জাতীয়
ট্রেনে ঈদযাত্রা: ২৫ মার্চের টিকিট মিলবে আজ

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) শুরু হয়েছে। যারা ২৫ মার্চ ভ্রমণ করতে চান তাদের আজ শনিবার (১৫ মার্চ) টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। অগ্রিম টিকিটের শতভাগই অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে।
এর আগে গত রোববার (৯ মার্চ) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অগ্রিম টিকিট বিক্রির তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ মার্চের টিকিট ১৫ মার্চ, ২৬ মার্চের টিকিট ১৬ মার্চ, ২৭ মার্চের টিকিট ১৭ মার্চ বিক্রি করা হবে। এছাড়া ২৮ মার্চের টিকিট ১৮ মার্চ, ২৯ মার্চের টিকিট ১৯ মার্চ এবং ৩০ মার্চের টিকিট মিলবে ২০ মার্চ।
যাত্রীদের সুবিধার্থে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে এবং পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে ইস্যু করা হবে।
এছাড়া চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদযাত্রায় এবার প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকিট পাবেন যাত্রীরা।
বিগত বছরগুলোতে ঈদযাত্রায় ৮ থেকে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাতো বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু এবার সেটি কমিয়ে ৫ জোড়া করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ২ নামে দুটি ট্রেন চালানো হবে। ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৩ ও ৪ নামে একজোড়া ট্রেন চালানো হবে। ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৫ ও ৬ নামে এক জোড়া ট্রেন চলবে। এছাড়া ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে। জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে পাবর্তীপুর ঈদ স্পেশাল ৯ ও ১০ নামে এক জোড়া ট্রেন চলবে।
ঈদে অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে মোট ৬৪টি (পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ২৮টি মিটারগেজ ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ৩৬টি ব্রডগেজ) যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে মোট ১৯টি (মিটারগেজ ১৪টি ও ব্রডগেজ ৫টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেন ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের ডে-অফ (সাপ্তাহিক ছুটি) বাতিল করা হয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেনের কোনো ডে-অফ থাকবে না। ঈদের পরে যথারীতি সাপ্তাহিক ডে-অফ কার্যকর থাকবে। এছাড়া ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।

