন্য জুমা ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি রয়েছে।

জুমার নামাজ ওয়াজিব মুসলমান প্রাপ্তবয়স্ক, জ্ঞানসম্পন্ন (যিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন নন) মুকিম (যিনি মুসাফির নন) স্বাধীন (যিনি ক্রিতদাস নন) নগর বা লোকালয়ের অধিবাসী পুরুষদের ওপর; যার এমন কোনো গ্রহণযোগ্য অসুবিধা, অসুস্থতা বা বার্ধক্য নেই যে কারণে তিনি মসজিদে উপস্থিত হতে ও জুমা আদায় করতে অক্ষম।

জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন,

مَن كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَعَلَيْهِ الْجُمُعَةُ إِلَّا مَرِيضًا أَوْ مُسَافِرًا أَوِ امْرَأَةً أَوْ صَبِيًّا أَوْ مَمْلُوكًا
আল্লাহ ও পরকালের ওপর যাদের ইমান আছে, তাদের ওপর জুমা ওয়াজিব। তবে অসুস্থ, মুসাফির, নারী, শিশু ও ক্রিতদাসদের ওপর জুমা ওয়াজিব নয়। (বায়হাকি ও দারাকুতনি)

তাই মুসাফির যদি গাড়িতে বা বিজন কোনো জায়গায় থাকেন অথবা সফরের ব্যস্ততার কারণে শহরে থাকা সত্ত্বেও জুমার নামাজে উপস্থিত হতে না পারেন, তাহলে তার গুনাহ হবে না। তিনি জুমার সময় প্রতিদিনের মতো জোহরের নামাজের কসর (দুই রাকাত) আদায় করবেন।

তবে জুমার জামাতে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকলে অবশ্যই জুমা আদায় করা উচিত। জুমার নামাজ যাদের ওপর ওয়াজিব নয় তাদের জন্যও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। সুযোগ থাকার পরও এই ফজিলত থেকে বঞ্চিত হওয়া উচিত নয়।

মুসাফির যদি জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে তিনি অন্যান্য সময়ের মতো জুমার নামাজ দুই রাকাতই আদায় করবেন। মুকিম ও মুসাফিরের জুমার নামাজে কোনো পার্থক্য নেই।

সফরের ক্লান্তি বা তাড়া থাকলে জুমার আগে ও পরের সুন্নত নামাজ তিনি ছেড়ে দিতে পারেন। কারণ মুআক্কাদা সুন্নত নামাজ সফর অবস্থায় মুআক্কাদা থাকে না। তবে ঝামেলা ও ক্লান্তিমুক্ত থাকলে সুন্নত নামাজও পড়ে নেওয়া উত্তম।

মুসাফিরের নামাজ কসর বা সংক্ষিপ্ত করার বিধান শুধু প্রতিদিনের চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এ ছাড়া দুই ও তিন রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ, জুমা, সুন্নত বা অন্য কোনো নামাজ কসর করার নিয়ম নেই।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারী
জাতীয়4 hours ago

বিনিয়োগকারীরা কিছুদিন পরে পরে পথে বসতে পারেনা, এটা থামাতে হবে এখুনি: পিনাকী

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে এখনই গভীর ও কার্যকর সংস্কার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন লেখক, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট...

বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার5 hours ago

এপেক্স স্পিনিংয়ের আয় কমেছে

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি এপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস লিমিটেড গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে...

বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার6 hours ago

ফার্মা এইডসের ইপিএস কমেছে ৪০ শতাংশ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ফার্মা এইডস লিমিটেড গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত...

বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার23 hours ago

রাশেদ মাকসুদের অপসারণ চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজার বিষয়ে জ্ঞানশূন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণ...

বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার24 hours ago

পুঁজিবাজার ধসে রাষ্ট্র চুপ, প্রশ্ন তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজার বিষয়ে অদক্ষ ও অযোগ্য খন্দকার রাশেদ মাকসুদ নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই...

বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার1 day ago

বারাকা পতেঙ্গার আয় বেড়েছে ১২৩ শতাংশ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি,২৫-মার্চ,২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন...

বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার1 day ago

সামিট পাওয়ারের আয় কমেছে ৪৩ শতাংশ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেড গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত...