জাতীয়
ব্ল্যাকে টিকিট ক্রয় করেছি, এগুলোর সাথে রেল কর্তৃপক্ষ জড়িত

জাতীয়
পঞ্চগড়ে সীমান্তে আরও ১৬ জনকে পুশইন বিএসএফের

পঞ্চগড়ে পৃথক সীমান্ত এলাকা দিয়ে ৪ ভারতীয় নগরিকসহ ১৬ জনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পুশইনের পর তারা সীমান্ত এলাকায় ঘোরাফেরা করলে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
শনিবার (১৪ জুন) ভোরে পঞ্চগড় সদরের মিস্ত্রীপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ রজনীবাজার এলাকার সীমান্ত থেকে ভারতীয় ৪ জনসহ বাংলাদেশি ৭ জনকে আটক করা হয়।
এদিকে তেঁতুলিয়া উপজেলার পেদিয়াগছ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ শালবাহান রোড ও গুচ্ছগ্রাম এলাকায় সীমান্ত থেকে ৫ জন বাংলাদেশিকে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করে বিজিবি সদস্যরা। এ নিয়ে নতুন করে ভারতীয় নাগরিকসহ ১৬ জনকে পুশ ইন করা হয়েছে।
আটক বাংলাদেশিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখে থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
এছাড়া আটক ৪ ভারতীয় নাগরিককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।
জানা গেছে, তারা ভারতে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন কাজ করে আসছিলেন। গত ৯ জুন ভারতীয় পুলিশ মোম্বেতে তাদের বাড়ি থেকে আটক করে। এর পর তাদের সড়ক পথে পঞ্চগড় সীমান্তে এনে শনিবার ভোর রাতে পুশ ইন করে বিএসএফ। পরে আটক বাংলাদেশিদের জিডি মূলে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুশ ইন করা ৪ ভারতীয় হলেন- ভারতের চব্বিশ পরগণা জেলার হাবড়া বালিহাটি গ্রামের সিদ্দিক আলী মণ্ডলের ছেলে আজিজুল আলী মন্ডণ্ড (৩১), আজিজুলের স্ত্রী আজমিরা খাতুন (২৫), ছেলে ইয়ানুর আলী মণ্ডল (০৪), মেয়ে ফাতেমা খাতুন (০৭)।
পুশ ইন করা পঞ্চগড় সদর সীমান্তে আটক বাংলাদেশিরা হলেন- খুলনা জেলার ফাতেবাজারের মধুপর গ্রামের সমসুর শেখের মেয়ে আয়েশা শেখ (৩৯), মৃত মুরাদ শেখের ছেলে সিরাজুল শেখ (২০), মৃত মুরাদ শেখের ছেলে নিশার শেখ (২২), মেহেরপুর জেলার গাংনীর আক্তার মোল্ল্যার ছেলে আবু তালেব (২১), নড়াইল জেলার কালিয়া শুক্তক গ্রামের বাবুর শেখের স্ত্রী নিলুফা (৩৭), বাবুর শেখের মেয়ে মরিয়ম (০৮), বাবুর শেখের ছেলে রোহান শেখ (০৩)।
তেঁতুলিয়া সীমান্তে আটকরা হলেন- যশোর জেলার অভয়নগর শ্যামনগর গ্রামের মৃত মকবুল শেখের ছেলে তরিকুল শেখ (৪২), নড়াইল জেলার বীরগ্রামের মৃত ঈশ্বর গোপাল বিশ্বাসের মেয়ে বন্দনা রানী বিশ্বাস (৩৭), যশোর জেলার শার্শা বড়কলনী গ্রামের মারফত আলী গাজীর ছেলে কুরবান গাজী (৩৩), মারফত আলী গাজীর মেয়ে ফারজানা (২৩), ইয়াছিন সরকারের মেয়ে নাজমা খাতুন (২৭)।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সেকেন্ড অফিসার) মো. কাইয়ুম আলী জানান, শনিবার ভোরে পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকা থেকে পুশ ইন হওয়া সাতজন বাংলাদেশিকে স্থানীয়দের সহায়তায় আটকের পর বিজিবির সদস্যরা জিডি মূলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে তাদের পুলিশ পাহারায় পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা এলেই আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিচয় নিশ্চিত এরপর হস্তান্তর করা হবে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মো. নজির হোসেন জানান, তেঁতুলিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পুশ ইন হওয়া আটক ৫ জনকে থানায় আনা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে বিজিবি ও পুলিশের পাহারায় তাদের তেতুলিয়া ডাকবাংলোতে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা এলে আইনি প্রক্রিয়া এবং তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মনিরুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটক করা হয়। পঞ্চগড় সদর ও তেঁতুলিয়া সীমান্তে সর্বমোট ১৬ জনকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ। এদের মধ্যে ৪ জন ভারতীয়।
বাংলাদেশিদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয়দের ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়াসহ পুশ ইনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে অনুপ্রবেশ, চোরাচালানসহ সীমান্তের সব অপরাধ দমনে বিজিবির কঠোর অবস্থানে থাকার কথা জানান এই কর্মকর্তা।
কাফি
জাতীয়
সিলেটে আর কোনো পাথর কোয়ারি খোলা হবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশবান্ধব পর্যটন বিকাশের জন্য সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি লিজ দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, সিলেটে আর কোনো পাথর কোয়ারি খুলে দিবে না সরকার। জাফলং পর্যটন কেন্দ্রকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এমনটি করা গেলে এ অঞ্চলের পাথর শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুর ১২টার দিকে জাফলং পর্যটন এলাকা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সিলেটে নান্দনিক ও নৈসর্গিক আবেদন আছে, এমন জায়গা থেকে আমরা আর পাথর উত্তোলনে অনুমতি দেব না। এই জায়গা (জাফলং) পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা, যারা এখানে পাথর উত্তোলন করেন, পরিবেশবান্ধব পর্যটনের বিকাশের জন্য তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য আমরা পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, পাথর উত্তোলনের সঙ্গে নিশ্চয় কোনো একটা স্বার্থসংশ্লিষ্ট একটি বিষয় আছে। আমি এ এলাকায় ছোটবেলা থেকে আসি। কখনো পাথরের কারণে কোনো এলাকা প্লাবিত হয় না। এর উল্টোটাই ঘটে। বালু ও পাথর উত্তোলনের কারণে এমনভাবে নদীর পাড় ভেঙে গেছে নদীই গতি পরিবর্তন করে ফেলেছে। সিলেটে বন্যা কিন্তু পাথর জমা থাকার কারণে না বরং অতিরিক্ত পাথর তোলার কারণে। দয়া করে এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য আর দিবেন না। বন্যা সিলেটের বাস্তবতায় সারা জীবনই পড়ে। কোনো দিন সিলেট বন্যা ছাড়া ছিল না। সিলেটের বন্যার সঙ্গে পাথর উত্তোলনকে কোনোভাবেই জড়িত করবেন না। জাফলং সারাজীবন যেমনটা ছিল এখনো তাই থাকবে।
এ সময় জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম তখন মুড়ির টিন বাসে করে জাফলংয়ে আসতাম। তখন এই জাফলংয়ে একটা নৈসর্গিক সৌন্দর্য ছিল। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে জাফলং ও এর আশপাশের এলাকার পরিবেশ ধ্বংস করা হয়েছে। আপাতত এখান থেকে আর পাথর উত্তোলন হবে না এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানকার ক্রাশার মেইলগুলো সরাতে হবে এবং ওই ক্রাশার মেইলগুলোর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিকে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই পাথর উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত অনেক শ্রমিক আছে। পাথর উত্তোলনে যে পরিমাণ লোকের কাজ হয় এর থেকে দুই-তিন গুণ এমপ্লয়মেন্ট জেনারেট হবে যদি এটা পর্যটন নগরী হয়।
এর আগে, সিলেটের জাফলংয়ে এই দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে দিয়ে বিক্ষোভ করেন পাথর শ্রমিকরা। শনিবার (১৪ জুন) বেলা পৌনে ১২টার দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ইসিএ এলাকা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় ওই শ্রমিকদের রোষানলে পড়েন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাফলং পর্যটন স্পট ইসিএভুক্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের ওই দুই উপদেষ্টা। পরিদর্শন শেষে পৌনে ১২টার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, পরিবেশ রক্ষায় জাফলং পাথর কোয়ারি বন্ধ ও পাথর ও বালু উত্তোলনের ফলে অনেক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উপদেষ্টাদের এসব কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় পাথর শ্রমিক, জনতা ও পাথর উত্তোলনকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে বিক্ষোভ করে গাড়ি আটকে দেন। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে বিক্ষোভকারীদের রোষানলে আটকে ছিলেন তারা। এ সময় পুলিশ ও বিজিবি বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কাফি
জাতীয়
র্যাব পরিচয়ে ‘নগদ’ এজেন্টের কাছ থেকে কোটি টাকা ছিনতাই

রাজধানীর উত্তরায় র্যাব পরিচয়ে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’র ডিস্ট্রিবিউটরের এক প্রতিনিধিদের কাছ থেকে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ভুক্তভোগী ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি কালো মাইক্রোবাস মোটরসাইকেলটির গতিরোধ করে। এরপর ওই মাইক্রোবাস থেকে র্যাবের পোশাক পরা কয়েকজন ব্যক্তি বেরিয়ে ভুক্তভোগীকে ধরার চেষ্টা করে। তখন ভুক্তভোগী ব্যক্তি দৌড় দিলে র্যাবের পোশাক পরা ব্যক্তিরাও পেছনে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে তারা তাকে ধরে ফেলে। পরে ভুক্তভোগীকে মাইক্রোবাসে ওঠিয়ে নিয়ে চলে যায় তারা।
ভুক্তভোগী জানান, ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাওয়ার পথে একটি কালো মাইক্রোবাসে করে আসা একদল ব্যক্তি নিজেদের র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে তার পথরোধ করে। পরে টাকাভর্তি ব্যাগসহ তাদের গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরে ফেলে রেখে চলে যায়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনার অনুসন্ধানে কাজ চলছে।
উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী ব্যক্তির দাবি তিনি নগদের ডিস্ট্রিবিউটরের প্রতিনিধি। তার কাছে থাকা ১ কোটি ৮ লাখ টাকা র্যাব পরিচয়ে ছিনতাই হয়েছে বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।
কাফি
জাতীয়
অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে তিতাসের সতর্কবার্তা

গ্যাসজনিত যেকোনো অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে গ্রাহকদের প্রতি সতর্কবার্তা জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১৪ জুন) এক বার্তায় জানানো হয়, গ্যাসের চুলা জ্বালানোর কমপক্ষে ২০ মিনিট আগে রান্না ঘরের দরজা-জানালা খুলে দিয়ে বায়ু চলাচল নিশ্চিত করুন। চুলার নব/বাটন/হুসপাইপ/পিতলের চাবি ইত্যাদিতে কোনো গ্যাস লিকেজ আছে কিনা পরীক্ষা করুন।
এছাড়া লিকেজ পরিলক্ষিত হলে রাইজারের চাবি বন্ধ করে দিন এবং মেরামতের ব্যবস্থা করুন। গ্যাসের লিকেজ পেলে ০১৯৫৫-৫০০৪৯৭-৫০০ ও কল সেন্টার-১৬৪৯৬ এ যোগাযোগ করুন।