Advertisement
Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১
বিনিয়োগকারী
রাজনীতি9 minutes ago

দেশে আসছেন জোবাইদা রহমান, নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন

বিনিয়োগকারী
সারাদেশ23 minutes ago

দুই কৃষককে নিয়ে গেলো বিএসএফ, দুই ভারতীয়কে ধরলো গ্রামবাসী

বিনিয়োগকারী
রাজনীতি46 minutes ago

নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইলেন তারেক রহমান

বিনিয়োগকারী
সারাদেশ1 hour ago

জিআই স্বীকৃতি পেলো কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ‘খাদি’

বিনিয়োগকারী
রাজনীতি1 hour ago

আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির সমাবেশ শুরু

বিনিয়োগকারী
আন্তর্জাতিক1 hour ago

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারের জন্য আইফোন তৈরি হবে ভারতে

বিনিয়োগকারী
আন্তর্জাতিক2 hours ago

প্লাস্টিকের গৃহসামগ্রী ব্যবহারে বছরে প্রাণহানি সাড়ে ৩ লাখ

বিনিয়োগকারী
ধর্ম ও জীবন2 hours ago

তাওয়াফের সময় যে দোয়া পড়বেন

বিনিয়োগকারী
জাতীয়2 hours ago

বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার আরও ১২৫৫

বিনিয়োগকারী
জাতীয়2 hours ago

যদি কিন্তু অথবা ছাড়া আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে: হাসনাত

বিনিয়োগকারী
রাজনীতি9 minutes ago

দেশে আসছেন জোবাইদা রহমান, নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন

বিনিয়োগকারী
সারাদেশ23 minutes ago

দুই কৃষককে নিয়ে গেলো বিএসএফ, দুই ভারতীয়কে ধরলো গ্রামবাসী

বিনিয়োগকারী
রাজনীতি46 minutes ago

নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইলেন তারেক রহমান

বিনিয়োগকারী
সারাদেশ1 hour ago

জিআই স্বীকৃতি পেলো কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ‘খাদি’

বিনিয়োগকারী
রাজনীতি1 hour ago

আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির সমাবেশ শুরু

বিনিয়োগকারী
আন্তর্জাতিক1 hour ago

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারের জন্য আইফোন তৈরি হবে ভারতে

বিনিয়োগকারী
আন্তর্জাতিক2 hours ago

প্লাস্টিকের গৃহসামগ্রী ব্যবহারে বছরে প্রাণহানি সাড়ে ৩ লাখ

বিনিয়োগকারী
ধর্ম ও জীবন2 hours ago

তাওয়াফের সময় যে দোয়া পড়বেন

বিনিয়োগকারী
জাতীয়2 hours ago

বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার আরও ১২৫৫

বিনিয়োগকারী
জাতীয়2 hours ago

যদি কিন্তু অথবা ছাড়া আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে: হাসনাত

বিনিয়োগকারী
রাজনীতি9 minutes ago

দেশে আসছেন জোবাইদা রহমান, নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন

বিনিয়োগকারী
সারাদেশ23 minutes ago

দুই কৃষককে নিয়ে গেলো বিএসএফ, দুই ভারতীয়কে ধরলো গ্রামবাসী

বিনিয়োগকারী
রাজনীতি46 minutes ago

নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইলেন তারেক রহমান

বিনিয়োগকারী
সারাদেশ1 hour ago

জিআই স্বীকৃতি পেলো কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ‘খাদি’

বিনিয়োগকারী
রাজনীতি1 hour ago

আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির সমাবেশ শুরু

বিনিয়োগকারী
আন্তর্জাতিক1 hour ago

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারের জন্য আইফোন তৈরি হবে ভারতে

বিনিয়োগকারী
আন্তর্জাতিক2 hours ago

প্লাস্টিকের গৃহসামগ্রী ব্যবহারে বছরে প্রাণহানি সাড়ে ৩ লাখ

বিনিয়োগকারী
ধর্ম ও জীবন2 hours ago

তাওয়াফের সময় যে দোয়া পড়বেন

বিনিয়োগকারী
জাতীয়2 hours ago

বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার আরও ১২৫৫

বিনিয়োগকারী
জাতীয়2 hours ago

যদি কিন্তু অথবা ছাড়া আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে: হাসনাত